রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৩০ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাস্তবে কাজটা অতো সহজ ছিল না। অবশ্য খবরের কাগজে নিম্নমান কেরানি কিংবা ফাইফরমাস খাটার কাজের জন্য বিজ্ঞাপন থাকত। নাপিতের দোকানের পাশে গোয়ালিনী বারটট বেগমের একটা দোকানঘর ছিল। সেখান থেকে মাখনের গন্ধ আসত, বিশেষ করে তেলের গন্ধে যাদের নাক অভ্যস্ত তাদের কাছে গন্ধটা বেশ উপভোগ্য ছিল। যা হোক, বারটট বেগমকে নানি আগে থেকে বলে রেখেছিলেন। নানির হয়ে তিনি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে রাখতেন। কিন্তু চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে পনেরো বছর হতে হবে। তেরো বছরের জ্যাকের জন্য মিথ্যে বলাটাও অসম্ভব ছিল। তাছাড়া চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে; অন্য কোথাও চলে যাবে না। অখ্যাত ওড়না পরা অবস্থায় নানি প্রথম যাদের কাছে জ্যাককে নিয়ে গেলেন তারা দেখলেন, তাদের কাজের জন্য জ্যাক আসলে খুব ছোট হয়ে যায়। তারা প্রায় না করেই দিলেন। কারণ মাত্র দুমাসের জন্য তাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
নানি বললেন, তুই বলবি ওদের ওখানে থেকে যাবি।
কিন্তু সে কথা তো সত্যি নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না। ওরা তোর কথা বিশ্বাস করবে।

জ্যাক তাদের বিশ্বাস করা না করা নিয়ে ভাবেনি। তারা তাকে বিশ্বাস করুক তাও সে চায়নি। তার কাছে বড় কথা হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলেই তো তার গলায় আটকে যাবে কথা। অবশ্য বাড়িতে মিথ্যে সে বলেছে কখনও কখনও, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, দুপয়সা বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাব নিয়ে আড্ডাবাজি করার কারণে। পরিবারের মানুষদের কাছে ছোটখাটো মিথ্যে বললে সেটা ছিল মার্জনীয়। কিন্তু বাইরের কারো কাছে মিথ্যে বলা মানে মারাত্বক। কোনো এক অজানা কারণে জ্যাক বুঝতে পেরেছিল, যাদের ভালোবাসা যায় তাদের কাছে অপরিহার্য এবং গুরুতর বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। যদি সেরকম বিষয়ে মিথ্যে বলাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না, তাদেরকে ভালোবাসাও যায় না। চাকরিদাতারা তার সম্পর্কে যা কিছু জানবে সব তার মুখে শুনেই জানবে। সুতরাং সে যদি মিথ্যে বলে তাহলে তারা তাকে ঠিক মতো চিনতেই পারবে না। মিথ্যেটা ধ্রুব হয়েই থাকবে। একদিন বারটট বেগম খবর দিলেন, আঘা ডিসট্রিক্ট এলাকার একটা বড় ধাতব সামগ্রীর দোকানে অল্পবয়সী একজন ফাইলিং কেরানি চেয়েছে। নানি তার ওড়নার গিট বাঁধতে বাঁধতে বললেন, চল যাই। কেন্দ্রীয় ডিসট্রিক্টের দিকে যেসব ঢাল উঠে গেছে সেগুলোর একটার পাশেই ছিল দোকানটা। মধ্য জুলাইয়ের সূর্যটা রাস্তাটাকে ভাজাভাজা করে চলছে এবং রাস্তা থেকে উঠে আসা প্রস্রাবের আর অ্যাসফল্টের গন্ধটা আরো তীব্র করে তুলছে। রাস্তার সমান উচ্চতায় একটা সরু তবে গভীর গুদামঘর জাতীয় দোকান। মাঝখানের একটা কাউন্টার লম্বা পথটাকে দুভাগ করেছে। লোহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, হুড়কা ইত্যাদির নমুনা রাখা হয়েছে কাউন্টারে। দেয়ালের অনেকটা জুড়ে অনেকগুলো ড্রয়ার। ড্রয়ারগুলোতে রহস্যময় সব লেবেল লাগানো। প্রবেশ পথের ডান দিকে কাউন্টারের ওপরে জানালার সঙ্গে ক্যাশিয়ারের জন্য পেটা লোহার গ্রিল বসানো হয়েছে। গ্রিলের অপর পাশ থেকে দিবাস্বপ্নে বিভোর এক মহিলা জ্যাকের নানিকে দ্বিতীয় তলায় অফিসে যেতে বলল। দোকানের শেষ মাথায় একটা কাঠের সিঁড়ি একটা বড় অফিসরুমের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। দোকানের চেহারার সঙ্গে অফিসের চেহারায় পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। রুমের মাঝখানে একটা বড় টেবিলে পাঁচ ছয়জন নারী পুরুষ কর্মী বসে আছে। বড় রুমের এক পাশে একটা দরজা ম্যানেজারের রুমের দিকে গেছে।

প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ওঠা শরীরে ম্যানেজার কলার খোলা শার্ট পরে আছেন। তার পেছন পাশে একটা জানালা; জানালা দিয়ে উঠোন দেখা যায়। সেখানে বেলা দুটোর সময়েও রোদ পড়েনি। লোকটার চেহারা মোটাসোটা তবে খাটো। তার ঘাড়ের ওপরে গলানো ফিতা বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে উঁচু করে ধরে আছেন। লোকটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, তবে নিশ্বাস আটকানো মুখের ভেতর থেকে জ্যাকের নানির বসার আহ্বান বের হয়ে এল। জ্যাকের মনে হলো, গোটা ভবনে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। জ্যাক বুঝতে পারল, ম্যানেজারের অনড় অবস্থায় বসে থাকা মানে লোকটা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ভয় জাগানিয়া চেহারার ক্ষমতাধর লোকটার সামনে মিথ্যে বলতে হবে ভাবতেই জ্যাকের পা কাঁপা শুরু করল। নানির চেহারা দেখে জ্যাক বুঝতে পারল, নানির মধ্যে কোনো রকম কাঁপাকাঁপি নেই। তখনকার আসল কথা হচ্ছে, জ্যাকের বয়স পনেরো বছর হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই চাকরিটা তার চাই। ম্যানেজারের মন্তব্য অনুসারে জ্যাকের চেহারা পনেরো বছরের বলে মনে হয় না। তবে সে বুদ্ধিমান হলে..... আর তার কি সার্টিফিকেট দু এদুতেস আছে? না, বৃত্তি আছে। কিসের বৃত্তি? ডলসের। ও, তাহলে সে লিসেতে পড়ছিল? কোন ক্লাসে? চতুর্থ বর্ষে। সে তাহলে লিসে ছেড়ে আসবে? ম্যানেজার আরো অনড় হয়ে বসলেন; এবার মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে। তার গোলাকার দুধেল রঙের চোখ এবার নানির ওপর থেকে জ্যাকের ওপর চলে এল। তার চাহনির নিচে জ্যাক কেঁপে উঠতে লাগল।
নানি বললেন, হ্যাঁ। আমরা খুব গরিব মানুষ।

বোঝা যায় কি যায় না এমনভাবে নরম হলেন ম্যানেজার। তিনি বললেন, খুব দুর্ভাগ্যের কথা। ছেলে তো মেধাবী। অবশ্য ব্যবসায়েও ভালো পদবী পাওয়া যেতে পারে।
আবার একথাও সত্য ‘ভালো পদবী’ শুরুতে ছোটখাটোই থাকে। দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১৫০ ফ্রাঁ পাবে জ্যাক। পরের দিনই কাজ শুরু করতে পারে।
পথে বের হয়ে নানি বললেন, দেখলি, ওরা আমাদের কথা বিশ্বাস করেছে!
কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় সব সত্য কীভাবে ব্যাখ্যা করবো তাদের কাছে?
ওটা আমার ওপর ছেড়ে দে।

হাল ছেড়ে দিয়ে জ্যাক বলল, ঠিক আছে। মাথার ওপরে গ্রীষ্মের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল অফিসের কথা: সেখানে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অফিসজুড়ে; সবটাজুড়ে ছায়া। আগামীকাল তাকে ভোরে উঠতে হবে। তার ছুটি শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল।
পর পর দুবছর জ্যাক গ্রীষ্মের ছুটির সময় চাকরি করে ফেলল। প্রথমে যন্ত্রপাতির দোকানে, তার পরে একটা জাহাজের দালালি প্রতিষ্ঠানে। দুজায়গাতেই ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে তার ভয় ছিল। ওই দিনই তাকে চাকরি ছাড়ার কথা জানাতে হয়েছিল।

কাজ শেষ হয়ে গেছে সেটাই বড় কথা। অবশ্য গ্রীষ্ম আগের মতো কড়া তাপ বিকিরণ করেছে, প্রচণ্ড একঘেয়েমি শরীর মনের ওপর চেপে বসেছে। তবে আগে গ্রীষ্মকে যে সব বিষয় আদর্শ রূপদান করেছে সেসব বিষয় গ্রীষ্মের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়ে জ্যাকের। গ্রীষ্মের আকাশ, খোলা পরিসর এবং কলরব কোনো কিছু আর আগের মতো মনে হয়নি তার। পাড়া মহল্লার লাগামহীন দারিদ্রের মধ্যে আর জ্যাক দিন যাপন করেনি। তার সময় কেটেছে শহরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে দরিদ্রদের ছোট পাথরের প্লাস্টারের পরিবর্তে ধনীদের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বাড়িগুলোকে আলাদা এবং ধূসর ও বিষন্ন চেহারা দান করার জন্য। সকাল আটটার সময় জ্যাক যখন লোহার গন্ধ আর আবছা অন্ধকার দোকানে প্রবেশ করল তার মনের ভেতর থেকে একটা আলো নিভে গেল। আকাশটা বিলীন হয়ে গেল। ক্যাশিয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দ্বিতীয় তলার আবছা আলোকিত অফিসে উঠে গেল। প্রধান টেবিলে তার জন্য আর ফাঁকা জায়গা ছিল না। সারাদিন হাতে বানানো সিগারেট টানতে টানতে প্রধান হিসাবরক্ষকের গোঁফ হলুদ হয়ে গেছে। সহকারী হিসাবরক্ষকের মাথার অর্ধেকখানি টাক হয়ে গেছে, মুখ এবং বুকের গড়ন ষাঁড়ের মতো। অল্পবয়সী দুজন কেরানির মধ্যে একজনের চেহারা হালকা পাতলা, চুল বাদমী, সোজা সাপটা চেহারায় তার মধ্যে পৌরুষের ছাপ বেশ স্পষ্ট। অফিসে ঢোকার সময় প্রতিবারই দেখা গেছে তার শার্ট ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। তার শরীর থেকে সমুদ্রের ঘ্রাণ বের হতো। কারণ অফিসের মধ্যে নিজেকে সারাদিনের জন্য পুঁতে ফেলার আগে তিনি সাঁতার অনুশীলন করে আসতেন। আরেকজন ছিলেন মোটা এবং সদাহাসিখুশি। নিজের হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল ভাব তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না। সর্বশেষ জন বেগম রাসলিন, তিনি ম্যানেজারের সহকারী, মুখের গড়ন ঘোড়ার মতো লম্বা হলেও মজবুত সুতি আর পশমি পোশাকে হাসিখুশি বলেই মনে হতো। সব সময় গোলাপী রঙের পোশাক পরতেন। জগতের প্রতি চাহনি যেন খুব কড়া ছিল তার। নিজেদের ফাইলপত্র, হিসাবরক্ষণ খাতা এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা সবাই টেবিলের সবটুকু জায়গা দখল করেছিল। সুতরাং জ্যাকের জায়গা হলো ম্যানেজারের রুমের দরজার ডান পাশের একটা চেয়ারে। তার কাজ হলো চালান কিংবা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র জানালার উভয়পশের কার্ডসূচির একটা ফাইলে তুলে রাখা। ঠেলা দিয়ে খোলা এবং বন্ধ করা যায় এমন ড্রয়ার খুলে জ্যাক কার্ডগুলোর কাগজ এবং আঠার গন্ধ শুকত। প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে সে গন্ধটা তার কাছে একঘেয়ে মনে হতো। কখনও কখনও তাকে সবগুলো কার্ড ভালো করে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে বলা হতো। এই কাজটা সে করত চেয়ারে বসে কাজের জিনিসগুলো কোলের ওপর ফেলে। মাঝে মাঝে সহকারী হিসাবরক্ষক সংখ্যা মেলানোর কাজে তাকে সাহায্য করতে বলতেন। জ্যাক তার পাশে দাঁড়িয়ে মেলাত আর তিনি বিষণ্ন মুখে সংখ্যাগুলো নিচু স্বরে বলে যেতেন যেন তার সহকর্মীদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চান না। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা এবং রাস্তার ওপারের বাড়িঘর দেখা যেত। তবে আকাশ দেখা যেতো না। মাঝে মধ্যে জ্যাককে বাইরের কাজেও পাঠানো হতো: কখনও নিকটস্থ দোকান থেকে অফিসের কোনো জিনিসের সরবরাহ আনতে যেতে হতো। মাঝে মাঝে মানি অর্ডার পাঠাতে পোস্ট অফিসে যেতে হতো। কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস ছিল দুশো মিটার দূরত্বের মধ্যে। বন্দর থেকে ওপরের দিকে যে পাহাড়ের ওপরে শহর অবস্থিত সেই পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশস্ত প্রধান সড়কের ওপরে অবস্থিত ছিল পোস্ট অফিসটা। ওই সড়কে আসলে জ্যাক পুনরায় আবিষ্কার করতে পারত ফাঁকা জায়গা এবং আলো। একটা বড় গোলাকার দালানে অবস্থিত পোস্ট অফিসটায় আলো আসত তিনটা দরজা এবং একটা ছোট গম্বুজের ভেতর দিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায়ই জ্যাককে পোস্ট অফিসে যেতে হতো দিনের শেষে অফিসের কাজ শেষ করার পর। তার মানে তাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হতো। পোস্ট অফিসের দিকে দৌড়ে যেতে হতো। কারণ তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসত। সেখানে অনেক লোকের ভীড়ে তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। অর্থাৎ তার কর্মদিবস আরও দীর্ঘ হয়ে যেত। গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা জ্যাকের এভাবেই কোনো রকম আলোর ছটার ছোঁয়া ছাড়াই তুচ্ছ কাজ করে কেটে যেত।

নানি বলতেন, কাজ না করে তো তুই আলস্যে সময় পার করতে পারিস না। কিন্তু জ্যাকের মনে হতো, অফিসে সে যে সব কাজ করে সেগুলো কোনো কাজই নয়। সে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিল তা তো নয়; তবে সমুদ্রে যাওয়া কিংবা কুবাতে খেলতে যাওয়ার স্থলে অন্য কিছুকে আনা যাবে না। তার মতে, আসল কাজ বলতে যা বোঝায় সেগুলো তার মামার কারখানার উৎপাদনশীল কাজের মতো হতে হবে। কাজের মধ্যে থাকবে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক প্রচেষ্টা, হাতের দ্রুত এবং কঠিন সঞ্চালনের দ্বারা দক্ষ এবং যথাযথ কাজের ধারাবাহিকতা। কর্মী নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবে তার পরিশ্রম একটা নির্দিষ্ট আকার নিচ্ছে: যেমন কোনো রকম ফাটল কিংবা দাগ ছাড়াই একটা নতুন পিপার মতো কিছু। সে জিনিসটা নিয়ে কর্মী আগে থেকে পরিকল্পনা পর্যন্ত করে রাখতে পারবে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন ট্রাম্প!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘমেয়াদি গাজা যুদ্ধ বন্ধে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। যদিও নভেম্বর মাসে এক সপ্তাহ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫০ দিন যুদ্ধবিরতি ছিল, তবে বাকি সময়জুড়ে ইসরায়েল চালিয়ে গেছে অবিরাম হামলা। আর এতে অস্ত্র ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে পাশে থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে সম্প্রতি পরিস্থিতিতে ভিন্ন সুর। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে চলেছে। তার চাওয়া, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসরায়েল যেন হামাসের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছায়—যার ফলে মুক্তি পাবে গাজায় আটকে থাকা ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি, জীবিত ও মৃত উভয়ই।

গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প। বাইরে থেকে দেখা গেছে হাসিমুখে নেতানিয়াহুর প্রশংসা। কিন্তু পর্দার আড়ালে পরিস্থিতি ভিন্ন—ত্রাণবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে ৩ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প, এমনটাই জানায় ইয়েদিওথ আহরোনোথ।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ওইদিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে দুই জিম্মির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বস্ত করেছেন—চেষ্টা চলছে।

ইয়েদিওথ আহরোনোথ আরও জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ট্রাম্পের বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের অংশ। তিনি চান, যুদ্ধ থেমে যাক এবং ইসরায়েল-সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হোক। একইসঙ্গে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনাকেও এই পরিকল্পনার অংশ বলে দাবি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে এলো আরও ৩৬ হাজার টন চাল

ফাইল ছবি

ভারত থেকে আরও ৩৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) জাহাজটি এসে পৌঁছায় বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৭) ভারত থেকে ৩৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি প্যাকেজে মোট চার লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক তিন লাখ ১৭ হাজার ৬১৯ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

শাকিব জাতিকে কী শেখাল? বরবাদে কোকেন সেবনের দৃশ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ইকবাল

চিত্রনায়ক শাকিব খান এবং পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি ছবির মধ্যে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ১২০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি দর্শকমহলে যেমন আলোচিত, তেমনি কিছু দৃশ্য ও সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ‘এই জিল্লু মাল দে’ সংলাপ নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

ছবিটি নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “শাকিব খানের মতো একজন জনপ্রিয় নায়ক কীভাবে সিনেমায় কোকেনের মতো ভয়ংকর মাদক সেবনের দৃশ্যে অভিনয় করতে পারেন? আমি চাই না আমার সন্তান এ ধরনের ছবি দেখে বড় হোক।”

ইকবালের মতে, সিনেমাটি দেশের সামাজিক মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ। “আমি নিজে হলে এমন দৃশ্যে কখনো কাজ করতাম না। একজন নায়ক যাকে সবাই ফলো করে, যদি তাকে কোকেন নিতে দেখানো হয়, তাহলে তরুণ প্রজন্মের উপর এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ভেবেই শঙ্কিত হই,”— বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল বিষয় যেভাবে এই ছবিতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাও অত্যন্ত আপত্তিকর। সেন্সর বোর্ড কীভাবে এই দৃশ্যগুলো অনুমোদন দিয়েছে, সেটাও বড় প্রশ্ন।”

শাকিব খানের মুখে ‘এই জিল্লু মাল দেয়’ সংলাপ ইতোমধ্যে শিশু থেকে তরুণদের মুখে মুখে ঘুরছে। এক রিল ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী মদের বোতল হাতে নিয়ে সেই সংলাপ অনুকরণ করছেন। বিষয়টিকে ‘সমাজের অবক্ষয়’ হিসেবে দেখছেন ইকবাল।

মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত এই ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মামুনুর রশীদ, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইন্তেখাব দিনার, যীশু সেনগুপ্ত ও শ্যাম ভট্টাচার্য। ছবির একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন ট্রাম্প!
ভারত থেকে এলো আরও ৩৬ হাজার টন চাল
শাকিব জাতিকে কী শেখাল? বরবাদে কোকেন সেবনের দৃশ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ইকবাল
আম্পায়ারের প্রতি ‘আগ্রাসী’ আচরণ, নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো রেকর্ড ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন, বিজিবি সদস্যসহ ২ প্রতারক আটক
বেনাপোল কাস্টমসের সময় উপযোগী পদক্ষেপ, বেড়েছে রাজস্ব আয়
রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে ২ মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, আহত ১২
ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো 'মার্চ ফর গাজা'
আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাস করে একটি করে ফিলিস্তিন: আজহারী (ভিডিও)
নওগাঁয় বিলের খাস জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন মাহমুদুর রহমান
৩ বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি
কোরআন তেলাওয়াতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু
সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি
‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি