বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান

শান্তশিষ্টভাবেই মামা সৈকতের দিকে ফিরত। কয়েকবার শ্বাস নিয়ে এমনভাবে ফিরতি পথ ধরত যেন সে শক্ত মাটির ওপর দিয়ে চলছে। তীরে ফিরে উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে জ্যাকের গা ডলে পরিষ্কার করে দিত এবং একদিকে সরে মুখ ঘুরিয়ে সশব্দে প্রস্রাব করত। তখনও তার হাসা চলতেই থাকত। শেষে ভালোভাবে কাজটা সারতে পারার জন্য নিজের মূত্রথলিকে ধন্যবাদ দিত এবং পেটের ওপরে চাপড় মারতে মারতে বলত, ভালো ভালো। এর সঙ্গে প্রকাশ পেত তার সকল সংবেদী আনন্দ, হতে পারে সে আনন্দের উৎস প্রস্রাব করে স্বস্তি পাওয়ার অথবা খেয়ে দেয়ে ভালো পুষ্টিলাভ করার। যেটাই হোক না কেন, সে উৎস যে তাকে নিষ্পাপ আনন্দ দিচ্ছে সে ব্যাপারটাই জোর দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা থাকত তার।

সে চাইত পরিবারের সবাই যেন তার আনন্দ যজ্ঞে যোগ দেয়। সে আনন্দের মুহূর্তে, বিশেষ করে খাবার ঘরে, নানি বাগড়া দিতে চেষ্টা করতেন এবং বলতেন এইসব কথা আগেই বলা হয়ে গেছে বহুবার, এমনকি তিনি নিজেও বলেছেন। তবে যদিও তিনি বলতেন, আমাদের খাওয়ার সময় ওসব বাদ দাও, তবু তিনি আর্নেস্ট মামার তরমুজ-অভিনয় মেনে নিতেন: মুত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে তরমুজের সুনামের কথা জানা ছিল মামার। তরমুজ তার খুব প্রিয় ছিল এবং সে তরমুজ খাওয়া শুরু করত হাসতে হাসতে আর দুষ্টুমিতে চোখ টিপত নানির দিকে, সঙ্গে যোগ হতো তার হাপুস হুপুস শব্দে তরমুজের পানি ছিটানোর কাজ। কয়েক কামড়েই সে পৌাঁছে যেত তরমুজের খোসার কাছাকাছি আর খাওয়ার সময় যেন গোটা একটা রূপকথার কাহিনী অভিনয় করে ফেলত: হাত দিয়ে দেখাতে থাকত কিভাবে তরমুজ তার মুখ থেকে মুত্র নির্গমনের অঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।

মুখের বিচিত্র ভঙ্গি আর চোখ ঘোরানোর সঙ্গে মুখে বলত, ভালো, কী চমৎকার, একেবারে ধুয়ে দেয়; ভালো ভালো। তার প্রতি নজর না দিয়ে যেহেতু পারাই যেত না তাই সবাই হাসিতে ফেটে পড়ত। তার এই আদমসুলভ নিষ্পাপ আচণের সঙ্গে যোগ করতে হতো কয়েক ধরনের অসুস্থতার অতিরঞ্জিত ভান। ঠোঁট উল্টে দেখাতে চাইত, সে যেন তার অঙ্গ প্রতঙ্গের গোপন রহস্যগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সে বুঝাতে চাইত, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুচের খোঁচার মতো ব্যথা অনুভব করছে, কিংবা একটা পিণ্ড তার শরীরে ঘোরা ফেরা করছে। পরবর্তীতে জ্যাক যখন লিসিতে পড়াশোনা করছে তখনকার দিনের কথা মনে আছে: মামা মনে করত, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক বিষয় আছে যেটা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। সে বিশ্বাস থেকে মামা তার পিঠের নিচে এবং কোমরের ওপরের দিকে দেখিয়ে জ্যাককে বলত, এই যে এখানে, এখানে কেমন যেন টান লাগছে। জ্যাক জিজ্ঞেস করত, এখানে ব্যথা? আসলে ওখানে কিছু হয়নি।

মামা স্বস্তি নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে ছোট ছোট পদক্ষেপে তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য পাড়ার কোনো ক্যাফের দিকে রওনা হয়ে যেত। রাতের খাবার খেতে মামাকে ডাকার জন্য সে ওই করাতের ঘুণের গন্ধ আর কাঠের আসবাবপত্র সজ্জিত রেস্তোরায় বহুবার গিয়েছে। জ্যাক দেখেছে মামা তার বন্ধুদের আড্ডায় দেদারসে কথা বলে যাচ্ছে আর বন্ধুরা হো হো করে হাসছে। তাদের হাসির মধ্যে কোনো রকম বিদ্রুপ থাকত না; আর্নেস্টের সোজাসাপটা উদারতার কারণে সবাই তাকে খুব ভালোবাসত।

এই বিষয়টা জ্যাক আরো ভালো করে বুঝতে পারত মামা যখন তার বন্ধুদের সঙ্গে শিকার অভিযানে তাকেও সঙ্গে নিত। তার বন্ধুদের সবাই তার মতোই টব, পিপে ইত্যাদি নির্মাণের কাজ, রেলওয়ের কাজ কিংবা বন্দরের কাজ করত। শিকারে যাওয়ার দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হতো। মামাকে জাগানোর দায়িত্ব থাকত জ্যাকের ওপর। কোনো অ্যালার্মের শব্দেই তার ঘুম ভাঙত না। অ্যালার্মের শব্দে জ্যাক জেগে ওঠার সময় তার ভাই বিছানায় পাশ ফিরে শুতে শুতে গজ গজ করে বিরক্তি প্রকাশ করত। আরেক বিছানায় মা ঘুমের মধ্যেই একটুখানি নড়াচড়া করে চুপ হয়ে থাকতেন। বিছানা ছেড়ে অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে দুই বিছানার মাঝখানে রাতের টেবিলের ওপরে রাখা কেরোসিন বাতিটা জ্বালাত জ্যাক। (ঘরে আসবাব বলতে ছিল একটা সিঙ্গেল বিছানা–সেখানে মা ঘুমাতেন এবং একটা ডাবল বিছানা–সেখানে ঘুমাত জ্যাক এবং তার ভাই; দুই বিছানার মাঝখানে ছিল রাতের টেবিল; আর টেবিল বরাবর আয়নাঅলা একটা আলমারি। মায়ের বিছানার গোড়ার দিকে উঠোনমুখি একটা জানালা। জানালাটার নিচে হাতে ফুলতোলা কম্বলে ঢাকা একটা বেতের ট্রাঙ্ক। জ্যাক যখন খুব ছোট ছিল তখন জানালার ঝাঁপ বন্ধ করার জন্য হাঁটু মুড়ে ট্রাঙ্কের ওপর উঠে দাঁড়াত।)

তারপর খাবার ঘরে গিয়ে মামাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দিত। মামা ভয়ে চিৎকার দিয়ে মুখের ওপরে ধরা বাতিটার দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকাত এবং শেষে ধাতস্থ হতে পারত। দুজনই বাইরে যাওয়ার পোশাক পরে নিত। রাতে খেয়ে বেঁচে যাওয়া কফি গরম করত জ্যাক। আর মামা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটা বস্তায় প্যাকেট করতে থাকত: তার মধ্যে থাকত এক খণ্ড পনির, সাব্রাসাডা সস, লবণ মরিচ মাখানো কয়েক টুকরো টমেটো আর আধখানা রুটি, তার মাঝখানে ভাগ করে নানির বানানো ওমলেট ঢুকিয়ে দেওয়া থাকত। তারপর মামা দোনালা ছটকা-বন্দুক এবং কারতুজ শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে নিত।

ওইসব অস্ত্রের ওপর অবশ্য আগের রাতেই মোটামুটি একটা আনুষ্ঠানিক যজ্ঞ শেষ করে রাখা হতো। আগের রাতেই খাবারের পর টেবিল পুরষ্কার করে ওপরে ঝোলানো বতির আলোয় নিজে টেবিলের একপাশে বসে সামনে বন্দুকের খুলে ফেলা অংশগুলোতে যত্নের সঙ্গে গ্রিজ মাখাত মামা। টেবিলের আরেক পাশে বসে জ্যাক নিজের কাজের পালার জন্য অপেক্ষা করত। তেমনি অপেক্ষা করত তাদের কুকুর ব্রিলিয়ান্ট। দীর্ঘ লোমঅলা মিশ্র রঙের অতিশয় শান্ত স্বভাবের একটা কুকুর, একটা মাছিকেও আঘাত করতে পারত না। তার প্রমাণ অনেক আছে: যদি কখনও কোনো উড়ন্ত মাছি তার হা করা মুখের ভেতর আটকে যেত তাহলে বিরক্ত মুখভঙ্গির সঙ্গে চোয়াল আর লম্বা জিহ্বা বের করে থুথু ফেলার মতো করে ফেলে দিত। আর্নেস্ট এবং কুকুরটা ছিল একাত্মা; দুজনের মধ্যে ছিল চমৎকার বোঝাপড়া। আর্নেস্ট এবং কুকুরটাকে যুগল না ভেবে উপায় ছিল না। যারা কোনোদিন কুকুর সম্পর্কে ভালো করে জানেনি কিংবা কুকুরকে ভালোবাসেনি শুধু তাদের পক্ষেই এই যুগলবন্দি দস্তিকে হাস্যকর মনে করা সম্ভব ছিল। কুকুরটা মনিবের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত আনুগত্য আর ভালোবাসা দিয়ে। আর মনিব কুকুরকে ভালোবাসা দিত। তাদের জীবন যাপন ছিল এক সঙ্গে এবং একজন আরেকজনকে কখনওই ফেলে কোথাও যেত না।

দুজনের ঘুম হতো এক সঙ্গে, এক জায়গায়: মনিব খাবার ঘরের একটা মোটা বিছানার ওপরে আর কুকুরটা তার বিছানার পাশে ছোট একটা কম্বলে। দুজনে কাজে যেতো এক সঙ্গে: আর্নেস্টের কর্মস্থলে শুধু তার কুকুরের জন্য র‌্যাদা দিয়ে চেঁছে একটা চাঁচনি কাঠের শোবার জায়গা তৈরি করা হয়েছিল একটা বেঞ্চের তলায়। ক্যাফেতেও যেত এক সঙ্গে: মনিবের কাজকর্ম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুকুরটা তার দুপায়ের মাঝখানে ধৈর্যসহকারে বসে থাকত। দুজনের কথাবার্তা হতো ধনাত্বক শব্দে এবং একজন আরেকজনের গায়ের গন্ধও উপভোগ করত। কেউ কোনোদিন আর্নেস্টকে বলতে পারেনি, তার কুকুরটাকে খুব কম ধোয়ার কারণে গা থেকে কড়া দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, বিশেষ করে বৃষ্টির পরে। কুকুরের কম্পমান কানের ভেতরে আদরের ভঙ্গিতে মুখ নিয়ে শুকে দেখে আর্নেস্ট কলত, ওর গন্ধ নেই।

চলবে..

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত