শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান

শান্তশিষ্টভাবেই মামা সৈকতের দিকে ফিরত। কয়েকবার শ্বাস নিয়ে এমনভাবে ফিরতি পথ ধরত যেন সে শক্ত মাটির ওপর দিয়ে চলছে। তীরে ফিরে উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে জ্যাকের গা ডলে পরিষ্কার করে দিত এবং একদিকে সরে মুখ ঘুরিয়ে সশব্দে প্রস্রাব করত। তখনও তার হাসা চলতেই থাকত। শেষে ভালোভাবে কাজটা সারতে পারার জন্য নিজের মূত্রথলিকে ধন্যবাদ দিত এবং পেটের ওপরে চাপড় মারতে মারতে বলত, ভালো ভালো। এর সঙ্গে প্রকাশ পেত তার সকল সংবেদী আনন্দ, হতে পারে সে আনন্দের উৎস প্রস্রাব করে স্বস্তি পাওয়ার অথবা খেয়ে দেয়ে ভালো পুষ্টিলাভ করার। যেটাই হোক না কেন, সে উৎস যে তাকে নিষ্পাপ আনন্দ দিচ্ছে সে ব্যাপারটাই জোর দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা থাকত তার।

সে চাইত পরিবারের সবাই যেন তার আনন্দ যজ্ঞে যোগ দেয়। সে আনন্দের মুহূর্তে, বিশেষ করে খাবার ঘরে, নানি বাগড়া দিতে চেষ্টা করতেন এবং বলতেন এইসব কথা আগেই বলা হয়ে গেছে বহুবার, এমনকি তিনি নিজেও বলেছেন। তবে যদিও তিনি বলতেন, আমাদের খাওয়ার সময় ওসব বাদ দাও, তবু তিনি আর্নেস্ট মামার তরমুজ-অভিনয় মেনে নিতেন: মুত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে তরমুজের সুনামের কথা জানা ছিল মামার। তরমুজ তার খুব প্রিয় ছিল এবং সে তরমুজ খাওয়া শুরু করত হাসতে হাসতে আর দুষ্টুমিতে চোখ টিপত নানির দিকে, সঙ্গে যোগ হতো তার হাপুস হুপুস শব্দে তরমুজের পানি ছিটানোর কাজ। কয়েক কামড়েই সে পৌাঁছে যেত তরমুজের খোসার কাছাকাছি আর খাওয়ার সময় যেন গোটা একটা রূপকথার কাহিনী অভিনয় করে ফেলত: হাত দিয়ে দেখাতে থাকত কিভাবে তরমুজ তার মুখ থেকে মুত্র নির্গমনের অঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।

মুখের বিচিত্র ভঙ্গি আর চোখ ঘোরানোর সঙ্গে মুখে বলত, ভালো, কী চমৎকার, একেবারে ধুয়ে দেয়; ভালো ভালো। তার প্রতি নজর না দিয়ে যেহেতু পারাই যেত না তাই সবাই হাসিতে ফেটে পড়ত। তার এই আদমসুলভ নিষ্পাপ আচণের সঙ্গে যোগ করতে হতো কয়েক ধরনের অসুস্থতার অতিরঞ্জিত ভান। ঠোঁট উল্টে দেখাতে চাইত, সে যেন তার অঙ্গ প্রতঙ্গের গোপন রহস্যগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সে বুঝাতে চাইত, শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুচের খোঁচার মতো ব্যথা অনুভব করছে, কিংবা একটা পিণ্ড তার শরীরে ঘোরা ফেরা করছে। পরবর্তীতে জ্যাক যখন লিসিতে পড়াশোনা করছে তখনকার দিনের কথা মনে আছে: মামা মনে করত, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক বিষয় আছে যেটা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। সে বিশ্বাস থেকে মামা তার পিঠের নিচে এবং কোমরের ওপরের দিকে দেখিয়ে জ্যাককে বলত, এই যে এখানে, এখানে কেমন যেন টান লাগছে। জ্যাক জিজ্ঞেস করত, এখানে ব্যথা? আসলে ওখানে কিছু হয়নি।

মামা স্বস্তি নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে ছোট ছোট পদক্ষেপে তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য পাড়ার কোনো ক্যাফের দিকে রওনা হয়ে যেত। রাতের খাবার খেতে মামাকে ডাকার জন্য সে ওই করাতের ঘুণের গন্ধ আর কাঠের আসবাবপত্র সজ্জিত রেস্তোরায় বহুবার গিয়েছে। জ্যাক দেখেছে মামা তার বন্ধুদের আড্ডায় দেদারসে কথা বলে যাচ্ছে আর বন্ধুরা হো হো করে হাসছে। তাদের হাসির মধ্যে কোনো রকম বিদ্রুপ থাকত না; আর্নেস্টের সোজাসাপটা উদারতার কারণে সবাই তাকে খুব ভালোবাসত।

এই বিষয়টা জ্যাক আরো ভালো করে বুঝতে পারত মামা যখন তার বন্ধুদের সঙ্গে শিকার অভিযানে তাকেও সঙ্গে নিত। তার বন্ধুদের সবাই তার মতোই টব, পিপে ইত্যাদি নির্মাণের কাজ, রেলওয়ের কাজ কিংবা বন্দরের কাজ করত। শিকারে যাওয়ার দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হতো। মামাকে জাগানোর দায়িত্ব থাকত জ্যাকের ওপর। কোনো অ্যালার্মের শব্দেই তার ঘুম ভাঙত না। অ্যালার্মের শব্দে জ্যাক জেগে ওঠার সময় তার ভাই বিছানায় পাশ ফিরে শুতে শুতে গজ গজ করে বিরক্তি প্রকাশ করত। আরেক বিছানায় মা ঘুমের মধ্যেই একটুখানি নড়াচড়া করে চুপ হয়ে থাকতেন। বিছানা ছেড়ে অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে দুই বিছানার মাঝখানে রাতের টেবিলের ওপরে রাখা কেরোসিন বাতিটা জ্বালাত জ্যাক। (ঘরে আসবাব বলতে ছিল একটা সিঙ্গেল বিছানা–সেখানে মা ঘুমাতেন এবং একটা ডাবল বিছানা–সেখানে ঘুমাত জ্যাক এবং তার ভাই; দুই বিছানার মাঝখানে ছিল রাতের টেবিল; আর টেবিল বরাবর আয়নাঅলা একটা আলমারি। মায়ের বিছানার গোড়ার দিকে উঠোনমুখি একটা জানালা। জানালাটার নিচে হাতে ফুলতোলা কম্বলে ঢাকা একটা বেতের ট্রাঙ্ক। জ্যাক যখন খুব ছোট ছিল তখন জানালার ঝাঁপ বন্ধ করার জন্য হাঁটু মুড়ে ট্রাঙ্কের ওপর উঠে দাঁড়াত।)

তারপর খাবার ঘরে গিয়ে মামাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দিত। মামা ভয়ে চিৎকার দিয়ে মুখের ওপরে ধরা বাতিটার দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকাত এবং শেষে ধাতস্থ হতে পারত। দুজনই বাইরে যাওয়ার পোশাক পরে নিত। রাতে খেয়ে বেঁচে যাওয়া কফি গরম করত জ্যাক। আর মামা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটা বস্তায় প্যাকেট করতে থাকত: তার মধ্যে থাকত এক খণ্ড পনির, সাব্রাসাডা সস, লবণ মরিচ মাখানো কয়েক টুকরো টমেটো আর আধখানা রুটি, তার মাঝখানে ভাগ করে নানির বানানো ওমলেট ঢুকিয়ে দেওয়া থাকত। তারপর মামা দোনালা ছটকা-বন্দুক এবং কারতুজ শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে নিত।

ওইসব অস্ত্রের ওপর অবশ্য আগের রাতেই মোটামুটি একটা আনুষ্ঠানিক যজ্ঞ শেষ করে রাখা হতো। আগের রাতেই খাবারের পর টেবিল পুরষ্কার করে ওপরে ঝোলানো বতির আলোয় নিজে টেবিলের একপাশে বসে সামনে বন্দুকের খুলে ফেলা অংশগুলোতে যত্নের সঙ্গে গ্রিজ মাখাত মামা। টেবিলের আরেক পাশে বসে জ্যাক নিজের কাজের পালার জন্য অপেক্ষা করত। তেমনি অপেক্ষা করত তাদের কুকুর ব্রিলিয়ান্ট। দীর্ঘ লোমঅলা মিশ্র রঙের অতিশয় শান্ত স্বভাবের একটা কুকুর, একটা মাছিকেও আঘাত করতে পারত না। তার প্রমাণ অনেক আছে: যদি কখনও কোনো উড়ন্ত মাছি তার হা করা মুখের ভেতর আটকে যেত তাহলে বিরক্ত মুখভঙ্গির সঙ্গে চোয়াল আর লম্বা জিহ্বা বের করে থুথু ফেলার মতো করে ফেলে দিত। আর্নেস্ট এবং কুকুরটা ছিল একাত্মা; দুজনের মধ্যে ছিল চমৎকার বোঝাপড়া। আর্নেস্ট এবং কুকুরটাকে যুগল না ভেবে উপায় ছিল না। যারা কোনোদিন কুকুর সম্পর্কে ভালো করে জানেনি কিংবা কুকুরকে ভালোবাসেনি শুধু তাদের পক্ষেই এই যুগলবন্দি দস্তিকে হাস্যকর মনে করা সম্ভব ছিল। কুকুরটা মনিবের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত আনুগত্য আর ভালোবাসা দিয়ে। আর মনিব কুকুরকে ভালোবাসা দিত। তাদের জীবন যাপন ছিল এক সঙ্গে এবং একজন আরেকজনকে কখনওই ফেলে কোথাও যেত না।

দুজনের ঘুম হতো এক সঙ্গে, এক জায়গায়: মনিব খাবার ঘরের একটা মোটা বিছানার ওপরে আর কুকুরটা তার বিছানার পাশে ছোট একটা কম্বলে। দুজনে কাজে যেতো এক সঙ্গে: আর্নেস্টের কর্মস্থলে শুধু তার কুকুরের জন্য র‌্যাদা দিয়ে চেঁছে একটা চাঁচনি কাঠের শোবার জায়গা তৈরি করা হয়েছিল একটা বেঞ্চের তলায়। ক্যাফেতেও যেত এক সঙ্গে: মনিবের কাজকর্ম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুকুরটা তার দুপায়ের মাঝখানে ধৈর্যসহকারে বসে থাকত। দুজনের কথাবার্তা হতো ধনাত্বক শব্দে এবং একজন আরেকজনের গায়ের গন্ধও উপভোগ করত। কেউ কোনোদিন আর্নেস্টকে বলতে পারেনি, তার কুকুরটাকে খুব কম ধোয়ার কারণে গা থেকে কড়া দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, বিশেষ করে বৃষ্টির পরে। কুকুরের কম্পমান কানের ভেতরে আদরের ভঙ্গিতে মুখ নিয়ে শুকে দেখে আর্নেস্ট কলত, ওর গন্ধ নেই।

চলবে..

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা