শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

কোমলতা আর করুণার যে তরঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে তার হৃদয় ভরে দিয়েছে সে তরঙ্গ যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাবার স্মৃতির প্রতি ছেলেকে টেনে আনার মতো আত্মার তাড়না, তা বলা যাবে না। এ তরঙ্গ হলো অন্যায়ভাবে নিহত একজন সন্তানের প্রতি বয়সী একজন মানুষের তরফ থেকে সমবেদনা। এখানে কিছু একটা আছে যেটা স্বাভাবিকতার ক্রমকে মানে না। সত্যি বলতে কী, এখানে আসলে বিন্যাসের আদৌ কোনো ক্রমই নেই। বরং এখানে রয়েছে পাগলামি আর বিশৃঙ্খলা: বাবার চেয়ে ছেলের বয়স বেশি। তার চারপাশে সময়ের আবর্তন ভেঙে যাচ্ছে। তবে কবরের ফলকগুলো আর তার বাহ্য দৃষ্টিতে নেই; এগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে নিজে অনড়। আর যে নদী শেষ প্রান্তের দিকে এগিয়ে চলেছে তার মধ্যে বছরগুলো নিজস্ব স্থানে নেই। বছরগুলো যেন ঢেউ, তট এবং জলাবর্তের বেশি কিছু নয়। এই জলাবর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জ্যাক নিদারুণ যাতনা আর করুণার কবলে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আশপাশের আরও কয়েকটা কবর ফলকের দিকে দৃষ্টি ফেলে জ্যাক বুঝতে পারল, এখানে ছড়িয়ে আছে যে বালকেরা তারা বেদনাক্লিষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের বাবা। এই প্রাপ্তবয়স্করা মনে করে, এই বর্তমান সময়ে তারা জীবিত আছে। জ্যাক যেমন নিজেই বিশ্বাস করে, সে এই সময়ে জীবিত আছে; সে নিজেই নিজেকে এই অবস্থায় তৈরি করেছে; নিজের শক্তি এবং ওজস্বিতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা আছে; নিজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে এবং নিজেকে আয়ত্বের মধ্যে রাখতে সক্ষম সে। কিন্তু এই মুহূর্তের এই অদ্ভূত বিবমিষায় দেখতে, পাচ্ছে প্রত্যেকটা মানুষ একটা করে প্রতিমূর্তি তৈরি করে, বছরগুলোর আগুনের মধ্যে কাঠিন্য তৈরি করে, তার মধ্যে সে নিজেই প্রবেশ করে সেটার পতনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এখন সে দেখতে পাচ্ছে, সেই প্রতিমূর্তি ভেঙে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে। অবশিষ্ট আছে শুধু এই যাতনাক্লিষ্ট হৃদয়; চল্লিশ বছর ধরে তার নিজের সঙ্গে রয়ে গেছে পৃথিবীর যে ভয়ঙ্কর বিন্যাস তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেঁচে থাকতে ব্যাকূল এই হৃদয়। সমগ্র জীবনের গোপনীয়তা থেকে তাকে যে দেয়াল আড়াল করে রেখেছে সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে চলছে হৃদয়ের সংগ্রাম। আরো দূরে যেতে, সীমানার বাইরে যেতে, আবিষ্কার করতে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শেষ বারের মতো এক সেকেন্ডের জন্য এবং চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে ব্যাকুল এই হৃদয়।

নিজের জীবনের দিকে দৃষ্টি ফেরায় জ্যাক: তার এই জীবন বোকামিপূর্ণ, সাহসী, কাপুরুষসুলভ এবং স্বেচ্ছাচারী। যে গন্তব্য সম্পর্কে সে কিছুই জানে না সেই গন্তেব্যের দিকেই সব সময় ধাবিত হয়েছে তার জীবন। সে জীবন শেষ-অতীতের জীবন; তাকে ওই জীবন দানকারী সেই মানুষটি তাকে ওই জীবন দান করার পরই চলে গেছেন সমুদ্রের অন্য পারে; বিদেশ বিভূইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে-সেই অতীত জীবনে আসলে সে কল্পনায় আনার চেষ্টাই করেনি ওই মানুষটির পরিচয়। উনত্রিশ বছর বয়সে সেই মানূষটিও কি পলকা, পীড়িত, চাপা, একগুঁয়ে, ইন্দ্রিয়-পরবশ, স্বপ্নবাজ, নৈরাশ্যবাদী এবং সাহসী ছিলেন না? হ্যাঁ, অবশ্যই। এরকম সব বৈশিষ্ট্যই তার ছিল। আরও বেশি যা কিছু তার ছিল সেগুলো হলো, তিনি তখন ছিলেন জীবিত, তিনি ছিলেন একজন ব্যক্তি মানুষ। যেখানে তার জন্ম সেখানে ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন; একজন অচেনা মানুষের মতো চলে গেছেন। তার সম্পর্কে জ্যাকের মা তাকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতে জ্যাকের মতোই এবং তিনি যুদ্ধের ময়দানে মারা গেছেন। যে রহস্য জ্যাক বইপত্রের মধ্যে, মানুষের মাঝে ব্যাকুল হয়ে অনুসন্ধান করেছে সে রহস্য এখন মনে হচ্ছে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে এই মৃত মানুষটির সঙ্গে, এই অল্প বয়সী বাবার মধ্যে। তার অস্তিত্বের চারপাশে, তার নিজের বেড়ে ওঠার মধ্যে সেই রহস্যের অবস্থান। আর এখন মনে হচ্ছে, সময়ের মধ্যে এবং রক্তের মধ্যে যে জিনিসটি খুব নিবিড়ভাবেই ছিল সেটাকে খুঁজতে সে বহু বহু দূর ঘুরে ফিরেছে। সত্যি বলতে গেলে, সে আসলে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কারও সাহায্য তেমন পায়নি। যে পরিবারে তার বেড়ে ওঠা সেখানে সবাই খুব কম কথা বলে। সেখানে কেউ পড়াশোনা জানে না। দুঃখী আর হতোদ্যম মায়ের ওই পরিবারে আর কে আছে? তার মা ছাড়া আর কেউ তাকে চিনতই না। মা ও তার অনেক কিছুই ভুলে গেছেন-এ ব্যাপারে জ্যাক নিশ্চিত। ওই মানুষটি অচেনা থেকেই মারা গেছেন। এই পৃথিবীতে তিনি অচেনা মানুষের মতোই বিচরণ করেছেন একজন ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তি হয়ে। জ্যাকের নিজেরই দায়িত্ব ছিল তার সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞাত করানো- তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু জ্যাকের মতো ব্যক্তির কিছুই নেই, অথচ সে গোটা পৃথিবীকেই চায়। সে জানে, তার সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে তৈরি করা এবং পৃথিবীকে জয় করা কিংবা বুঝতে পারা তার জন্য যথেষ্ট নয়। মোটের ওপরে খুব দেরি হয়ে গেছে তাও নয়; এখনও অনুসন্ধান করতে পারে; এখনও জানার চেষ্টা করতে পারে এই মানুষটি সম্পর্কে। পৃথিবীতে আর যে কোনো মানুষের চেয়েই বেশি আপন মনে হচ্ছে এই মানুষটিকে। সে চেষ্টা করে যেতে পারে।

বিকেল শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্কার্টের খসখস শব্দ, একটি কালো ছায়া তাকে এই কবরস্থান এবং চারপাশ ঘিরে থাকা ওই আকাশের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনে। তাকে এখন চলে যেতে হবে। এখানে আর কিছু করার নেই। কিন্তু এই নামটা থেকে, কবর ফলকে খোদাই করা ওই বছরগুলো থেকে কিছুতেই নড়তে পারে না জ্যাক। ওই বাঁধাই করা কবরের নিচে ছাই আর ধূলি ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু তার মনে হয় বাবা আবার জীবিত হয়েছেন। বাবার জীবনটা একটা অদ্ভূত নীরবতার জীবন। জ্যাকের মনে হতে থাকে, সে আবারও বাবাকে ত্যাগ করে চলে যাবে বুঝি। বাবাকে পিছে ফেলে সে আগের মতোই আরেকটা রাতের অশেষ নিঃসঙ্গতার কাছে ফিরে যাবে। এই নিঃসঙ্গতার মাঝেই এতকাল তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানেই সে একাকী পড়ে থেকেছে। শূণ্য আকাশে আকস্মিক বিকট প্রতিধ্বনি উঠছে: একটা অদৃশ্য উড়োজাহাজ বোধ হয় শব্দের সীমা অতিক্রম করে গেল। কবরের দিকে পেছন ফিরে জ্যাক করমারি তার বাবাকে ফেলে চলে যাচ্ছে।

(চলবে..)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

 

Header Ad
Header Ad

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সরকার পরিবর্তনের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হওয়া টানাপোড়েনের মাঝে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপন গতিবিধি। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতাচ্যুত দলটির অনেক নেতাকর্মী সংগঠিতভাবে ঢাকামুখী হচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা রাজধানীতে অস্থিরতা তৈরি কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই সম্ভাব্য ‘শক্তি প্রদর্শন’ ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একাধিক রিপোর্টে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

বিশেষ করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগপন্থি কিছু ব্যক্তির সরাসরি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে দলীয় আধিপত্য ও প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির কারণে হামলা, দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ায় অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে জেলার সব থানায় পাঠানো হয়েছে একটি বিশেষ চিঠি। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকায় সম্ভাব্য আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে দলীয় কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে। ফলে ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করতে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে থানাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “সরকার পরিবর্তনের শুরুর সময়টায় কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখন পুলিশের মনোবল আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম জানান, “নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুট ও নাইট পেট্রোল, নতুন চেকপোস্ট স্থাপন এবং ‘মিনি টিম’ গঠন করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।”

তবে চট্টগ্রাম জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জুনায়েত কাউছার বলেন, “আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠির কথা জানি না। তবে যেকোনো হুমকি বা গুজব পেলেই আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নিই, যাতে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে।”

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী এক র‌্যালি—‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’। স্কুটি, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে হাজারো রাইডার এই আয়োজনে অংশ নেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ধানমন্ডি ৩২ হয়ে আবার সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এই র‌্যালির অন্যতম উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ ভেসপা কমিউনিটির অ্যাডমিন দিদারুল ইসলাম সুজন জানান, "ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা জানাতেই এই রাইড। কোনো নির্দিষ্ট ব্যানারে নয়, দেশের বিভিন্ন টু-হুইলার ও ফোর-হুইলার গ্রুপ একত্র হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। পথে আরও অনেকে র‌্যালিতে যোগ দিয়েছেন।"

র‌্যালির শুরুতে নির্ধারিত চারটি সেগমেন্টে সাজানো হয় রাইডারদের—প্রথম সারিতে ছিল বাইসাইকেল, এরপর স্কুটার, তারপর মোটরবাইক, প্রাইভেট গাড়ি এবং সবশেষে আরও কিছু মোটরসাইকেল। গোটা র‌্যালিটি ধীরগতিতে, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ শুধুই একটি প্রতিবাদ নয়, এটি মানবতার পক্ষে এক হওয়ার প্রতীক। জাতি, ধর্ম, পেশা নির্বিশেষে যারা সাইক্লিং বা গাড়ি চালান, তারা সবাই আজ এক প্ল্যাটফর্মে এসে মানবতার বার্তা দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন

উদ্ধারকৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং আটক তিন ছিনতাইকারী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে তিন ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গড়ের মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী দক্ষিণ স্ট্যান্ড থেকে দুই ব্যক্তি অটোভ্যানে যাত্রীবেশে মিঠাপুকুর যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেন। অটোটি গড়ের মাথা এলাকায় পৌঁছালে তারা নেমে পড়েন এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কভার্ডভ্যানের কাছে যান। এরপর কভার্ডভ্যান থেকে আরও তিনজন ব্যক্তি নেমে এসে অটোচালককে ভয়ভীতি দেখিয়ে অটোটি জোরপূর্বক ভ্যানে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঠিক তখনই ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এএসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি দেখে সন্দেহবশত এগিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে উপস্থিত জনতার সহায়তায় তাদের আটক করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন- রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর মাষ্টারপাড়ার মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মো. নুর ইসলাম (২৮), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এর মালিপাড়া গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার ছেলে মো. তানভির (২২) এবং পাবনার বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মো. শারুখ খান (২৯)।

ভুক্তভোগী অটোচালকের নাম মো. শাহাবুল ইসলাম (২৫), পিতা: মো. সাখাওয়াত হোসেন, গ্রাম: বড় মির্জাপুর, মিঠাপুকুর, রংপুর।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, “অটোচালক শাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ছিনতাই চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ নিহত ৬
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)