শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

জিনি নানি, জ্যাকের নানির বোন, তিনিও মারা গেছেন। রবিবারের কনসার্টে তাদের গান শুনতে আসতেন তিনি। অনেকদিন তিনি একটা খামার বাড়িতে বসবাস করে গেছেন তার তিনজন যুদ্ধ-বিধবা মেয়েকে নিয়ে। সব সময় তার স্বামীর কথা বলতেন। অনেকদিন আগেই তার স্বামী মারা যান। যোসেফ মামার কথা মনে আছে–তিনিই শুধু মহুন উপভাষায় কথা বলতেন। তার সুদর্শন গোলাপী মুখের ওপরে সাদা চুল। অননুকরণীয় আভিজাত্যের একটা ভাব ছড়িয়ে থাকত তার চেহারায়। এমনকি খাবার টেবিলেও উচু কিনারাঅলা কালো টুপি পরতেন তিনি। সত্যিকারের একজন কিষাণ পুরুষ।

তবু তিনি মাঝে মাঝে খাবার টেবিলে নিজেকে একটুখানি ঋজু করে তুলতেন বেখাপ্পা একটা শব্দ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তার জন্য তার স্ত্রীর বকুনির সামনে অতি মার্জিত কোনো অজুহাত খুঁজতেন। নানির প্রতিবেশিরা, রাজমিস্ত্রির পরিবারের লোকেরা, তারাও মারা গেছে। প্রথমে বৃদ্ধা মহিলা, তারপরে তার বড় বোন। দীর্ঘদেহী আলেক্সান্দ্রা এবং তার কান লম্বা বাজিকর ভাইও আর নেই। সে আলকাজার সিনেমা হলে ম্যাটিনি শোতে গান গাইত। তারা সবাই এমনকি তাদের পরিবারের ছোট মেয়েটাও নেই। জ্যাকের ভাই হেনরির তার সঙ্গে প্রেম ছিল, একেবারে আপাদমস্তক ডুবে যাওয়া প্রেম।

কেউ তাদের কথা বলে না; তার মা, তার মামা, কেউই আর বিদেহী আত্মীয় স্বজনদের কথা বলে না। যে বাবার খোঁজ খবর বের করার চেষ্টা করছে জ্যাক সে বাবা সম্পর্কেও না, অন্যদের সম্পর্কেও না। তাদের এখন অভাব নেই। তবু তাদের চাল-চলন গরীবের মতোই। গরীবের মতো জীবন যাপন করতে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। জীবনটা সন্দেহবাদী দৃষ্টিতে দেখতেই তারা অভ্যস্ত। জীবনের প্রতি তাদের ভালোবাসা পশুদের ক্ষেত্রে যেমন ঠিক তেমনটাই।

তবে অভিজ্ঞতা থেকে তাদের জানা হয়েছে, জীবন ব্যতিক্রমহীনভাবেই কোনো রকম ইঙ্গিত না দিয়ে বিপর্যয় বয়ে আনবে। আর জ্যাকের সঙ্গে এই দুজন যেভাবে নিজেদের মধ্যে গুটিয়ে আছে, তাদের স্মৃতি যেন শূন্যের কোঠায়। অতীতের সবকিছু যেন ঝাঁপসা হয়ে গেছে তাদের মন থেকে। এটাই তাদের জীবন। এখন তারা মৃত্যুর খুব কাছাকাছি। তাদের কাছে বর্তমানটা চিরকাল এরকমই। তাদের কাছ থেকে জানার সুযোগ নেই তার বাবা কে ছিলেন। জ্যাকের সমানে তাদের উপস্থিতির কারণে জ্যাকের মনের ভেতর একটা ঝরনার পুনরুন্মোচন ঘটছে, তার দারিদ্রক্লিষ্ট আনন্দময় ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারছে সে। তবু সে নিশ্চিত নয়, তার নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা স্মৃতির বলিষ্ঠ প্রবাহ এখন যেমন মনে হচ্ছে তার বালকবেলার বাস্তবতা সত্যিই সেরকম ছিল কি না।

তার সন্দেহ হয়। তারপরও অনেকখানি নিশ্চিত হতে পারে সে, অবশিষ্ট দুতিনটা প্রিয় চিত্র তাকে স্মৃতিতে জেগে ওঠা ঘটনাগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপন করছে, সেগুলোর সঙ্গে তাকে একাকার করে দিচ্ছে। এত বছর ধরে এরকম অস্তিত্বে ফিরে আসার কত চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু পারেনি। সামনের ছবিগুলো মুছে গেছে। পরিবারের সঙ্গে এত বছর যে সত্তায় সে বড় হয়েছে সেরকম বেনামী এক সত্তায় সংকুচিত হয়ে থেকেছে মাত্র। তাতেই অবশ্য সে স্বতন্ত্র হতে পেরেছে।

গরমের সময়ের সন্ধ্যার ছবিটার কথা বলা যেতে পারে–রাতের খাবারের পরে পরিবারের সবাই চেয়ার নিয়ে বাড়ির সামনের ফুটপাতে গিয়ে বসত। ধূলি-ধূসরিত ডুমুর গাছ থেকে নেমে আসা বাতাসে থাকত ধূলির মিশেল। তাদের সামনে দিয়ে পাড়ার লোকেরা যাওয়া আসা করত। জ্যাক নিজের চেয়ার থেকে পেছনের দিকে কাত হয়ে মায়ের হালকা কাঁধের ওপরে মাথা রেখে ডুমুর গাছের ডালের ফাঁক দিয়ে গ্রীষ্মের আকাশের তারাদের দিকে তাকিয়ে থাকত। কিংবা বড়দিনের রাতের আরেকটা ছবির কথা বলা যায়–আর্নেস্ট ছাড়া পরিবারের অন্যরা মধ্যরাতে একবার মার্গারিটে খালার বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাদের বাড়ির পাশের রেস্তোরাঁর সামনে একটা লোককে শুয়ে থাকতে দেখেছিল।

আরেকটা লোক তাকে ঘিরে নাচানাচি করছিল। দুজনই মদ পানে মত্ত। আরও একটু পান করতে চেয়েছিল। কিন্তু মালিক লোকটা তাদেরকে চলে যেতে বললে তারা মালিকের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে। মালিক তাদেরকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। গুলিটা লোকটার কপালের ডান পাশে বিদ্ধ হয়। তখন ওই লোকটাই শুয়েছিল ফুটপাতের ওপর। মদ আর মারামারিতে মাতাল হয়ে সঙ্গী লোকটা তখন নাচানাচিতে মত্ত। রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে যারা ছিল পুলিশ আসার আগেই তারা দ্রুত সরে পরে। সেদিন পাড়ার ওই নির্জন কোণে তারা সবাই একে অন্যের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল। সঙ্গের দুজন মহিলা দুজন বালককে তাদের শরীরের সঙ্গে জাপটে ধরেছিলেন।

কিছুক্ষণ আগের বৃষ্টির ফলে ভেজা রাস্তায় চলমান গাড়ির আলো পড়ে চক চক করছিল। গাড়িঘোড়ার দীর্ঘ ভেজা রাস্তা, মাঝে মধ্যে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত ট্রলিগাড়িগুলো, ভেতরে উৎফুল্ল ভ্রমণকারীর দল। ওখানকার দৃশ্যের সঙ্গে তারা সংশ্রবহীন, যেন অন্য গ্রহের বাসিন্দা তারা। জ্যাকের ভয়ার্ত হৃদয়ে ওই ঘটনা স্থায়ী একটা ছবির ছাপ তৈরি করে। অন্য ঘটনাবলী মুছে গেলেও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি ওই ঘটনাটি। নিষ্পাপ এবং উৎসুক বালক জ্যাকের সারাদিনের রাজত্ব ছিল পাড়ার রাস্তা এবং আশপাশের এলাকা।

তবে দিনের শেষে রাতের বেলা রহস্যজনক এবং বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ত। তখন রাস্তায় নেমে আসত কিছু কিছু ছায়াশরীর, কিংবা কখনও কখনও নাম-পরিচয়হীন একটি কোনো ছায়াশরীর, সঙ্গে হালকা পদশব্দ এবং অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর। তারপর সবই পাশের একটা ফার্মেসির গোলাকার রক্তের মতো লাল আলোয় যেন সিক্ত হতো। বালক জ্যাকের হৃদয় আতঙ্কে ভরে উঠলে সে ছুটে আসত তার নিজের জায়গায়, হতভাগ্য বাড়িটাতে।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা