শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

লিসিতে তার ক্লাসমেটদের বাসায় এবং পরবর্তীতে আরো সব বাড়িতে আসবাবপত্র দেখার পরে নিজের বাড়ির ওই চেহারাটা আরো স্পষ্ট করে মনে এসেছে। জ্যাক দেখেছে, ফুলদানির মতো পাত্র, বাটি, ছোট আকারের মূর্তি আর পেইন্টিংয়ে ঠাসা ওইসব বাড়ির রুমগুলো। তাদের বাড়িতে পরিবারের লোকদের ভাষ্যে তাকের ওপরের ফুলদানি, পাত্র, সুপের বাসন, কিংবা আরো কোনো জিনিস থাকলে সেগুলোর কোনো নিজস্ব নাম ছিল না।

অন্যদিকে তার বড় মামার বাড়িতে ভোসগেস থেকে আনা চকচকে মাটির পাত্রের প্রশংসা না করে কেউ পারত না। সেই পাত্রে যে কেউই কুইম্পার ডিনারও খেয়ে ফেলতে পারত। মৃত্যুর মতো নাঙ্গা দারিদ্রের মধ্যে জ্যাক বড় হয়েছে; সেখানে সব কিছুরই সাধারণ নাম। আর মামার বাড়িতে গিয়েই কেবল সে ওইসব জিনিসের নিজস্ব নাম খুঁজে পেয়েছে। এমনকি এখনও নতুন করে ধোয়া এই টালির ঘরে সাধারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আসবাবপত্রের সঙ্গে তেমন কিছুই নেই, শুধু খোদাই করা তামার তৈরি একটা আরবীয় ছাইদানি দেখা যাচ্ছে। সেটাও সম্ভবত তার আগমন উপলক্ষে। আর দেয়ালে ঝুলছে একটা পোস্ট অফিসের ক্যালেন্ডার। এখানে দেখার মতো কিংবা বলার মতো আর কিছুই নেই। কাজেই মা সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতায় যা দেখেছে তার বাইরের আর কিছুই জানার নেই; এমনকি তার বাবা সম্পর্কেও।

–বাবা?

–হ্যাঁ, মা তার দিকে এবার মনোযোগ দিয়ে তাকালেন।

–বাবার নাম ছিল হেনরি, আর কিছু?

–আমি জানি না।

–বাবার কি আর কোনো নাম ছিল না?

–মনে হয় ছিল, আমার মনে পড়ছে না। মা হঠাৎ মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তার দিকে তাকালেন। সূর্য এখন সর্বশক্তি নিয়ে রাস্তায় তেজ ছড়াচ্ছে।

–বাবা আমার মতোই দেখতে ছিলেন?

–হ্যাঁ, অবিকল তোর মতো। তার চোখ ছিল নীল। তার কপালটাও একদম তোর মতো।

–বাবার জন্ম হয়েছিল কত সালে?

–জানি না। তোর বাবার চেয়ে আমি চার বছরের বড় ছিলাম।

–তোমার জন্ম কত সালে?

–তাও জানি না। আমাদের পরিবারের একটা রেকর্ড খাতা আছে। ওখানে দেখতে পারিস।

শোয়ার ঘরে গিয়ে আলমারি খুলে জ্যাক দেখতে পেলো, ওপরের তাকে রয়েছে কয়েকটা তোয়ালে, একটা পারিবারিক রেকর্ড খাতা, পেনশনের একটা খাতা আর স্প্যানিস ভাষায় লেখা পুরনো কিছু দলিলপত্র। কাগজপত্রগুলো নিয়ে ফিরে এল জ্যাক।

–বাবার জ্ন্ম ১৮৮৫ সালে। আর তোমার ১৮৮২ সালে। বাবার চেয়ে তুমি তিন বছরের বড়।

–ও, আচ্ছা; আমি ভেবেছিলাম চার বছরের; কতদিন আগের কথা।

–তুমি বলেছিলে, বাবা তার মা বাবাকে হারিয়েছিলেন খুব ছোট থাকতে। তার ভাইয়েরা তাকে এতিমখানায় পাঠিয়েছিল।

–হ্যাঁ, তার বোনকেও।

–তার বাবা মায়ের একটা খামার ছিল?

–হ্যাঁ, তারা ছিল আলসেসীয়।

–উলেদ-ফায়েতে?

–হ্যাঁ, আর আমরা ছিলাম চিরাগাছে, খুব কাছেই।

–বাবা যখন তার মা বাবাকে হারান তখন তার বয়স কত ছিল?

–জানি না। তবে খুব অল্প বয়সে। তার বোনও তাকে ছেড়ে চলে যায়। কাজটা ঠিক হয়নি। ভাইবোনদের কারো সঙ্গে সে আর দেখা করতে চায়নি।

–তার বোনের বয়স কত ছিল?

–ঠিক জানি না।

–তার ভাইদের বয়স কত ছিল? বাবা কি সবার ছোট ছিল?

–না, দ্বিতীয় ছিল।

–তাহলে তো তার ভাইয়েরাও তাকে দেখাশোনা করার মতো বয়সী ছিল না।

–হ্যাঁ, সেরকমই।

–তাহলে তো তাদের দোষ দেওয়া যায় না।

–যায় না। তবে সে তাদেরকে দোষীই মনে করত। এতিমখানা থেকে বের হয়েছিল সে ষোল বছর বয়সে। এরপর তার বোনের খামারে কাজ করতে যায়। সেখানে ওকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। খুব কষ্ট হতো তার।

–তারপর বাবা চিরাগাছে চলে আসেন?

–হ্যাঁ, আমাদের ওখানে।

–ওখানেই বাবার সাথে তোমার দেখা হয়?

–হ্যাঁ, বলে মা রাস্তার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। জ্যাকের মনে হয়, ওই দিকে আলাপ চালিয়ে যাওয়া কঠিন। তবে মা নিজেই আরেক দিকে শুরু করলেন, তোকে বুঝতে হবে, এতিমখানায় তোর বাবা লেখাপড়া শিখতে পারেনি।

–তবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তোমাকে পাঠানো বাবার পোস্টকার্ড দেখিয়েছিলে।

–হ্যাঁ, সে এম ক্লাসোঁর কাছ থেকে লিখতে শিখেছিল।

–রিকমের কাছে থাকতে?

–হ্যাঁ, এম ক্লাসোঁ ছিলেন ওদের বস। তিনিই ওকে লিখতে পড়তে শিখিয়েছিলেন।

–তখন বাবার বয়স কত ছিল?

–ঠিক জানি না। তবে বছর বিশেক ছিল হয়তো। সে অনেক দিন আগের কথা। তবে যখন আমাদের বিয়ে হলো ততদিনে সে মদ সম্পর্কে জেনেছে। যে কোনো জায়গাতেই কাজ করার ক্ষমতা ছিল। তোর মতোই কর্মক্ষমতা আর বাস্তব বুদ্ধি ছিল তোর বাবার। মা জ্যাকের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকালেন।

–তারপর?

–তারপর? তারপর তোর ভাইয়ের জন্ম হলো। তখন তোর বাবা রিকমের জন্য কাজ করত। রিকম তাকে পাঠিয়ে দিলেন সেন্ট লাপুত্রেয়, তার খামারে।

–সেন্ট লাপুত্রেয়?

–হ্যাঁ, তারপরই তো যুদ্ধ শুরু হলো। সে মারা গেল। ওরা আমাকে গোলার টুকরো পাঠিয়েছিল।

তার বাবার মাথায় আঘাত করেছিল যে গোলার টুকরো সেটা আলমারিতে তোয়ালের নিচে ছোট একটা বিস্কুটের কৌটোয় রাখা আছে; সঙ্গে আছে একটা শুকনো কার্ড, তাতে বাবা রণাঙ্গন থেকে যা লিখেছিলেন জ্যাকের মনে আছে: প্রিয়তমা লুসি, আমি ভালো আছি। আগামীকাল আমাদের আবাস বদল হবে। বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রেখো। আমার চুমু নিও। –তোমার স্বামী।

–হ্যাঁ, তার জন্মের রাতের গভীরে সে নিজেও একজন অভিবাসী, অভিবাসী বাবা মায়ের সন্তান। বাবা মায়ের অবস্থান পরিবর্তনের সময় তার জন্ম। ইউরোপ তখন কামানের শব্দ ভাঁজছে; সেই কামান একযোগে কিছুদিন পরই সেন্ট লাপুত্রে থেকে করমারি পরিবারের স্বামীকে আলজিয়ার্সে তার সামরিক বাহিনীতে আর স্ত্রীকে তার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে। মায়ের কোলের কান্নারত শিশুটির শরীর সেবুসের মশার কামড়ে ফোলা। জ্যাকের মা জ্যাকের নানিকে বলেছিলেন, চিন্তা করো না, মা। হেনরি ফিরে আসলেই আমরা চলে যাব।

আর ঋজু শরীরের নানি সাদা চুল পেছনের দিকে নিতে নিতে তীক্ষ্ণ চোখের কড়া চাহনিতে বলেছিলেন, শোনো মেয়ে, এখানে থাকতে হলে তোমাকে কাজ করে খেতে হবে।

–বাবা তো যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন।

–হ্যাঁ, মরক্কোর যুদ্ধক্ষেত্রে।

–সত্যি। জ্যাক ভুলে গিয়েছিল। ১৯০৫ সালে তার বাবার বয়স ছিল বিশ বছর। তিনি তখন মরক্কোবাসীদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ ছিলেন। জ্যাকের মনে পড়ে গেল, কয়েক বছর আগে তার স্কুলের শিক্ষক এম লেভেস্ক আলজিয়ার্সের রাস্তায় হঠাৎ দেখা হওয়ার সময় যা বলেছিলেন। তার বাবার সময়েই এম লেভেস্ককেও দায়িত্ব পালনের জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে তারা একই ইউনিটে মাত্র এক মাস ছিলেন। এম লেভেস্ক যা বলেছিলেন সে অনুযায়ী করমারির সঙ্গে তার খুব বেশি জানাশোনা ছিল না। করমারি খুব বেশি কথাবার্তা বলতেন না। ক্লান্তির কারণে হতে পারে, অথবা তিনি ছিলেন মুখচাপা মানুষ। তবে সাদাসিধা এবং খোলা মনের ছিলেন।

একবার তিনি করমারিকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। খুব গরমের একটা দিনের শেষে রাতের বেলা দেখা হয়েছিল অ্যাটলাস পর্বতের পাশে বাইরে। সেখানে তাদের ইউনিট একটা পাথুরে গিরিপথ ঘেরা এক পাহাড়ের ওপরে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। গিরিপথের পাদদেশে দায়িত্বরত একজন পাহারাদারকে বদলি দেওয়ার কথা ছিল করমারি আর এম লেভেস্কের। তারা পাহারাদারকে ডাকলেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পেলেন না। শেষে একটা ফণিমনসা ঝোপের গোড়ায় তাদের সঙ্গীর দেখা পেলেন; তার মাথাটা পেছনের দিকে ফেরানো। অদ্ভূতভঙ্গিতে ওপরের আকাশে চাঁদের দিকে যেন তাকিয়ে আছেন।

প্রথমত তারা তার মাথাটাকে ভালো করে বুঝতে পারেননি–কেমন অদ্ভূত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু চিত্রটা ছিল খুবই সাধারণ। তার গলা কাটা হয়েছিল এবং তার মুখের ভেতর ভয়ঙ্কর স্ফিতিটা ছিল আসলে তারই গোটা শিশ্ন। সে চিত্রটাও তারা ভালো করে দেখতে পেয়েছিলেন লোকটার পরনের পোশাক দেখে: তার সুয়াভ পাতলুনটা ফালা ফালা করে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল। পা দুটো দুদিকে ছড়িয়ে দেওয়া ছিল। আর চাঁদের মৃদু আলোয় তারা দেখলেন, তার দুপায়ের মাঝখানে প্যাচপেচে কাদার মতো কী যেন। ওই একই সময়ে একশো মিটার সামনের দিকে দ্বিতীয় পাহারাদারকেও পাথুরে ঝোপের আড়ালে একই ভঙ্গিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপর সতর্ক সংকেত বাজানো হয় এবং পাহারা দ্বিগুণ করা হয়।

ভোরবেলা ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পর করমারি বলেছিলেন তাদের শত্রুরা পুরুষ নয়। ঘটনাটা নিয়ে চিন্তা করে লেভেস্ক বলেছিলেন, ওরা যেরকম আচরণ করেছে যেকোনো মানুষই নিজেদের দেশে শত্রুদের সঙ্গে ওইরকম আচরণই করবে: তারা সর্বশক্তি দিয়ে সব রকম কৌশল অবলম্বন করে তাদের মোকাবেলা করতে চেষ্টা করেছে।

তখন করমারির মুখটা দেখতে মরা মানুষের মুখের মতো। তিনি বলেছিলেন, হতে পারে। তবে তাদের এই আচরণ মানুষসুলভ নয়। কোনো মানুষের পক্ষে ওরকম আচরণ করা মানায় না।
লেভেস্ক বলেছিলেন, কোনো কোনো পরিস্থিতিতে মানুষ সবকিছুই করতে পারে, সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।

তখন করমারি যেন রাগে উন্মত্ত হয়ে বলেছিলেন, যেকোনো মানুষের পক্ষেই এরকম কাজ করা অবমাননাকর। এরকম কাজ মানুষকে..., বলে থেমে গিয়েছিলেন। তারপর শান্ত স্বরে বলেছিলেন, আমার কথা যদি বলি, আমি গরিব; আমি এতিমখানা থেকে এসেছি। ওরা আমাকে এই ইউনিফর্ম পরিয়েছে। ওরা আমাকে যুদ্ধে টেনে এনেছে। কিন্তু আমি নিজেকে ওই রকম কাজে জড়াতে দিতেই পারি না।

লেভেস্ক বলেছিলেন, অনেক ফরাসিই ওরকম কাজ করে থাকে।

–তারা তাহলে মানুষের জাতই নয়। হঠাৎ চিৎকার বলে করমারি বলেছিলেন, নষ্ট জাতি একটা! কী খারাপের খারাপ জাতি! ওরা সবাই! সবাই। শেষে হতাশায় বিবর্ণ হয়ে তিনি তাবুর দিকে চলে গিয়েছিলেন।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা