শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান

স্কুলের পড়া শেষ হয়ে আসার সময় একদিন এম বার্নার্ড জ্যাক, পিয়েরে, ফ্লিউরি এবং সান্টিয়াগোকে ড্কালেন। প্রথম তিনজন সকল বিষয়ে অসাধারণ পাণ্ডিত্য দেখিয়েছে। সুদর্শন সান্টিয়াগো খুব বেশি মেধাবী না হলেও নিজের চেষ্টায় ভালো করেছে। তাকে উদ্দেশ করে এম বার্নার্ড বললেন, ওর পলিটেকনিক মেধা। ক্লাসরুমের অন্যরা চলে যাওয়ার পরে তিনি ওদের বললেন, তোমরা আমার সবচেয়ে ভালো ছাত্র। এখন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বৃত্তির জন্য আমি তোমাদের নাম প্রস্তাব করব। পরীক্ষায় পাশ করলে তোমরা বৃত্তি পাবে এবং প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে লিসিতে তোমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। বলা হয়, এলিমেন্টারি স্কুলগুলো স্কুলের সেরা। তবে জীবনে কোনো বৃহত্তর দিকে যেতে হলে এলিমেন্টারি স্কুল তোমাদের পথ দেখাতে পারে না। অন্যদিকে লিসিতে পড়াশোনা করলে অনেক দরজা খোলা পাবে। আর আমি চাই তোমাদের মতো দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা ওইসব দরজা দিয়ে বাইরের জগতে প্রবেশ করো। তবে সে উদ্দেশে তোমাদের অভিভাবকদের অনুমতি লাগবে। ঠিক আছে, আজকের মতো যাও।

তারা সবাই বিস্ময়াভিভূত হয়ে বের হয়ে এল। এমনকি যার যার পথ ধরার আগে এই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আর কোনো আলাপ আলোচনাই হলো না। বাড়ি ফিরে জ্যাক দেখল, নানি খাবার ঘরের টেবিলের ওপরের ওয়েলক্লথের ওপরে বিছানো ডাল থেকে পাথর বাছছেন। খবরটা নানিকে দিতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেল সে। শেষে সিদ্ধান্ত নিল, মা ফিরলে জানাবে। মা ফিরলেন খুব ক্লান্ত হয়ে এবং ফিরেই একটা অ্যাপ্রোন পরে নানির ডাল বাছার কাজে যোগ দিলেন। জ্যাকও তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা বললে তারা জ্যাককে মোটা চিনা মাটির বাটিতে করে ডাল বাছতে দিলেন। ওই বাটিটাতে ডাল থেকে পাথরের নুড়ি বেছে ফেলা সহজ। ডাল বাছার কাজ শুরু করেই জ্যাক তার খবরটা জানাল তাদের।
শুনে নানি বললেন, এ আবার কোন ধরনের পড়া? এই প্রবেশিকার পড়া পড়তে কয় বছর লাগবে?

ছয় বছর।
নিজের সামনের ডালের প্লেটটা একপাশে সরিয়ে রেখে নানি তার মেয়ের উদ্দেশে বললেন, শুনেছিস কী বলছে জ্যাক?
মা আসলে শোনেননি। জ্যাক ধীরে ধীরে আবারো তার কথাটা বলল এবং মা বললেন, হ্যাঁ, সে বুঝতে পারছি। তুই বুদ্ধিমান বলেই ওরকম পড়ার সুযোগ পেতে পারিস।
নানি বললেন, বুদ্ধিমান হোক আর যা-ই হোক ওকে তো আগামী বছরই কাজকর্মে পাঠাতে চাচ্ছিলাম। জানিস তো, আমাদের টাকা পয়সা নেই। কাজে পাঠালে ও নিজের উপার্জনটা তো আনতে পারবে।
মা বললেন, সেটা ঠিকই।
বাইরে তখন তাপের তেজ কমে আসছে। দিনটাও ফুরিয়ে আসছে। দিনের এই সময়টাতে শুধু কারখানায় কাজ চলছে। পাড়ার সব কিছু নীরবতায় ঢাকা। জ্যাক রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইল। সে জানে না তার কী চাই। শুধু জানে, এম বার্নার্ড যা বলেছেন সেটাই মানতে হবে। তবে নয় বছর বয়সে নানিকে না মানার কোনো উপায় নেই, ইচ্ছেও নেই। তখনও নানি দ্বিধান্বিত; তিনি বললেন, তারপর কী করবি তুই?

আমি জানি না। হতে পারে, এম বার্নার্ডের মতো কোনো শিক্ষক হবো।
ছয় বছর পড়েই, হ্যাঁ। তার ডাল বাছার গতি আরো ধীর হয়ে এল। তারপর আবার বললেন, না, মোটের ওপর আমরা তো গরিব। এম বার্নার্ডকে বলিস আমরা পারব না।


পরের দিন বাকি তিনজন জ্যাককে জানাল, তাদের পরিবারের সবাই রাজী হয়েছেন। তারা জ্যাকের খবর জানতে চাইলে জ্যাক বলল, জানি না। বাকি তিনজনের চেয়ে সে আরো গরিব। এই ভাবনাটাই তাকে মনের দিক থেকে আরো তলিয়ে দিল যেন।


স্কুল ছুটির পর সবাই চলে গেলে ওরা চারজন অপেক্ষা করতে লাগল। পিয়েরে, ফ্লিউর এবং সান্টিয়াগো তাদের কথা এম বার্নার্ডকে জানিয়ে দিল। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আর তোমার খবর কী পণ্ডিত?
আমি জানি না।
তিনি জ্যাকের দিকে তাকালেন। বাকি তিনজনকে বললেন, ঠিক আছে, তোমাদের কিন্তু স্কুল ছুটির পর বিকেলে আমার সঙ্গে আরো পড়তে হবে। আজ আপাতত যাও। ওরা চলে গেলে তিনি চেয়ারে বসে জ্যাককে আরো কাছে ডেকে নিয়ে বললেন, ঠিক আছে?
জ্যাক বলল, নানি বলেছেন, আমরা খুব গরিব বলে ওই পড়াটা আমার আর হবে না। আগামী বছর থেকে আমাকে কাজ করতে হবে।
আর তোমার মা?
সবকিছু নানির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলে।

জানি, বলে এম বার্নার্ড খানিক কী যেন ভাবলেন। তারপর জ্যাকের কাঁধের ওপর হাত রেখে বললেন, শোনো ওনাকে দোষ দেওয়া যায় না। তার জন্য জীবন খুব কঠিন। কী রকম নিঃসঙ্গ অবস্থায় তোমাকে, তোমার ভাইকে বড় করছেন তারা দুজন। তোমরা যে এত ভালো ছেলে হয়েছো তার জন্যই। সুতরাং তার সাহসহারা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। বৃত্তির টাকা ছাড়াও আরো সামান্য কিছু টাকা তোমার দরকার হবে। আর ছয়টা বছর তুমি পরিবারকে কোনো টাকা পয়সা দিতে পারবে না। তার অবস্থাটা বুঝতে পারছ? শিক্ষকের দিকে মুখ না তুলেই জ্যাক শুধু মাথা নেড়ে সায় দিল। এম বার্নার্ড বললেন, ভালো। আমরা তো বিষয়টা ওনাকে বুঝিয়ে বলতে পারি। তোমার ব্যাগ নাও। আমি তোমার সাথে আসছি।

আমাদের বাড়িতে?
হ্যাঁ, অনেক দিন পর তোমার মায়ের সাথে দেখা হলে ভালোই লাগবে।

কয়েক মিনিট পরই বিস্মিত জ্যাকের সামনে দাঁড়িয়ে এম বার্নার্ড তাদের দরজার কড়া নাড়লেন। অ্যাপ্রোনে হাত মুছতে মুছতে দরজায় এলেন জ্যাকের নানি। অ্যাপ্রোনের ফিতা বেশি আঁটো করে বাধার কারণে তার বুড়ি বয়সের পেটটা সামনের দিকে বেরিয়ে এসেছে। জ্যাকের শিক্ষককে দেখে তিনি এমন অঙ্গভঙ্গি করলেন যেন তার চুল হাত দিয়ে পেছনের দিকে সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি কিছু বলার আগেই এম বার্নার্ড বলে উঠলেন, তাহলে ইনি তোমার নানি।

নিত্যদিনের মতো কাজেকর্মে কঠিন ব্যস্ত। আহা, আসলেই আপনি খুব কর্মী মানুষ। জ্যাকের নানি তাকে খাবার রুমে ঢোকার আগে যে রুমটা পার হতে হয় সেটার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। টেবিলে তাকে বসতে দিয়ে গøাস এনে তার সামনে এক বোতল এনিসেত রাখলেন আপ্যায়নের জন্য। এম বার্নার্ড বললেন, আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমি এসেছি আপনার সাথে কয়েকটা জরুরি কথা বলতে। কথা শুরু করলেন তার ছেলেমেয়েদের প্রসঙ্গ দিয়ে; এরপর খামারে তার জীবন এবং তার স্বামী সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করলেন। এরপর তিনি নিজের সন্তানদের কথাও বললেন। তখন জ্যাকের মা এলেন; মনে হলো কিছুটা আতঙ্কিত। তবু এম বার্নার্ডকে সম্বোধন করলেন মসিঁয়ে লে মাইত্রে বলে। নিজের ঘরে ঢুকে চুলে চিরুনি চালিয়ে এবং আরেকটা অ্যাপ্রোন চাপিয়ে বের হয়ে এসে বসলেন টেবিল থেকে একটু দূরের একটা চেয়ারের কোণায়। জ্যাকের উদ্দেশ্যে এম বার্নার্ড বললেন, তুমি রাস্তার ধারে গিয়ে দাঁড়াও। আমি না আসা পর্যন্ত ওখানে অপেক্ষা করো। জ্যাকের নানিকে এম বার্নার্ড বললেন, বুঝতে পারছেন হয়তো, আমি জ্যাকের পক্ষে কয়েকটা কথা বলতে চাই। সত্যি বলতে কী, ওর ওপরে ভরসা রাখা যায়। জ্যাক দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে রাস্তার সামনে দরজায় এসে দাঁড়াল। জ্যাক ওখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষায় রইল। ততক্ষণে রাস্তা জনকোলাহলে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে। ডুমুর গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশটা সবুজ রং ধারণ করছে। এম বার্নার্ড সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসে জ্যাকের পেছনে দাঁড়ালেন। জ্যাকের মাথায় আদরের একটা সুরসুরি দিয়ে তিনি বললেন, ঠিক আছে; সব ঠিকঠাক হয়ে গেল। তোমার নানি আসলেই খুব ভালো মানুষ গো। আর তোমার মা, তার কথা আর কী বলব...। তাকে কখনও ভুলে যেও না, বাছা।

জ্যাকের নানি এগিয়ে আসতে আসতে বললেন, মসিয়েঁ। তার হাতে অ্যাপ্রোন, চোখ মুছতে মুছতে এগিয়ে এসে বললেন, আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আপনি বলেছেন আপনি ওকে স্কুলের পড়ার বাইরেও পড়াবেন।

এম বার্নার্ড বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনি আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। সেটা ওর জন্য শুধু ছেলেখেলা হবে না।
কিন্তু আপনাকে কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য যে আমাদের নেই!
এম বার্নার্ড তার দিকে ভালো করে তাকিয়ে থেকে জ্যাকের কাঁধ ধরে ঝাঁকিুনি দিয়ে বললেন, ও নিয়ে আপনি কিচ্ছু ভাববেন না। আমি জ্যাকের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।

(চলবে..)

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ