আম্পায়ারের প্রতি ‘আগ্রাসী’ আচরণ, নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়

নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) হাইভোল্টেজ মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে উত্তপ্ত আচরণের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। একই ঘটনায় সতীর্থ পেসার এবাদত হোসেনকে সতর্ক করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে ক্লাব ও ক্রিকেটারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই জরিমানা স্থগিত করা হয়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারায় মোহামেডান।
তবে ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় হৃদয়ের আচরণ। বিসিবি নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাচ রেফারি নেয়ামুর রশিদ রাহুল শুনানির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত দেন। দুই ক্রিকেটারই দায় স্বীকার করায় আলাদা শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আবাহনীর ইনিংসের অষ্টম ওভারে। পেসার এবাদতের এক ডেলিভারি মিঠুনের প্যাডে লাগলে জোরালো লেগ বিফোর আউটের আবেদন করেন তিনি ও তার সতীর্থরা। তবে আম্পায়ার তানভির আহমেদ আবেদন নাকচ করে দেন।
তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠেই প্রতিক্রিয়া দেখান এবাদত—নিজের সোয়েট ব্যান্ড খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগিয়ে আসেন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। তখনই মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় সৈকতের দিকে তেড়ে যান, আঙুল উঁচিয়ে রাগান্বিত ভঙ্গিতে কথা বলেন। মাঠেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় হৃদয়কে শান্ত করতে এগিয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ারকে আলতো করে সরিয়ে নেন মুশফিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করেন আবাহনীর ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও।
পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ইবাদতের বলটির 'ইমপ্যাক্ট' অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল, ফলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। তবে মাঠে সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মোহামেডান খেলোয়াড়দের উত্তেজিত আচরণ বিসিবির নজর এড়ায়নি।
