শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

জ্যাকের নানি এগিয়ে আসতে আসতে বললেন, মসিয়েঁ। তার হাতে অ্যাপ্রোন, চোখ মুছতে মুছতে এগিয়ে এসে বললেন, আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আপনি বলেছেন আপনি ওকে স্কুলের পড়ার বাইরেও পড়াবেন।

এম বার্নার্ড বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনি আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। সেটা ওর জন্য শুধু ছেলেখেলা হবে না।
কিন্তু আপনাকে কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য যে আমাদের নেই!
এম বার্নার্ড তার দিকে ভালো করে তাকিয়ে থেকে জ্যাকের কাঁধ ধরে ঝাঁকিুনি দিয়ে বললেন, ও নিয়ে আপনি কিচ্ছু ভাববেন না। আমি জ্যাকের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।

এরপর তিনি চলে গেলেন এবং নানি জ্যাকের হাত ধরে ভেতরের দিকে হাঁটা দিলেন। জীবনের প্রথম তিনি জ্যাকের হাতটা আশাহত ভালোবাসায় চেপে ধরলেন। মুখে শুধু বলতে পারলেন, আমার সোনা, আমার লক্ষী সোনা!

পুরো একমাস এম বার্নার্ড তার চার ছাত্রকে স্কুল ছুটির পর প্রতিদিন দুঘণ্টা করে পড়ালেন। বাড়ি ফেরার পর জ্যাক ক্লান্ত তবে উচ্ছসিত থাকত। এরপর আবার শুরু হতো বাড়ির পড়াশোনার পালা। নানি তার দিকে দুঃখ আর গর্বের মিশ্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন।

নিজের মাথায় নিজের হাতের ঘুষি দিয়ে হালকা আঘাত করতে করতে আর্নেস্ট মামা জোর দিয়ে বলত, জ্যাকের মাথায় অনেক বুদ্ধি।

নানি বলতেন, হ্যাঁ। তবে আমাদের কী হবে? একদিন সন্ধ্যায় তিনি আবারো বললেন, ওর প্রথম কমিউনিয়নের কী হবে? আসলে তাদের জীবনে ধর্মের বিশেষ কোনো স্থান ছিল না। তাদের কেউ খ্রিস্টের নৈশভোজ পর্বে অংশ গ্রহণ করতে যায়নি। তাদের কেউ খোদার দশ বিধান শেখেনি কিংবা সময়ে সময়ে মুখে আনেনি। মৃত্যুর পরে শাস্তি কিংবা পুরস্কারের কথা তারা কেউ কখনও উল্লেখ করেনি। জ্যাকের নানির সামনে কারো মৃত্যুর কথা উঠলে তিনি বলে উঠতেন, লোকটা আর বাতকর্ম করবে না। কিংবা তার সামান্য পছন্দের কেউ মারা যাওয়ার কথা শুনলে তিনি বলতেন, আহা বেচারা অল্প বয়সে মারা গেল। অবশ্য যার কথা বলা হলো তিনি হয়তো অনেক দিন আগেই মারা যাওয়ার মতো যথেষ্ট বুড়ো হয়ে গেছেন। তার দিক থেকে যে অবজ্ঞা ছিল তাও বলা যাবে না। কারণ তিনি চারপাশের অনেককেই মারা যেতে দেখেছেন। তার সন্তানদের মধ্যে দুজন, তার স্বামী, তার জামাতা এবং তার বোনের ছেলেরা সবাই যুদ্ধে মারা গেছে। তবে তার কাছে মৃত্যুর অভিজ্ঞতা যেন দারিদ্র আর কাজের মতোই খুব ঘনিষ্ঠ। মৃত্যু নিয়ে তিনি আলাদাভাবে কিছু ভাবেননি। বরং বলা যায়, মৃত্যুর মধ্যেই তার বসবাস। আলজেরিয়ার সব মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনের চেয়ে তার কাছে বর্তমান মুহূর্তের প্রয়োজনটা যেন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দাফন সংক্রান্ত ধর্মানুরাগ সভ্যতার সঙ্গে তাদের অবস্থান পর্যন্ত বেড়ে উঠেছে। কিন্তু সাধারণ ভাগ্য এবং অভাবের কারণে নিজেদের জীবনে সেগুলো থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। জীবনে যে সকল অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছে মৃত্যুও তাদের কাছে সেগুলোর মতোই একটা অগ্নিপরীক্ষা। ওই সকল অগ্নিপরীক্ষা সম্পর্কে তারা কোনো কথা বলে না। তবে সেগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য যে সাহস দরকার সেটা তাদের ছিল, আছে এবং তাদের জন্য ওই সাহসই মানুষের প্রধান গুণ। তবু তারা ওই সাহস আড়ালে রাখে কিংবা ভুলে থাকে। সেই কারণেই সকল দাফনকর্মে এক ধরনের রসিকতার ছোঁয়া লাগে: যেমন মরিস মামার দাফনের কথাই বলা যেতে পারে। ওই সাধারণ প্রবণতার সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের কঠিন পরিশ্রম ও সংগ্রাম এবং বলা বাহুল্য জ্যাকদের পরিবারের মতো দারিদ্রকে যদি যোগ করা যায় তাহলে তাদের জীবনে ধর্মের জন্য স্থান পাওয়া খুব কঠিন। আর্নেস্ট মামার প্রসঙ্গে বলা যায়Ñ ইন্দ্রিয়-চালিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই মানুষটির কাছে তার চোখে দেখা বিষয়াদিই হলো তার ধর্ম: যেমন পাদ্রী এবং আচার অনুষ্ঠান। তার হাস্যরসের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে সুযোগ পেলেই ধর্মীয় জমায়েতের আচার অনুষ্ঠান নকল করে দেখাত সে। পাদ্রীর উচ্চাণের ল্যাটিন শব্দগুলোর পরিবর্তে মুখ দিয়ে বিচিত্র শব্দ করে বোঝানোর চেষ্টা করত। সমাবেশের সকলের মাথা নিচু করা এবং সেই ফাঁকে ওখানে জমা রাখা মদের বোতলে পাদ্রীর চোরাগোপ্তা চুমুকের অনুকরন দেখিয়ে তার অভিনয় পর্ব শেষ করত। ক্যাথরিন করমারির কথা বলতে গেলে যে বিষয়টি উল্লেখ করা যায় সেটা হলো, তার শান্ত স্বভাব থেকে বোঝা যায়, তার মধ্যে ধর্মের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু আসলে খোদ শান্ত স্বভাবটাই ছিল তার ধর্ম। ধর্মের প্রতি তার অবিশ্বাস ছিল না। আবার প্রগাঢ় সায়ও ছিল না। তার ভাইয়ের অভিনয় দেখে একটু আধটু হাসতেন। আর পাদ্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে মসিয়েঁ কিউরি বলেই সম্বোধন করতেন। তিনি ঈশ্বর সম্পর্কে কোনো কথাই বলতেন না। আসলে জ্যাক ছেলেবেলায় ঈশ্বর কথাটাই তাদের পরিবারের কারো মুখে উচ্চারিত হতে শোনেনি। জীবন সুস্পষ্ট এবং রহস্যঘেরা হওয়ার কারণে তার সমস্ত সত্তা জুড়ে শুধু জীবনই ছিল; অন্য কিছুর প্রবেশ ঘটেনি।

এসবের কারণে তাদের পরিবারে কখনও কোনো সভ্য দাফনের প্রসঙ্গ উঠলেই তার নানি এবং পক্ষান্তরে তার মামা পাদ্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে আফসোস করে বলত ‘কুকুরের মতো’। আলজেরিয়ার আর সব মানুষের মতো তাদের কাছেও ধর্ম একটা সভ্য জীবনের অংশ ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। তাদের শিকড় যেহেতু ফ্রান্সে ছিল, তারা ছিল ক্যাথলিক। সে কারণে তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে কতিপয় আচার অনুষ্ঠানও যুক্ত ছিল। আসলে ওই আচার অনুষ্ঠানগুলো মোটের ওপর ছিল চার রকমের: দীক্ষালাভ, খ্রিস্টীয় ভোজসভায় প্রথম যোগদান, বিয়ে (অবশ্য বিয়ের কাজটা কেউ করে থাকলে) এবং দাফনকৃত্য। কালেভ্রদ্রে সংঘটিত ওইসব আচার অনুষ্ঠানের মাঝে তাদের ব্যস্ততা থাকত অন্য কাজকর্মে, বিশেষ করে টিকে থাকার সংগ্রামে।

সুতরাং ধরে নেওয়া হলো, জ্যাকের গির্জার ভোজসভায় প্রথম যোগদান হবে হেনরির মতোই: এ প্রসঙ্গে হেনরির মনে সবচেয়ে নিরানন্দের স্মৃতিটার প্রভাবই বেশি ছিল। অবশ্য সে স্মৃতিটা খোদ আচার অনুষ্ঠানের নয়, বরং পরবর্তী সামাজিক কার্যকলাপের। বাহুতে মাদুলি পরে তাকে কয়েক সপ্তাহ বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যেতে হয়েছিল। প্রথা অনুযায়ী মাদুলি পরার কারণে তারা সবাই তাকে সামান্য কিছু টাকা পয়সা দান দক্ষিণাও করেছে। সেটা নিতে অবশ্য হেনরির ভালো লাগেনি। তবে দানের টাকার সামান্য অংশ হেনরির হাতে থাকতে পেরেছে। কারণ নানির মতে গির্জার ভোজসভায় প্রথম যোগদান করার অনুষ্ঠানের একটা খরচ আছে না? তবে ওই অনুষ্ঠান তার বয়স বারো বছর হওয়ার আগে হয়নি। তার আগে তাকে দুবছর কাটাতে হয়েছে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষালাভ করতে। সুতরাং জ্যাককে লিসিতে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বছর কাটানোর পরে গির্জার ভোজসভায় প্রথম যোগদান করতে হবে। সেকথা ভেবেই নানি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। লিসিতে জ্যাকের পড়ার ব্যাপারে তার মনে একটা নেতিবাচক এবং ভয়াবহ চিত্র ছিল; ওখানে পাড়ার স্কুলের চেয়ে দশগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে জ্যাককে। কারণ ওখানে পড়ার পরে অপেক্ষাকৃত ভালো চাকরি পাবে জ্যাক। অন্যদিকে ওখানে না পড়লে তার পক্ষে আগে আগে যে কামাই রুজির সম্ভাবনা ছিল সেটাও তো আর হবে না। জ্যাকের জন্য তিনি আগেই যে ত্যাগটা করতে যাচ্ছেন সেকথা মনে করেই তিনি সর্বান্তকরণে জ্যাকের সাফল্য কামনা করলেন। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য যে সময় ব্যয় হতে পারে সে সময় থেকে জ্যাকের কঠিন পরিশ্রমের সময়টা বাদ দিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, না, তুই লিসিতে পড়াশোনা আর ধর্মীয় শিক্ষালাভ এক সাথে করতে পারবি না।

জ্যাক বলল, তাহলে তো আরো ভালো। আমাকে গির্জার ভোজসভায় যোগদান করতে হবে না। তবে জ্যাকের খুশি হওয়ার কারণ হলো তাকে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দানের টাকা পয়সা গ্রহণ করতে হবে না। কাজটা তার অসহ্য রকমের অবমাননাকর মনে হত।

নানি তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন? গির্জার ভোজসভায় যোগদানের ব্যবস্থা তো করাই যায়। এখনই তৈরি হয়ে নে। আমরা এখনই পাদ্রীর সাথে দেখা করতে যাব।

উঠে দাঁড়িয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে নিজের ঘরের দিকে হাঁটা দিলেন। একটু পরেই ফিরে এলেন। পরনের ক্যামিসোল আর কাজ করার সময়ের স্কার্ট ছেড়ে বাইরে যাওয়ার একমাত্র পোশাক পরে ফেলেছেন: গলা পর্যন্ত বোতাম আটকানো এবং কালো রঙের সিল্কের স্কার্ফ মাথার চারপাশ পেচিয়ে বেঁধে ফেলেছেন। স্কার্ফের প্রান্তে বের হয়ে থাকা তার সাদা চুলের গোছাগুলো, তীক্ষ্ম চোখ জোড়া এবং দৃঢ় মুখ তার সমস্ত অবয়ব জুড়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ভাবটা ফুটিয়ে তুলেছে।

 

চলবে..

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা