গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন ট্রাম্প!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘমেয়াদি গাজা যুদ্ধ বন্ধে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। যদিও নভেম্বর মাসে এক সপ্তাহ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫০ দিন যুদ্ধবিরতি ছিল, তবে বাকি সময়জুড়ে ইসরায়েল চালিয়ে গেছে অবিরাম হামলা। আর এতে অস্ত্র ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে পাশে থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সম্প্রতি পরিস্থিতিতে ভিন্ন সুর। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে চলেছে। তার চাওয়া, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসরায়েল যেন হামাসের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছায়—যার ফলে মুক্তি পাবে গাজায় আটকে থাকা ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি, জীবিত ও মৃত উভয়ই।
গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প। বাইরে থেকে দেখা গেছে হাসিমুখে নেতানিয়াহুর প্রশংসা। কিন্তু পর্দার আড়ালে পরিস্থিতি ভিন্ন—ত্রাণবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে ৩ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প, এমনটাই জানায় ইয়েদিওথ আহরোনোথ।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ওইদিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে দুই জিম্মির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বস্ত করেছেন—চেষ্টা চলছে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ আরও জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ট্রাম্পের বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের অংশ। তিনি চান, যুদ্ধ থেমে যাক এবং ইসরায়েল-সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হোক। একইসঙ্গে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনাকেও এই পরিকল্পনার অংশ বলে দাবি করা হয়েছে।
