শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

যে রাতে জ্যাক ওই ঘটনার বর্ণনা শুনেছিল সে রাতে বিছানার একপাশে গুটিশুটি মেরে পড়েছিল যাতে তার ভাইয়ের গায়ের সঙ্গে ছোঁয়া না লাগে। তখনকার দিনে তারা দুভাই এক বিছানায় ঘুমাত। বমনভাব এবং ভীতি ঠেকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হয়েছিল তাকে। ঘটনার বর্ণনা শুনে কল্পনায় যেসব চিত্র আসত সেগুলো তার কাছে ভীতিকর মনে হতো। সারা জীবনই ওইসব প্রতিমূর্তি তাকে তাড়া করেছে, তার ঘুমের মধ্যেও; কখনও কখনও মাঝে মধ্যে, কখনও কখনও নিয়মিতভাবে। বিভিন্ন রূপ ধরে দুঃম্বপ্ন তাকে তাড়া করে বেড়াত। তবে সব সময় ওইসব দুঃস্বপ্নের বিষয়বস্তু একটাই থাকত: তাকে ওই প্রতিমূর্তিগুলো ফাঁসি দেওয়ার জন্য নিতে এসেছে।

জেগে উঠে অনেক সময় ধরে চেষ্টা করার পরে তবে সেই ভয়জাগানিয়া মানসিক অবস্থা থেকে সে বের হয়ে আসতে পারত যেখানে সত্যি কোনো আশঙ্কা নেই তার ফাঁসি হয়ে যাওয়ার। বড় হওয়ার পর তার চারপাশে পৃথিবীর ঘটনাবলী এমনভাবে ঘটেছে তার ফাঁসি যেন আর খুব বেশি অসম্ভব ঘটনা থাকেনি। বাস্তবতা তার স্বপ্নকে আর প্রশমন করতেও পারেনি। বরং তার ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন বেশ কিছু বছর ধরে তার বাস্ততবাকে যেন হৃষ্টপুষ্ট করেছে। যে দুঃস্বপ্ন তার বাবাকে তাড়া করেছে সেটাই যেন তিনি তার ছেলের জন্য রেখে গেছেন একমাত্র সুস্পষ্ট এবং নিশ্চিত উত্তরাধিকার হিসেবে। এই রহস্যময় বন্ধন তাকে সেন্ট ব্রিউকের ওই অচেনা মানুষটির সঙ্গে সম্পর্কের সুতোয় বেঁধেছে যে মানুষটি হয়তো ধারণাই করতে পারেননি, তার এরকম অপঘাতী মৃত্যু হবে। এই বন্ধন তার মায়ের বোধগম্যতার বাইরে; কেননা তিনি ওই ফাঁসির রাতের ঘটনার বর্ণনা শুনেছিলেন, জ্যাকের বাবার বমি করা দেখেছেন এবং সকালবেলা ভুলেও গেছেন। সেভাবেই পরবর্তীতে তিনি অনুভব করতে অক্ষম থেকেছেন সময় বদলে গেছে সেকথাও। তার কাছে সময় একই রকম রয়ে গেছে: তিনি মনে করেছেন, কোনো রকম পূর্বাভাস ছাড়াই যে কোনো মুহূর্তে বিপর্যয় ঘটতে পারে।

অন্যদিকে, জ্যাকের নানির সবকিছু সম্পর্কে অনেকটা সঠিক ধারণা ছিল: জ্যাককে তিনি প্রায়ই বলতেন, তোর শেষ পরিণতি হবে ফাঁসিকাঠ। কেন হবে না? এরকম আশঙ্কা একদম যে অস্বাভাবিক ছিল তাও নয়। তিনি পরিষ্কারভাবে তেমন কোনো আশঙ্কার কথা জানতেন না। তবে তার চারিত্রিক গঠন যেমন ছিল তাতে জ্যাকের ভাগ্যে সেরকম কিছু ঘটে গেলে তিনি বিস্মিত হতেন না মোটেও। কালো পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহী নানিকে দেখাত মহিলা পয়গম্বরের মতো। অনেক বিষয় সম্পর্কেই বেখবর এবং একগুঁয়ে ছিলেন বলে কী করে সবকিছু বিনা প্রতিবাদে মেনে নেওয়া যায় সে জ্ঞান তার ছিল না। জ্যাকের ছেলেবেলার অধিকাংশ অভিজ্ঞতা জুড়ে অন্য আর কারো থেকে সবচেয়ে বেশি তার উপস্থিতি। মাহুন থেকে আগত বাবা মা তাকে বড় করেছিলেন ছোট একটা খামার এলাকায় এবং অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়েছিলেন মাহুন থেকে আগত হালকা পাতলা কোমল গড়নের একজন মানুষের সঙ্গে। তার স্বামীর ভাইয়েরা ১৮৪৮ সালের দিকে তাদের দাদার মৃত্যুর পরে আলজেরিয়ায় বসতি স্থাপন করেছিলেন।

তাদের দাদা জীবনের একটা সময় জুড়ে ছিলেন কবি: গাধার পিঠে চড়ে গোটা দ্বীপের সব্জি বাগানগুলোর দেয়ালের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়াতেন আর কাব্য রচনা করতেন। এরকম কাব্য রচনা চলার এক পর্যায়ে হঠাৎ তিনি কাব্য রচনা ছেড়ে দিলেন: তার বিশ্বাস হয়েছিল, তিনি একজন প্রেমিককে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু সামনের ওই ছায়াচিত্র এবং বৃহৎ প্রান্তভাগঅলা কালো টুপির কাছে তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন এবং এভাবেই পরিবারিকসূত্রে পাওয়া কাব্যগুণকে হত্যা করেছিলেন। শেষে তার সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি। একজন কবির প্রতারিত হওয়ার মতো এরকম ট্র্যাজিক পরিণতির মধ্যেই তার বংশধরদের আলজেরীয় উপকূলে বছর বছর সংখ্যায় বেড়ে ওঠা নিরক্ষর লোকদের মাঝে বসবাসের শুরু। আশেপাশে কোনো স্কুল ছিল না। প্রখর সূর্যের নিচে শ্রম ঢেলে শেষ হয়ে যাওয়া জীবনের সঙ্গেই তাদের অস্তিত্বের বন্ধন। কিন্তু জ্যাকের নানার ফটো দেখে বোঝা যায়, তার কবি দাদার উৎসাহের কিছু একটা রেশ তার মধ্যে ছিল।

তবে সরু মুখমণ্ডল, উঁচু ভ্রু রাশির নিচে তার সুস্পষ্ট চাহনি এবং চোখে স্বপ্নবাজের প্রকাশভঙ্গি দেখে মনে করার কোনো কারণ নেই, তিনি তার অল্পবয়সী, সুদর্শনা এবং শক্তিমতি স্ত্রীর সামনে নিজস্ব মূর্তি রক্ষা করতে পারবেন। নানি তার স্বামীকে নয় জন সন্তান উপহার দিয়েছিলেন: দুজন শৈশবেই মারা যায়। একজন প্রতিবন্ধী হয়ে রক্ষা পায়; শেষের জন জন্মের সময় থেকেই আধা বোবা এবং বধির। তার সন্তানদের তিনি বড় করেছেন একটা ছোট খামারের নিরানন্দ পরিবেশে এবং একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে নিজের ভাগের কঠিন কায়িক শ্রমের কাজকর্মও করেছেন। খাবার সময় টেবিলের এক কোণে লম্বা একটা লাঠি হাতে বসে থাকতেন। তাতে মুখের কথায় কাউকে শাসন করার মতো প্ররিশ্রমের হাত থেকে রেহাই মিলত। কারো দোষ পেলে সঙ্গে সঙ্গে মাথার ওপর বাড়ি মারতেন।

ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে তিনি নিজের জন্য এবং তার স্বামীর জন্য শ্রদ্ধা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করতেন: ছেলেমেয়েদের তিনি নির্দেশ দিতেন তারা যেন কথা বলার সময় বাবার সঙ্গে নম্র ভদ্রভাবে স্পেনীয় কায়দায় কথা বলে। তার স্বামী অবশ্য এই শ্রদ্ধা উপভোগ করেননি; অল্প বয়সেই তিনি মারা যান। রোদে পুড়ে, কঠিন পরিশ্রমের ফলে এবং সম্ভবত দাম্পত্য জীবনের কারণে তিনি মারা গেছেন; জ্যাক জানতে পারেনি, কী রোগে তিনি মারা গেছেন। একা হয়ে যাওয়ায় নানি খামার ছেড়ে তার ছোট সন্তানদের নিয়ে আলজিয়ার্সে বসবাসের জন্য চলে যান। বাকিরা কাজেকর্মে ব্যস্ত ছিল। কারণ সামান্য নবিশ হওয়ার মতো বয়স হতেই তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তাকে বোঝার মতো বয়স হলে জ্যাক দেখতে পেয়েছে, না দারিদ্র, না অন্য কোনো বিরূপ পরিস্থিতি তাকে কাবু করতে পেরেছে। তখন শুধু তিন সন্তান তার সঙ্গে ছিল: ক্যাথরিন, যোসেফ এবং প্রতিবন্দ্বী এতিয়েনে। জ্যাকের মায়ের আরেক নাম ক্যাথরিন, তাকেও অন্য লোকদের বাড়ির কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল; প্রতিবন্দ্বী ছোট ছেলে, পরবর্তীতে উদ্যমী: টব, পিপে ইত্যাদি নির্মাতা হয়েছিল। যোসেফ তখনও বিয়ে করেনি এবং রেলওয়ের কাজ করত। তাদের তিন জনের রোজগার একত্র করলে খুব সামান্য পরিমাণই হতো এবং সেটা দিয়েই পাঁচ সদস্যের সংসার চলত। সংসারের টাকা পয়সার দেখভাল করতেন নানি এবং পরে জ্যাক তার সম্পর্কে প্রথমত যে ধারণাটা পেয়েছে সেটা হলো, তিনি কৃপণ। যে বাতাস আমাদের বাঁচিয়ে রাখে সে বাতাস প্রসঙ্গে আমরা যতখানি কৃপণ তার চেয়ে মনে হয় তিনি বেশি কৃপণ ছিলেন না।

ছোটদের কাপড়-চোপড় নানি নিজে কিনতেন। জ্যাকের মা কাজ থেকে বাড়ি ফিরতেন দিনের শেষ ভাগে। তার মায়ের কাছে যা শুনতেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। তার মায়ের শক্তি দেখে বিমূঢ়ও হতেন এবং তার কাছেই তার নিজের রোজগার সবকিছুই বুঝে দিতেন। কাজেই জ্যাকের ছেলেবেলার সবটা সময় জুড়েই যেসব রেইনকোট পড়তে হয়েছে সেগুলো তার শরীরিক আকারের চেয়ে অনেক বড় থাকত। এখানে নানির যুক্তি ছিল প্রকৃতি নির্ভর, মানে ছোট জ্যাক বড় হতে থাকবে এবং যেহেতু রেইনকোটটা অনেক দিন ব্যবহার করতে হবে, জ্যাক বড় হয়ে গেলেও একই রেইনকোট তাকে মানিয়ে যাবে। পনের বছর বয়সের আগ পর্যন্ত জ্যাক খুব একটা দ্রুত বাড়েনি এবং রেইনকোটের মধ্যে জ্যাক বড় হয়ে ওঠার আগেই সেটা ছিড়ে গেছে।

পরবর্তীটা যখন কেনা হতো তখনও ওই মিতব্যয়িতার নীতিতেই কেনা হতো। আর জ্যাকের ক্লাসমেটরা তার লম্বা পোশাক নিয়ে দুষ্টুমি করলে তার কোমরের পাশে রেইনকোটটা ফুলিয়ে ওপরের দিকে তোলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকত না। কারণ তাতে রেইনকোটের হাস্যকর চেহারায় খানিকটা মানানসই ভাব ফুটে উঠত। অবশ্য স্কুলের ওই সব লজ্জার ঘটনাগুলো সে দ্রুতই ভুলে যেত ক্লাসে ঢুকলে। সেখানে জ্যাকের মর্যাদা সবার ওপরে থাকত। এছাড়া খেলার মাঠেও ছিল তার রাজত্ব: সে খুব ভালো ফুটবল খেলতে পারত। কিন্তু সেখানেও আনন্দের বিপরীতে আরেক সমস্যা ছিল: ফুটবল মাঠে ছিল সিমেন্টের গ্রাউন্ড; ক্লাসের বিরতিতে ফুটবল খেললে তার জুতার তলা ক্ষয়ে যেত বলে নানি নিষেধ করে দিয়েছিলেন এই খেলা। নাতির জন্য তিনি নিজে শক্ত তলাঅলা জুতা কিনে দিয়েছিলেন। আশা করেছিলেন, ওই জুতা অমর হয়ে থাকবে। জুতার আয়ু বাড়ানোর জন্য তলায় মোচাকৃতির বিরাট পেরেক লাগানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তাতে জুতার আয়ু দ্বিগুণ হওয়ার কথা। পেরেক ক্ষয় হয়ে গেলে তারপর জুতার তলা ক্ষয়ে যাবে। তাতে নানির আরেক সুবিধা হয়েছিল: তিনি জ্যাককে ফুটবল খেলতে নিষেধ করেছিলেন; তার নিষেধাজ্ঞা জ্যাক কতখানি অমান্য করল তাও ধরা সহজ হয়ে গেল।

এরপরও জ্যাক মাঠে ফুটবল খেললে পেরেকের নাল তার অবাধ্য হয়ে ক্ষয়ে যেত। বাড়ি ফিরে প্রতিদিন জ্যাককে নানির কাছে হাজিরা দিতে হতো। তখন কাসান্ড্রা, তার নানি, সাধারণত রান্নাঘরে কালো হাঁড়িপাতিলগুলোর ওপর তার কৃর্তত্ব ফলাতে ব্যস্ত থাকতেন। নাল পরানোর সময় ঘোড়ার পা যেমন ওপরের দিকে তোলা থাকে সেভাবে জ্যাক হাঁটু মুড়ে জুতার তলা ওপরের দিকে তুলে নানিকে দেখাত। অবশ্য বন্ধুদের ডাক এবং প্রিয় খেলার লোভ তাকে টানতই। তখন অসম্ভব সদ্গুণ অবলম্বন না করে বরং পাপকে ঢাকার চেষ্টাই করত সে: স্কুল থেকে ফেরার পথে খানিকটা সময় ব্যয় করে কাদামাটির ভেতর জুতার তলা ঘষে নিতো যাতে পেরেকের ক্ষয়ে যাওয়া মাথা না দেখা যায়। কখনও কখনও এই চেষ্টা সফলও হতো। কিন্তু এক সময় পেরেকের ক্ষয়ে যাওয়া মাথা বের হয়েই যেত, কিংবা খোদ জুতার তলাটাই নষ্ট হয়ে যেত, কিংবা সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজিক বিষয়ও ঘটে যেত–খেলার সময় মাঠের মাটিতে কষে লাথি চালালে অথবা গাছপালা রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত লোহার বেষ্টনীতে লাথি মারলে জুতার নিচের তলা থেকে ওপরের তলা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। সে রকম ঘটনার দিনে দড়ি কিংবা সুতা দিয়ে জুতা বেঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরত জ্যাক।

ওইসব রাতে চামড়ার চাবুক ছিল অনিবার্য। কান্নারত জ্যাককে মা শুধু একটা সান্ত্বনাই দিতে পারতেন, জানিস তো জুতোগুলো কত দামি। আরেকটু সচেতন হতে পারিস না? মা কোনোদিন তার সন্তানদের গায়ে হাত তুলতেন না। পরের দিন জ্যাককে মোটা কাপড়ের তৈরি দড়ি দিয়ে বানানো তলাঅলা জুতা পরিয়ে জুতা মেরামতকারীর কাছে নিয়ে যাওয়া হতো। দুতিন দিন পর তার সেই জুতা ফেরত পেত সে, নতুন নাল পরানো অবস্থায়। আরেকবার তাকে পিচ্ছিল নড়বড়ে তলার ওপরে ভারসাম্য রক্ষার অনুশীলন করতে হতো।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে

সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের চাঁদপায়ী রেঞ্জের আমুরবুনিয়া ক্যাম্প সংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকেলে সুন্দরবনের লতিফের ছিলা নামক জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাদের ৪টি টহল ফাড়ির বনকর্মীরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

আগুন লাগার খবর শুনে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সুন্দরবনে গেছেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া। ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তিনি জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত ২ কিলোমিটার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (বাগেরহাট) মো. সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। তাদের রিপোর্টের পরে প্রয়োজনে আরও ইউনিট পাঠানো হ যাবে।

স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ

ছবি: সংগৃহীত

স্কুলে দেরি করে আসার দায়ে এক শিক্ষিকাকে ঘুষি মেরেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এ ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে শুধু মারধর নয় জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রার সিগানা গ্রামের একটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরের এক পর্যায়ে ওই শিক্ষিকা অধ্যক্ষের হাত থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যারা এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

ধারণ করা ভিডিওতে শোনা গেছে, ম্যাডাম যে কাজ করছে তাতে তার সুবিধা হবে না। শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএল মানেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ১০ দলের লড়াই চলছে। আসরে কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭৪টি। যেখানে ইতোমধ্যে ৪২টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। প্রতিটি দলই ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ১০টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস শুধু ১১টি করে ম্যাচ খেলেছে। বাকি কয়েকটি ম্যাচে স্পষ্ট হয়ে যাবে প্লে-অফে জায়গা করে নেবে কোন চারদল। জয় পরাজয়ের নিরিখে প্লে-অফের দৌড়ে এখন এগিয়ে রয়েছে কারা সেটাই আলোচ্য বিষয়।

আইপিএলের গ্রুপ পর্বে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। শুক্রবার মুম্বাইকে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দু’টি দলই ১০টি করে ম্যাচ খেলেছে। রাজস্থানের ৮ জয়ের বিপরীতে কলকাতার জয় ৭টিতে। যেহেতু এই দু’দলের একে অপরের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে, তাই শীর্ষে যাবে কোন দল তার লড়াই চলমান।

তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে থাকা দু’দল হলো লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। উভয়েই ১০টি করে ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে। ফলে প্লে-অফের দৌড়ে এই চার দল সব থেকে এগিয়ে। তবে নীচের দিকে থাকা দলগুলিও প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। কারণে এখনও বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাকি। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই সুপার কিংসের। তারা ১০ ম্যাচ থেকে ৫ ম্যাচে জয়লাভ করে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে অবস্থান করছে টেবিলের পঞ্চম স্থানে।

ষষ্ঠ স্থানে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসেরও পয়েন্ট ১০ হলেও তারা ১১টি ম্যাচ খেলেছে। সপ্তম এবং অষ্টম স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংস এবং গুজরাট টাইটানস। উভয়ের ঝুলিতে রয়েছে ৮ পয়েন্ট। ১০টি করে ম্যাচ খেলেছে দু’দলই। এই দলই প্রথম চারে ওঠার চেষ্টা করবে। তবে কঠিন লড়াই এই দু’দলের সামনে।

পয়েন্ট টেবিলের শেষ দু’টি দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১১ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে মুম্বাই। বেঙ্গালুরুর ১০ ম্যাচে জয় তিনটিতে। এই দুই দলের পক্ষে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা সব থেকে কঠিন। বাকি সব ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে ওঠা কঠিন এই দুই দলের।

সর্বশেষ সংবাদ

সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য
যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
খাবারে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে শিক্ষকের বাসায় চুরি
একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়
ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের
অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট