শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব -৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান

তার সামরিক বাহিনীর সহকর্মীরা বিমূঢ় হয়ে পড়ে। হঠাৎ দেখা এবং পরিচয়সূত্রে তারা ডাক্তার সাহেবের সহকর্মী ছিলেন। তাদের তিনি অদ্ভুত সহকর্মী বলেছেন। তাদের সব রকমের প্রতিকার ব্যবস্থা ফুরিয়ে যায়। তখন তারা একটা বুদ্ধি বের করে—রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে নাচ চালু করে তারা।

প্রতি রাতে মৃতদের দাফনের মাঝখানে জীবিতরা বেহালার সুরে নাচতে থাকে। এরকম একটা অদ্ভূত ব্যবস্থা তারা মন্দ বের করেনি। সহজ সরল মানুষগুলো নাচের সময় শরীরে যা কিছু থাকত সব ঘামের মধ্য দিয়ে বের করে দিত। এভাবে চলতে চলতে এক সময় কলেরার মহামারি থেমে যায়। আবিষ্কার করার মতোই একটা বুদ্ধি বটে। তপ্ত-আর্দ্র রাতে অসুস্থ ঘুমন্ত রোগীদের কুঁড়ের মাঝখানে একজন বেহালা বাদক একটা ঝুড়ির উপর বসে। তার পাশে একটা বাতি আর চারপাশে ভনভন করছে মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ। তার সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজেতারা লম্বা পোশাক এবং চাদর পরে বড় বড় ডালপালার আগুনের চারপাশে অবিচলিত ভঙ্গিতে নাচছে। তখন তাদের তাঁবুগুলোর চার কোণে পাহারায় থাকত কয়েকজন, যাতে রক্ষিত ব্যক্তিদের উপরে কালো কেশরঅলা সিংহ, গবাদিপশুর চোর, আরবের ডাকাত দল এবং মাঝে মধ্যে সরবরাহের অনুসন্ধানী ফরাসি অভিবাসীরা আক্রমণ করতে না পারে।

পরবর্তীতে তাদের টুকরো টুকরো বিচ্ছিন্ন জমি দেওয়া হয়েছিল, তবে কুঁড়ের এলাকা থেকে অনেক দূরে। পরে তারা সেসব জায়গায় গ্রাম গড়ে তুলেছিল মাটির দেয়াল তৈরি করে। কিন্তু অভিবাসীদের দুই তৃতীয়াংশই ততদিনে মারা গেছে, আলজেরিয়ার অন্য সব জায়গার মতোই সেখানেও অভিবাসী মানুষরা কোদাল কিংবা লাঙলে হাত রাখার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। প্যারিস থেকে আসা আর যারা বেঁচেছিল মাঠে কাজ করার সময় তাদের মাথায় থাকত হ্যাট, কাঁধে বন্দুক এবং দাঁতের ফাঁকে পাইপ। শুধু পাইপ টানা ছাড়া সিগারেট ফোঁকার অনুমতি তাদের ছিল না। পকেটে থাকত কুইনাইন, বনের ক্যাফে এবং মনডোভির ক্যান্টিনে সাধারণ পানীয়ের মতোই বিক্রি হতো কুইনাইন। সঙ্গে থাকত রেশমী পোশাক পরিহিত তাদের স্ত্রীরা। তবে সব সময়ই থাকত বন্দুক আর সৈনিকরা। এমনকি সেবাউসে লন্ড্রির কাজকর্ম করতে গেলেও প্রতিরক্ষা সহচর দরকার হতো, বিশেষ করে পুরনো দিনে যারা রিউ ডি আর্কাইভসের ওয়াশহাউসে কাজ করার সময় ঝামেলাহীন অভ্যর্থনা কক্ষ চালাত তাদের জন্য। আর রাতের বেলা খোদ গ্রামটাই মাঝে মধ্যে আক্রমণের শিকার হত। ৫১ সালে বিদ্রোহের সময় যেমন হয়েছিল। সেবার দেয়ালের চারপাশ ঘিরে ফেলা বুর্নুস পরিহিত শত শত অশ্বারোহী সেনা ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ পরিবেষ্টিত মানুষরা উনানের নল তাক করেছিল তাদের দিকে। দেখে তারা মনে করেছিল, তাদের দিকে কামান দাগা হবে বুঝি। দখলে আসতে অনিচ্ছুক এরকম একটা এলাকায় কাজ করা, ঘরবসতি তৈরি করা খুব কঠিন ছিল। সুযোগ পেলেই এলাকাটা যেন প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করত।

যখন বিমানটা কিছুটা উপরের দিকে উঠে গিয়ে নেমে আসছে তখন জ্যাকের মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মনের পর্দায় ছবির মতো জ্যাক দেখতে পায়, বন থেকে চলে আসা রাস্তাটায় ওয়াগনটা কেমন বার বার আটকে যাচ্ছে সামনে চলার সময়। বসতি স্থাপনকারীরা কোথাও সাহায্য পাওয়ার আশায় একজন সন্তানসম্ভবা নারীকে ফেলে গেছে এবং এসে দেখে তার পেট ফাঁড়ি দেওয়া এবং স্তন কেটে ফেলা হয়েছে।
ভেইলার্ড বলল, সময়টা ছিল যুদ্ধের।
ডাক্তার সাহেব বললেন, আমরা এখন নিরপেক্ষ হতে পারি। আমরা এখন তাদের সবাইকে বন্ধ করে রাখতে পারি। হ্যাঁ, অবশ্যই, অবশ্যই। তারা সবাই প্রথম নাপিতের বিচি কেটে দিয়েছিল। তারপর তোমরা সবাই প্রথম অপরাধীর নাম জানো, কাবিল। তার সময় থেইে যুদ্ধের সূত্রপাত। মানুষ আসলে জঘন্য, বিশেষ করে বর্বর সূর্যের নিচে যাদের অবস্থান।

সেদিন দুপুরের খাবারের পর তারা গ্রামের ভেতর দিয়ে হেঁটেছিল। সারাদেশের শত শত গ্রামের মতো এই গ্রামটাও, উনিশ শতকের শেষের দিকের সাধারণ ধাঁচে তৈরি শত শত ঘরবাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড়ানো। রাস্তাগুলো এগিয়ে গিয়ে মিশেছে দালানকোঠাগুলোর সঙ্গে। সমবায় সমিতি, খামারের ব্যাংক, বিনোদনের হল সবকিছুই ক্যারাসেল কিংবা মেট্রোর প্রবেশ পথের মতো দেখতে বাদন মঞ্চের দিকে চলে গেছে। সেখানে বহুদিন ধরে গ্রামের লোকদের ঐকতানের ধর্মসংগীত কিংবা সামরিক দলের কনসার্ট হয়েছে। চারপাশে যুগলবৃন্দ তাদের সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে পায়চারি করে বেরিয়েছে এবং প্রচন্ড তাপ আর ধূলির মধ্যে অলস ভঙ্গিতে বাদামের খোসা ছড়িয়েছে। আজও রবিবার, তবে সামরিক বাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক শাখা বাদন মঞ্চে লাউডস্পিকার খাটিয়েছে এবং উপস্থিত লোকদের বেশিরভাগই আরব। তারা স্কোয়ারের চারপাশে হাঁটাহাঁটি না করে দাঁড়িয়ে সংগীত শুনছে। একবার খানিক বক্তৃতা হচ্ছে। তারপর আবার সংগীত হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে প্রায় চোখে পড়ে না ধরনের ফরাসি লোকদের সবার চেহারা প্রায় একই রকম ভাবগম্ভীর। তারা যেন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে অনেকদিন আগে লাব্রাডরে যারা এসেছিল ঠিক তাদের মতো। কিংবা অন্যদের মতো যারা একই রকম পরি¯ি’তিতে, একই রকম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে এসেছিল দারিদ্র এবং শাস্তি এড়াতে এবং পেয়েছিল দুঃখ আর পাথর, ঠিক তাদের মতো। জ্যাকের মায়ের পূর্বপুরুষ মাহুনের স্পেনীয়দের বেলায় এবং যারা জার্মান শাসন প্রত্যাখ্যান করে ফরাসি শাসন গ্রহণ করেছিল তাদের বেলায়ও একই রকম ঘটেছিল। তাদের ৭১ এর আরব বিদ্রোহীদের ভূমি দান করা হয়েছিল। কারণ ততদিনে ওরা হয় মারা গেছে, নয়তো জেলে গেছে। ভিন্ন মতাবলম্বীরা ভূমি গ্রহণের পর বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিবেশ গরম রাখে। জ্যাকের বাবার পূর্বপুরুষরা এসেছেন যন্ত্রণাদানকারী-যন্ত্রণাপ্রাপ্তদের দিকে থেকে। চল্লিশ বছর পর তিনি ওই একই রকম ভাবগম্ভীর এবং দৃঢ়চেতা চেহারা নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তার চিন্তাচেতনা ছিল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত। যারা নিজেদের অতীত অপছন্দ করে এবং ভবিষ্যৎ ভালোবাসে ঠিক তাদের মতো ছিলেন তিনি। যারা এই ভূমিতে জীবনযাপন করেছে এবং কবরখানায় ভাঙাচোরা দাঁত বের করে হাসার মতো চেহারার পাথর ছাড়া আর কোনো চিহ্ন রেখে যেতে পারেনি তাদের মতো একজন অভিবাসী ছিলেন তিনি। ভেইলার্ড বিদায় নেওয়ার পরে দিনের শেষে বৃদ্ধ ডাক্তারের সঙ্গে জ্যাক এরকমই এক কবরখানায় গেল। একদিকে সাম্প্রতিক কালের দাফন কেতার উৎকট এবং নতুন নির্মাণকলা: সাম্প্রতিক কালে যে ধরনের সস্তা ধর্মীয় শিল্পের প্রদর্শন থাকে সেরকম। অন্যদিকে পুরনো সাইপ্রেস গাছের নিচে পায়ে চলা পথের মাঝে পাইনের সুচালো ফলা কিংবা সাইপ্রেসের কোণ বিছানো মাটিতে অথবা স্যাঁতসেতে দেয়ালের পাশে বেড়ে ওঠা ওক্সালিসের ফুলের ঝাড়ের পাশে পুরনো কবর ফলকগুলো যেন মাটির সমতল থেকে আলাদাভাবে চোখেই পড়ে না এমন অস্পষ্ট হয়ে গেছে।

প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে দলে দলে লোকজন এখানে এসেছে। জমিতে লাঙল চালিয়ে লাঙলের ফলার দাগ তৈরি করেছে মাটির বুকে। কোথাও কোথাও গভীর করে খুঁড়ে ফেলেছে মাটি। জমির কর্ষণের ধূলো তাদের গায়ে আস্তরণ না ফেলা পর্যন্ত এবং জমি বুনো গাছপালা আবাদের মতো অবস্থায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কোথাও কোথাও খুব হালকা করে কর্ষণ করেই গেছে তারা। নিজেদের বংশবিস্তার ঘটিয়েছে এবং অবশেষে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের পুত্রদের ক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে। তাদের পুত্ররা, নাতিরা তাদের মতোই নিজেদের দেখতে পেয়েছে এই ভূমির বুকে কোনো অতীত ছাড়া, ধর্ম ছাড়া, মূল্যবোধ-নীতি ছাড়া, পথপ্রদর্শন ছাড়াই। তাতেই খুশি থেকেছে তারা। রাত এবং মৃত্যুর সম্মুখে ভীতও থেকেছে তারা। কত রকমের জাতি থেকে কত সব প্রজন্মের মানুষ এখানে এই বিশাল আকাশতলে এসে জমায়েত হয়েছে। এখানে প্রথম গোধূলির আলামত ততক্ষণে শুরু হয়েও গেছে। নিজেদের মধ্যে যেন বন্দি অবস্থায় থেকেই তারা সবাই বিলীন হয়ে গেছে। কোনো চিহ্ন পর্যন্ত রেখে যায়নি। ব্যাপক অবয়ব নিয়ে তাদের উপরে পতিত হয়েছে এক বিশাল বিস্মৃতি। সেটাই যেন রাতের সঙ্গী হয়ে গ্রামে ফিরে আসা তিনজন মানুষের উপরেও পড়েছে। রাতের আগমন তাদের হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে বলে সমুদ্রের উপরে, এবড়ো থেবেড়ো পর্বতের উপরে, মালভূমির উপরে হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে এলে আফ্রিকার সব মানুষকে যে বিভীষিকা ছেয়ে ফেলে সেই বিভীষিকা তাদের হৃদয়কেও গ্রাস করে ফেলেছে। এরকম পবিত্র বিভীষিকা ডেলফির পর্বতের গায়েও পতিত হয়েছে একই রকম প্রভাব নিয়ে এবং তার ফলে সেখানে তৈরি হয়েছে মন্দির আর বেদী। কিন্তু আফ্রিকার এই ভূমিতে সব মন্দির ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। হৃদয়ের উপর ভর করে আছে শুধু এই দুর্বহ কোমল একটা বোঝা: তারা কীভাবে মারা গেছে, মারা যাচ্ছে। সবকিছু থেকে দূরে, নীরবতার মধ্যে, মাতৃভূমি থেকে অনেক দূরে দুর্বোধ্য এক ট্র্যাজেডির মধ্যে তারা মারা গেছে। তার বাবাও এরকম ট্র্যাজেডির মধ্যেই স্বাধীন ইচ্ছে-রহিত জীবনযাপন করা অবস্থায় মারা গেছেন, এতিমখানা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত, পথিমধ্যে শুধু অপরিহার্য বিয়ে। যুদ্ধে তার মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত জীবন তার চারপাশে বেড়ে চলেছে। যুদ্ধে তিনি মারা গেছেন। কিন্তু নিকটজনেরা তার মৃত্যু সম্পর্কে, তার দাফন সম্পর্কে কোনোদিন কিছুই জানতে পারেনি। তার নিজের ছেলের কাছে তিনি অজানাই থেকে গেছেন চিরতরে। তার জাতির লোকদের সর্বশেষ ঠিকানা হয়েছিল বিশাল বিস্মৃতি।

চলবে…

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি