রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

দিনের শেষে আলো আর পৃথিবী গ্রাসকারী অন্ধকার নেমে এলে লিসে থেকে ফিরে আসার সময় মৃত্যুর মতো অজানা ভয় জ্যাকের নিত্যসঙ্গী হতো। তার নানি ঝুলন্ত বাতিটা না জ্বালানো পর্যন্ত ওই অন্ধকার কিছুতেই শেষ হতো না। কাচের চিমনি খাবার টেবিলের ওপর নামিয়ে পায়ের আঙুলের ওপর শরীরের ভর রেখে একটুখানি উঁচু হয়ে টেবিলের কোণায় উরু ঠেকিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা ওপরের দিকে তুলে ছাউনির নিচের বার্নার দেখতেন নানি।

এক হাতে বাতির নিচের দস্তার চাবি ধরে আরেক হাতে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি দিয়ে সলিতার পোড়া অংশ খসে পড়ে উজ্জ্বল আলো না জ্বলা পর্যন্ত ঘষা দিতে থাকতেন। তারপর তিনি চিমনি ঠিক জায়গায় বসিয়ে দিতেন। দস্তার প্রকোষ্ঠের খাঁজকাটা পটির সঙ্গে চিমনির ঘষা লেগে চিক চিক শব্দ উঠত। চিমনিটা ওখানে বসিয়ে দিয়ে তিনি আবার টেবিলের পাশে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একহাত ওপরের দিকে তুলে সলিতা ঠিক করে দিতেন। নিচে টেবিলের ওপরে কড়া হলুদ আলো পড়ত নিখুঁত গোলাকার হয়ে। টেবিলক্লথের ওপরে আলোর প্রতিফলন পড়ে নানির মুখের ওপর এবং টেবিলের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে নানির কাজ পর্যবেক্ষণরত জ্যাকের মুখের ওপর পড়ত। আলো যত বেশি উজ্জ্বল হতো তার মনটাও তত হালকা হয়ে আসত।

নানি যখন তাকে অন্ধকার উঠোন থেকে মুরগি আনার আদেশ দিতেন ওই একই রকম ভয় সে জয় করার চেষ্টা করত নিজের ভেতরের অহংকার অথবা গর্বের দ্বারা। এরকম দায়িত্ব পালন করতে হতো ইস্টার কিংবা বড় দিনের আগের রাতে। কিংবা আর্থিক দিক থেকে অবস্থাপন্ন কোনো আত্মীয়ের আগমন উপলক্ষে। তাদের চোখে পরিবারের আসল অবস্থা প্রকাশ না করে বরং মার্জিত ও শালীন অবস্থা প্রকাশ করার চেষ্টা থাকত। কাজটা তাকে করতে হতো সাধারণত রাতের বেলা। জ্যাকের লিসেতে পড়ার প্রথম দিকে নানি একবার যোসেফিন মামাকে বলেছিলেন, মামার রবিবারের ব্যবসায়িক অভিযানের সময় যেন নানির জন্য কয়েকটা আরবের মুরগি এনে দেন।

আর্নেস্ট মামাকে ধরে নানি উঠোনের কোণার দিকে প্যাঁচপেঁচে কাদা মাটির ওপরে একটা মুরগির খাঁচা তৈরি করে নিলেন। নানি সেখানে পাঁচ-ছয়টা মুরগি পুষতেন। মুরগিগুলো নিয়মিত ডিম দিত এবং মাঝে মাঝে এরকম অবস্থায় প্রাণ দিয়ে দিত। প্রথমবার যেদিন নানি একটা মুরগির প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে চেয়েছিলেন সেদিন পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেতে বসেছিল। তিনি তার বড় নাতিকে হুকুম করলেন দণ্ডিতকে নিয়ে আসতে। কিন্তু লুই (জ্যাকের বড় ভাইকে কখনও কখনও হেনরি বলা হতো, কখনও কখনও লুই বলে ডাকা হতো) সোজাসুজি বলে ফেলল, সে পারবে না। তার ভয় লাগে। নানি এখনকার সময়ের আদুরে বাচ্চাদের প্রতি বিদ্রুপ করলেন এবং উল্লেখ করলেন, তার সময়ের বাচ্চারা বনে জঙ্গলে যেতে ভয় পেত না। তারা কোনো কিছুতেই ভয় পেত না। তিনি জ্যাকের উদ্দেশে বললেন, ওসব বাচ্চাদের চেয়ে জ্যাক অনেক সাহসী। যা, তুই গিয়ে নিয়ে আয়। আসলে জ্যাক অন্য কারো চেয়ে বেশি সাহসী ছিল সেটা সত্যি নয়। তবে হুকুম একবার হয়ে গেছে মানে সে আর না করতে পারবে না। তাকে যেতেই হবে। যা হোক, সে রাতেই প্রথম জ্যাক মুরগি আনতে গেল। অন্ধকারে সিঁড়ি ভেঙে বাম দিকে ঘুরে সব সময় অন্ধকারে থাকা হলরুম পার হয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে উঠোনের দিকের দরজাটা খুলে ফেলল। হলরুমের অন্ধকার বাইরের রাতের অন্ধকারের চেয়ে বেশি ঘন। সেজন্য উঠোনে নামার জন্য সবুজ হয়ে যাওয়া চারটে সিঁড়ি বরং আবছা হলেও দেখা যাচ্ছিল। ডান দিকের নাপিত পরিবার এবং আরব পরিবারের ঘরটার খড়খড়ি দিয়ে দুর্বল আলো এসে পড়েছে উঠোনে। উঠোনের এই পাশ থেকেই অন্য প্রান্তে মাটিতে কিংবা নিজেদের বিষ্ঠার স্তম্ভের ওপর ঘুমিয়ে থাকা মুরগিগুলোর ছোপ ছোপ রং আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। মুরগির খাঁচার কাছে পৌঁছে জ্যাক জাল ঘেরা আচ্ছাদনের ওপর হাত রাখতেই মৃদু কককক শব্দ শুরু হয়ে গেল। তখনই তার নাকের সামনে ঝাপটা মারল বিষ্ঠা থেকে বের হয়ে আসা বমি উদ্রেককারী উষ্ণ দুর্গন্ধ। মাটি লাগোয়া জাফরির দরজা খুলে নিচু হয়ে ভেতরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই ভেতরের নরম এবং আঠালো পদার্থের ওপর হাত পড়ল। তখনই জ্যাক ছিটকে পিছিয়ে এসে হাত বের করে নিয়ে এল। দোদুল্যমান খাঁচাটায় মুরগিগুলোর পাখা ঝাঁপটানোর আকস্মিক শব্দ, দৌড়াদৌড়ি আর সোরগোলের কারণে জ্যাক চমকে ওঠে ভয়ে। তবু তাকে মন শক্ত করতেই হবে। কারণ তাকে অন্যদের থেকে বেশি সাহসী বলে পদবী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই আবর্জনাময় অন্ধকার জায়গার মুরগিগুলোর ভেতর জেগে ওঠা হৈচৈ আর উত্তেজনায় জ্যাক ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তার পাকস্থলী উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাথার ওপরের পরিষ্কার আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। আকাশজুড়ে পরিচ্ছন্ন প্রশান্ত তারকারাজি। তারপর এগিয়ে গিয়ে খাঁচার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে নাগালের মধ্যে প্রথম যে পাটা ধরতে পারে সেটা ধরেই একটা সন্ত্রস্ত মুরগি ছোট দরজার কাছে টেনে নিয়ে আসে। আরেক হাত দিয়ে মুরগির আরেক পা ধরে মুরগিটা খাঁচার বাইরে নিয়ে আসে। দরজার পাল্লার সঙ্গে ঘষা লেগে ইতোমধ্যে মুরগিটার কয়েকটা পালক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ততক্ষণে খাঁচার প্রায় সবগুলো মুরগির ভীত-সন্ত্রস্ত কককক শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। পাশের ঘরের বৃদ্ধ আরব লোকটা আলো নিয়ে সতর্ক অবস্থায় বের হয়ে এসে জ্যাককে দেখতে পায় এবং জ্যাক তাকে দেখে নিষ্পৃহ কণ্ঠে বলে ওঠে, আমি, এম তাহার। নানির জন্য একটা মুরগি নিতে এসেছি।

লোকটা বলে, ও তুমি! আমি ভাবলাম চোর ডাকাত কি না। বলেই লোকটা ভেতরে চলে যায়। উঠোন আবার অন্ধকারে ডুবে যায়। এবার জ্যাক দৌড়ানো শুরু করে, হাতের মধ্যে মুরগিটা ছটফট করতে থাকে। হলরুমের দেয়াল আর সিঁড়ির ধাপের সঙ্গে বাড়ি খেতে থাকে। হাতের মধ্যে মুরগিটার ঠাণ্ডা, মোটা এবং ক্রমহ্রস্ব পাদুটো নিয়ে জ্যাক আরও দ্রুত দৌড়াতে থাকে। হলরুম পার হয়ে বীরের মতো ভঙ্গিতে ঢুকে পড়ে খাবার ঘরে। দরজায় দাঁড়ানো জ্যাকের চুল উস্কোখুস্কো, উঠোনের শ্যাওলা লেগে হাঁটুর কাছে সবুজ হয়ে গেছে, মুরগিটাকে যতদূর সম্ভব নিজের শরীর থেকে দূরে ধরে আছে। তার মুখটা ভয়ে ফ্যাকাশে। জ্যাকের বড় ভাইকে শুনিয়ে নানি বললেন, দ্যাখ, ও তোর চেয়ে ছোট। কিন্তু ওর সাহসের প্রমাণ দিয়ে তোকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। নানি মুরগিটা নিজের হাতে নিয়ে শক্ত করে ধরার আগ পর্যন্ত নিজের গর্বে নিজেকে ভালো করে প্রদর্শনের চেষ্টা করতে থাকে জ্যাক। মুরগিটা এবার হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়। মনে হয় বুঝতে পারে, এবার আর কোনো রক্ষা নেই। নির্মম এবং সর্বশেষ হাতে এসে পড়েছে বলে। জ্যাকের ভাই নিরবে ফলার খেতে থাকে। মাঝে দু-একবার জ্যাকের দিকে তাকায় শুধু ভেংচি কাটার জন্য। তাতে জ্যাকের গর্ব এবং সন্তুষ্টি আরও বেড়ে যায়। তবে সেই সš‘ষ্টি খুব সংক্ষিপ্ত হয়। নাতিদের মধ্যে সাহসী হিসেবে একজনকে পাওয়া গেছে দেখে নানি জ্যাককে রান্না ঘরে ডাকেন মুরগিটা জবাই করার কাজে তার সঙ্গে হাত লাগাতে। তিনি ততক্ষণে ঢিলাঢালা এবং বড় একটা নীল রঙের অ্যাপ্রোন পরে নিয়েছেন। মুরগিটা এক হাতে শক্ত করে ধরে আরেক হাত দিয়ে মেঝেতে একটা মাটির গামলা রাখলেন। তার হাতে রান্নাঘরের একটা ছুরি। আর্নেস্ট মামা ওই ছুরিটাতে মাঝে মাঝে একটা লম্বা কালো পাথরের ওপর ঘষে ধার দিয়ে রাখেন। নানি জ্যাককে বললেন, ওই পাশে যা। জ্যাক রান্নাঘরের অপর প্রান্তে গিয়ে দাঁড়ালে নানি দরজার দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালেন। মনে হলো, তিনি জ্যাকের এবং মুরগিটার পথ আটকে দাঁড়িয়েছেন। পেছনের দিকে সিঙ্ক আর বামপাশে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দুরু দুরু বুকে জ্যাক উৎসর্গকারীর সুনিশ্চিত নড়াচড়া দেখতে থাকে। একটা কাঠের টেবিলের ওপরে রাখা বাতিটার নিচে প্লেটটা এগিয়ে রাখলেন নানি। মুরগিটা মাটিতে শুইয়ে দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে তিনি মুরগির পা শক্ত করে ধরলেন যাতে ঝাঁপটাঝাঁপটি করতে না পারে। তারপর বাম হাত দিয়ে মাথাটা ধরে প্লেটের ওপরে নিয়ে এলেন। ধারালো ছুরি দিয়ে পুরুষ মানুষের যে জায়গাটাতে কণ্ঠমণি থাকে মুরগিটার ঠিক সেখানে ধীরে ধীরে কাটতে লাগলেন। মুরগির মাথাটা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে ভয়ংকর শব্দের সঙ্গে ছুরি চালালেন। প্রবল বেগে আক্ষেপরত মুরগিটাকে তখনও তিনি খুব শক্ত করে ধরে রেখেছেন। টকটকে লাল রক্ত গড়িয়ে গামলাটাতে পড়ছে। রক্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে জ্যাকের মনে হলো, তার নিজের রক্ত গড়িয়ে পড়ছে; ভয়ে পা কাঁপছে। নানি বললেন, গামলাটা সরিয়ে নিয়ে যা। জ্যাকের মনে হলো, নানি অনেক দীর্ঘ সময় পর কথা বলছেন। মুরগিটার রক্ত পড়া তখন বন্ধ হয়ে গেছে। জ্যাক গামলাটা সযত্নে টেবিলের ওপর রাখল। গামলার ভেতরের রক্ত ততক্ষণে গাঢ় লাল থেকে কিছুটা কালচে বর্ণ ধারণ করেছে। নানি মুরগিটা গামলার পাশে ধপাস করে রাখলেন। মুরগির পালক চকচকে বর্ণ হারিয়ে অনেকটা বিবর্ণ হয়ে গেছে। চোখের কোঁচকানো পাতা চোখের ওপরে বন্ধ হয়ে গেছে। জ্যাক মুরগিটার নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে থাকে: পায়ের নখগুলো কুঁকড়ে জড়ো হয়ে আছে। মাথার ঝুঁটিটা বিবর্ণ হয়ে শিথিল হয়ে গেছে। জ্যাক বুঝতে পারে, মৃত্যু হলো এই। তারপর সে খাবার রুমে চলে গেল।

চলবে

আগের পর্বগুলো পড়ুন

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি