আনসারদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ দফা
ছবি: সংগৃহীত
সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ফিরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৩ দফা দাবি রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই তিন দফা ঘোষণা করেন তারা।
দাবি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। সরকারের সব পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, শকুনদের বলে দিতে চাই, আজকের পর থেকে সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান করলে ছাত্র-জনতা দেখে নেবে।
তিনি বলেন, ৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কোনো কর্মসূচি দেইনি। কারণ এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের কয়েকদিন যেতে না যেতে অধিকার আদায়ের নামে যারা ভণ্ডামি করে সচিবালয় ব্লকেড করে, তারা স্বৈরাচারের দালাল। আমাদের ভাইদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। শকুনদের সাবধান করে দিতে চাই। আমার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়ালে আর অস্তিত্ব থাকবে না।
এদিকে, আনসার ও ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের পর সচিবালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন যমুনার আশপাশে যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণসহ নানা দাবিতে রোববাবর দুপুর থেকে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন আনসার সদস্যরা। এ সময় সেখানে আটকা পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। অবরুদ্ধ সমন্বয়কদের ছাড়াতে গেলে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।