রংপুরের কাছে হেরে মেজাজ হারালো তামিম
ছবিঃ সংগৃহীত
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তীরে গিয়ে তরী ডুবে ফরচুন বরিশালের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান।
বোলিংয়ে ছিলেন ক্যারিবীয় বোলার কাইল মায়ার্স। তার বলে নুরুল হাসান সোহান তিন ছক্কা আর তিন চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন। প্রথম পাঁচ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় সোহান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ২৪ রান। জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। সেই বলে ফের ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এই ম্যাচে হেরে গিয়ে মেজাজ হারান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ঠিক কী কারণে তিনি নিজের রাগ সংবরণ করতে পারেননি সেটি জানা না গেলেও, বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলছেন বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল।
ম্যাচ শেষে তামিমকে রংপুরের ড্রেসিংরুমে থাকা কারও সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়। এ সময় ম্যাচ জেতানো রংপুরের অধিনায়ক সোহানও তাকে থামাতে ছুটে যান। শেষপর্যন্ত বরিশালের একজন টিম ডিরেক্টর তামিমকে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। ওই সময় টিক কী ঘটেছিল এই প্রশ্ন করা হয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবালের কাছে। তামিমের বড় ভাই জানালেন, ‘ম্যাচ হারলে ইমোশনটা থাকে, সিরিয়াস কোনো কিছু না।’
অন্যদিকে, উত্তাপ ছড়ানো সেই পরিস্থিতিতে তামিমের পাশে ছিলেন রংপুর দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি কাছ থেকে দেখিনি। যাওয়ার পর বুঝতে পারব, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেছেন কাইল মায়ার্স। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।