শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব-৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সে বছর অক্টোবরের ১ তারিখে নতুন মোটা জুতা পরে টলোমলো পায়ে, খসখসে নতুন জামা পরে, বার্নিস আর চামড়ার গন্ধভরা ভারী ব্যাগ কাঁধে নুয়ে পড়ে যখন জ্যাক সামনে তাকাল দেখতে পেল, তার সামনে পিয়েরে এবং পিয়েরের সামনে বাঁকানো পিঠের চালক প্রথম গিয়ারের পাশে বসছে। ভারী মোটরযানটা বেলকোর্ট স্টপেজ পার হয়ে যাচ্ছে।

জ্যাক পেছনে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করে। তখন তার মা আর নানি কয়েক মিটার দূরে জানালার সঙ্গে হেলান দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। রহস্যময় ওই লিসের দিকে প্রথম যাত্রার সময় তাকে আরেকটু সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু জ্যাক তাদের ভালো করে দেখতে পেল না। কারণ তার সামনের লোকটা লা দিপিসে আলজিরিয়েনে পত্রিকার ভেতরের পাতা পড়ায় ব্যস্ত। সুতরাং সে সামনের দিকে ঘুরে দেখতে পেল, স্টিলের রেইলগুলো দৃষ্টির আড়ালে চলে যাচ্ছে, সেগুলোর উপরের ট্রলির তারগুলো সকালের ঠাণ্ডা হাওয়ার কাঁপছে।

বাড়ির দিকে পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে জ্যাক অনুভব করল, তার হৃদয়টা কেমন থমথমে হয়ে আছে। নিজের পাড়ার এই এলাকাটা ছেড়ে কখনও দূরে কোথাও যায়নি সে। বড়জোর শহরতলিতে গেলেও তারা বলত আলজিয়ার্সে যাচ্ছে। পিয়েরের ভ্রাতৃসুলভ কাঁধটা তার কাঁধের সঙ্গে লেগে আছে। তবু মনের আশঙ্কা দূর হচ্ছে না। নতুন জগত সম্পর্কে একাকীত্ব আর অস্বস্তির বোধটা লেগে আছে। নতুন জায়গায় কার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে জানা নেই তার।

আসলে উপদেশ দেওয়ার মতো কেউ তাদের ছিলও না। পিয়েরে এবং সে খুব তাড়াতাড়িই বুঝতে পারে, এখন তাদের নিজের মতো চলতে শিখতে হবে। এম বার্নার্ডকে জিজ্ঞেস করার মতো সাহসও তাদের হয়নি। কারণ লিসে সম্পর্কে তার নিজের কোনো কিছু জানা না থাকার কারণে তিনিও কিছু বলতে পারতেন না। আর বাড়িতে সবার মধ্যে অজ্ঞতার তো কোনো শেষ নেই।

জ্যাকের পরিবারের সবার কাছে ল্যাটিন বলে যে শব্দটা আছে তার কোনো অর্থই নেই। তাদের কাছে কল্পনায় প্রাচীনকাল বলতে যা বোঝায় সেটাই শুধু পরিষ্কার। কারণ তাদের মধ্যে কেউ ফরাসি ভাষাও বলতে পারে না। তাদের কাছে সভ্যতা কথাটারও কোনো অর্থ নেই। ভাষা আর আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সভ্যতার ভেতরের মানুষরা একে অন্যের সঙ্গে এগিয়েছে সেরকম কোনো সত্য তাদের কাছে পৌঁছেনি। দৈনন্দিন কথাবার্তার মধ্য দিয়ে অর্জিত কোনো চিত্রকল্প, লিখিত কোনো জিনিস, মুখের কোনো কথা কিংবা সংস্কৃতির কোনো প্রলেপ— কোনোটাই তাদের কাছে পৌঁছেনি। বড় হয়ে জ্যাক কিনে নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত তাদের বাড়িতে কোনো খবরের কাগজ আসত না। কোনো বইপত্র ছিল না। রেডিও ছিল না। সরাসরি কাজে লাগে এমন জিনিস ছাড়া আর কিছুই ছিল না তাদের বাড়িতে। নিকট আত্মীয়রা ছাড়া আর কেউ তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসত না। তাদের পর্যায়ের নিকট আত্মীয় ছাড়া তারাও অন্য কোথাও বেড়াতে যেত না। লিসে থেকে জ্যাক কিছু নিয়ে এলে বাড়ির অন্যরা সেটার কোনো অর্থ বুঝতে পারত না। সুতরাং সবার সঙ্গে তার দূরত্বও বাড়তে থাকে। লিসেতেও জ্যাক তার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলতে পারত না। পরিবারের অদ্ভূত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মুখে কিছু না বলতে পারলেও সে ভেতরে ভেতরে ঠিকই বুঝতে পারত। এমন কি ওই দুর্লঙ্ঘ স্বল্পভাষিতাকে জয় করতে পারলেও পরিবারের বিষয়ে তার ঠোঁট যেন আটকা পড়েই থাকত।

যে জিনিসটা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রেখেছিল সেটা আসলে শ্রেণিগত পার্থক্য নয়। কল্পনা, দ্রুত সম্পদলাভ এবং নয়নাভিরাম পতনের এই দেশে শ্রেণিবৈষম্য ততটা সুস্পষ্ট ছিল না যতটা ছিল জাতিবৈষম্য। তাদের মধ্যে যারা আরবদের সন্তান তাদের অনুভূতি ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি তিক্ত এবং বেদনাদায়ক। যদিও তাদের ক্লাসের বন্ধুদের অনেকেই আরব বংশোদ্ভূত ছিল লিসেতে তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। আর লিসেতে যারা আরব বংশের ছিল তারা প্রায় সবাই ছিল ধনী এবং নামকরা পরিবারের। ওখানে পিয়েরের অবস্থান থেকে জ্যাকের অবস্থানও আলাদা ছিল। কারণ তাদের পরিবারের অদ্ভূত পরিচিতি আরও বেশি প্রকট ছিল। প্রচলিত মূল্যবোধ আর গতানুগতিকতার সঙ্গে তার পরিবারকে মেলানো তার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল। বছরের শুরুতে যে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হতো সেগুলোর উত্তরে সে অবশ্য বলতে সক্ষম হয়েছিল, তার বাবা যুদ্ধে মারা গেছেন। সমাজে সেটা অবশ্য একটা মর্যাদার ব্যাপারই ছিল এবং সে সবাইকে বুঝিয়ে দিতে পারত, সে আসলে জাতির ছাত্র। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় আরও পরে। ছাপার একটা ফরম পুরণ করতে দেওয়া হয় তাদের। সেখানে একটা জায়গায় পিতামাতার পেশা বলে একটা জায়গা পূরণ করতে গিয়ে কী লিখবে বুঝতে পারে না জ্যাক। মায়ের পেশা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রথমে জ্যাক লিখল ‘গৃহিনী’। আর পিয়েরে লিখল ‘পোস্ট অফিসের কর্মচারী’। পিয়েরে বুঝিয়ে বলল, গৃহিনী কোনো পেশার নাম হয় না; এতে বুঝায় তিনি নিজের বাড়িঘর দেখা শোনা করেন এবং নিজের বাড়ির কাজ করেন।

জ্যাক বলল, না। মা তো অন্য লোকের বাড়ির কাজ করেন, বিশেষ করে রাস্তার ওপারের দোকানদারের বাড়ির কাজ।
কিছুটা দ্বিধা নিয়ে পিয়েরে বলল, ঠিক আছে; তাহলে লিখতে পারো ‘গৃহকর্মী’।

এই কথাটা জ্যাকের মনেই আসেনি কখনও। কারণ তাদের বাড়িতে এই বিরল শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি। কাজেই বাড়ির কারো মনেই হয়নি, তার মা অন্য লোকের বাড়িতে কাজ করছেন। তাদের মনে হয়েছে, তিনি প্রথমত তার সন্তানদের জন্য কাজ করছেন। জ্যাক প্রথমে ওই শব্দটাই লিখতে শুরু করল, তারপর থেমে গেল। হঠাৎ করেই লজ্জা কাকে বলে উপলব্ধি করতে পারল। লজ্জিত হওয়ার লজ্জা অনুভব করল জ্যাক।

কোনো শিশু তার নিজের পরিচয়ে পরিচিত নয়। তার বাবা মায়ের পরিচয়ে পরিচিত। তাদের মাধ্যমেই সে পৃথিবীর কাছে সংজ্ঞায়িত হয়ে থাকে। জ্যাকের মনে হতে থাকে, বাবা মায়ের মাধ্যমেই তার সত্যিকারের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। এরকম মূল্যায়ন বিচারের মতো মনে হয়। সে বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো রকম আবেদন করার সুযোগ থাকে না। চারপাশের জগত এরকম বিচার করতে পারে— এই প্রথম সে জানতে পারে। এই আবিষ্কারের পর তার মনে হতে থাকে, তার নিজের বিচারের সঙ্গে বাইরের জগতের এই বিচারের সাংঘর্ষিক একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে জানতে পারেনি, বড় হয়ে যাওয়ার পরে কেউ যদি এই অশুভ অনুভূতি চিনতে না পারে তাহলে তার দোষের কিছু থাকে না। কারণ বড় হয়ে যাওয়ার পরে পরিবারই তখন তার পরিচয়ে পরিচিত হয়ে থাকে।

কিন্তু জ্যাক ইতোমধ্যে যে সত্য আবিষ্কার করেছে সেটার কষ্ট থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পবিত্রতার দিক থেকে বিরল এবং বীরত্বপূর্ণ একটা হৃদয় থাকা চাই। তার নিজের স্বভাব সম্পর্কে তার দুর্ভোগ তার কাছে যে সত্য আবিষ্কার করে ফেলেছে সে সত্যের প্রতি লজ্জা এবং ক্ষোভ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাওয়াটাই তার জন্য অসম্ভব রকমের এক অপমানের ব্যাপার হয়ে যাবে। এরকম কোনো গুণ তার মধ্যে নেই। বরং তার মধ্যে আছে একটা কঠিন এবং নিম্নস্তরের একগুঁয়েমি। তার ফলে সে ওই ফরমে মায়ের পেশা সম্পর্কে গৃহকর্মী কথাটা কঠিন হাতে লিখতে পারে এবং মনিটরের কাছে নিয়ে যেতে পারে। তবে তিনি জ্যাকের ফরমটার দিকে নজর দিয়েও দেখলেন না। এরকম পরিস্থিতিতে জ্যাকের একটুও মনে হয়নি, তার পরিবারের কিংবা তার নিজের জীবনের কোনো অবস্থা অন্য রকম হলে ভালো হতো। বরং তার মায়ের অবস্থান যেমন আছে তেমনটিই তার সবচেয়ে প্রিয়। জগৎজুড়ে আর কোনো কিছুই তার মায়ের প্রতি ভালোবাসার সমকক্ষ হতে পারে না। হোক না মায়ের প্রতি তার ভালোবাসায় অনেক হতাশা আছে, তাতে কী। তাছাড়া, কোনো শিশু ঈর্ষান্বিত না হয়ে মাঝে মধ্যে লজ্জিত বোধ করতে পারে—সে কথা কী করেই বা পরিষ্কার করে বোঝানো যায়?

চলবে…

আগের পর্বগুলো..

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা