শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি

লটারিতে পুরস্কারজয়ী দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ‘আবুধাবি বিগ টিকিট র‍্যাফেল ড্র’-এর সাপ্তাহিক ই-ড্রতে দেড় লাখ দিরহাম করে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বিজয়ী দুইজনই কাতার ও ওমানে কর্মরত আছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) জানিয়েছে, ওমান ও কাতারে অবস্থানরত এই দুই প্রবাসী বিগ টিকিটের সাপ্তাহিক ই-ড্রয়ে প্রত্যেকে দেড় লাখ দিরহাম করে পুরস্কার পেয়েছেন।

পুরস্কার জয়ীদের একজন, মিনহাজ চৌধুরী, গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওমানে বসবাস করছেন। বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছেন। পরে জানতে পারেন, এটি সাপ্তাহিক ড্রয়ের পুরস্কার। তারপরও তিনি দারুণ আনন্দিত। মিনহাজ বলেন, "ই-মেইল পাওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছিলাম। যদিও এটি গ্র্যান্ড প্রাইজ ছিল না, তবে আমার কাছে এটি বড় স্বপ্নের প্রথম ধাপ।"

চার বছর ধরে টিকিট কিনে আসা মিনহাজ জানান, তিনি ১০ জন বন্ধুকে নিয়ে একসঙ্গে টিকিট কেনেন। পুরস্কারের অর্থ দিয়ে নতুন বাড়ি নির্মাণ এবং একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। মিনহাজ আরও বলেন, "আমি কখনো ভাবিনি যে জিতব, কিন্তু অবশেষে জয়ী হতে পেরেছি।"

অন্য বিজয়ী হলেন কাতারে কর্মরত ২৯ বছর বয়সী রবিউল হাসান, যিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রায় আট বছর ধরে কাতারে গাড়ি চালকের কাজ করছেন। প্রায় তিন বছর আগে ফেসবুকে বিগ টিকিটের বিজ্ঞাপন দেখে টিকিট কেনার প্রতি আগ্রহী হন এবং এরপর চার বন্ধুর সঙ্গে মিলে টিকিট কিনতে শুরু করেন।

বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে রবিউল হাসান আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, "এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। উত্তেজনায় আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম।" রবিউল জানান, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে পারেননি। এবার পুরস্কারের অর্থ দিয়ে তিনি পরিবারকে সময় দেবেন এবং পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করতে চান।

প্রসঙ্গত, আবুধাবি বিগ টিকিট র‍্যাফেল ড্রয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন বিজয়ী দেড় লাখ দিরহাম করে পুরস্কার পান। এপ্রিল মাসে যেসব টিকিট কেনা হয়েছে, সেগুলো এই সাপ্তাহিক ড্রয়ের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনার পর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে একাধিকবার গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে আতঙ্কিত ভারতীয়রা বাঙ্কার পরিষ্কার ও প্রস্তুত করে সেগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জম্মু-কাশ্মিরের পুঞ্চ বিভাগে পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত। বিশেষ করে সালোত্রি গ্রামে গোলাগুলির পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এখানকার বাসিন্দারা সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে মাটির ১০ ফুট নিচে তৈরি শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তানি সেনারা ছোট অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সালোত্রির এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা সীমান্ত এলাকায় বাস করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের জন্য যেসব বাঙ্কার নির্মাণ করেছেন, সেগুলো খুবই শক্তিশালী ও নিরাপদ। এ ধরনের হামলার সময় আমরা এসব বাঙ্কারে আশ্রয় নিই।"

তিনি আরও বলেন, "পেহেলগামে নিরীহ হিন্দু ভাইদের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত কাপুরুষোচিত। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া প্রয়োজন। ভারতীয় সেনারা জবাব দেবে, আর আমরা নিরাপদ স্থানে থেকে প্রস্তুত থাকবো।"

উল্লেখ্য, কারগিল যুদ্ধের সময় হুন্দারমান গ্রামের ২১৭ বাসিন্দা একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা এখনো সেই বাঙ্কারটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে সালোত্রি গ্রামে তখন কোনো বাঙ্কার ছিল না। বর্তমানে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নিজ গ্রামেই নিরাপদ বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এবং শেষ হয় রাত ৭টা ২০ মিনিটে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন: স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব ও সাবেক সরকারি সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর পেং জিউবিনের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন: আইডিসিপিসির উপপরিচালক চেন জুয়ানবো, তৃতীয় সচিব চেন ইয়াংপেই, কর্মকর্তা ঝাং গুইউ, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং সংযুক্ত কর্মকর্তা লিউ হংরু।

বিএনপির বৈঠকের আগে একই স্থানে চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

 

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ন্যায্য সম্পর্ক চাওয়া হলেও আওয়ামী লীগ ভারতের এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড়ের চৌরঙ্গী মোড়ে গণঅধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর বলেন, “গত ১৬ বছরে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গেলেও আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিবাদ করেনি। মোদি সরকারের মন্ত্রীরা পর্যন্ত নির্লজ্জভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আজ এ দেশের জনগণের প্রতিরোধের মুখে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম গ্রহণ করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেনি, ভারতীয় আধিপত্যবাদও উচ্ছেদ হয়েছে। আওয়ামী লীগের আর বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই। তাদের সঙ্গে কোনো আপসও হবে না।”

নুর আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের শাসনামলে লুটপাট, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি চলেছে। এখনো ট্রাক স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।”

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, “সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের জন্যই বিগত ১৬ বছরে জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। এখন সময় এসেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা ও তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, জাগপা, বাংলাদেশ জাসদ ও গণসংহতি আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশের শেষ পর্যায়ে নুরুল হক নুর আগামী সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে দলটির প্রার্থী হিসেবে মাহাফুজুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ