শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস র্পব-৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান

এখন জ্যাকের শ্বাস নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। প্রথম পর্যায়ের অন্ধকারের প্রবাহ থেমে গেছে। জোয়ার ভাটার মতো এই প্রবাহ। পেছনে ফেলে গেছে তারার মেঘ। সারা আকাশ ছেয়ে আছে তারায় তারায়। এখন শুধু মোটরের বিকট শব্দ বিরক্তি ঘটাচ্ছে। পশু-খাদ্যের বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর মুখটা স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে সে। লোকটা তার বাবাকে চিনত। জ্যাকের বাবার চেহারা আবছা আবছা মনে আছে তার। লোকটা বার বার বলছিল, কথা বলতেন না। একদম কথা বলতেন না তিনি।

তবে হট্টোগোলের কারণে জ্যাকের চিন্তাশক্তি রহিত হয়ে যাচ্ছে; এই হট্টোগোল তাকে এক অসাড় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে; বাবার চেহারাটা মনে আনার চেষ্টা করেও পারছে না। অনেক কল্পনা খাটিয়েও বাবাকে স্পষ্টরূপে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এই বিশাল এবং বৈরী দেশে নিরাকার হয়ে যাচ্ছেন। গ্রাম এবং সমতলভূমির অনামি ইতিহাসের মধ্যে তিনি গলিত হয়ে মিশে গেছেন। প্যারিসের বসতি স্থাপনকারীদের সলফেরিনোতে আনা হয়েছিল বজরায় করে। ওইসব বজরার মতোই ডাক্তারের ওখানে শোনা কথাবার্তার রেশ যেন ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফিরে আসছে জ্যাকের মনে। তখন এদিকে কোনো ট্রেন ছিল না। একটা ট্রেন ছিল; শুধু লিয়নের দিকে যাতায়াত করত। বাছাই করা ঘোড়া দিয়ে টেনে নেওয়া হতো বজরাগুলো। নগরের পিতলনির্মিত বাদ্যযন্ত্র ব্যাবহারকারী বাদকদল ‘মার্সে’ এবং ‘চান্ট ডু ডিপার্ট’ বাজাত। বজরার যাত্রীরা কোনো এক যাদু বলে যে গ্রামের পত্তন করবে এমন একটা গ্রামের নাম লেখা ব্যানার হাতে সিন নদীর তীড়ে দাঁড়িয়ে একজন যাজক তাদের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করত, খোদা আপনাদের দায়িত্ব নেবেন।। ততক্ষণে বজরা যাত্রা শুরু করেছে; প্যারিস পেছনের দিকে সরে যেতে যেতে এক সময় অদৃশ্য হয়ে যেত। যাত্রীদের মধ্যে যাদের আত্মিক শক্তি প্রবল, যারা মনের দিক থেকে সবার চেয়ে শক্ত তারাও প্রচণ্ড রকমের দমে যেত, নিশ্চুপ হয়ে থাকত। তাদের শক্তিতে ভর করেই তাদের স্ত্রীরা ভরসা পেত। বজরার খোলে বিছানো খসখসে খড়ের মধ্যে তাদের ঘুমাতে হতো; চোখ বরাবর ময়লা পানির দৃশ্য। পোশাক বদলের সময় নারীরা পালাক্রমে বিছানার চাদরের আড়াল তৈরি করত। ওইসবের ভেতর তার বাবার অস্তিত্ব কোথায় জ্যাক বুঝে পায় না। কোথাও না। তবু বজরাগুলো শ খানেক বছর আগে শরতের শেষে খানাখন্দ, নালা পার হয়ে এগিয়ে যেত। মাসের পর মাস ধরে গাছের শেষ পাতার জমাট হয়ে থাকা ছোট বড় নদী পার হয়ে যেত। বাদাম আর উইলো গাছ সামনের দিকে হাতছানি দিয়ে ডেকে নিয়ে যেত। শহরাঞ্চলে পৌঁছুলে দামামা বাজিয়ে তাদের স্বাগত জানানো হতো। তাদের সঙ্গে আরও কোনো বজরা যোগ হতো আরো সব যাত্রী নিয়ে। সবারই গন্তব্য অজানা দেশ। বয়সী মানুষের এলোমেলো যে তথ্য সে সংগ্রহ করতে এসেছিল তার চেয়ে বরং সবার কাছ থেকে শোনা তথ্যে জ্যাক দেখতে পায়, সবাই তাকে সেন্ট ব্রিউকে মারা যাওয়া অল্প বয়সী এক যুবকের কথা বলে।

মোটর এখন গতি বদল করছে। রাতের ঘন অন্ধকারের পিণ্ডগুলো, রাতের স্থানচ্যুত তীক্ষ্ণ ফলার মতো টুকরোগুলো এখন কাবিলিয়ার উপরে। দেশের এই হিংস্র এলাকাটার দিকে, এই রক্তাক্ত এলাকাটার দিকেই যাত্রা করেছিল তার পূর্বপুরুষেরা একশ বছর আগে। ’৪৮ সালের শ্রমজীবি মানুষেরা একটা প্যাডেল করা চাকাঅলা বজরায় গাদাগাদি অবস্থায় যাত্রা করেছিল। ডাক্তার বলেছেন, বজরাটার নাম ছিল লাব্রাডর। কল্পনা করতে পারো, লাব্রাডর মশা আর সূর্যের আধিপত্যের এলাকায় যাবে? একদিকে লাব্রাডরের চাকার ব্লেড ঘুরতে ঘুরতে ঠাণ্ডা পানিতে ফেনা তুলছে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা বাতাস সেখানে ঝড়ের পাঁয়তারা খুঁজছে। বজরার পাটাতন পাঁচ দিন পাঁচ রাত বিধৌত হয়েছে গোলার্ধের বাতাসে। আর বিজেতারা বজরার খোলে মৃতপ্রায় অসুস্থ অবস্থায় একে অপারের গায়ে বমি করতে করতে মরে যেতে উদ্যত। অবশেষে সকলেই তারা বন বন্দরে পৌঁছে। বন্দর তাদের স্বাগত জানাতে সংগীতের আয়োজন করেছে। ইউরোপের রাজধানী থেকে ততক্ষণে স্ত্রী সন্তানদের এবং পোটলাপুটলি যার যা ছিল সব নিয়ে তারা যেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পাঁচ সপ্তাহের দীর্ঘ ভ্রমণে বহুদূর এই দূরবর্তী নীলাভ পটভূমির দেশে চলে এসেছে। এসেই মুখোমুখি হয়েছে সার, মসলা আরও কত কিছুর।

জ্যাক তার আসনে পাশ ফিরল। আধো ঘুমে জ্যাক বাস্তবে না দেখা বাবাকে স্বপ্নে দেখল। বাবার উচ্চতা সম্পর্কেও তার কোনো ধারণা নেই। স্বপ্নে দেখল, বাবা অন্যান্য অভিবাসীদের মাঝে বন বন্দরে দাঁড়িয়ে আছেন। কপিকলের গুড়ি দিয়ে সবার জিনিসপত্রের যা কিছু টিকে আছে সেসব তুলে ধরা হচ্ছে। এরপর খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলো সবার মাঝে। বাবা খুব দৃঢ়চিত্তে ভাবগম্ভীর চেহারায় দাঁতে দাঁত আটকে দাঁড়িয়ে আছেন। যে রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে এই রাস্তা ধরেই প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওয়াগনে চড়ে এরকম একই শরতের আকাশের নিচে তিনি বন থেকে সলফেরিনো গিয়েছিলেন, তাই না? তবে অভিবাসীদের জন্য সেরকম কোনো রাস্তা আসলে ছিল না। নারী এবং শিশুদের সেনাবাহিনীর অস্ত্রের গাড়িতে এবং পুরুষদের পায়ে হেঁটে জলাপূর্ণ সমতলভূমি কিংবা কণ্টকিত ঝোপঝাড় পার হতে হয়েছে কিছুদূর পর পর দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আরব পাহারাদারদের কড়া চোখের নজরদারির অধীনে। অভিবাসীদের সঙ্গী বলতে ছিল অবিরত ঘেউ ঘেউ করে যাওয়া কাবিলে কুকুরের দল। চল্লিশ বছর আগে তার বাবাও ওই দলের সঙ্গে দিনের শেষে পৌঁছেছিলেন ওই দেশেরই একটা এলাকায়। সেখানে চারপাশে দূরে দূরে পাহাড় পর্বত; কোথাও জনবসতি ছিল না, কোথাও একখণ্ড আবাদী জমি ছিল না; শুধু মাঝে মাঝে মেটে রঙের সামরিক তাবু চোখে পড়েছিল তাদের। বিশাল ফাঁকা জায়গা ছাড়া আর কিছু চোখের সামনে ছিল না। তাদের মনে হয়েছিল, জগতের শেষ প্রান্তে এসে গেছে তারা। ফাঁকা আকাশ আর বিপদসঙ্কুল ভূমির মাঝখানে আর কিছু দেখতে পায়নি তারা। ক্লান্তি, ভয় আর হতাশায় নারীরা সারারাত কান্নাকাটি করে কাটিয়েছে।

সেই একই রকম রাতে একটা হতভাগা বৈরী জায়গায় পৌঁছনো; সেই মানুষগুলোই, তারপর তারপর...,নাহ, বাবা সম্পর্কে জ্যাক আর কিছু জানে না। তবে শুধু এরকমই শুনেছে, তারা সবাই সৈনিকদের হাসি তামাশার সামনে নিজেদের একত্রিত করতে এবং তাঁবুতে বসতি স্থাপন করতে পেরেছে। বাড়িঘরের প্রসঙ্গ পরে এসেছে। বাড়িঘর তৈরি করতে হয়েছে; জমি ভাগাভাগি হয়েছে; কাজ করতে হয়েছে। হ্যাঁ কাজই তখন পবিত্র কর্ম ছিল নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য। ভেইলার্ড বলেছে, তারা কাজ করতেও পারেনি ঠিক মতো। কারণ বৃষ্টি, আলজেরিয়ার কঠিন বৃষ্টি ঝড়েছে একটানা আট নয় দিন। ব্যাপক বৃষ্টি পতনের যেন কোনো শেষ ছিল না। গোটা সেবাউস প্লাবিত হয়েছে। তাঁবু পর্যন্ত পানি উঠেছে। তারা বাইরে বের হতে পারেনি। যেখানে সেখানে তৈরি আবর্জনাপূর্ণ বড় বড় তাঁবু বিরামহীন অশেষ বৃষ্টির নিচে অনুরণন তুলতে থাকে। ভেতরের আবদ্ধ অবস্থার দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা ফাঁপা নল খাগড়া কেটে নালার মতো ব্যবহার করতে থাকে যাতে তাদের শরীরিক বর্জ্য ভেতর থেকে বাইরে বের করে দিতে পারে। বৃষ্টি থামলে শেষে তারা ছুতারের আদেশ অনুসারে হালকা পলকা ঘরবাড়ি তৈরি করতে কাজে বের হয়।

ভেইলার্ড হাসতে হাসতে বলেছে, আহা, সহজ সরল মানুষগুলো। বসন্তকালে তাদের বাড়িঘর তৈরির কাজ শেষ করে। তারপরই তারা কলেরার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। আমার বুড়ো বাবার কথা যদি বিশ্বাস করি তাহলে বলতে পারি, আমাদের পূর্বপুরুষ যিনি ছুতার ছিলেন এভাবেই তিনি তার স্ত্রী এবং মেয়েকে হারান। তারা ওই ভ্রমণে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

এদিক ওদিক পদচারণা করতে করতে বৃদ্ধ তবে টান টান শরীরের ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, তারা গড়ে দিনে দশ জনের মতো মারা গেছে। গরমের মৌসুম আগে আগেই শুরু হয়ে যায়। আর তারা সবাই কুঁড়ে ঘরগুলোতে তাপে ভাজা ভাজা হতে থাকে। স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যাপার, কী বলব আর...,সব দিক থেকে তারা দিনে দশ জন করে মারা যায়।

চলবে...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা