শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব-৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বস,আমরা এখন কী করব?
আমি যদি তোমার জায়গায় থাকতাম তাহলে গেরিলায় যোগ দিতাম। ফ্রান্সে আর একটা লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কৃষক হেসে ফেলে বলল, কী রকম ভোতাবুদ্ধি, তাই না?
জ্যাক বলল, তারা আপনার সঙ্গে থাকেন?

না, তিনি আলজেরিয়া সম্পর্কে একটা কথাও শুনতে চাননি। তিনি মার্সেইতে একটা আধুনিক অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। মা আমার কাছে চিঠিতে লিখেছেন বাবা তার রুমের চারপাশে হাঁটাহাঁটি করেন।
আর আপনি?

ওহ, আমি তো থেকেই গেলাম। শেষ পর্যন্ত যা-ই ঘটুক আমি থেকেই গেলাম। আমার পরিবার আলজিয়ার্সে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি এখানেই বুড়ো ব্যাঙের মতো কর্কশ স্বরে ডাকতে থাকব। যারা প্যারিসে আছে তারা এটা বুঝতে পারে না। আমরা ছাড়া আর কারা বুঝতে পারে? আরবরা।

ঠিক বলেছেন। আমরা উভয়ই যেন একে অপরকে বুঝতে পারি শুরু থেকেই। মানুষের একই রক্ত নিয়ে বোকারা আর নির্বোধেরা আমাদের পছন্দ করে। আমরা একে অন্যকে আরো কিছুদিন হত্যা করতে থাকব। একজন আরেকজনের বিচি কাটতে থাকব; একজন আরেকজনের ওপর অত্যাচার করতে থাকব। তারপর আমরা একসঙ্গে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ফিরে যাব। দেশটা সেরকমই চাই। আরেকটু রস? হালকা একটু। আরেকটু পরে তারা দুজনই বাইরে বের হয়ে এলো। জ্যাক জিজ্ঞেস করল তার বাবা মাকে চিনতে পারে এমন কেউ আছে কি না। ভেইলার্ড বলল, না। যে বৃদ্ধ ডাক্তার তাকে পৃথিবীর আলোতে নিয়ে এসেছিলেন এবং পরে সলফেরিনোতেই অবসরে গেছেন তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। সেইন্ট আপোর্ত্রের সম্পত্তি দুবার হাত বদল হয়েছে। দুটো যুদ্ধে আরবের কর্মজীবি লোকেরা সবাই মারা গেছে; আরো কত জনের জন্ম হয়েছে। ভেইলার্ড বলেই চলল, এখানে সবকিছু বদলে যায়। পরিবর্তন খুব দ্রুত ঘটে। আর মানুষেরাও সব ভুলে যায়। তবে সেইন্ট আপোর্ত্রের খামারের কেয়ারটেকার তামজাল কিছু জেনে থাকতেও পারে। ১৯১৩ সালে তার বয়স বিশের কাছাকাছি ছিল। জ্যাক সিদ্ধান্ত নেয় যে করেই হোক তার জন্মস্থানটা দেখতে যাবে সে।

শুধু উত্তর দিক ছাড়া দেশটার বাকি সবদিক দূরবর্তী পাহাড় পর্বতে ঘেরা। দুপুরের রোদের তাপে পাথরের বড় বড় স্তুপ কিংবা উজ্জ্বল ঘন কুয়াশার মতো সেগুলোর চেহারা আবছা আবছা দেখা যায়। পাহাড়গুলোর মাঝখানে উত্তরে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সূর্যের তাপে সাদা হয়ে যাওয়া আকাশের নিচে এক সময়ের জলাপূর্ণ সাইবুজ সমতল ভূমি। সেখানকার সারিবদ্ধ আঙুরের গাছগুলোর পাতা কপার সালফেটে নীলাভ হয়ে গেছে। আর আঙুরগুলো ইতোমধ্যে গাঢ় রং ধারণ করেছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় সাইপ্রেস কিংবা ইউক্যালিপটাসের ঝাড়, নিচের বাড়ি ঘরগুলো ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে। খামারের ভেতর দিয়ে হাঁটা পথে এগোচ্ছে জ্যাক এবং ভেইলার্ড। তাদের পায়ের নিচ থেকে লাল রঙের ধূলা উড়ে যাচ্ছে। পাহাড় পর্যন্ত সারাটা পথ বাতাস মরিচীকার মতো কাঁপছে। সূর্যের তাপ ঢেউ খেলে যাচ্ছে। সাধারণ গাছপালা গুচ্ছের পেছনে একটা বাড়িতে যখন তারা পৌঁছে তাদের শরীর থেকে ঘাম চুইয়ে পড়তে থাকে। আড়ালে কোথা থেকে যেন একটা কুকুর রাগান্বিত স্বরে ঘেউ ঘেউ করে তাদের স্বাগত জানায়।

প্রায় ভাঙা একটা ঘরের তুঁতকাঠের তৈরি দরজাটা যত্নে করে বন্ধ করা। ভেইলার্ড দরজায় টোকা দিলে কুকুরটা আগের মতোই চিৎকার দিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। ঘরের অন্য পাশের ঘেরা দেওয়া উঠোন থেকে মনে হয় শব্দটা আসছে। কিন্তু কারও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভেউলার্ড জ্যাককে বলে, কী রকম বিশ্বাসী আমরা একে অপরের প্রতি! লোকজন আছে। কিন্তু অপেক্ষা করছে।
ডাক ছেড়ে বলল সে, তামজাল, আমি ভেইলার্ড।

এরপর জ্যাককে উদ্দেশ করে বলল, ছয় মাস আগে তার জামাতার খোঁজে লোক এসেছিল। তারা জানতে এসেছিল, সে গেরিলাদের কোনো কিছু সরবরাহ করছে কি না। তাকে নিয়ে যাওয়ার পরে তার সম্পর্কে আর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। পরে লোকজন তামজালকে বলেছে, হয়তো পালাতে গিয়ে সে মারা পড়েছে।

জ্যাক বলল, আহ্ কী ভয়াবহ কথা! সে কি আসলেই গেরিলাদের সরবরাহকারী ছিল?
কী জানি; হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। যুদ্ধের সময় আর কী-ই বা আশা করা যায়। তবে এ থেকে বোঝা যায়, এই আতিথেয়তার দেশে কী কারণে দরজা খুলতে দেরি হয়।

ঠিক তখনই দরজা খুলে গেল। তামজাল বের হয়ে এল। ছোটখাটো শরীরের একজন মানুষ; মাথায় চারপাশে ছড়ানো একটা হ্যাট, জোড়াতালি দেওয়া একটা ওভারল। ভেইলার্ডের দিকে হাসি দিয়ে জ্যাকের দিকে তাকাল।
ভেইলার্ড পরিচয় করিয়ে দিল, একজন বন্ধু।
তামজাল বলল, ভেতরে আসুন; আপনারা চা খাবেন।
তামজালের তেমন কিছু মনে নেই। হ্যাঁ, হতে পারে: তার এক চাচার মুখে একজন ম্যানেজারের কথা শুনেছে। তিনি নাকি যুদ্ধের পরে কয়েক মাস এখানে ছিলেন।
জ্যাক বলল, যুদ্ধের আগে।
হ্যাঁ, আগেও হতে পারে; সেটাও সম্ভব। তার বয়স তো তখন খুব অল্প ছিল। যা-ই হোক তার বাবার কী হয়েছিল?
তিনি যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন। তামজাল বলল, কপালের লিখন; তবে যুদ্ধ জিনিসটা খুব খারাপ।
ভেইলার্ড বলল, যুদ্ধ সব সময়ই চলছে। তবে মানুষ খুব তাড়াতাড়িই শান্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। কাজেই তাদের মনে হয় এরকমটাই স্বাভাবিক আসলে কোনো যুদ্ধই অন্য সব স্বাভাবিক বিষয়ের মতো নয়।
পাশের ঘরে তার স্ত্রী অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে চায়ের ট্রে হাতে। তার কাছ থেকে ট্রেটা আনতে যেতে যেতে তামজাল বলল, যুদ্ধের সময় মানুষেরা ক্ষেপাটে হয়ে থাকে।
তারা আগুন গরম চা শেষ করে তামজালকে ধন্যবাদ দিয়ে কঠিন তাপের নিচে দগ্ধ আঙুর ক্ষেতের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া পথে বের হয়ে পড়ল।

জ্যাক বলল, আমি ট্যাক্সি নিয়ে সলফেরিনোতে যাচ্ছি। ডাক্তার সাহেব আমাকে দুপুরের খাবারে নিমন্ত্রণ করেছেন।
তার কথা শুনে ভেইলার্ড বলল, সঙ্গে আমি নিজেকে নিমন্ত্রণ করছি একটু অপেক্ষা করুন। সামান্য খাবার নিয়ে আসছি।

পরবর্তীতে আজিয়ার্সগামী বিমানে বসে জ্যাক প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে থেকে বাছাই করতে লাগল। আসলে সে সামান্য তথ্যই পেয়েছে। তার বাবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তেমন কোনো তথ্য নেই বললেই চলে। রাতটা অদ্ভুতভাবে যেন মাটির পৃথিবী থেকে পরিমাপযোগ্য ছন্দে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। অবশেষে রাত বিমানটাকে এমনভাবে গিলে ফেলছে যেন রাতের শরীরে স্ক্রু ড্রাইভারের মতো গেঁথে দেওয়া হচ্ছে বিমানটাকে। তবে রাতটা জ্যাকের অস্বস্তিতে যেন আরো কয়েক মাত্রা যোগ করে দিচ্ছে। কেননা নিজেকে সে দুভাবে আটক বলে মনে করতে থাকে: প্রথমত বিমানের মধ্যে, দ্বিতীয়ত রাতের অন্ধকারের মধ্যে। নিঃশ্বাস ফেলতেই তার কষ্ট হতে থাকে। আবারও সে জন্ম নিবন্ধনের খাতায় প্রত্যক্ষদর্শীদের নাম দেখে। দুটো ফরাসি নাম; এরকম নাম প্যারিসের বিভিন্ন সংকেতে দেখা যায়। তার বাবার আগমন এবং তার জন্ম সম্পর্কে বলার পর ডাক্তার বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ছিল স্থানীয় দোকানদার। তাদের মধ্যে প্রথমজন তার বাবাকে সহযোগিতা করতে রাজী হয়েছিল। তাদের নাম প্যারিসের উপশহরের নামের মতো। তবে সেটা কোনো বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। কারণ সলফেরিনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আটচল্লিশাদের দ্বারা।

ভেইলার্ডও বলেছে, ও হ্যাঁ, আমার দাদার বাবা মা ও তাদেরই অন্যতম। কাজেই আমার বাবার জিনের মধ্যেও বিপ্লব ছিল। সে আরো জানিয়েছে, তার পূর্ব পুরুষদের একজন ছিল ফবর্গ সেইন্ট-ডেনিস কাঠমিস্ত্রি; তার স্ত্রী ছিল ধোপানি। ফ্রান্সে তখন বেকার সমস্যা প্রকট এবং মানুষের মাঝে অস্থিরতাও ছিল। নির্বাচকম-লীর শাসনতন্ত্র নতুন বসতিস্থাপনকারীদের জন্য পঞ্চাশ মিলিয়ন ফ্রাঁ দানের অনুমোদন দিয়েছিল। সবার জন্য একটি করে ঘর এবং দুই থেকে দশ হেক্টর করে জমি দানের প্রতিজ্ঞা করেছিল। ভেইলার্ড বলে চলে, বুঝতে পারছেন, কী রকম কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। হাজার হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিজ্ঞ ভূমির স্বপ্ন দেখেছিল। বিশেষ করে নারী পুরুষেরা অচেনা জায়গা সম্পর্কে ভীত ছিল। পুরুষেরা এমনি এমনি বিপ্লব করতে চায়নি। তারা সবাই সান্তা ক্লসে বিশ্বাস করার মতো মানুষ ছিল। আর তাদের সেই সান্তা ক্লস পরিধান করেছিল বুর্নুস। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে, তারা এক ধরনের সান্তা ক্লস পেয়েছিল। তারা যাত্রা করেছিল ’৪৯ সালে এবং প্রথম ঘর তৈরি হয়েছিল ’৫৪ সালের গ্রীষ্মে। ততদিনে...।

চলব...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা