শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব-৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বস,আমরা এখন কী করব?
আমি যদি তোমার জায়গায় থাকতাম তাহলে গেরিলায় যোগ দিতাম। ফ্রান্সে আর একটা লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কৃষক হেসে ফেলে বলল, কী রকম ভোতাবুদ্ধি, তাই না?
জ্যাক বলল, তারা আপনার সঙ্গে থাকেন?

না, তিনি আলজেরিয়া সম্পর্কে একটা কথাও শুনতে চাননি। তিনি মার্সেইতে একটা আধুনিক অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। মা আমার কাছে চিঠিতে লিখেছেন বাবা তার রুমের চারপাশে হাঁটাহাঁটি করেন।
আর আপনি?

ওহ, আমি তো থেকেই গেলাম। শেষ পর্যন্ত যা-ই ঘটুক আমি থেকেই গেলাম। আমার পরিবার আলজিয়ার্সে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি এখানেই বুড়ো ব্যাঙের মতো কর্কশ স্বরে ডাকতে থাকব। যারা প্যারিসে আছে তারা এটা বুঝতে পারে না। আমরা ছাড়া আর কারা বুঝতে পারে? আরবরা।

ঠিক বলেছেন। আমরা উভয়ই যেন একে অপরকে বুঝতে পারি শুরু থেকেই। মানুষের একই রক্ত নিয়ে বোকারা আর নির্বোধেরা আমাদের পছন্দ করে। আমরা একে অন্যকে আরো কিছুদিন হত্যা করতে থাকব। একজন আরেকজনের বিচি কাটতে থাকব; একজন আরেকজনের ওপর অত্যাচার করতে থাকব। তারপর আমরা একসঙ্গে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ফিরে যাব। দেশটা সেরকমই চাই। আরেকটু রস? হালকা একটু। আরেকটু পরে তারা দুজনই বাইরে বের হয়ে এলো। জ্যাক জিজ্ঞেস করল তার বাবা মাকে চিনতে পারে এমন কেউ আছে কি না। ভেইলার্ড বলল, না। যে বৃদ্ধ ডাক্তার তাকে পৃথিবীর আলোতে নিয়ে এসেছিলেন এবং পরে সলফেরিনোতেই অবসরে গেছেন তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। সেইন্ট আপোর্ত্রের সম্পত্তি দুবার হাত বদল হয়েছে। দুটো যুদ্ধে আরবের কর্মজীবি লোকেরা সবাই মারা গেছে; আরো কত জনের জন্ম হয়েছে। ভেইলার্ড বলেই চলল, এখানে সবকিছু বদলে যায়। পরিবর্তন খুব দ্রুত ঘটে। আর মানুষেরাও সব ভুলে যায়। তবে সেইন্ট আপোর্ত্রের খামারের কেয়ারটেকার তামজাল কিছু জেনে থাকতেও পারে। ১৯১৩ সালে তার বয়স বিশের কাছাকাছি ছিল। জ্যাক সিদ্ধান্ত নেয় যে করেই হোক তার জন্মস্থানটা দেখতে যাবে সে।

শুধু উত্তর দিক ছাড়া দেশটার বাকি সবদিক দূরবর্তী পাহাড় পর্বতে ঘেরা। দুপুরের রোদের তাপে পাথরের বড় বড় স্তুপ কিংবা উজ্জ্বল ঘন কুয়াশার মতো সেগুলোর চেহারা আবছা আবছা দেখা যায়। পাহাড়গুলোর মাঝখানে উত্তরে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সূর্যের তাপে সাদা হয়ে যাওয়া আকাশের নিচে এক সময়ের জলাপূর্ণ সাইবুজ সমতল ভূমি। সেখানকার সারিবদ্ধ আঙুরের গাছগুলোর পাতা কপার সালফেটে নীলাভ হয়ে গেছে। আর আঙুরগুলো ইতোমধ্যে গাঢ় রং ধারণ করেছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় সাইপ্রেস কিংবা ইউক্যালিপটাসের ঝাড়, নিচের বাড়ি ঘরগুলো ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে। খামারের ভেতর দিয়ে হাঁটা পথে এগোচ্ছে জ্যাক এবং ভেইলার্ড। তাদের পায়ের নিচ থেকে লাল রঙের ধূলা উড়ে যাচ্ছে। পাহাড় পর্যন্ত সারাটা পথ বাতাস মরিচীকার মতো কাঁপছে। সূর্যের তাপ ঢেউ খেলে যাচ্ছে। সাধারণ গাছপালা গুচ্ছের পেছনে একটা বাড়িতে যখন তারা পৌঁছে তাদের শরীর থেকে ঘাম চুইয়ে পড়তে থাকে। আড়ালে কোথা থেকে যেন একটা কুকুর রাগান্বিত স্বরে ঘেউ ঘেউ করে তাদের স্বাগত জানায়।

প্রায় ভাঙা একটা ঘরের তুঁতকাঠের তৈরি দরজাটা যত্নে করে বন্ধ করা। ভেইলার্ড দরজায় টোকা দিলে কুকুরটা আগের মতোই চিৎকার দিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। ঘরের অন্য পাশের ঘেরা দেওয়া উঠোন থেকে মনে হয় শব্দটা আসছে। কিন্তু কারও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভেউলার্ড জ্যাককে বলে, কী রকম বিশ্বাসী আমরা একে অপরের প্রতি! লোকজন আছে। কিন্তু অপেক্ষা করছে।
ডাক ছেড়ে বলল সে, তামজাল, আমি ভেইলার্ড।

এরপর জ্যাককে উদ্দেশ করে বলল, ছয় মাস আগে তার জামাতার খোঁজে লোক এসেছিল। তারা জানতে এসেছিল, সে গেরিলাদের কোনো কিছু সরবরাহ করছে কি না। তাকে নিয়ে যাওয়ার পরে তার সম্পর্কে আর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। পরে লোকজন তামজালকে বলেছে, হয়তো পালাতে গিয়ে সে মারা পড়েছে।

জ্যাক বলল, আহ্ কী ভয়াবহ কথা! সে কি আসলেই গেরিলাদের সরবরাহকারী ছিল?
কী জানি; হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। যুদ্ধের সময় আর কী-ই বা আশা করা যায়। তবে এ থেকে বোঝা যায়, এই আতিথেয়তার দেশে কী কারণে দরজা খুলতে দেরি হয়।

ঠিক তখনই দরজা খুলে গেল। তামজাল বের হয়ে এল। ছোটখাটো শরীরের একজন মানুষ; মাথায় চারপাশে ছড়ানো একটা হ্যাট, জোড়াতালি দেওয়া একটা ওভারল। ভেইলার্ডের দিকে হাসি দিয়ে জ্যাকের দিকে তাকাল।
ভেইলার্ড পরিচয় করিয়ে দিল, একজন বন্ধু।
তামজাল বলল, ভেতরে আসুন; আপনারা চা খাবেন।
তামজালের তেমন কিছু মনে নেই। হ্যাঁ, হতে পারে: তার এক চাচার মুখে একজন ম্যানেজারের কথা শুনেছে। তিনি নাকি যুদ্ধের পরে কয়েক মাস এখানে ছিলেন।
জ্যাক বলল, যুদ্ধের আগে।
হ্যাঁ, আগেও হতে পারে; সেটাও সম্ভব। তার বয়স তো তখন খুব অল্প ছিল। যা-ই হোক তার বাবার কী হয়েছিল?
তিনি যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন। তামজাল বলল, কপালের লিখন; তবে যুদ্ধ জিনিসটা খুব খারাপ।
ভেইলার্ড বলল, যুদ্ধ সব সময়ই চলছে। তবে মানুষ খুব তাড়াতাড়িই শান্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। কাজেই তাদের মনে হয় এরকমটাই স্বাভাবিক আসলে কোনো যুদ্ধই অন্য সব স্বাভাবিক বিষয়ের মতো নয়।
পাশের ঘরে তার স্ত্রী অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে চায়ের ট্রে হাতে। তার কাছ থেকে ট্রেটা আনতে যেতে যেতে তামজাল বলল, যুদ্ধের সময় মানুষেরা ক্ষেপাটে হয়ে থাকে।
তারা আগুন গরম চা শেষ করে তামজালকে ধন্যবাদ দিয়ে কঠিন তাপের নিচে দগ্ধ আঙুর ক্ষেতের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া পথে বের হয়ে পড়ল।

জ্যাক বলল, আমি ট্যাক্সি নিয়ে সলফেরিনোতে যাচ্ছি। ডাক্তার সাহেব আমাকে দুপুরের খাবারে নিমন্ত্রণ করেছেন।
তার কথা শুনে ভেইলার্ড বলল, সঙ্গে আমি নিজেকে নিমন্ত্রণ করছি একটু অপেক্ষা করুন। সামান্য খাবার নিয়ে আসছি।

পরবর্তীতে আজিয়ার্সগামী বিমানে বসে জ্যাক প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে থেকে বাছাই করতে লাগল। আসলে সে সামান্য তথ্যই পেয়েছে। তার বাবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তেমন কোনো তথ্য নেই বললেই চলে। রাতটা অদ্ভুতভাবে যেন মাটির পৃথিবী থেকে পরিমাপযোগ্য ছন্দে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। অবশেষে রাত বিমানটাকে এমনভাবে গিলে ফেলছে যেন রাতের শরীরে স্ক্রু ড্রাইভারের মতো গেঁথে দেওয়া হচ্ছে বিমানটাকে। তবে রাতটা জ্যাকের অস্বস্তিতে যেন আরো কয়েক মাত্রা যোগ করে দিচ্ছে। কেননা নিজেকে সে দুভাবে আটক বলে মনে করতে থাকে: প্রথমত বিমানের মধ্যে, দ্বিতীয়ত রাতের অন্ধকারের মধ্যে। নিঃশ্বাস ফেলতেই তার কষ্ট হতে থাকে। আবারও সে জন্ম নিবন্ধনের খাতায় প্রত্যক্ষদর্শীদের নাম দেখে। দুটো ফরাসি নাম; এরকম নাম প্যারিসের বিভিন্ন সংকেতে দেখা যায়। তার বাবার আগমন এবং তার জন্ম সম্পর্কে বলার পর ডাক্তার বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ছিল স্থানীয় দোকানদার। তাদের মধ্যে প্রথমজন তার বাবাকে সহযোগিতা করতে রাজী হয়েছিল। তাদের নাম প্যারিসের উপশহরের নামের মতো। তবে সেটা কোনো বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। কারণ সলফেরিনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আটচল্লিশাদের দ্বারা।

ভেইলার্ডও বলেছে, ও হ্যাঁ, আমার দাদার বাবা মা ও তাদেরই অন্যতম। কাজেই আমার বাবার জিনের মধ্যেও বিপ্লব ছিল। সে আরো জানিয়েছে, তার পূর্ব পুরুষদের একজন ছিল ফবর্গ সেইন্ট-ডেনিস কাঠমিস্ত্রি; তার স্ত্রী ছিল ধোপানি। ফ্রান্সে তখন বেকার সমস্যা প্রকট এবং মানুষের মাঝে অস্থিরতাও ছিল। নির্বাচকম-লীর শাসনতন্ত্র নতুন বসতিস্থাপনকারীদের জন্য পঞ্চাশ মিলিয়ন ফ্রাঁ দানের অনুমোদন দিয়েছিল। সবার জন্য একটি করে ঘর এবং দুই থেকে দশ হেক্টর করে জমি দানের প্রতিজ্ঞা করেছিল। ভেইলার্ড বলে চলে, বুঝতে পারছেন, কী রকম কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। হাজার হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিজ্ঞ ভূমির স্বপ্ন দেখেছিল। বিশেষ করে নারী পুরুষেরা অচেনা জায়গা সম্পর্কে ভীত ছিল। পুরুষেরা এমনি এমনি বিপ্লব করতে চায়নি। তারা সবাই সান্তা ক্লসে বিশ্বাস করার মতো মানুষ ছিল। আর তাদের সেই সান্তা ক্লস পরিধান করেছিল বুর্নুস। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে, তারা এক ধরনের সান্তা ক্লস পেয়েছিল। তারা যাত্রা করেছিল ’৪৯ সালে এবং প্রথম ঘর তৈরি হয়েছিল ’৫৪ সালের গ্রীষ্মে। ততদিনে...।

চলব...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

এমএমএ/

 

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি