শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

এখন সে বড় হয়ে গেছে। বন থেকে মনডোভি পর্যন্ত রাস্তায় জে করমারি যে গাড়িটাতে যাচ্ছিল সেটা খাড়া বন্দুক বোঝাই ধীর গতির জিপগুলো পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলল।

এম ভেইলার্ডের ওখানে যাবেন?
হ্যাঁ।

খামার বাড়ির দরজায় দাঁড়ানো জ্যাক করমারির দিকে তাকিয়ে থাকা লোকটা বেঁটে খাটো সতেজ চেহারার। তবে কাঁধ চওড়া। বাম হাত দিয়ে দরজা খুলে ডান হাত দিয়ে দরজার বাজু ধরে দাঁড়ানো লোকটা তার জন্য পথ খুলে দিলেও আসলে সে পথ আটকেই দাঁড়িয়েছিল। লোকটার বয়স হয়তো চল্লিশ হবে। তার পাতলা হয়ে যাওয়া সাদা সাদা চুলের কারণে সেরকমই মনে হয়। চুলের জন্যই চেহারায় একটা রোমান রোমান ভাব ফুটে আছে। তবে স্বাভাবিক গঠনের তামাটে মুখ, উজ্জ্বল চোখ, খাকি ট্রাউজারের মধ্যে পা দুখানি, ক্ষীণ তবে শক্ত শরীর, স্যান্ডেল এবং পকেটওলা নীল শার্টের কারণে তাকে আরও অল্পবয়সী মনে হয়। চুপচাপ দাঁড়িয়ে লোকটা জ্যাকের ব্যাখ্যা শোনে। তারপর, ভেতরে আসুন, বলে একপাশে সরে পথ করে দেয়। একটা শুধু বাদামী রঙের সিন্দুক আর একটা কাঠের তৈরি ছাতা রাখার স্ট্যান্ড সজ্জিত সাদা রং করা হলরুম পেরিয়ে যেতে যেতে জ্যাক পেছনে লোকটার হাসি শুনতে পায়, তাহলে রীতিমত তীর্থযাত্রা হয়ে গেল। ঠিক আছে, আপনি ঠিক সময়েই এসেছেন।

জ্যাক জিজ্ঞেস করল, কেন?
কৃষক লোকটা বলল, খাবার ঘরে আসুন। এটাই সবচেয়ে ঠাণ্ডা রুম।

খাবার ঘরটা অর্ধেক বারান্দা। সহজে পেঁচিয়ে বোনা যায় এমন খড়ের তৈরি খড়খড়ি; খড়খড়িগুলোর একটা নামানো। কাঠের তৈরি আধুনিক টেবিল এবং বুফে ছাড়া রুমটাতে ছিল রত্তনের চেয়ার এবং ডেক চেয়ার। জ্যাক পেছনে তাকিয়ে দেখল সে একা, লোকটা আসেনি। বারান্দায় এগিয়ে গিয়ে খড়খড়ির ভেতর দিয়ে তাকিয়ে দেখল, সামনে একখণ্ড উঠোন, সেখানে কাগজের গাছপালার মধ্যে চকচক করছে উজ্জ্বল লাল রঙের কয়েকটা কলের লাঙল। সকাল এগারোটার সহনীয় সূর্যের তাপের নিচে দেখতে পেল, সামনের দিকে শুরু হয়ে গেছে আঙুরের ক্ষেত। এক মুহূর্ত পরে লোকটা একটা ট্রেতে সারিবদ্ধ করে সাজানো একটা মৌরির রসের বোতল, দুটো গ্লাস এবং বরফ জলের একটা বোতল নিয়ে ফিরে এল।

লোকটা দুধের মতো সাদা তরল ভরা গ্লাসটা তুলে বলল, আপনি আরও দেরি করে এলে এখানে কোনো কিছুই পেতেন না। এ সম্পর্কে আপনাকে বলার মতো কোনো ফরাসিকেও পেতেন না।
বৃদ্ধ ডাক্তারই আমাকে বলেছেন আপনার এই খামারে আমার জন্ম হয়েছিল।
হ্যাঁ, সেইন্ট আপোর্ত্রের সম্পত্তির একটা অংশ এটা। তবে আমার বাবা মা এটা কিনেছিলেন যুদ্ধের পরে। জ্যাক চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিল।

ভেইলার্ড বলল, আমার বাবা মা সবকিছুই নতুন করে তৈরি করেছেন।
ওনারা কি যুদ্ধের আগে আমার বাবাকে চিনতেন? আমার মনে হয় না। ওনারা আগে তিউনিসিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরে সভ্যতার কাছাকাছি এলাকায় আসতে চেয়েছিলেন। তাদের কাছে সলফেরিনো ছিল সভ্যতার প্রতীক।
তাহলে তারা আগের ম্যানেজার সম্পর্কে কিছু শোনেননি?
না, যেহেতু এখান থেকেই আপনার শুরু বিষয়টা আপনি ভালো জানবেন। আমরা এখানে কোনো কিছুই সংরক্ষণ করি না। সবকিছু ভেঙেচুরে আবার নতুন করে গড়ি। আমরা শুধু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা কর, বাকি সব ভুলে যাই।

জ্যাক বলল, ঠিক আছে। আমি আপনার সময় নষ্ট করলাম শুধু।
জ্যাকের দিকে মৃদু হাসি দিয়ে ভেইলার্ড বলল, না, আপনি এসেছেন এটা তো আনন্দের বিষয়।

নিজের গ্লাসের পানীয়টুকুতে শেষ চুমুক দিয়ে জ্যাক বলল, আপনার বাবা মা কি সীমান্ত এলাকাতেই থেকে গেলেন?
না, সেটা তো এক নিষিদ্ধ এলাকা, মানে বাঁধের কাছের এলাকা। আর আপনি অবশ্যই আমার বাবাকে চেনেন না, তাই না? একথা বলেই সে-ও তার অবশিষ্ট পানীয়টুকু শেষ করে ফেলল।

পানীয় শেষ করায় যেন অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় হলো এমন ভাব করে সে হাসিতে ফেটে পড়ল, বাবা তো পুরনো ঘরানার একজন আসল ভিনদেশি বসতি স্থাপনকারী। আপনি হয়তো জনেন, তাদের মতো মানুষকে প্যারিসে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। সত্যিকার অর্থেই বাবা একজন কঠিন মানুষ। বয়স ষাট বছর, তবে পিউরিটানদের মতোই লম্বা চওড়া এবং হালকা গড়নের। পুরুষ মানুষ হিসেবে নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে রাখতে পছন্দ করেন। তার আরব শ্রমিকদের এমনকি সব রকমের স্বচ্ছতার ভেতর দিয়ে হলেও তার ছেলেদেরও কঠিন পরিশ্রম করিয়েছেন বাবা। তারপর গত বছর যখন তাদের বের করে দেওয়া হয় সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত একটা সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়, কেননা ওখানকার জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। ঘুমানোর সময় বন্দুক কাছে নিয়ে ঘুমাতে হতো। রাসকিল খামারে আক্রমণের সময়ের কথা আপনার মনে আছে?
জ্যাক বলল, না।

মালিক আর তার দুই ছেলের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল। মা এবং মেয়েকে উপর্যুপরি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। কৃষকদের একটা সভায় জেলাধ্যক্ষ সাহেব দুর্ভাগ্যবশত বলে ফেলেছিলেন, ঔপনিবেশিক বিষয়গুলো তাদের আরেকবার ভেবে দেখা উচিত, মানে তারা আরবদের কী চোখে দেখবে। কেননা নতুন সময় এসেছে। তারপর একজন বৃদ্ধ তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কারো সম্পত্তি সম্পর্কিত আইন কেউ নিজে তৈরি করতে পারে না। তবে তার পরদিন থেকে তিনি আর মুখ খোলেননি। মাঝে মাঝে রাতে বিছানা থেকে উঠে তিনি বাইরে বের হতেন। আমার মা তার ঘরের খড়খড়ির মধ্যে দিয়ে তাকিয়ে দেখেছেন, তিনি তার জমির আশেপাশে হাঁটহাঁটি করছেন। ছেড়ে যাওয়ার হুকুম যখন এল তিনি কোনো কথাই বললেন না। তার আঙুরের মৌসুম শেষ হয়ে গিয়েছিল, তার মদ সংরক্ষিত ছিল ভাঁটিতে। ভাঁটিগুলো খুলে তিনি লোনা জলের একটা ঝরনার কাছে গেলেন। আগে থেকেই তিনি এই জলের ধারা আলাদা করে রেখেছিলেন। এবার তার মাঠের দিকে স্রোতের ধারা চালিয়ে দিলেন। মাটি খোঁড়ার লাঙল দিয়ে সজ্জিত করলেন তার কলের লাঙল। তার জমির ভেতরে লতাগুল্মের গাছগুলো তোলার জন্য একটানা তিন দিন খালি মাথায় কাজ করলেন কলের লাঙল চালিয়ে। কল্পনা করুন ওই বৃদ্ধ লোকটি কলের লাঙলের উপরে বসে লাঙলের ঝাঁকুনিতে উঠা-নামা করছেন, অন্য লতাগুল্মলোর চেয়ে মোটা কোনো লতায় তার লাঙল আটকে গেলে এক্সেলারেটারে চাপ দিচ্ছেন, খাওয়ার জন্যও থামছেন না। আমার মা তার জন্য রুটি, পনির নিয়ে গেলে চুপচাপ খেয়ে নিচ্ছেন। তিনি অবশ্য অন্যান্য সব কাজই এরকম নীরবে করে যান। রুটির শেষ টুকরো শেষ করেই আবার কলের লাঙলের উপরে উঠে বসছেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি এভাবে কাজ করছেন, দিগন্তের পাহাড়ের দিকে তাকাচ্ছেন না, দূর থেকে তাকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে যেসব আরব লোক তার দিকে তাকিয়ে আছে তাদের দিকেও তার খেয়াল নেই। তারাও কিছু বলছেন না তাকে। কার কাছ থেকে যেন খবর পেয়ে যখন এক অল্প বয়সী ক্যাপ্টেন এসে ব্যাখ্যা দাবি করল তিনি বললেন, ইয়াং ম্যান, আমরা যা করছি সেটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে তো সেটাকে তুলে ফেলতে হয়। সবকিছু শেষ হয়ে গেলে তিনি খামার বাড়ির দিকে হাঁটা দিলেন, ভাঁটির মদে ভেজা উঠোন পেরোলেন এবং ব্যাগ গোছানো শুরু করলেন। আরব শ্রমিকরা তার অপেক্ষা করে উঠোনে দাঁড়িয়েছিল। ক্যাপ্টেনের পাঠানো প্রহরীও ছিল। কেউ জানেনি, কী কারণে পাঠানো হয়েছিল, লোকটা তার সহকারীকে নিয়ে হুকুমের অপেক্ষায় ছিল।

চলবে………

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ