শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

এখন সে বড় হয়ে গেছে। বন থেকে মনডোভি পর্যন্ত রাস্তায় জে করমারি যে গাড়িটাতে যাচ্ছিল সেটা খাড়া বন্দুক বোঝাই ধীর গতির জিপগুলো পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলল।

এম ভেইলার্ডের ওখানে যাবেন?
হ্যাঁ।

খামার বাড়ির দরজায় দাঁড়ানো জ্যাক করমারির দিকে তাকিয়ে থাকা লোকটা বেঁটে খাটো সতেজ চেহারার। তবে কাঁধ চওড়া। বাম হাত দিয়ে দরজা খুলে ডান হাত দিয়ে দরজার বাজু ধরে দাঁড়ানো লোকটা তার জন্য পথ খুলে দিলেও আসলে সে পথ আটকেই দাঁড়িয়েছিল। লোকটার বয়স হয়তো চল্লিশ হবে। তার পাতলা হয়ে যাওয়া সাদা সাদা চুলের কারণে সেরকমই মনে হয়। চুলের জন্যই চেহারায় একটা রোমান রোমান ভাব ফুটে আছে। তবে স্বাভাবিক গঠনের তামাটে মুখ, উজ্জ্বল চোখ, খাকি ট্রাউজারের মধ্যে পা দুখানি, ক্ষীণ তবে শক্ত শরীর, স্যান্ডেল এবং পকেটওলা নীল শার্টের কারণে তাকে আরও অল্পবয়সী মনে হয়। চুপচাপ দাঁড়িয়ে লোকটা জ্যাকের ব্যাখ্যা শোনে। তারপর, ভেতরে আসুন, বলে একপাশে সরে পথ করে দেয়। একটা শুধু বাদামী রঙের সিন্দুক আর একটা কাঠের তৈরি ছাতা রাখার স্ট্যান্ড সজ্জিত সাদা রং করা হলরুম পেরিয়ে যেতে যেতে জ্যাক পেছনে লোকটার হাসি শুনতে পায়, তাহলে রীতিমত তীর্থযাত্রা হয়ে গেল। ঠিক আছে, আপনি ঠিক সময়েই এসেছেন।

জ্যাক জিজ্ঞেস করল, কেন?
কৃষক লোকটা বলল, খাবার ঘরে আসুন। এটাই সবচেয়ে ঠাণ্ডা রুম।

খাবার ঘরটা অর্ধেক বারান্দা। সহজে পেঁচিয়ে বোনা যায় এমন খড়ের তৈরি খড়খড়ি; খড়খড়িগুলোর একটা নামানো। কাঠের তৈরি আধুনিক টেবিল এবং বুফে ছাড়া রুমটাতে ছিল রত্তনের চেয়ার এবং ডেক চেয়ার। জ্যাক পেছনে তাকিয়ে দেখল সে একা, লোকটা আসেনি। বারান্দায় এগিয়ে গিয়ে খড়খড়ির ভেতর দিয়ে তাকিয়ে দেখল, সামনে একখণ্ড উঠোন, সেখানে কাগজের গাছপালার মধ্যে চকচক করছে উজ্জ্বল লাল রঙের কয়েকটা কলের লাঙল। সকাল এগারোটার সহনীয় সূর্যের তাপের নিচে দেখতে পেল, সামনের দিকে শুরু হয়ে গেছে আঙুরের ক্ষেত। এক মুহূর্ত পরে লোকটা একটা ট্রেতে সারিবদ্ধ করে সাজানো একটা মৌরির রসের বোতল, দুটো গ্লাস এবং বরফ জলের একটা বোতল নিয়ে ফিরে এল।

লোকটা দুধের মতো সাদা তরল ভরা গ্লাসটা তুলে বলল, আপনি আরও দেরি করে এলে এখানে কোনো কিছুই পেতেন না। এ সম্পর্কে আপনাকে বলার মতো কোনো ফরাসিকেও পেতেন না।
বৃদ্ধ ডাক্তারই আমাকে বলেছেন আপনার এই খামারে আমার জন্ম হয়েছিল।
হ্যাঁ, সেইন্ট আপোর্ত্রের সম্পত্তির একটা অংশ এটা। তবে আমার বাবা মা এটা কিনেছিলেন যুদ্ধের পরে। জ্যাক চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিল।

ভেইলার্ড বলল, আমার বাবা মা সবকিছুই নতুন করে তৈরি করেছেন।
ওনারা কি যুদ্ধের আগে আমার বাবাকে চিনতেন? আমার মনে হয় না। ওনারা আগে তিউনিসিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরে সভ্যতার কাছাকাছি এলাকায় আসতে চেয়েছিলেন। তাদের কাছে সলফেরিনো ছিল সভ্যতার প্রতীক।
তাহলে তারা আগের ম্যানেজার সম্পর্কে কিছু শোনেননি?
না, যেহেতু এখান থেকেই আপনার শুরু বিষয়টা আপনি ভালো জানবেন। আমরা এখানে কোনো কিছুই সংরক্ষণ করি না। সবকিছু ভেঙেচুরে আবার নতুন করে গড়ি। আমরা শুধু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা কর, বাকি সব ভুলে যাই।

জ্যাক বলল, ঠিক আছে। আমি আপনার সময় নষ্ট করলাম শুধু।
জ্যাকের দিকে মৃদু হাসি দিয়ে ভেইলার্ড বলল, না, আপনি এসেছেন এটা তো আনন্দের বিষয়।

নিজের গ্লাসের পানীয়টুকুতে শেষ চুমুক দিয়ে জ্যাক বলল, আপনার বাবা মা কি সীমান্ত এলাকাতেই থেকে গেলেন?
না, সেটা তো এক নিষিদ্ধ এলাকা, মানে বাঁধের কাছের এলাকা। আর আপনি অবশ্যই আমার বাবাকে চেনেন না, তাই না? একথা বলেই সে-ও তার অবশিষ্ট পানীয়টুকু শেষ করে ফেলল।

পানীয় শেষ করায় যেন অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় হলো এমন ভাব করে সে হাসিতে ফেটে পড়ল, বাবা তো পুরনো ঘরানার একজন আসল ভিনদেশি বসতি স্থাপনকারী। আপনি হয়তো জনেন, তাদের মতো মানুষকে প্যারিসে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। সত্যিকার অর্থেই বাবা একজন কঠিন মানুষ। বয়স ষাট বছর, তবে পিউরিটানদের মতোই লম্বা চওড়া এবং হালকা গড়নের। পুরুষ মানুষ হিসেবে নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে রাখতে পছন্দ করেন। তার আরব শ্রমিকদের এমনকি সব রকমের স্বচ্ছতার ভেতর দিয়ে হলেও তার ছেলেদেরও কঠিন পরিশ্রম করিয়েছেন বাবা। তারপর গত বছর যখন তাদের বের করে দেওয়া হয় সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত একটা সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়, কেননা ওখানকার জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। ঘুমানোর সময় বন্দুক কাছে নিয়ে ঘুমাতে হতো। রাসকিল খামারে আক্রমণের সময়ের কথা আপনার মনে আছে?
জ্যাক বলল, না।

মালিক আর তার দুই ছেলের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল। মা এবং মেয়েকে উপর্যুপরি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। কৃষকদের একটা সভায় জেলাধ্যক্ষ সাহেব দুর্ভাগ্যবশত বলে ফেলেছিলেন, ঔপনিবেশিক বিষয়গুলো তাদের আরেকবার ভেবে দেখা উচিত, মানে তারা আরবদের কী চোখে দেখবে। কেননা নতুন সময় এসেছে। তারপর একজন বৃদ্ধ তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কারো সম্পত্তি সম্পর্কিত আইন কেউ নিজে তৈরি করতে পারে না। তবে তার পরদিন থেকে তিনি আর মুখ খোলেননি। মাঝে মাঝে রাতে বিছানা থেকে উঠে তিনি বাইরে বের হতেন। আমার মা তার ঘরের খড়খড়ির মধ্যে দিয়ে তাকিয়ে দেখেছেন, তিনি তার জমির আশেপাশে হাঁটহাঁটি করছেন। ছেড়ে যাওয়ার হুকুম যখন এল তিনি কোনো কথাই বললেন না। তার আঙুরের মৌসুম শেষ হয়ে গিয়েছিল, তার মদ সংরক্ষিত ছিল ভাঁটিতে। ভাঁটিগুলো খুলে তিনি লোনা জলের একটা ঝরনার কাছে গেলেন। আগে থেকেই তিনি এই জলের ধারা আলাদা করে রেখেছিলেন। এবার তার মাঠের দিকে স্রোতের ধারা চালিয়ে দিলেন। মাটি খোঁড়ার লাঙল দিয়ে সজ্জিত করলেন তার কলের লাঙল। তার জমির ভেতরে লতাগুল্মের গাছগুলো তোলার জন্য একটানা তিন দিন খালি মাথায় কাজ করলেন কলের লাঙল চালিয়ে। কল্পনা করুন ওই বৃদ্ধ লোকটি কলের লাঙলের উপরে বসে লাঙলের ঝাঁকুনিতে উঠা-নামা করছেন, অন্য লতাগুল্মলোর চেয়ে মোটা কোনো লতায় তার লাঙল আটকে গেলে এক্সেলারেটারে চাপ দিচ্ছেন, খাওয়ার জন্যও থামছেন না। আমার মা তার জন্য রুটি, পনির নিয়ে গেলে চুপচাপ খেয়ে নিচ্ছেন। তিনি অবশ্য অন্যান্য সব কাজই এরকম নীরবে করে যান। রুটির শেষ টুকরো শেষ করেই আবার কলের লাঙলের উপরে উঠে বসছেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি এভাবে কাজ করছেন, দিগন্তের পাহাড়ের দিকে তাকাচ্ছেন না, দূর থেকে তাকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে যেসব আরব লোক তার দিকে তাকিয়ে আছে তাদের দিকেও তার খেয়াল নেই। তারাও কিছু বলছেন না তাকে। কার কাছ থেকে যেন খবর পেয়ে যখন এক অল্প বয়সী ক্যাপ্টেন এসে ব্যাখ্যা দাবি করল তিনি বললেন, ইয়াং ম্যান, আমরা যা করছি সেটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে তো সেটাকে তুলে ফেলতে হয়। সবকিছু শেষ হয়ে গেলে তিনি খামার বাড়ির দিকে হাঁটা দিলেন, ভাঁটির মদে ভেজা উঠোন পেরোলেন এবং ব্যাগ গোছানো শুরু করলেন। আরব শ্রমিকরা তার অপেক্ষা করে উঠোনে দাঁড়িয়েছিল। ক্যাপ্টেনের পাঠানো প্রহরীও ছিল। কেউ জানেনি, কী কারণে পাঠানো হয়েছিল, লোকটা তার সহকারীকে নিয়ে হুকুমের অপেক্ষায় ছিল।

চলবে………

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা