শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান

গোথিক রীতিতে তৈরি সেন্ট চার্লসের গির্জার প্রার্থনাকালীন পোশাক রাখার ঘরে ঢুকে নানি একটা চেয়ারে বসে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাকের হাত ধরে রইলেন। সামনে বসা স্থূল শরীরের পাদ্রীর বয়স ষাট বছরের মতো:  গোলাকার তুলতুলে মুখ, লম্বা নাক, রূপালি রঙের চুলের নিচে মোটা ঠোঁটে তার স্মিত হাসি। হাঁটু পর্যন্ত ছড়িয়ে রাখা আলখাল্লার ওপরে দুহাত একসঙ্গে জড়ো করে ধরা। নানি বললেন, এই ছেলেটার গির্জার ভোজসভায় যোগদানের শিক্ষা দরকার।

পাদ্রী বললেন, খুব ভালো কথা, ম্যাডাম। আমরা ওকে খুব ভালো খ্রিস্টান বানিয়ে দেব। ওর বয়স কত?

নয় বছর।
বেশ অল্প বয়সে ওকে ধর্মীয় শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনি খুব ভালো করেছেন। তিন বছর পরই সে বড় অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক ঠিক তৈরি হয়ে যাবে।
নানি বললেন, না, ওকে বাইরে শিখতে হবে।
কিন্তু এখন থেকে এক মাস পরই তো অনুষ্ঠান। আর ওকে বেদীর কাছাকাছি যেতে হলে কমপক্ষে দুবছর ধর্মীয় শিক্ষালাভ করতে হবে।

নানি তাদের অবস্থার কথা খুলে বললেন। কিন্তু পাদ্রীকে বোঝানোই গেল না যে, একই সময়ে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য পড়া আর ধর্মীয় শিক্ষা লাভ জ্যাকের পক্ষে অসম্ভব। খুব ধৈর্য আর কোমলতা দিয়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বললেন এবং উদাহরণ দিলেন। তবে নানি উঠে পড়ে বললেন, সেরকম হলে ওর দরকার নেই এই শিক্ষার। আয়রে জ্যাক।

জ্যাকের হাত ধরে তিনি বের হওয়ার পথ ধরলেন।
তবে পাদ্রী উঠে গিয়ে তাড়াতাড়ি তাদের কাছে পৌঁছে বললেন, একটু অপেক্ষা করুন, ম্যাডাম। একটু অপেক্ষা করুন।
তার কোমল আচরণের সঙ্গে নানি এবং জ্যাককে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। নানিকে আবার তার চেয়ারে বসালেন। এবার যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন।
কিন্তু নানি বুড়ো খচ্চরের মতো মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন, বাইরে গিয়ে যদি ও শিখতে পারে তো হবে, না হলে বাদ।

অবশেষে পাদ্রী মহাশয় পরাজয় মানলেন: সিদ্ধান্ত হলো, জ্যাক এক মাস পরে গির্জার ভোজসভায় যোগ দিতে পারবে; তবে তার আগে তাকে দ্রুত গতিতে ধর্মীয় শিক্ষার একটা কোর্স শেষ করতে হবে। পাদ্রী রাজী হওয়ার ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে তাদের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এলেন। জ্যাকের কপোলে আদর করে দিয়ে তিনি বললেন, তোমাকে যা যা বলা হয় মন দিয়ে শুনবে, ঠিক আছে?

কথা বলার সময় তিনি জ্যাকের দিকে তাকালেন বিষন্ন দৃষ্টিতে।

এম বার্নার্ডের সঙ্গে তার অতিরিক্ত ক্লাসের সঙ্গে যোগ হলো বৃহষ্পতিবার এবং শনিবার বিকেলের ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাসগুলো। গির্জার ভোজসভায় যোগদানের পরীক্ষা আর বৃত্তির পরীক্ষা ক্রমেই ঘনিয়ে আসতে লাগল। তার দিন কাটতে লাগল কাজের বোঝা ঠেলে ঠেলে। খেলাধুলার প্রসঙ্গ শিকেয় উঠল। এমনকি রবিবারের দিনও যখন সে খাতা রেখে একটু অবসরের কথা ভাবতে পারে তখন নানি বাড়ির কাজ আর ফাইফরমাস গছাতে লাগলেন তার ঘাড়ে। তিনি উল্লেখ করতে ছাড়লেন না তার পড়াশোনার জন্য পরিবার ভবিষ্যতেও ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী হয়েছে। কেননা পরে আরো অনেক বছর সে হয়তো বাড়ির জন্য কিছুই করবে না।

জ্যাক যুক্তি দেখাল, আমি তো ফেইল করতে পারি। পরীক্ষাটা খুব কঠিন। আসলে সে মনে মনে এরকমটিই চাইতে লাগল মাঝে মাঝে। কারণ পরিবারের লোকজন তার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছে সেকথাটা তাকে বার বার শোনানোর কারণে তার কচি মনে অহংবোধের জায়গাটাতে বার বার আঘাত লাগছিল।

নানি তার দিকে বিস্মিত হয়ে তাকালেন। তিনি কখনও সেরকম সম্ভাবনার কথা ভাবেননি। তারপর তিনি বৈপরীত্বের কথা না ভেবেই কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললেন, ঠিক আছে; এগোতে থাক; পারলে ফেইল করেই আসিস। ধর্মীয় দীক্ষাদানের কাজ করতেন দ্বিতীয় পাদ্রী। দীর্ঘদেহী লোকটাকে কালো আলখাল্লায় আরো লম্বা মনে হতো। ভাঙা চোয়াল গর্তের মতো, নাক ঈগলের ঠোঁটের মতো লম্বা, আর বুড়ো পাদ্রী যেমন নরম কোমল স্বভাবের, ইনি ঠিক তার উল্টো: কাঠখোট্টা। তার পাঠদান ছিল মূলত আবৃত্তির মতো সুর করে শুধু উচ্চারণ করে যাওয়া। প্রাচীন ওই পদ্ধতিই নাকি দুষ্ট আর জেদী বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি। এটাই নাকি তাদের আত্মিক প্রশিক্ষণের মোক্ষম পদ্ধতি। বাচ্চারা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমেও দীক্ষালাভ করত, যেমন ঈশ্বর কে.... ইত্যাদি ইত্যাদি। কোমলমতি দীক্ষিতদের কাছে ওইসব কথার কোনো মূল্য ছিল না। জ্যাকের স্মৃতি শক্তি প্রখর হওয়াতে ওইসব কথার অর্থ না বুঝলেও নির্বিকারভাবে সে আবৃত্তি করে যেত। যখন অন্য কোনো ছেলে আবৃত্তি করত জ্যাক নিজের চিন্তাকে অন্য কোথাও চালিয়ে দিত, দিবা স্বপ্ন দেখত কিংবা অন্য কারো দিকে ভেংচি কাটত। একদিন লম্বা পাদ্রী মশাই জ্যাকের ওইরকম ভেংচি কাটা দেখে ফেললেন এবং তার উদ্দেশে জ্যাক ভেংচি কেটেছে ভেবে তার পবিত্র পেশার প্রতি জোর করে হলেও সমীহ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। উপস্থিত ছেলেদের সামনে জ্যাককে তার কাছে ডাকলেন এবং তার হাড্ডিসার হাতে শরীরের সর্বশক্তি নিয়োগ করে জ্যাকের চোয়ালে একটা চড় কষালেন। তার চড়ের আঘাতে জ্যাক প্রায় পড়েই যাচ্ছিল। তখন পাদ্রী মশাই বললেন, এবার তোমার জায়গায় যাও। তার দিকে অশ্রুহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে জ্যাক নিজের জায়গায় ফিরে এল। উল্লেখ্য যে, সারা জীবনই শাস্তি কিংবা ব্যথা বেদনা থেকে কান্না আসেনি তার চোখে, বরং তার সংকল্প এবং মনের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে; কান্না এসেছে ভালোবাসা আর করুণা পেলে। গালের বাম পাশটা প্রচণ্ড ব্যথা করতে লাগল। মুখের ভেতর রক্তের স্বাদ অনুভব করতে পারল সে। জিহ্বার ডগা দিয়ে ছুঁয়ে দেখে বুঝতে পারল, চড়ের আঘাতে তার মুখের ভেতরে কেটে গেছে। সেখান থেকে রক্ত ঝড়ছে। নীরবে রক্ত গিলে ফেলল সে।

দীক্ষালাভের গোটা সময়ই জ্যাকের মন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছে। পাদ্রী তার দিকে তাকিয়ে কথা বলার সময়, যিশুর স্বর্গীয় স্বভাব এবং ত্যাগের কথা বলার সময় জ্যাক শুধু তার দিকে ভাবলেশহীনভাবে তাকিয়ে থাকত। তার দৃষ্টিতে না থাকত বন্ধুতা, না শত্রুতা। পাদ্রীর কথা বলার সময় জ্যাকের মন চলে যেত প্রায় তিন শ মাইল দূরে: তার মনে আগে যে দুটো পরীক্ষার কথা ছিল সে দুটো পরীক্ষা এখন যেন একটা হয়ে গেল। নিজের কাজের মধ্যে ডুবে থেকে তার অটল স্বপ্নের ভেতর কোনো এক অজানা কারণে জ্যাককে শুধু সান্ধ্য সভা খুব মোহিত করে রাখত: গির্জার ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডা পরিবেশে বাদ্যযন্ত্রের বাজনা শুনে মনে হতো সে এরকম সুর আগে আর কখনও শোনেনি। মনে হতো, আগে যে সব সুর সে শুনেছে সবই বোকার সুর। পাদ্রীদের বিভিন্ন বিষয় এবং আধো অন্ধকারে চকচক করে ওঠা পুরোহিতের পোশাক সম্বলিত স্বপ্ন আরো গভীর, আরো সর্বব্যাপী হয়ে দেখা দিত তার সামনে যেন শেষ পর্যন্ত কোনো রহস্যের সঙ্গে মিশে যাবে। তবে সেই নামহীন রহস্যের ভেতর জোর করে বেখাপ্পাভাবে অনুপ্রবিষ্ট স্বর্গীয় ব্যক্তিবর্গ কিংবা তাদের নাম কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারত না তার জন্য। সেগুলো আসলে তার অভিজ্ঞতালব্ধ জগতেরই যেন বর্ধিতাংশ শুধু। তাকে অভিষিক্ত করে দেওয়া সেই ঊষ্ণ, অন্তর্মুখি এবং দ্ব্যর্থক রহস্য যেন তার মায়ের নীরবতার দৈনন্দিন রহস্য কিংবা নীরব হাসিটাই যেন গভীর করে তুলত। অনেকবার সে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরে দেখেছে, একা নির্জন বাড়ির খাবার ঘরে মা বসে আছেন। আলো জ্বালেননি যেন অন্ধকারকে একটু একটু করে ঘরটা গ্রাস করতে দিচ্ছেন। মা ঘণ অন্ধকারের প্রতিমূর্তি হয়ে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে নীরব হয়ে বাইরের রাস্তার চঞ্চলতা দেখছেন। মায়ের প্রতি হতাশা আর ভালোবাসা ভরা হৃদয়ে বালক জ্যাক চৌকাঠে এসে দাঁড়িয়ে পড়ত। মা তখন এবং পরবর্তীতেও সব তুচ্ছতার অধীনতা থেকে মুক্ত। প্রথম সভার আগের দিনের তওবা করা ছাড়া জ্যাকের আর কিছু মনে নেই। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তোমার মনের ভেতর কি কোনো পাপের চিন্তা ছিল কখনও? জ্যাক বলল, হ্যাঁ, ফাদার, ছিল। অবশ্য সে নিজেই তখনও জানে না কোনো চিন্তা কী করে পাপের হতে পারে। পরের দিন পর্যন্ত তার ভয় পিছু ছাড়েনি, হয়তো সে অজ্ঞাতে কোনো পাপের চিন্তাকে স্থান দিয়ে ফেলতে পারে। স্কুল পড়–য়া জ্যাকের অভিজ্ঞতায় যে সকল আপত্তিকর শব্দ ছিল সেগুলোর মধ্যে কোনো একটাকে উৎসবের দিন সকাল পর্যন্ত আটকে রেখেছিল বলে তার পরিষ্কার মনে আছে। সেদিন জ্যাক নাবিকের পোশাকে, বাহুতে একটা মাদুলির মতো বন্ধন নিয়ে, একটা প্রার্থনা-বই এবং মার্গারেট খালাসহ তার সবচেয়ে গরিব আত্মীয়দের দেওয়া একটা তসবীসহ আন্যান্য ছেলেদের দাঁড়ানো সারির মাঝখানের জায়গা দিয়ে একটা মোমবাতি হাতে নিয়ে এগিয়ে গেল; অন্যদের হাতেও মোমবাতি। গির্জার পেছন পাশে দাঁড়ানো তাদের আত্মীয়স্বজনদের চোখ পরমানন্দে উজ্জ্বল।

চলবে...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা