রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই উদ্যোগ নিন

প্রতি বছর পবিত্র মাহে রমজান মাস আসার পূবেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। আর এই নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রতিবছর নানারকম অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, যে কোনো বিশেষ উপলক্ষে বাজারের চাবিকাটি চলে যায় অশুভ চক্রের হাতে। যে কোনো পূজা-পার্বণ-ঈদ এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে–এ যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। আবার বেশ কিছুদিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।

উৎসব, পূজা-পার্বণ উপলক্ষে সব দেশেই কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়ে। ওই পণ্যগুলো শুধু নিছক উপহারের পণ্য–নিত্যপণ্য নয়। প্রতিদিন এসব পণ্য কেনা হয় না। কেবল বিশেষ দিনেই কেনা হয়। তাই ওই পণ্যগুলোর দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে না। এদিক দিয়ে আমাদের দেশ ভিন্নতর। দামি বিলাসী পণ্য নয়, সুযোগ পেলেই সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়।

প্রতি বছরই রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এবারও ব্যত্যয় হয়নি। তবে রমজান আসার দুই মাস আগেই বেড়েছে সয়াবিন, আটা, ময়দা ও ডালের দাম। ইফতারি ও সেহরি সামনে রেখে নতুনভাবে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কিংবা নানা অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে চাল, চিনি, মসুর ডাল, প্যাকেট আটা ও ময়দার দাম। মাঝারিমানের পাইজাম কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে এসব চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এ ছাড়া মোটা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চাল ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬৫-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি খোলা আটা ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ এবং প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকায়। কেজিপ্রতি মসুর ডালের দাম বেড়ে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে হ্রাস পাওয়ার পরও দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন রিফাইনাররা। তাতে সরকারের সায় না মিললেও পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়ছিলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না। অথচ বাজারে ইতোমধ্যেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে এক লিটারের বোতল আগের দামে বিক্রি হলেও রূপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরাসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার বোতলের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে ৮০০ টাকা পর্যন্ত, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।

অন্যদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, তা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ফলে নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজার দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি কোম্পানি দাম বাড়িয়ে বোতলজাত তেল সরবরাহ করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মন্ত্রীর ঘোষণার পরও কেন দাম বাড়ানো হলো। কারণ কি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেট তথা মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীচক্র বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন? বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়তেই থাকবে। দেশের বাজারে কেউ অতিরিক্ত মুনাফা লাভের চেষ্টা করছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

রমজানে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, ডাল ও খেজুর এর চাহদা বাড়ে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে সারাবছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২১ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কেবল রমজান মাসেই এ তেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টনের মতো। সারাবছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে ৩ লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রমজান মাসে। সারাবছর যেখানে ৫ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে রমজানে চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মতো। ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রমজান মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার ৫ লাখ টনই ব্যয় হয় রমজান মাসে। তাই রমজান এলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা শুরু হয়। পণ্যমূল্য বাড়াতে তারা কারসাজির আশ্রয় নেয়। এতে করে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

ব্যবসায়ীরা প্রতিবছরই নানা কৌশলে আগেই দাম বাড়িয়ে দেন সংঘবদ্ধভাবে। ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সুযোগ নেই। আর রমজানে দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় অভিযোগ করারও সুযোগ থাকে না। বরং ব্যবসায়ীরাই বলেন ‘দাম বাড়েনি’। বাজার দাম তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংস্থাগুলোও বাজার যাচাই করে জানায়, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু রমজানের প্রাক্কালে পণ্যের দাম যে পরিমাণ বাড়ানো হয়, পরে তা আর কমানো হয় না। সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকার নিত্যপণ্যের বাজারের মূল দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে, ফলে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দৃশ্যমান নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষও সাধারন মানুষের এই আকাংখিত নিত্যপণ্যের বাজার তদারকির ন্যূনতম কোনো দায়িত্ব পালনে আগ্রহ নেই। যার কারণে বাজারে এক লাফে জিনিসের দাম দ্বিগুণ হারে বেড়েই চলেছে। পুরো বছর জুড়েই দফায় দফায় চক্রাকারে একেক বার একেকটি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দুয়েকজন কর্মকর্তা নিয়মিত বাজার তদারকি করেও এই নিত্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে পারছেন না।

ভোক্তা ও বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে (সিপিআই) দেখা যায়, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সার্বিক মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি। তার অর্থ হলো–সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, বিশেষত শ্রমজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। করোনার কারণে সংকটে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পুরো অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে একজন মানুষ ১০০ টাকায় যত জিনিসপত্র কিনেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র পাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই একই পণ্য কিনতে ১০৬ টাকা ৫ পয়সা খরচ করতে হবে। ৬ টাকা ৫ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সবজিসহ সবকিছুর দামই বাড়তি। এ অবস্থা শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামেও একই চিত্র। প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহতভাবে বাড়ছে।

মহামারি করোনায় এলোমেলো হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের কারণে এই অভিঘাত আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অমিক্রনের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে জারি করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। বাংলাদেশেও এর প্রভাব বাড়ছে। সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে কর্মক্ষেত্রে। চাকরি হারিয়ে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। এর বাইরে নিত্যপণ্যের মূল্য প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতিও বেশ ঊর্ধ্বমুখী। মূল্যস্ফীতি বাড়া মানেই প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষের ভোগান্তি বৃদ্ধি। এতে খাদ্য উৎপাদন, বণ্টন, সরবরাহ ও মূল্যস্তরে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব; যা খাদ্যমূল্যের ওপর অস্বস্তিকর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশে চলমান শীতে সবজির ভরা মৌসুমেও তরিতরকারির দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দামও চড়া প্রায় দুবছর ধরে। এ অবস্থায় প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

অবশ্য ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ালেও ভোক্তাদেরও দায় কোনো অংশে কম নয়। সামর্থ্যবান ভোক্তাদের অনেকেই রোজার আগেই পরিবারের বাজার সেরে ফেলেন। রমজান সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। পবিত্র এই মাসে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন। ধর্মপ্রাণ ব্যবসায়ীরা ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও অনেকে ধর্মের অনুশাসন না মেনে পণ্য মজুদ করেন। তাই রোজার মাসে যেন নিত্যপণ্যের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহে সংকট তৈরী না হয়, সেজন্য একসঙ্গে বাজার না করে সপ্তাহের বাজার করা, দরিদ্রদের মাঝে ইফতারী হিসাবে সমাগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিরতনের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বাজারব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যোগসাজশের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করা হলে অবশ্যই ভোক্তাস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ভোক্তা ও বাজার বিশ্লেষকদের মতে সরকার ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় নিত্যপণ্যের বাজারের দায়িত্ব পুরোটাই ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সরকারের এ ব্যবসায়ী তোষনণীতির কারনে ব্যবসায়ীরা সুন্তোষ্ঠ হলেও সাধারন মানুষের মুখে হাসি নেই। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর্যায়ে থাকলে কভিডকালে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যে কমেছে, তা মানতে হবে। গত কয়েক বছরে সরকারের পদক্ষেপ সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি কেন থামানো যায়নি, তা খতিয়ে দেখা উচিত। সে কারণে ঢাকা শহরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি টিম বাজার তদারকি করার কথা থাকলেও বাজারে ভোক্তারা এই টিমের দেখা পান না। জেলা শহরে জেলা প্রশাসনের বাজার তদারকি টিম মাঠে থাকার কথা। অথচ অনেকেই ফটো সেশনের মতো বাজার তদারকি করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই তদারকি কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। উদার বাণিজ্য নীতির সুযোগ নিয়ে স্বার্থান্বেষী কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান বাজারের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করার অপচেষ্টা করছে।

ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে মুনাফা করতেই হবে; কিন্তু মুনাফা অর্জনের নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য না। এ অবস্থায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বাজার তদারকি বাড়ানো; বিকল্প ব্যবস্থাপনায় চাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্য প্রান্তিক, শ্রমজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি; প্রয়োজনে প্রান্তিক ও শ্রমজীবিদের জন্য রেশনিং কার্ড প্রবর্তন করা যেতে পারে। বিশেষ করে করোনাকালে যাদের আয় কমে গেছে, তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবি মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সেজন্য নিত্যপণ্য্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে, তেমনি তাদের আয় বাড়ানো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ওপর জোর দিতে হবে। আমদানিকারক, উৎপাদক, পরিবেশক, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী পর্যায়ে সমন্বিত বাজার তদারকি নিশ্চিত, কার্যকর টিসিবি, সর্বোপরি ট্যারিফ কমিশন, কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন রমজানে যাতে নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

লেখক: ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)

এসএ/

Header Ad
Header Ad

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি ওসি।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

Header Ad
Header Ad

সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর তারা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিল করতে করতে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। তবে রাত ১১টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।

এরআগে, সন্ধ্যা ৬টায় তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এমন মন্তব্যে ঘিরে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, অবরোধ ছাড়ার ফলে এরইমধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন একাধিক সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পৃথক পৃথক সীমান্তে অভিযান চালিয়ে উক্ত মাদক ও অন্যান্য পন্য আটক করা হয়েছে।

যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান,নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের বর্নি, ধান্যখোলা, কাশিপুর আমড়াখালী এবং বেনাপোল বিওপি'র সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিয়ার কম্বল, শাড়ি থ্রী-পিচ, চকলেট, ফুচকা, কিসমিস, তৈরী পোষাক এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করা হয়।

আটক মালামাল বেনাপোল কাস্টমসে এবং মাদক দ্রব্যথানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  
সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  
যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক
জুলাই আহতদের আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বৃদ্ধকে গণপিটুনি    
জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ    
বিএনপির পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠানো অযৌক্তিক : তথ্য উপদেষ্টা  
প্রেস সচিবের পর শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ  
বছরের প্রথম মাসেই এলো সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স    
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শুরুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
বিখ্যাত লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভিন আইসিইউতে
খাল খননের উদ্বোধনে লাল গালিচা! ব্যাখ্যা দিল সিটি করপোরেশন  
আবারও বাড়লো এলপি গ্যাসের দাম    
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা  
তিতুমীরকে নয় রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত : শিক্ষা উপদেষ্টা  
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও ইনকিলাব মঞ্চের
চার দাবিতে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কুবি শিক্ষার্থীদের
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন : টাঙ্গাইলে ৮টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
যে কারণে বিসিবি নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন হান্নান সরকার
নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা ছিল না:নির্বাচন কমিশনার