চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি একাধিক নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রশ্নপত্র অনুযায়ী যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক অংশ অনুষ্ঠিত হবে, যার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না।
প্রবেশপত্র পরীক্ষার তিন দিন আগেই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর বোর্ডে অনলাইনে পাঠাতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের OMR ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে এবং উত্তরপত্র কোনো অবস্থায় ভাঁজ করা যাবে না। প্রতিটি অংশে আলাদাভাবে পাস করতে হবে এবং শুধু নিবন্ধিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে। নিজ বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না; স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন নির্ধারণ হবে।
সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে, তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন SMS ও অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে।
পরীক্ষার সময়সূচি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।