শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পেঁয়াজ-আদার ঝাঁজ আর বাঁশির সুর

রোদের তাপে পুড়ছে দেশ। বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষের সংসার। প্রকৃতিতে ছায়া নেই, কেটে ফেলেছে গাছ। বাজারেও ছায়া নেই। কে দেবে সেই ছায়া বা ভরসা? বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে, তখন মন্ত্রীদের কাছ থেকে সমাধানমূলক কোনো বক্তব্যের পরিবর্তে মানুষ এমন কিছু শুনছেন যার ফলে তারা মনে করেন একি হচ্ছে? তারা ভাবছেন, একি সান্ত্বনা না কি শাস্তির পূর্বাভাস? মন্ত্রীরা একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সান্ত্বনা এবং স্বস্তির পরিবর্তে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।

সম্প্রতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাজেট সংক্রান্ত এক কর্মশালায় বলেছেন, ‘আমি দেখেছি, বাজার করতে গিয়ে অনেকে কাঁদছেন। কারণ, বাজারের যে অবস্থা, তাদের পকেটে সে টাকা নেই। এটার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।’ সিন্ডিকেটের কথা বললেই ক্ষমতাসীন দলের কর্তাব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতারা সমস্বরে বলে উঠেন কোথায় সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। বাজার চলে বাজারের নিয়মে। কিন্তু মানুষ দেখে একই সাথে সারা দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কার ইশারায় হয় তা দেখা যায় না কিন্তু দাম বেড়ে গেলে তার উত্তাপ ক্রেতার গায়ে লাগে। একে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে এই সিন্ডিকেট নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু স্বীকার করছিলেন না দায়িত্বশীলরা। এবার তো মন্ত্রীর মুখেই শোনা গেল সিন্ডিকেটের কথা। এখানেই শেষ নয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের মধ্যেও সিন্ডিকেট আছে।‘ তিনি সংকটের কারণ জানালেন ’ কিন্তু তিনি যদি সিন্ডিকেটধারী মন্ত্রীদের নাম জানাতেন তাহলে দেশবাসী বুঝতেন কারা এই মন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসে সিন্ডিকেটের সুতা টানছেন। তাহলে হয়তো লোকলজ্জার ভয়েও তারা কিছুটা সংযত হতেন, বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসতে পারতো। কিন্তু হায় এতো হবার নয়।

বাজারে যারা যান তারা জানেন যে, খুচরা ও পাইকারি—দুই বাজারেই পেঁয়াজ আদার দাম আরও বেড়ে গেছে এবং বাড়ছেই। অজুহাত ভারতে দাম বেড়েছে এবং আদা আর চীন বা ভারত থেকে নয় ইন্দোনেশিয়া থেকে আনতে হবে। অথচ মাস দুই আগে থেকেই পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। আমদানি করলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। শুধু আমাদের দেশে নয় ভারতেও এবার রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি ফলে রপ্তানি না হওয়ায় সেখানকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না এবং পেঁয়াজের দাম গিয়েছে কমে। জানা গেছে ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ রুপিতে (এক রুপি সমান ১ টাকা ২৯ পয়সা) অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট সাধারণত হয় সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে। তখন কৃষকের পিয়াজ শেষের দিকে এবং নতুন পেঁয়াজ উঠতে বাকি। এই সংকট প্রায় প্রতিবছর কিছুটা হয়ে থাকে। ফলে এবারের সংকটে এই প্রশ্ন করা কি স্বাভাবিক নয় যে, এখন পেঁয়াজের মৌসুম কেবল শেষ হয়েছে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ এসেছে কৃষকের ঘরে, এখনই কি আমদানির এত প্রয়োজন দেখা দিল? দুই মাসে কী পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে গেলো যে পেঁয়াজের জন্য বাজারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। তাহলে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর কথা শুধু কথার কথা নয়। তার ভাষায় পেঁয়াজের বাজারেও সিন্ডিকেট ঢুকে পড়েছে? বাজার পরিস্থিতি দেখে তাহলে তো চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারের সিন্ডিকেটকেও অস্বীকার করা যাবে না।

পেঁয়াজের বাজার যখন এরকম অস্থির তখন বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন যে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। নজর কি শুধুই আমদানির দিকে থাকবে? যাচাই করে দেখা হবে না যে সত্যি আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি আছে, নাকি সিন্ডিকেটই কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে।

যদি পেঁয়াজের ঘাটতি থেকে থাকে, তাহলে তো আমদানি করে তা মেটাতেই হবে। তার জন্য তো আগে থেকে সরকার কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংকট দেখা দিলেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে এবং দাম কমতে সময় লাগবে। এই সময়ে সিন্ডিকেট (শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় মন্ত্রীদের মধ্যেও আছেন) বসে থাকবে না। দাঁও মারবে এবং ফাউ মুনাফা লুটে নেবে। সরকারের কাজ কি হবে এ ধরনের সিন্ডিকেটকে বারবার বাড়তি ও অন্যায্য মুনাফা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া? সরকারের কাছে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা কত ও উৎপাদনের কত হয়েছে তার একটা গ্রহণযোগ্য হিসাব থাকলে এমন হতে পারে কি? সামনে কোরবানির ঈদ আসছে, ফলে দাম বাড়ানোর অজুহাত শক্তিশালী হবে।

এতো গেল সংকটের কথা। কিন্তু পেঁয়াজ চাষিরা জানান, চাষিরা এবার দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজ রোপণ করেছিলেন। আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গড়ে প্রতি বিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ মণ পর্যন্ত। এটা অবশ্য হাইব্রিড পিঁয়াজের কথা। তবে দেরিতে লাগানো নাবি বা দেশি জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন আগের মতই, প্রতি বিঘায় গড় ফলন হয়েছে ২০–২২ মণ। বীজ, সারসহ চাষাবাদের খরচ হিসেব করলে দেখা যায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু পেঁয়াজ যখন উঠল বাজারে অর্থাৎ মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এতে কৃষকের লোকসান হয়েছে। তবে এপ্রিলের শেষ বা ঈদের পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম দুটিই বাড়তে শুরু করেছে। অস্থিতিশীল বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আন্তঃমন্ত্রণালয় তৎপরতাও শুরু হয়েছে। কৃষিসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এক মাস আগেও ছিল ৩০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা আর বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরবরাহ বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়ার দরকার।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কৃষি সচিব আবার এ কথাও জানান যে, ২৪ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে দেশে এবার ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজও উঠবে তাহলে উদ্বৃত্ত উৎপাদন সত্ত্বেও পেঁয়াজের বর্তমান দর কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এই হিসাব দেখলে তো ধাঁধা লাগে চোখে আর সন্দেহ জাগে। হিসাব সঠিক না কি কৃত্রিম বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ক্রেতার পকেটের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শক্তিশালী?

অন্যদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি বলেছেন, একটা কাজ করলেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। আর সেটা হচ্ছে আমদানি অনুমতি। পেঁয়াজের পাশাপাশি চিনি ও সয়াবিনের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উচিত হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো রাখা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি আছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে এখানে যে সুরে বাঁশি বাজাচ্ছেন, সে সুরেই দাম ঠিক হচ্ছে।’ একটা কথা হরহামেশাই বলা হয় এসব নাকি অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্ম। তাহলে সেই প্রশ্নই তো আবার জেগে উঠে, সাধু ব্যবসায়ী কারা? তারা কী করেন?

এসব কথার পরে তাহলে কী দাঁড়াল শেষমেশ? কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত, সংকট নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে সংকট সমাধানে আমদানির বিকল্প নেই। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এসব সিন্ডিকেটের কারসাজি। সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী কারণ সেখানে মন্ত্রীরা যুক্ত থাকেন। ক্যাব সভাপতি বললেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এখানে দাম নির্ধারিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁশির সুরে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেও থাকতে হবে। এটা একটা সাময়িক সমাধান হতে পারে কিন্তু এখানেও তো ভয়। মন্ত্রীরা যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে?

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ফলে ১০৭ রানের বড় জয় পায় প্রোটিয়ারা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। স্পোর্টিং উইকেটে বড় সংগ্রহ গড়ার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। রিকেল্টনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামের ফিফটিতে প্রোটিয়ারা ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম উইকেট দ্রুতই হারায় দলটি। ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে ২৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১১ রানে ফেরেন টনি ডি জর্জি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমা ও রিকেল্টনের ১২৯ রানের জুটিতে ১৫০ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯তম ওভারে ৭৬ বলে ৫৮ রান করা বাভুমাকে ফেরান নবি।

বাভুমার বিদায়ের পরই নিজের অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। তবে ৩৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে ১০৬ বলে ১০৩ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর ডুসেন ৪৬ বলে ৫২ ও মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রান করেন। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ নবি ৫১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন রহমত শাহ, যিনি ৯২ বলে ৯০ রান করেন। এছাড়া, আজমতুল্লা ওমারজাই ও রশিদ খান ১৮ রান করে করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা ৩ উইকেট, এনগিদি ও মুলডার ২টি করে উইকেট নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া