শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পেঁয়াজ-আদার ঝাঁজ আর বাঁশির সুর

রোদের তাপে পুড়ছে দেশ। বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষের সংসার। প্রকৃতিতে ছায়া নেই, কেটে ফেলেছে গাছ। বাজারেও ছায়া নেই। কে দেবে সেই ছায়া বা ভরসা? বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে, তখন মন্ত্রীদের কাছ থেকে সমাধানমূলক কোনো বক্তব্যের পরিবর্তে মানুষ এমন কিছু শুনছেন যার ফলে তারা মনে করেন একি হচ্ছে? তারা ভাবছেন, একি সান্ত্বনা না কি শাস্তির পূর্বাভাস? মন্ত্রীরা একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সান্ত্বনা এবং স্বস্তির পরিবর্তে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।

সম্প্রতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাজেট সংক্রান্ত এক কর্মশালায় বলেছেন, ‘আমি দেখেছি, বাজার করতে গিয়ে অনেকে কাঁদছেন। কারণ, বাজারের যে অবস্থা, তাদের পকেটে সে টাকা নেই। এটার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।’ সিন্ডিকেটের কথা বললেই ক্ষমতাসীন দলের কর্তাব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতারা সমস্বরে বলে উঠেন কোথায় সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। বাজার চলে বাজারের নিয়মে। কিন্তু মানুষ দেখে একই সাথে সারা দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কার ইশারায় হয় তা দেখা যায় না কিন্তু দাম বেড়ে গেলে তার উত্তাপ ক্রেতার গায়ে লাগে। একে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে এই সিন্ডিকেট নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু স্বীকার করছিলেন না দায়িত্বশীলরা। এবার তো মন্ত্রীর মুখেই শোনা গেল সিন্ডিকেটের কথা। এখানেই শেষ নয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের মধ্যেও সিন্ডিকেট আছে।‘ তিনি সংকটের কারণ জানালেন ’ কিন্তু তিনি যদি সিন্ডিকেটধারী মন্ত্রীদের নাম জানাতেন তাহলে দেশবাসী বুঝতেন কারা এই মন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসে সিন্ডিকেটের সুতা টানছেন। তাহলে হয়তো লোকলজ্জার ভয়েও তারা কিছুটা সংযত হতেন, বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসতে পারতো। কিন্তু হায় এতো হবার নয়।

বাজারে যারা যান তারা জানেন যে, খুচরা ও পাইকারি—দুই বাজারেই পেঁয়াজ আদার দাম আরও বেড়ে গেছে এবং বাড়ছেই। অজুহাত ভারতে দাম বেড়েছে এবং আদা আর চীন বা ভারত থেকে নয় ইন্দোনেশিয়া থেকে আনতে হবে। অথচ মাস দুই আগে থেকেই পেঁয়াজ আমদানি না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। আমদানি করলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। শুধু আমাদের দেশে নয় ভারতেও এবার রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি ফলে রপ্তানি না হওয়ায় সেখানকার কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না এবং পেঁয়াজের দাম গিয়েছে কমে। জানা গেছে ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ রুপিতে (এক রুপি সমান ১ টাকা ২৯ পয়সা) অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট সাধারণত হয় সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে। তখন কৃষকের পিয়াজ শেষের দিকে এবং নতুন পেঁয়াজ উঠতে বাকি। এই সংকট প্রায় প্রতিবছর কিছুটা হয়ে থাকে। ফলে এবারের সংকটে এই প্রশ্ন করা কি স্বাভাবিক নয় যে, এখন পেঁয়াজের মৌসুম কেবল শেষ হয়েছে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ এসেছে কৃষকের ঘরে, এখনই কি আমদানির এত প্রয়োজন দেখা দিল? দুই মাসে কী পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে গেলো যে পেঁয়াজের জন্য বাজারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। তাহলে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর কথা শুধু কথার কথা নয়। তার ভাষায় পেঁয়াজের বাজারেও সিন্ডিকেট ঢুকে পড়েছে? বাজার পরিস্থিতি দেখে তাহলে তো চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারের সিন্ডিকেটকেও অস্বীকার করা যাবে না।

পেঁয়াজের বাজার যখন এরকম অস্থির তখন বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন যে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। নজর কি শুধুই আমদানির দিকে থাকবে? যাচাই করে দেখা হবে না যে সত্যি আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি আছে, নাকি সিন্ডিকেটই কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে।

যদি পেঁয়াজের ঘাটতি থেকে থাকে, তাহলে তো আমদানি করে তা মেটাতেই হবে। তার জন্য তো আগে থেকে সরকার কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সংকট দেখা দিলেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে এবং দাম কমতে সময় লাগবে। এই সময়ে সিন্ডিকেট (শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় মন্ত্রীদের মধ্যেও আছেন) বসে থাকবে না। দাঁও মারবে এবং ফাউ মুনাফা লুটে নেবে। সরকারের কাজ কি হবে এ ধরনের সিন্ডিকেটকে বারবার বাড়তি ও অন্যায্য মুনাফা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া? সরকারের কাছে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা কত ও উৎপাদনের কত হয়েছে তার একটা গ্রহণযোগ্য হিসাব থাকলে এমন হতে পারে কি? সামনে কোরবানির ঈদ আসছে, ফলে দাম বাড়ানোর অজুহাত শক্তিশালী হবে।

এতো গেল সংকটের কথা। কিন্তু পেঁয়াজ চাষিরা জানান, চাষিরা এবার দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজ রোপণ করেছিলেন। আগাম জাতের হাইব্রিড পেঁয়াজের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গড়ে প্রতি বিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ মণ পর্যন্ত। এটা অবশ্য হাইব্রিড পিঁয়াজের কথা। তবে দেরিতে লাগানো নাবি বা দেশি জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন আগের মতই, প্রতি বিঘায় গড় ফলন হয়েছে ২০–২২ মণ। বীজ, সারসহ চাষাবাদের খরচ হিসেব করলে দেখা যায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু পেঁয়াজ যখন উঠল বাজারে অর্থাৎ মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এতে কৃষকের লোকসান হয়েছে। তবে এপ্রিলের শেষ বা ঈদের পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম দুটিই বাড়তে শুরু করেছে। অস্থিতিশীল বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আন্তঃমন্ত্রণালয় তৎপরতাও শুরু হয়েছে। কৃষিসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এক মাস আগেও ছিল ৩০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা আর বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরবরাহ বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়ার দরকার।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কৃষি সচিব আবার এ কথাও জানান যে, ২৪ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে দেশে এবার ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজও উঠবে তাহলে উদ্বৃত্ত উৎপাদন সত্ত্বেও পেঁয়াজের বর্তমান দর কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এই হিসাব দেখলে তো ধাঁধা লাগে চোখে আর সন্দেহ জাগে। হিসাব সঠিক না কি কৃত্রিম বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ক্রেতার পকেটের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শক্তিশালী?

অন্যদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি বলেছেন, একটা কাজ করলেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। আর সেটা হচ্ছে আমদানি অনুমতি। পেঁয়াজের পাশাপাশি চিনি ও সয়াবিনের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উচিত হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো রাখা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি আছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে এখানে যে সুরে বাঁশি বাজাচ্ছেন, সে সুরেই দাম ঠিক হচ্ছে।’ একটা কথা হরহামেশাই বলা হয় এসব নাকি অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্ম। তাহলে সেই প্রশ্নই তো আবার জেগে উঠে, সাধু ব্যবসায়ী কারা? তারা কী করেন?

এসব কথার পরে তাহলে কী দাঁড়াল শেষমেশ? কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত, সংকট নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে সংকট সমাধানে আমদানির বিকল্প নেই। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এসব সিন্ডিকেটের কারসাজি। সিন্ডিকেট খুব শক্তিশালী কারণ সেখানে মন্ত্রীরা যুক্ত থাকেন। ক্যাব সভাপতি বললেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এখানে দাম নির্ধারিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁশির সুরে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেও থাকতে হবে। এটা একটা সাময়িক সমাধান হতে পারে কিন্তু এখানেও তো ভয়। মন্ত্রীরা যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে?

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad

গণহত্যার বিচার শুরু হলে অনেক দ্বিধা-প্রশ্ন দূর হবে : আসিফ নজরুল

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার প্রচুর আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন জুলাই–আগস্ট মাসের পৈশাচিক গণহত্যার বিচার অচিরেই শুরু করব, তখন দেখবেন, আমাদের অনেক দ্বিধা, অনেক প্রশ্ন দূর হয়ে যাবে।’

আজ শুক্রবার বিকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠিত হয়ে যাবে। এর কাজ কিন্তু ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম গঠিত হয়েছে প্রায় এক মাস হয়ে গেছে। আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম গঠিত হয়েছে দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‌‌‘আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে ভাববেন না। আপনারা নিজেদের দেশের নাগরিক হিসেবে মনে করবেন। মুসলিম ধর্মের মানুষ যেমন বাংলাদেশের মালিক তেমনি আপনারাও দেশের মালিক। আপনারা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সমান অধিকার, সমান প্রত্যাশা, সমান দৃঢ়তা ও সমান আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসবাস করবেন। আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পা দিবেন না। আপনাদের নিয়ে অনেক দল নানা ধরনের খেলা করছে। এ বিষয়ে সজাগ থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক-ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা এক জিনিস নয়। দুটো ভিন্ন জিনিস। রাজনৈতিক বা প্রতিহিংসাবশত ব্যক্তিগত হামলাকে সাম্প্রদায়িক হামলা ভাববেন না। আর যদিও বিচ্ছিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক কোনো ঘটনা ঘটে তবে সেখানে বিভাজন না হয়ে সহনশীল ভূমিকা পালন করবেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।’

‘সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নয়। মুসলিম, হিন্দু বা বৈদ্ধ-খ্রিস্টান কারো নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সবার। রাষ্ট্রে সকলেই সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে নিহতের স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে আপনারাও ভূমিকা রাখবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু মুসলিম নয়, সকল ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করেছেন। নতুন বাংলাদেশে ধর্ম পালনের অধিকার সকল ধর্মের মানুষের সমান।’

সনাতন ধর্মের নেতা সত্য নারায়ন সারদারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জল হোসেন, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট কল্যাণ সাহা, পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা, থানা বিএনপির সভাপতি ও পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কৃষ্ণ দাস এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আরাফাত ইশান প্রমুখ।

Header Ad

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে আলমডাঙ্গা কুমারী গ্রাম থেকে এই পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামে অবৈধ অস্ত্রবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সেনা সদস্যরা। এসময় একটি বিদেশি রিভলবার, একটি অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্ণেল জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া পিস্তল, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন আলমডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad

চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে যুবককে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীরা চলন্ত ট্রেনের ছাদে থেকে ফেলে দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবক ছিনতাইকারীদের ছিনতায়ের কাজে বাঁধা দিলে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে তাকে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ট্রেন থেকে পড়ে অপর এক যাত্রী আহত হন।

শুক্রবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। তবে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী, আহত ব্যক্তি ও রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস একটি ট্রেন ছেড়ে আসে। ওই ট্রেনের ছাদে বেশকিছু যাত্রী উঠে তাদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেনটি শুক্রবার ভোর রাতে জয়দেবপুর-রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাখালি এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের ছাদে হানা দেয় একদল ছিনতাইকারী। এসময় ট্রেনের ছাদে থাকা যাত্রীদের ব্যাগ, টাকা, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা। চলন্ত ট্রেনের ছিনতাইকালে বাধা দিলে এক যুবককে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবক মারা যান। এসময় শামীম ইসলাম নামে এক যাত্রী পা ফসকে ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান এবং তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় শামীমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকেল পৌণে ৩টার দিকে ঘটনাস্থালে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ট্রেন যাত্রী আহত শামীম ইসলাম জানান, আমি ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি দিনাজপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিলাম। যাওয়ার সময় ওই ট্রেনের ছাদে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গলে দেখি ছিনতাইকারীরা আমার তাহার ব্যাগ, নগদ টাকা, একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এসময় ছাদে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করলে ছিনতাইকারী ও যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায় ছিনতাইকারীরা ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবক ফেলে দেয়। এসময় আমিও পা ফসকে নিচে পড়ে গেলে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ওই রেললাইনের কালিয়াকৈর সোনাখালি রেল গেটম্যান নূর বাদশা জানান, সকালে ট্রেনের ছাদ থেকে এখানে দুইজন যুবক পড়ে যায়। এদের একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) সেতাফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হবে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গণহত্যার বিচার শুরু হলে অনেক দ্বিধা-প্রশ্ন দূর হবে : আসিফ নজরুল
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে যুবককে হত্যা
পূজায় সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে : সেনাপ্রধান
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত মদ্পানে হরিজন সম্প্রদায়ের একজনের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামির বাবা মর্তুজ আলী গ্রেফতার
সংবিধান বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ঘোষণা শিগগিরই : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
মারধর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য করতো সন্তানরা, কষ্টে বাবা-মায়ের পানির ট্যাঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ককপিটে পাইলটের অকাল মৃত্যু: জরুরি অবতরণের ঘটনা
মিয়ানমার দূতাবাসে জেলে হত্যার কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
মালয়েশিয়া ফিরে গেলেন মিজানুর রহমান আজহারি, ফেসবুকে যা জানালেন
শান্তিতে নোবেল পেল জাপানি সংস্থা 'নিহন হিডানকিও'
পূজা উদযাপন পরিষদের এক কর্মকর্তার আমন্ত্রণে গান করেছিলেন শিল্পীরা: পুলিশ
ভারতে হিযবুত তাহ্‌রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
এক প্রজ্ঞাপনেই ১৭ বছরে করা ৪ লাখ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে: মির্জা আব্বাস
পূজামণ্ডপে ইসলামী গান: মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার দুজন
মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে
পাকিস্তানে কয়লা খনিতে অস্ত্রধারীদের হামলা, নিহত ২০