মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সবুজ পর্যটন, পর্যটনের সবুজায়ন

গত ১৮ ও ১৯ মে ২০২৩ তারিখে ভারতের মিজোরামে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মোট ৯০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও ২টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে সবুজ পর্যটন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য আমন্ত্রিত হই। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত মূল প্রবন্ধের আলোকে এই প্রবন্ধটি রচনা করা হলো।

প্রারম্ভকথা
ভারতের জি-২০ ট্যুরিজম ট্রাকের অধীন ট্যুরিজম ওয়ার্কিং কমিটি তাদের পর্যটনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ৫টি অগ্রাধিকার অধিক্ষেত্র চিহ্নিত করে। উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালে এসজিডি অর্জন ত্বরান্বিত করা। পর্যটনের জন্য নির্ধারিত ৫টি অধিক্ষেত্র হলো: সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও গন্তব্য।

উল্লেখ্য, জি-২০ গ্রুপের দেশগুলি হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মোট ১৯টি দেশ ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের প্রেসিডেন্সি রয়েছে ভারতের হাতে। ২০২৪ সালে যাবে ব্রাজিলের হাতে।

সূচনা
বিশ্বে পর্যটনের বহুমাত্রিক ইতিবাচক মাত্রা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। তবে দায়িত্বশীল পর্যটন রীতি অনুশীলন না করা এবং নীতিবিরুদ্ধ পর্যটন পরিচালনা করার জন্য পর্যটনের নানাবিধ নেতিবাচক বিষয় গোচরীভূত হতে শুরু করেছে। প্রচলিত পর্যটনের এইসব নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক সমস্যা দূরীকরণের জন্য পর্যটন সৃজন ও পরিচালনায় সতর্ক থাকা উচিত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবুজ পর্যটন একটি অন্যতম সমাধান। সবুজ পর্যটন একটি ইতিবাচক বিষয়, যা সমকালীন বিশ্ব অনুসরণের নতুন তাগিদ অনুভব করছে। সবুজ পর্যটন পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা প্রদান করে। জি ২০ গ্রæপভূক্ত দেশ হিসেবে ভারত সবুজ পর্যটনের নবরূপে সৃষ্টি ও অনুশীলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বিশেষজ্ঞ মহল আশা করে।

সবুজ পর্যটনের ধারণা
সবুজ পর্যটন ধারণাটি পরিবেশগত কর্মক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে পর্যটন উদ্যোগ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার কৌশলও বটে। পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষ পর্যটনের নামে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ পর্যটনের বিকাশ, অনুশীলন ও মালিকানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জি ২০ দেশসমূহের সরকারসমূহকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সবুজ লেবেলিং বাজারের পরিসর বিস্তৃত করার সাথে বহুবিধ নতুন ক্ষেত্র খুলে দিতে পারে।

সবুজ পর্যটনের কতগুলি কর্মএলাকা রয়েছে, যেমন পযটন পরিচালনায় সবুজায়ন, পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগ, সবুজ পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা ও পরিচালনা, পর্যটক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সবুজায়ন রীতিতে গড়ে তোলা ইত্যাদি। এর প্রতিটি কর্মএলাকা সকল পরিবেশকে ব্যবহারোপযোগী করে রাখা, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীবনধারায় সবুজায়ন, বন্যপ্রাণীকে বন্য আবাসে থাকতে সাহায্য করা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা রক্ষায় সমর্থন এবং সুশাসন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সর্বোপরি জৈবিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।

চক্রাকার সবুজ পর্যটন
পর্যটনে সবুজায়ন বলতে সাধারণত রৈখিক সবুজ পর্যটনকে (Linear Green Tourism) বুঝে থাকি। তবে সমকালীন বিশেষজ্ঞ মহল রৈখিক সবুজ পর্যটনের পরিবর্তে চক্রাকার সবুজ পর্যটন (Circular Green Tourism) অনুশীলনকে অধিক যুক্তিযৌক্ত বলে মনে করছেন। কারণ চক্রাকার সবুজ পর্যটন দক্ষতার সাথে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে, পরিবেশের উপর নেতিবাচক কমায় এবং প্রাকৃতিক পুঁজি সংরক্ষণ করে। এই ধরণের পর্যটনের সাথে লোকেরা নিজেদেরকে আরও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে সম্পৃক্ত করতে পারে, দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে। ফলে প্রকৃতির উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হবে। চক্রাকার সবুজ পর্যটন ভবিষ্যতকে টেকসই করার এক বাস্তব ও কাক্সিক্ষত পর্যটন।

সবুজ পর্যটনে আমাদের দায়িত্ব
সবুজ পর্যটন ধারণা চিহ্নিতকরণ, বিনিয়োগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অন্তর্গত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ এবং এর সাথে স্থানীয় জনগণের পূর্ণ সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। সবুজ পর্যটনের বিপণন পদ্ধতিকে বর্তমান বিপনণের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। সরকারকে পর্যটন বাজারে অনুপ্রবেশে ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদেরকে সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মূল্যের কারণে সবুজ পর্যটনকে বিশেষ বিবেচনায় তৈরি করতে হবে। পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য নির্ধারণ কৌশলে এবং পর্যটন পণ্যের গুণমান নির্ধারণে পর্যটকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পর্যটনের সবুজ পণ্য বাজারে প্রশংসিত পণ্য হিসেবে ক্রেতাকর্তৃক সমাদৃত হতে হবে।

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের কৌশলে গন্তব্য, সময়, প্রবেশ্যতা, পর্যটন পণ্য পোর্টফোলিও, শিক্ষা ও সকল স্টেকহোল্ডারদের সামাজিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উপসংহার
সবুজ পর্যটনের সবচেয়ে সফল দিক হলো এটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই স্থানীয় জনগণের জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সবুজ পর্যটন গড়ে তোলা সহজ। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সবুজ পর্যটন প্রশিক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এবং আনুগত্যের জন্য আচরণগত শিক্ষা অপরিহার্য। সবুজ পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটনের সবুজায়নের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও অনুশীলনকারীদের বাস্তবায়নের জন্য উদার মনোভাব নিয়ে সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যম দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। হাজার বছরের সংগ্রাম মুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জ্বল মুহূর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান, আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

তিনি মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা মা-বোনদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এদিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মুহূর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র।

একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই। বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

দেশে অনুমোদনহীনভাবে স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি, কিছু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনুমোদন ছাড়া পে-চ্যানেল সম্প্রচার করছে, যা দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছে।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি, এবং আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে করণীয় সম্পর্কে মতামত চেয়েছে।

বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন শাখার উপপরিচালক মো. হাসিবুল কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, কিছু আইএসপি অনুমোদিত প্রযুক্তি ব্যবহার না করেই বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশকদের ডিস্ট্রিবিউট করা পে-চ্যানেলগুলো পাইরেসির মাধ্যমে ক্লিন ফিডবিহীনভাবে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে প্রদর্শন করছে। একই ধরনের কার্যক্রম কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও চলছে, যা দেশের আইন পরিপন্থী।

বিটিআরসি জানায়, এসব অনিয়মের ফলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মাধ্যমে বৈধ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং চ্যানেলের সংখ্যা কমছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর এই কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১-এর ৭৩ নম্বর ধারা এবং আইএসপি গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৭.৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া, গাইডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত এপেনডিক্স-৪-এর ২(ডি)(এক্স) ধারা অনুযায়ী করা হলফনামারও বরখেলাপ হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, পাইরেসি রোধ এবং ক্লিন ফিডবিহীন স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ মার্চের মধ্যে) গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিটিআরসিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিটি আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং সব জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের আইএসপিদের পাঠানো হয়েছে।

বিটিআরসির এই কঠোর নির্দেশনার ফলে দেশে অনুমোদনহীনভাবে পে-চ্যানেল সম্প্রচারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দ্বিতীয় শহীদ হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রামের ওয়াসিম হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে। এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম।

ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলম। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওয়াসিম ছিলেন পরিবারের অন্যতম সদস্য।

ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওয়াসিম আকরাম মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছিলেন। তখন ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। তারা মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়।

একপর্যায়ে, আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিমের বুক ও নাভিতে গুলি লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন
যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে তা ভালো বুঝি: ফখরুল
‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন দল গঠিত, নিবন্ধনের আবেদন ইসিতে
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান
১৩তম এনোবল এওয়ার্ড পেলেন মাওলা সোহরাব হোসাইন আতিকী  
আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা, পুলিশের বাধা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
কন্যা সন্তানের বাবা হলেন ক্রিকেটার কে এল রাহুল
বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা
এবার পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তাকে বদলি