শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সবুজ পর্যটন, পর্যটনের সবুজায়ন

গত ১৮ ও ১৯ মে ২০২৩ তারিখে ভারতের মিজোরামে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মোট ৯০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও ২টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে সবুজ পর্যটন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য আমন্ত্রিত হই। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত মূল প্রবন্ধের আলোকে এই প্রবন্ধটি রচনা করা হলো।

প্রারম্ভকথা
ভারতের জি-২০ ট্যুরিজম ট্রাকের অধীন ট্যুরিজম ওয়ার্কিং কমিটি তাদের পর্যটনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ৫টি অগ্রাধিকার অধিক্ষেত্র চিহ্নিত করে। উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালে এসজিডি অর্জন ত্বরান্বিত করা। পর্যটনের জন্য নির্ধারিত ৫টি অধিক্ষেত্র হলো: সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও গন্তব্য।

উল্লেখ্য, জি-২০ গ্রুপের দেশগুলি হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মোট ১৯টি দেশ ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের প্রেসিডেন্সি রয়েছে ভারতের হাতে। ২০২৪ সালে যাবে ব্রাজিলের হাতে।

সূচনা
বিশ্বে পর্যটনের বহুমাত্রিক ইতিবাচক মাত্রা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। তবে দায়িত্বশীল পর্যটন রীতি অনুশীলন না করা এবং নীতিবিরুদ্ধ পর্যটন পরিচালনা করার জন্য পর্যটনের নানাবিধ নেতিবাচক বিষয় গোচরীভূত হতে শুরু করেছে। প্রচলিত পর্যটনের এইসব নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক সমস্যা দূরীকরণের জন্য পর্যটন সৃজন ও পরিচালনায় সতর্ক থাকা উচিত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবুজ পর্যটন একটি অন্যতম সমাধান। সবুজ পর্যটন একটি ইতিবাচক বিষয়, যা সমকালীন বিশ্ব অনুসরণের নতুন তাগিদ অনুভব করছে। সবুজ পর্যটন পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা প্রদান করে। জি ২০ গ্রæপভূক্ত দেশ হিসেবে ভারত সবুজ পর্যটনের নবরূপে সৃষ্টি ও অনুশীলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বিশেষজ্ঞ মহল আশা করে।

সবুজ পর্যটনের ধারণা
সবুজ পর্যটন ধারণাটি পরিবেশগত কর্মক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে পর্যটন উদ্যোগ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার কৌশলও বটে। পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষ পর্যটনের নামে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ পর্যটনের বিকাশ, অনুশীলন ও মালিকানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জি ২০ দেশসমূহের সরকারসমূহকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সবুজ লেবেলিং বাজারের পরিসর বিস্তৃত করার সাথে বহুবিধ নতুন ক্ষেত্র খুলে দিতে পারে।

সবুজ পর্যটনের কতগুলি কর্মএলাকা রয়েছে, যেমন পযটন পরিচালনায় সবুজায়ন, পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগ, সবুজ পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা ও পরিচালনা, পর্যটক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সবুজায়ন রীতিতে গড়ে তোলা ইত্যাদি। এর প্রতিটি কর্মএলাকা সকল পরিবেশকে ব্যবহারোপযোগী করে রাখা, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীবনধারায় সবুজায়ন, বন্যপ্রাণীকে বন্য আবাসে থাকতে সাহায্য করা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা রক্ষায় সমর্থন এবং সুশাসন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সর্বোপরি জৈবিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।

চক্রাকার সবুজ পর্যটন
পর্যটনে সবুজায়ন বলতে সাধারণত রৈখিক সবুজ পর্যটনকে (Linear Green Tourism) বুঝে থাকি। তবে সমকালীন বিশেষজ্ঞ মহল রৈখিক সবুজ পর্যটনের পরিবর্তে চক্রাকার সবুজ পর্যটন (Circular Green Tourism) অনুশীলনকে অধিক যুক্তিযৌক্ত বলে মনে করছেন। কারণ চক্রাকার সবুজ পর্যটন দক্ষতার সাথে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে, পরিবেশের উপর নেতিবাচক কমায় এবং প্রাকৃতিক পুঁজি সংরক্ষণ করে। এই ধরণের পর্যটনের সাথে লোকেরা নিজেদেরকে আরও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে সম্পৃক্ত করতে পারে, দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে। ফলে প্রকৃতির উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হবে। চক্রাকার সবুজ পর্যটন ভবিষ্যতকে টেকসই করার এক বাস্তব ও কাক্সিক্ষত পর্যটন।

সবুজ পর্যটনে আমাদের দায়িত্ব
সবুজ পর্যটন ধারণা চিহ্নিতকরণ, বিনিয়োগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অন্তর্গত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ এবং এর সাথে স্থানীয় জনগণের পূর্ণ সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। সবুজ পর্যটনের বিপণন পদ্ধতিকে বর্তমান বিপনণের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। সরকারকে পর্যটন বাজারে অনুপ্রবেশে ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদেরকে সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মূল্যের কারণে সবুজ পর্যটনকে বিশেষ বিবেচনায় তৈরি করতে হবে। পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য নির্ধারণ কৌশলে এবং পর্যটন পণ্যের গুণমান নির্ধারণে পর্যটকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পর্যটনের সবুজ পণ্য বাজারে প্রশংসিত পণ্য হিসেবে ক্রেতাকর্তৃক সমাদৃত হতে হবে।

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের কৌশলে গন্তব্য, সময়, প্রবেশ্যতা, পর্যটন পণ্য পোর্টফোলিও, শিক্ষা ও সকল স্টেকহোল্ডারদের সামাজিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উপসংহার
সবুজ পর্যটনের সবচেয়ে সফল দিক হলো এটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই স্থানীয় জনগণের জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সবুজ পর্যটন গড়ে তোলা সহজ। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সবুজ পর্যটন প্রশিক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এবং আনুগত্যের জন্য আচরণগত শিক্ষা অপরিহার্য। সবুজ পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটনের সবুজায়নের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও অনুশীলনকারীদের বাস্তবায়নের জন্য উদার মনোভাব নিয়ে সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত