মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সবুজ পর্যটন, পর্যটনের সবুজায়ন

গত ১৮ ও ১৯ মে ২০২৩ তারিখে ভারতের মিজোরামে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মোট ৯০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও ২টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে সবুজ পর্যটন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য আমন্ত্রিত হই। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত মূল প্রবন্ধের আলোকে এই প্রবন্ধটি রচনা করা হলো।

প্রারম্ভকথা
ভারতের জি-২০ ট্যুরিজম ট্রাকের অধীন ট্যুরিজম ওয়ার্কিং কমিটি তাদের পর্যটনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ৫টি অগ্রাধিকার অধিক্ষেত্র চিহ্নিত করে। উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালে এসজিডি অর্জন ত্বরান্বিত করা। পর্যটনের জন্য নির্ধারিত ৫টি অধিক্ষেত্র হলো: সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও গন্তব্য।

উল্লেখ্য, জি-২০ গ্রুপের দেশগুলি হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মোট ১৯টি দেশ ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের প্রেসিডেন্সি রয়েছে ভারতের হাতে। ২০২৪ সালে যাবে ব্রাজিলের হাতে।

সূচনা
বিশ্বে পর্যটনের বহুমাত্রিক ইতিবাচক মাত্রা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। তবে দায়িত্বশীল পর্যটন রীতি অনুশীলন না করা এবং নীতিবিরুদ্ধ পর্যটন পরিচালনা করার জন্য পর্যটনের নানাবিধ নেতিবাচক বিষয় গোচরীভূত হতে শুরু করেছে। প্রচলিত পর্যটনের এইসব নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক সমস্যা দূরীকরণের জন্য পর্যটন সৃজন ও পরিচালনায় সতর্ক থাকা উচিত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবুজ পর্যটন একটি অন্যতম সমাধান। সবুজ পর্যটন একটি ইতিবাচক বিষয়, যা সমকালীন বিশ্ব অনুসরণের নতুন তাগিদ অনুভব করছে। সবুজ পর্যটন পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা প্রদান করে। জি ২০ গ্রæপভূক্ত দেশ হিসেবে ভারত সবুজ পর্যটনের নবরূপে সৃষ্টি ও অনুশীলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বিশেষজ্ঞ মহল আশা করে।

সবুজ পর্যটনের ধারণা
সবুজ পর্যটন ধারণাটি পরিবেশগত কর্মক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে পর্যটন উদ্যোগ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার কৌশলও বটে। পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষ পর্যটনের নামে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ পর্যটনের বিকাশ, অনুশীলন ও মালিকানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জি ২০ দেশসমূহের সরকারসমূহকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সবুজ লেবেলিং বাজারের পরিসর বিস্তৃত করার সাথে বহুবিধ নতুন ক্ষেত্র খুলে দিতে পারে।

সবুজ পর্যটনের কতগুলি কর্মএলাকা রয়েছে, যেমন পযটন পরিচালনায় সবুজায়ন, পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগ, সবুজ পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা ও পরিচালনা, পর্যটক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সবুজায়ন রীতিতে গড়ে তোলা ইত্যাদি। এর প্রতিটি কর্মএলাকা সকল পরিবেশকে ব্যবহারোপযোগী করে রাখা, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীবনধারায় সবুজায়ন, বন্যপ্রাণীকে বন্য আবাসে থাকতে সাহায্য করা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা রক্ষায় সমর্থন এবং সুশাসন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সর্বোপরি জৈবিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।

চক্রাকার সবুজ পর্যটন
পর্যটনে সবুজায়ন বলতে সাধারণত রৈখিক সবুজ পর্যটনকে (Linear Green Tourism) বুঝে থাকি। তবে সমকালীন বিশেষজ্ঞ মহল রৈখিক সবুজ পর্যটনের পরিবর্তে চক্রাকার সবুজ পর্যটন (Circular Green Tourism) অনুশীলনকে অধিক যুক্তিযৌক্ত বলে মনে করছেন। কারণ চক্রাকার সবুজ পর্যটন দক্ষতার সাথে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে, পরিবেশের উপর নেতিবাচক কমায় এবং প্রাকৃতিক পুঁজি সংরক্ষণ করে। এই ধরণের পর্যটনের সাথে লোকেরা নিজেদেরকে আরও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে সম্পৃক্ত করতে পারে, দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে। ফলে প্রকৃতির উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হবে। চক্রাকার সবুজ পর্যটন ভবিষ্যতকে টেকসই করার এক বাস্তব ও কাক্সিক্ষত পর্যটন।

সবুজ পর্যটনে আমাদের দায়িত্ব
সবুজ পর্যটন ধারণা চিহ্নিতকরণ, বিনিয়োগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অন্তর্গত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ এবং এর সাথে স্থানীয় জনগণের পূর্ণ সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। সবুজ পর্যটনের বিপণন পদ্ধতিকে বর্তমান বিপনণের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। সরকারকে পর্যটন বাজারে অনুপ্রবেশে ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদেরকে সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মূল্যের কারণে সবুজ পর্যটনকে বিশেষ বিবেচনায় তৈরি করতে হবে। পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য নির্ধারণ কৌশলে এবং পর্যটন পণ্যের গুণমান নির্ধারণে পর্যটকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পর্যটনের সবুজ পণ্য বাজারে প্রশংসিত পণ্য হিসেবে ক্রেতাকর্তৃক সমাদৃত হতে হবে।

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের কৌশলে গন্তব্য, সময়, প্রবেশ্যতা, পর্যটন পণ্য পোর্টফোলিও, শিক্ষা ও সকল স্টেকহোল্ডারদের সামাজিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উপসংহার
সবুজ পর্যটনের সবচেয়ে সফল দিক হলো এটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই স্থানীয় জনগণের জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সবুজ পর্যটন গড়ে তোলা সহজ। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সবুজ পর্যটন প্রশিক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এবং আনুগত্যের জন্য আচরণগত শিক্ষা অপরিহার্য। সবুজ পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটনের সবুজায়নের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও অনুশীলনকারীদের বাস্তবায়নের জন্য উদার মনোভাব নিয়ে সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাবেক ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলপন্থি এবং চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত, এবং তার এই কট্টর অবস্থান তাকে রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সমাদৃত করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিএনএন ও রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রতি তার গভীর সমর্থন এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

এদিকে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে নেওয়া ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপাশি, ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তার বিরুদ্ধে ১৪টি হত্যা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আশিক ইকবাল। গ্রেপ্তারের সময়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে।

সাইদুর রহমান সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে, এছাড়া আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান