সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সবুজ পর্যটন, পর্যটনের সবুজায়ন

গত ১৮ ও ১৯ মে ২০২৩ তারিখে ভারতের মিজোরামে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মোট ৯০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও ২টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে সবুজ পর্যটন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য আমন্ত্রিত হই। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত মূল প্রবন্ধের আলোকে এই প্রবন্ধটি রচনা করা হলো।

প্রারম্ভকথা
ভারতের জি-২০ ট্যুরিজম ট্রাকের অধীন ট্যুরিজম ওয়ার্কিং কমিটি তাদের পর্যটনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ৫টি অগ্রাধিকার অধিক্ষেত্র চিহ্নিত করে। উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালে এসজিডি অর্জন ত্বরান্বিত করা। পর্যটনের জন্য নির্ধারিত ৫টি অধিক্ষেত্র হলো: সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও গন্তব্য।

উল্লেখ্য, জি-২০ গ্রুপের দেশগুলি হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মোট ১৯টি দেশ ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের প্রেসিডেন্সি রয়েছে ভারতের হাতে। ২০২৪ সালে যাবে ব্রাজিলের হাতে।

সূচনা
বিশ্বে পর্যটনের বহুমাত্রিক ইতিবাচক মাত্রা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। তবে দায়িত্বশীল পর্যটন রীতি অনুশীলন না করা এবং নীতিবিরুদ্ধ পর্যটন পরিচালনা করার জন্য পর্যটনের নানাবিধ নেতিবাচক বিষয় গোচরীভূত হতে শুরু করেছে। প্রচলিত পর্যটনের এইসব নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক সমস্যা দূরীকরণের জন্য পর্যটন সৃজন ও পরিচালনায় সতর্ক থাকা উচিত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবুজ পর্যটন একটি অন্যতম সমাধান। সবুজ পর্যটন একটি ইতিবাচক বিষয়, যা সমকালীন বিশ্ব অনুসরণের নতুন তাগিদ অনুভব করছে। সবুজ পর্যটন পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা প্রদান করে। জি ২০ গ্রæপভূক্ত দেশ হিসেবে ভারত সবুজ পর্যটনের নবরূপে সৃষ্টি ও অনুশীলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বিশেষজ্ঞ মহল আশা করে।

সবুজ পর্যটনের ধারণা
সবুজ পর্যটন ধারণাটি পরিবেশগত কর্মক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে পর্যটন উদ্যোগ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার কৌশলও বটে। পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষ পর্যটনের নামে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ পর্যটনের বিকাশ, অনুশীলন ও মালিকানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জি ২০ দেশসমূহের সরকারসমূহকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সবুজ লেবেলিং বাজারের পরিসর বিস্তৃত করার সাথে বহুবিধ নতুন ক্ষেত্র খুলে দিতে পারে।

সবুজ পর্যটনের কতগুলি কর্মএলাকা রয়েছে, যেমন পযটন পরিচালনায় সবুজায়ন, পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগ, সবুজ পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা ও পরিচালনা, পর্যটক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সবুজায়ন রীতিতে গড়ে তোলা ইত্যাদি। এর প্রতিটি কর্মএলাকা সকল পরিবেশকে ব্যবহারোপযোগী করে রাখা, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীবনধারায় সবুজায়ন, বন্যপ্রাণীকে বন্য আবাসে থাকতে সাহায্য করা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা রক্ষায় সমর্থন এবং সুশাসন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সর্বোপরি জৈবিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।

চক্রাকার সবুজ পর্যটন
পর্যটনে সবুজায়ন বলতে সাধারণত রৈখিক সবুজ পর্যটনকে (Linear Green Tourism) বুঝে থাকি। তবে সমকালীন বিশেষজ্ঞ মহল রৈখিক সবুজ পর্যটনের পরিবর্তে চক্রাকার সবুজ পর্যটন (Circular Green Tourism) অনুশীলনকে অধিক যুক্তিযৌক্ত বলে মনে করছেন। কারণ চক্রাকার সবুজ পর্যটন দক্ষতার সাথে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে, পরিবেশের উপর নেতিবাচক কমায় এবং প্রাকৃতিক পুঁজি সংরক্ষণ করে। এই ধরণের পর্যটনের সাথে লোকেরা নিজেদেরকে আরও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে সম্পৃক্ত করতে পারে, দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে। ফলে প্রকৃতির উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হবে। চক্রাকার সবুজ পর্যটন ভবিষ্যতকে টেকসই করার এক বাস্তব ও কাক্সিক্ষত পর্যটন।

সবুজ পর্যটনে আমাদের দায়িত্ব
সবুজ পর্যটন ধারণা চিহ্নিতকরণ, বিনিয়োগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অন্তর্গত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ এবং এর সাথে স্থানীয় জনগণের পূর্ণ সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। সবুজ পর্যটনের বিপণন পদ্ধতিকে বর্তমান বিপনণের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। সরকারকে পর্যটন বাজারে অনুপ্রবেশে ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদেরকে সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মূল্যের কারণে সবুজ পর্যটনকে বিশেষ বিবেচনায় তৈরি করতে হবে। পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য নির্ধারণ কৌশলে এবং পর্যটন পণ্যের গুণমান নির্ধারণে পর্যটকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পর্যটনের সবুজ পণ্য বাজারে প্রশংসিত পণ্য হিসেবে ক্রেতাকর্তৃক সমাদৃত হতে হবে।

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের কৌশলে গন্তব্য, সময়, প্রবেশ্যতা, পর্যটন পণ্য পোর্টফোলিও, শিক্ষা ও সকল স্টেকহোল্ডারদের সামাজিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উপসংহার
সবুজ পর্যটনের সবচেয়ে সফল দিক হলো এটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই স্থানীয় জনগণের জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সবুজ পর্যটন গড়ে তোলা সহজ। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সবুজ পর্যটন প্রশিক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এবং আনুগত্যের জন্য আচরণগত শিক্ষা অপরিহার্য। সবুজ পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটনের সবুজায়নের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও অনুশীলনকারীদের বাস্তবায়নের জন্য উদার মনোভাব নিয়ে সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন