মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পল্লিতে রবির কিরণ

রবীন্দ্রনাথকে আমরা সাহিত্যপ্রেমীরা ভেবে থাকি তিনি একজন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, একজন দার্শনিক। কিন্তু পল্লি উন্নয়ন গবেষক হিসেবে আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ শুধু এক জায়গায় স্থির নন, তিনি পল্লি উন্নয়নের এক আলোকবর্তিকার নাম। তিনি জমিদারের সন্তান হয়েও জমিদারির খোলস ভেঙে গড়ে তুলেছিলেন আরেক প্রজাদরদী গল্পের স্ক্রিপ্ট। চিরায়ত প্রথার খোলস ভেঙে মানবিক প্রজাহিতৈষী জমিদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সমাজের কাছে। রাশিয়ার চিঠিতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ এক পল্লি নায়ক। তিনি লিখেছেন, ‘জমির স্বত্ব ন্যায়ত জমিদারের নয়, চাষির’।

নবীন জমিদার রবীন্দ্রনাথ সব শ্রেণির লোককেই আপন করে নিতে পেরেছেন খুব অল্প সময়ে। তাই তো তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক।’ তিনি অনুভব করেছিলেন, ‘ভিক্ষা দিয়ে মনুষ্যত্ব জাগানো যায় না, তোমাদের ভালো একমাত্র তোমরা নিজেরাই করতে পার। যে কাজ পাঁচজনের উপকারে লাগবে, সে কাজ তোমরা একত্রে মিলেমিশে কর, ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’

দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার জন্য পল্লি উন্নয়নের নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নেন তিনি। তিনি জানতেন এজন্য দরকার কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ। শিলাইদহ কুঠিবাড়ির ৮০ বিঘা জমি দেশের প্রথম কৃষি গবেষণাগার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। ১৯০৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদেশ থেকে ফিরে শুরু করলেন বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ, সার, পাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথ ক্যানিং এ ডেনিয়াল হ্যামিলটনের কৃষিক্ষেত্র ও গবেষণাগার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে প্রথম ১৯১০ সালে সেচ কাজে পাম্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করেন। জমি উর্বরের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নৌকা বোঝাই ইলিশ মাছ সস্তায় কিনে নিতেন। চুন দিয়ে মাটিতে চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করতেন। ট্রাক্টর এর মাধ্যমে শিলাইদহে চাষাবাদ শুরু করেন- যা এনেছিলেন রাশিয়া থেকে।

রবীন্দ্রনাথ অনেকটা সময় পল্লি অঞ্চলে থেকেছেন, অবলোকন করেছেন গরিব প্রজা কৃষকের উপর ঋণের বোঝা। জমিদারি করতে গিয়ে স্পষ্ট দেখেছেন মহাজনের উচ্চ সুদের ঋণ গরিব কৃষককে কীভাবে আরও দরিদ্র করছে সর্বস্বান্ত করছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ঋণ ব্যবস্থায় এখনই পরিবর্তন করতে না পারলে পল্লি উন্নয়নে তার সব উদ্যোগই পরাস্ত হবে।

গ্রামের দরিদ্র প্রজাদের কষ্ট লাঘব করতে ১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে প্রথম কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। এই ব্যাংক সম্পর্কে সুধীর সেন তার Rabindranath Tagore on Rural Reconstruction গ্রন্থে লিখেছেন-‘Shilaidaha in the district of Nadia was selected as the center of his experience. A part of nucleus for rural work was already available there. An Agriculture Bank had been founded (in 1893-94) to advance loans particularly seasonal to the cultivators on reasonable rates of interest.’

স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দরিদ্র কৃষকদের মহাজনদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। ১৯১৩ সালে নোবেল বিজয়ের কিছু অর্থ তিনি অসহায় মানুষদের কল্যাণে ব্যাংকে বিনিয়োগ করেন। পিতার আদেশে ১৯৮৩ সাল থেকে প্রায়ই পূর্ববঙ্গে আসতেন জমিদারি রক্ষার কাজে। ঘুরতেন পদ্মায় এক বোট থেকে আরেক বোটে চড়ে। বিভিন্ন স্থানের জমিদারি স্বপরিবারে দেখার সুযোগ তিনি পেতেন। শিলাইদহের কুঠিবাড়ির আশেপাশে অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কষ্ট দেখে তার বিবেক নাড়া দিত।

শিলাইদহ ছিল রবীন্দ্রনাথের এক অনুভবের জায়গা। তিনি কৃষকপ্রজা কফিলুদ্দীন-জামালুদ্দীন শেখের সঙ্গে ধানক্ষেতের পোকা মারার পদ্ধতি নিয়ে বহুসময় কথা বলেছেন। উন্নতমানের বীজ ও সার সময়মতো কৃষকেরা যাতে পায়, সে বিষয়েও খোঁজ রাখতেন। গ্রাম উন্নয়ন, সমবায়, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সবকিছুই ছিল কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর ও খুলনার দক্ষিণ ডিহি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে।

রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন দর্শন পল্লি সমাজের জন্য এক উন্নত মডেল। তার উন্নয়ন দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে নিভৃত পল্লিতে। এগুলো নিয়ে আমাদের লেখক গবেষকদের আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের ঊধ্‌র্বতন নীতিনির্ধারকদের পর্যায়ে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় কিন্তু অনেকটাই যুগোপযোগী বলে মনে হয় না। আজ থেকে শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথ উন্নয়নের এক আশ্চর্য রকমের যাদুমন্ত্র শিখিয়েছেন সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। আজ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিস্তর সমস্যা সামনে এসে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপরিপক্কতা ও সমন্বয়ের অভাব।

পূর্ববাংলার নদী, প্রকৃতি, গ্রামবাংলার মানুষের মর্মচেতনা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রমত্তা পদ্মা চষে বেড়িয়েছেন একসময়। বোটের জানালা দিয়ে নদীতীরের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্ভোগ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। মহাজনদের কাছে হাঁটুগেড়ে বসে থাকা অসহায় দরিদ্র কৃষককে দেখেছেন। উঁচু নিচু ভেদাভেদ খণ্ডাতে চেয়েছেন । সমস্যা উত্তরণের জন্য নানান রকম সম্ভাবনাও আগলে ধরেছেন। সেই সময়ের ঘুণে ধরা সমাজকে জাগিয়েছেন শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে। পল্লির মানুষের অজ্ঞতা, কুসংস্কার দূর করে আলোর মশাল তুলে ধরেছেন। দরিদ্র মানুষের মুক্তির বার্তা পল্লিউন্নয়নের আলোকবর্তিকা সামনে এনেছেন তিনি। পল্লিতে রবীর কিরণ আজও স্পষ্ট প্রতীয়মান।

ড. সারিয়া সুলতানা
পল্লি উন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম

এসএন

 

 

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তার বিরুদ্ধে ১৪টি হত্যা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আশিক ইকবাল। গ্রেপ্তারের সময়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে।

সাইদুর রহমান সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে, এছাড়া আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প

বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস ভেঙে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচনে জয় পাওয়ার ৭৭ দিন পর বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাদা বাড়ির মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়েছেন তিনি।

এদিকে দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন নিয়েছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে। ফেডারেল সরকারের বেশ কিছু নীতিমালায় পরিবর্তন ও মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন তিনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল অ্যারেনায় সমর্থকদের সামনেই এই পদক্ষেপ নেন।

পরে ওভাল অফিসে ফিরে আরও কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব ইস্যুতেও একটি আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় অভিযুক্ত দেড় হাজার মানুষকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন।

এর আগে, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ পাঠ করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা