বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার

'দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদ ভবন অঙ্গনে স্বাধীনতাবিরোধীর কবর আছে'

বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা, মহিয়সী বীরাঙ্গনা মা-বোনসহ অগণিত মানুষের অসামান্য আত্মত্যাগ ও ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য রক্ষার নিরিখে বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম এক সংগঠন 'রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ৭১'। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগঠনটির মূল আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী সংগঠনটির কাঠামো, আদর্শ ও পরিকল্পনার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক আলোকপাত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। যা তাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।

প্রশ্ন: আপনারা কবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করবেন কী?

উত্তর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়। দেশ ফিরে যায় পাকিস্তানি ভাবধারায়। আমাদের একটা দীর্ঘ দুঃসময় গেছে যখন আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া ছিল দুঃসাধ্য। সেই অবস্থা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ও সেই মর্মে দেশের ইতিহাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে আসছেন।

করোনা মহামারিকালে আমিসহ কয়েকজন সহযোদ্ধা হাতিয়া বিএলএফ কমান্ডার রফিকুল আলম, নৌ কমান্ডো মোশাররফ হোসেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আবদুল হালিম খান, যুদ্ধাহত আবদুর রাজ্জাক, ফেনীর রফিকুল আলম একটি সংগঠন শুরুর পরিকল্পনা করি। গত ২২ জানুয়ারি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে করোনা মহামারির মধ্যে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে সংগঠনের খসড়া ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করি।

ঘোষণাপত্রে সংগঠনের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। ঘোষণাপত্রের আলোচনায় অনেক সহযোদ্ধা অংশ নেন এবং তাদের মূল্যবান পরামর্শ তুলে ধরেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা মহামারি সহনীয় পর্যায়ে আসলে ও রমজানের পর বড় আকারে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়া পর্যন্ত রাজজাকুল হায়দার চৌধুরীকে আহ্বায়ক, মোশাররফ হোসেন ও আবদুল হালিম খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শামসুল আলম শামসকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কবি জাহিদুল হক, প্রবীণ সাংবাদিক শামীম আক্তার চৌধুরী।

প্রশ্ন: আপনাদের সংগঠনের মাসিক ও সাপ্তাহিক কোনো আয়োজন বিষয়ক পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিবেন কী?

উত্তর: আমাদের এই সংগঠন শুরুর পর থেকে আমরা প্রতিমাসে আলোচনা সভা আয়োজনের চেষ্টা করছি। যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক বিষয়গুলো আলোচিত হয়।

প্রশ্ন: আপনারা সংগঠনটি পরিচালনা করতে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন?

উত্তর: স্বাভাবিকভাবেই একটা সংগঠন পরিচালনা করা খুব সহজ নয়। বিশেষ করে তা কিছুটা কঠিন হয় প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আমরা অনেকেই বয়সের ভারে বেশ ন্যুব্জ। ইতোমধ্যে অনেক সহযোদ্ধা মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকেই চলাচল শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এই সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি সভায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি দেশপ্রেমের বিশুদ্ধ আদর্শে লালিত আশাব্যঞ্জক দিকগুলো তুলে ধরে।

প্রশ্ন: বর্তমানে আপনাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিষয়ে কিছু বলবেন কী?

আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শন, প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া। আমরা ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্বলিত গল্প বলা শুরু করেছি। এটাকে দেশব্যাপী বিস্তৃত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর আমরা সহযোদ্ধারা অবিরতভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব। দেশব্যাপী অনেক মুক্তিযোদ্ধার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন সংক্রান্ত বাস্তবভিত্তিক অনেক কাজ অপূর্ণ আছে।

প্রশ্ন: আপনাদের সাংগঠনিক-অর্থনৈতিক দিকগুলো কীভাবে পরিচালিত হয়? আপনাদের সদস্য কত? মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া স্কল মুক্তিযোদ্ধা কি এতে অংশ নিতে পারেন?

উত্তর: আমাদের সকল সদস্যদের ব্যক্তিগত অবদানের মাধ্যমে এই সংগঠনের বিভিন্ন ব্যয়ভার পরিচালিত হয়। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২০০। সদস্যদের জন্য একটি অন্যতম শর্ত হলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ। অন্যথায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেও আমাদের সদস্য হতে পারবেন না।

আলোচনার শেষপর্যায়ে রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বেশ দুঃখ মিশ্রিত স্বরে বলেন, 'একটি দুঃখজনক হলেও সত্য দিক হলো আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন অঙ্গনে কয়েকজন বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী নেতার কবর আছে। আন্তর্জাতিক স্থপতি লুই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন অঙ্গনে কোনো কবর থাকার প্রশ্নই উঠে না, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের করব তো নয়ই। এসব কবর সরানোর জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও প্রগতিশীল শক্তিকে এক করে একটা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলব।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, যাদের অসামান্য ও রক্তক্ষয়ী আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের সোনার বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ চিত্র, আমাদের স্বাধীনতা। তাদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠন 'রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা ৭১' বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বিনির্মাণে আগামীর সফল অগ্রযাত্রায় আমার আন্তরিক শুভকামনা।'

এসজি

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া