মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘খেলাপি রোধে আইন আরও শক্তিশালী করতে হবে’

কয়েক মাস থেকে ডলারের সংকট ও যুদ্ধের অজুহাতে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণের নাগালের বাইরে। অপরদিকে ব্যাংকের খেলাপি ঋণও হুহু করে বাড়ছে। সুযোগ পেলে কেউ কেউ ভুয়া কাগজে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পাচার করছেন। এ সব কেন হচ্ছে? কীভাবে রোধ করা সম্ভব। এ সব বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

ঢাকাপ্রকাশ: অর্থনৈতিক সংকট কোনোভাবেই কাটছে না। নিত্যপণ্যের মূল্য একেবারে লাগামহীন। এভাবেই কী চলবে? আসলে বাস্তব অবস্থা কী?

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের হাত আছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নেই।

আন্তর্জাতিক কারণে কয়েকটি পণ্যের দাম একটু বেড়ে আবার কমতির দিকে। বাইরের এই পণ্যের ব্যাপারে আমাদের হাত নেই। বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ পড়তির দিকে। এরফলে মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এটাতে আমাদের হাত দেওয়ার কিছু নেই। মুদ্রার উপরও হাত নেই।

তবে এই দুইটার বাইরের কারণগুলোর ক্ষেত্রে সরকারকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে প্রথমত পণ্যের মূল্য কমাতে শুল্ক সমন্বয় করতে হবে। স্থানীয় বাজারে যাতে পণ্যের মূল্য না বাড়ে। সেটা চেষ্টা করতে হবে। আমদানিস্তর থেকে ভোক্তাস্তরে বাজার কারসাজি, সিন্ডিকেটে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যে মূল্য পার্থক্য হচ্ছে সেদিকে কঠোরভাবে নজর দিতে হবে। সরকারের হাতে পণ্য বাজারজাতকরণের যে সুযোগ রয়েছে ওএমএসের মাধ্যমে তার প্রভাব বিস্তার করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অবশ্যই কমেছে। সেটার নিরীক্ষে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এর ভিত্তি ও প্রাপ্তি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

তৃতীয়ত, আমাদের উপাদন ব্যবস্থা যাতে কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয় সেটার দিকে আমাদের নজরদারিতে রাখতে হবে। তা নাহলে সরবরাহ ও চাহিদার পার্থক্য হলে যে মূল্যবৃদ্ধি পাবে, তখন সামাল দেওয়া মুসকিল হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: ভুয়া কাগজে ব্যাংক থেকে অনেকে অর্থ তুলে বিদেশে পাচার করছে। এরফলে খেলাপি ঋণ হুহু করে বাড়ছে। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংক পাচারের সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। সমস্যা কোথায়?

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: আমার মনে হয় ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, চলছে সেটা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। যথা সময়ে ও যথাযথভাবে এগুলোকে নিরসন ও প্রশমন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খেলাপি ঋণ পুঞ্জিভূত হতে হতে বর্তমানে এটা এমন একটা জায়গায় গেছে যে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ক্ষমতা আছে তাতে শুধু দুদকের উপর নির্ভরশীল না থেকে, তার নিজস্ব যে ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ করতে হবে। তাদের কাছে যে তথ্য আছে সেগুলো বেশি বেশি জনগণের কাছে সরবরাহ করতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আইন আছে, অথচ অর্থ পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না, কেন?

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: খেলাপি ঋণ আদায়ে আইন আছে। তবে প্রয়োজনমতো দেওলিয়াসহ অন্যান্য যেসব আইন আছে তা শক্তিশালী করতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে যদি শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে যারা জনগণের গচ্ছিত টাকা নিয়ে দেশের বাইরে পাচার করছে, নিজেরা বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, সেটাকে কিছুটা হলেও আমরা প্রতিরোধ করতে পারব। আমরা আগেও বলেছি ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা। তা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই মুহূর্তে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে দেশের পক্ষ হয়ে, জনগণের পক্ষ হয়ে প্রয়োজনের নিরিখে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। যারা এগুলো করছে তারা খুবই পরাক্রমশালী। দেশের স্বার্থে, গ্রাহকের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিকখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও অর্থ পাচাররোধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারছে কেন? আইনের দুর্বলতাই কী এর কারণ?

ড. মোস্তাফিজুর রহমান: ব্যাংক কোম্পানি আইনের ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমি যেটা বলব খেলাপি ঋণ যেভাবে বাড়ছে এটার ব্যাপারে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারছি না। এখানে আইনগত কোনো দুর্বলতা আছে কিনা তা দেখতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে তা দেখা দরকার। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে, তাদের শান্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হবে। এটার জন্য সংসদে নতুন আইনের বিধান দরকার হতে পারে বা আগের পুরাতন আইন সংশোধন করা যেতে পারে, তা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এই পদক্ষেপ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যম দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। হাজার বছরের সংগ্রাম মুখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জ্বল মুহূর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান, আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

তিনি মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা মা-বোনদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এদিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মুহূর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র।

একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই। বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

দেশে অনুমোদনহীনভাবে স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি, কিছু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনুমোদন ছাড়া পে-চ্যানেল সম্প্রচার করছে, যা দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছে।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি, এবং আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে করণীয় সম্পর্কে মতামত চেয়েছে।

বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন শাখার উপপরিচালক মো. হাসিবুল কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, কিছু আইএসপি অনুমোদিত প্রযুক্তি ব্যবহার না করেই বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশকদের ডিস্ট্রিবিউট করা পে-চ্যানেলগুলো পাইরেসির মাধ্যমে ক্লিন ফিডবিহীনভাবে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে প্রদর্শন করছে। একই ধরনের কার্যক্রম কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও চলছে, যা দেশের আইন পরিপন্থী।

বিটিআরসি জানায়, এসব অনিয়মের ফলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মাধ্যমে বৈধ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং চ্যানেলের সংখ্যা কমছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর এই কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১-এর ৭৩ নম্বর ধারা এবং আইএসপি গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৭.৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া, গাইডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত এপেনডিক্স-৪-এর ২(ডি)(এক্স) ধারা অনুযায়ী করা হলফনামারও বরখেলাপ হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে, পাইরেসি রোধ এবং ক্লিন ফিডবিহীন স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ মার্চের মধ্যে) গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিটিআরসিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিটি আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং সব জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের আইএসপিদের পাঠানো হয়েছে।

বিটিআরসির এই কঠোর নির্দেশনার ফলে দেশে অনুমোদনহীনভাবে পে-চ্যানেল সম্প্রচারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দ্বিতীয় শহীদ হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রামের ওয়াসিম হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে। এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম।

ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলম। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওয়াসিম ছিলেন পরিবারের অন্যতম সদস্য।

ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওয়াসিম আকরাম মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছিলেন। তখন ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। তারা মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়।

একপর্যায়ে, আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিমের বুক ও নাভিতে গুলি লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন
যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে তা ভালো বুঝি: ফখরুল
‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন দল গঠিত, নিবন্ধনের আবেদন ইসিতে
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি: সেনাপ্রধান
১৩তম এনোবল এওয়ার্ড পেলেন মাওলা সোহরাব হোসাইন আতিকী  
আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা, পুলিশের বাধা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
কন্যা সন্তানের বাবা হলেন ক্রিকেটার কে এল রাহুল
বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা
এবার পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তাকে বদলি