শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পানির অভাবে ১৫ বিঘা জমির বোরো চাষ ব্যাহত

কোনো নোটিশ ছাড়াই যশোরের চৌগাছা উপজেলায় একাধিক বোরো চাষির সেচ পাম্পের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ১৫ বিঘা জমির বোরো ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। আবাসিক মিটার থেকে সেচ পাম্পের সংযোগ দেওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যুৎ অফিস।

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি উপকরণসহ সব কিছুর দাম প্রায় দ্বিগুণ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলার চাষিরা বোরো চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে মাঠে ধান রোপণের পর, তা পরিচর্যা ও প্রাথমিক সার দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন অনেকেই। মাঠের পর মাঠ বোরো ক্ষেত এখন যেন সবুজের চাদরে ঢাকা পড়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে এ জনপদের চাষিরা ব্যয় কমাতে নানা ধরনের পন্থা গ্রহণ করেছেন। তারই একটি হচ্ছে আবাসিক মিটার থেকে সেচ পাম্পে সংযোগ নেওয়া। আর এই সংযোগ নিয়ে এখন মহাবিপদে পড়েছেন একাধিক চাষি।

পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়র্ডের তারিনিবাস মহল্লার কৃষক আতিকুর রহমান, আমিনুর রহমান, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মিন্টু মিয়া, গফ্ফার আলী, বিপুল হোসেনসহ অনেকেই বোরো ধান চাষের ব্যয় কমাতে আবাসিক মিটার থেকে সেচ পাম্পে সংযোগ দেন।
হাজার হাজার টাকার তার কিনে তারা বাড়ির মিটার থেকে মাঠে বিদ্যুৎচালিত মিটারে এই সংযোগ নেন। ধান রোপণের পর প্রায় মাস পার হতে যাচ্ছে, হঠাৎ করেই গত ৪ ফেরুয়ারি বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীরা গিয়ে সব মিটার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
একটানা চার দিন জমিতে পানি দিতে না পারায় অনেক ধানক্ষেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত পানি দিতে না পারলে সব ধান শুকিয়ে মারা যাবে বলে কৃষকরা জানান।

কৃষক আতিকুর, আমিনুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে এক বিঘা ধানে ব্যয় হবে অন্তত ১০ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে বিদ্যুতে ব্যয় হবে তার অর্ধেক। ৫ কিংবা ১০ মোটর না আমরা সবাই দেড় মোটরে সংযোগ দিয়েছি এবং একটি মোটরের আওতায় মাত্র ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪ বিঘা ধান আছে। সংযোগ অবৈধ জেনেও শুধু খরচ বাঁচাতে চাষিরা এই কাজটি করেছেন।

কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস কোনো সতর্ক করা ছাড়াই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। আমরা কৃষক, আমরা গরিব তাই আমাদের কষ্টের কথা কেউ বুঝতে চায় না।

চৌগাছা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বালী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবাসিক মিটার থেকে সেচ পাম্প চালানো কখনই সম্ভব না, এতে সব কিছুই ঝুঁকিতে পড়বে। আমরা খবর পাওয়ার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ব্যালন ডি'অর নিয়ে রোনালদোর মক্তব্য, ক্ষেপে গেলেন রদ্রি

ছবি: সংগৃহীত

ব্যালন ডি’অর নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা যেন শেষ হচ্ছে না। ভিনির বদলে রদ্রির ব্যালন ডি’অর জেতায় একপ্রস্থ আলোচনা-সমালোচনা আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে কদিন আগে তাতে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসির পর সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর তিনিই জিতেছেন। এ পুরস্কার মেসি জিতেছেন আটবার, আর রোনালদো পাঁচবার।

এবারের পুরস্কারটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জিতবেন তা অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন। তবে ব্রাজিল এবং রিয়াল মাদ্রিদ তারকার বদলে শিরোপা জিতেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

কদিন আগে গ্লোব স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে রোনালদোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভিনির বদলে রদ্রির ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে। সেখানে রোনালদো বলেছেন, বর্ষসেরার এ পুরস্কার ব্রাজিলিয়ান তারকারই জেতা উচিত ছিল। পর্তুগিজ মহাতারকা বলেন, ‘আমার মতে, সে-ই (ভিনিসিয়ুস) ছিল গোল্ডেন বল (ব্যালন ডি’অর) জয়ের যোগ্য। এখানে সবার সামনে বলছি, অন্যায় করা হয়েছে। তারা এটা রদ্রিকে দিয়েছে, সে-ও জয়ের যোগ্য, কিন্তু এটা ভিনিসিয়ুসকে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, সে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ও ফাইনালে গোল করেছে।’

এদিকে রোনালদোর এ মন্তব্য ভালোভাবে নেননি রদ্রি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের যুক্তি, রোনালদো ৫ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তাই এ পুরস্কার কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দেওয়া হয় তা তিনি বেশ ভালো করেই জানেন।

রদ্রি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর। সত্যিই। কারণ, পুরস্কারটি কীভাবে দেওয়া হয়, সেটা তিনি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো জানেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যেভাবে বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এ বছর (আসলে ২০২৪ সালে) ভোট দেওয়া সাংবাদিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরস্কারটি আমার জেতা উচিত। সম্ভবত এই একই সাংবাদিকেরা তাঁকেও ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমার মনে হয়, তখন তিনি আপত্তি করেননি।’

Header Ad
Header Ad

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার

ফাইল ছবি

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির দাম দ্রুত কমছে, যা জনমনে স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে চাল ও মাছের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতকালীন শাক-সবজির দাম বাজারে দ্রুত কমছে, যা সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। তবে, চাল ও মাছের বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় হতাশ অনেক ভোক্তা। শাক-সবজির দাম কমতে থাকলেও চাল, মাছ এবং অন্যান্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য নতুন আর্থিক চাপ তৈরি করছে। ফলে, তাদের জীবিকার ভার আরও বাড়ছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

পৌষের মাঝপথে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ছে, ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাজারে বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ধনেপাতা ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪৫ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে, খুচরা পর্যায়ে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, মাছের বাজারে দাম এখনও চড়া। ইলিশের দাম এক সপ্তাহে ২০০-৩০০ টাকা বেড়ে ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত, যেমন রুই ৩৮০-৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা।

চালের দামও বেড়েছে, মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা এবং পোলাও চাল ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কমে ১০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের বাজার তুলনামূলক স্বাভাবিক, লাল ডিম ১৩৮-১৪০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

মুন্সীগঞ্জে বিয়েতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সাজা পেলেন যুবক

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পৌরসভার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান বাজানোয় এক ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিকে শহরের মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান। সেই সঙ্গে তাদের উচ্চশব্দে গান বাজানো বন্ধ করে কম শব্দে গান বাজানোর নির্দেশ দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে ১০৪ ডেসিবেল তীব্রতা শনাক্ত করেন যা অনুমোদিত মাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি। শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এর ১৮ বিধি অনুযায়ী এই দণ্ড আরোপ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‌‌‘‘উচ্চশব্দে গান বাজানোয় পরিবেশের স্পেশাল বিচারক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে।’’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যালন ডি'অর নিয়ে রোনালদোর মক্তব্য, ক্ষেপে গেলেন রদ্রি
সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার
মুন্সীগঞ্জে বিয়েতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সাজা পেলেন যুবক
যুক্তরাষ্ট্রে ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২ (ভিডিও)
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস, নেই কোনো টিকা
খতমে নবুয়াতের মহাসম্মেলন আজ, প্রধান অতিথি আল-আকসার ইমাম
বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০
মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি