কেমন ছিল প্রিয় নবীজির (সা.) ইফতার (ভিডিও)

কেমন ছিল প্রিয় নবীজির (সা.) ইফতার। ছবি: সংগৃহীত
ইফতারের সময়টি রোজাদারদের জন্য বড় আনন্দের। সারাদিনের রোজার ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে মনে অপার্থিব আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে এই সময়টি। ইফতারে বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খাবার প্রচলন রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও শত শত পদের ইফতারের আইটেম রয়েছে।
রোজাদারের জন্য সেহরি খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। বিশেষ কিছু না পেলে সামান্য খাদ্য বা কেবল পানি পান করলেও ইফতারের সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু আমাদের মহানবী (সা.) কী দিয়ে ইফতার করতেন? সেসময়ও কী এখনকার মতো হরেক রকমের ভাজাপোড়াসহ নানা পদের খাবারগুলো ছিলো?মহানবী (সা.) ইফতারের জন্য আলাদা কোনো খাবারের আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন ইফতারেও তাই খেতেন। তবে বিভিন্ন হাদিসে খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা পাওয়া যায়।
সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে। নিশ্চয় পানি পবিত্র।
আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, “নবী (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।”
মহানবী (সা.) সাধারণত যে খাবারগুলো খেতেন, তা শামায়েলে তিরমিজি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো- বার্লির রুটি, মুরগি, মরুর বিশেষ পাখি, জয়তুন, ভুনা মাংস, মাংসের ঝোলে রুটি মেশানো বিশেষ খাবার সারিদ, দুধ, ভাজা গম ও বার্লি, ঘি মাখা খেজুর, শসা, ময়দার নাশতা, জমজমের পানি, তরমুজ, খাসির রান, পিঠের মাংস, সিরকা, লাউ, মিষ্টি, মধু, ছাতু, মরিচ, মসলা, ঠান্ডা মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি।
