শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কীটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না প্রতিকার

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঢেঁড়শ গাছের পাতায় সবুজ রঙের ছোট ছোট পোকা। এই পোকা ঢেঁড়শে আক্রমণ করে ফলন নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, আক্রমণের কারণে ঢেঁড়শ বড় না হয়ে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন এমন অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ঢেঁড়শ চাষি কৃষকরা। ফলে চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদের খরচ তোলাই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণে ভুক্তভোগী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি মো. আব্দুল বাছেদ। তিনি তার প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে গত বছরের মতো এবারও উন্নত জাতের কমল নামে হাইব্রিড ঢেঁড়শ চাষ করেছেন। তার মতে- ফলন ভালো হয়েছে এবং ঢেঁড়শ ধরেছে প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন- একদিন পরপর ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ঢেঁড়শ তোলা যেতো। কিন্তু পোকার আক্রমণে বর্তমানে ১ মণ ঢেঁড়শ উঠে না। তারমধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ঢেঁড়শ ফেলে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে ঢেঁড়শের গায়ে প্রচুর পরিমাণে দাগ হচ্ছে। এতে করে পাইকারি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমনে কার্যকর কোনো সুফল পাচ্ছি না।

একই গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি রহিম মিয়া মীর বক্স আলী বলেন, বাড়ির আঙিনায় ১০/১২ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার ১’শ টাকা কেজি দরে উন্নত জাতের হাইব্রিড ঢেঁড়শের বীজ কিনে চাষ করেছি। গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেঁড়শ আসলেও পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শগুলো পরিপক্ব হচ্ছে না। বড় হওয়ার আগেই পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যায়। এতে করে অনেক ঢেঁড়শ নষ্ট হয়। এবার খরচের টাকাও উঠবে না।

পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঢেঁড়স। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সরেজমিনে উপজেলার কয়েড়া, নিকরাইল, নলুয়া, সিরাজকান্দি, বরকতপুর, বিলচাপড়া, রুহুলী ও চর নিকলা গ্রামের বিভিন্ন ঢেঁড়শ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়- তীব্র দাবদাহে ও খরায় ঢেঁড়শ ক্ষেতের মাটি সাদা হয়ে গেছে। সবুজ রঙের পোকাগুলো ঢেঁড়শ ছিদ্র করে ফেলছে। তাছাড়া গাছ থেকে ঢেঁড়শের ফুলসহ ঝড়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঢেঁড়শ। এছাড়া বাঁকাও হয়ে যাচ্ছে। এগুলো তুলে ফেলা দিচ্ছেন কৃষকরা।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাট-বাজারে সারের দোকানগুলোতে গেলে দোকানিরা পোকা দমনের যে-সব কীটনাশক দেয় সেগুলো দিয়ে পোকা দমন হচ্ছে না। এসব কীটনাশকের অতিরিক্ত দামও নেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পোকা দমন করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন- প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় বংশবিস্তার ছড়াচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে পোকার বংশবিস্তার রোধ হবে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পোকা দমনে সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং

শাহরুখ খান ও হানি সিং। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানের সময় হোটেল রুমে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

সেই সময় গুঞ্জন ছিল, শাহরুখ খান এত জোরে চড় মারেন যে হানি সিং গুরুতর আহত হন। এমনকি তাঁর কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়, এবং সে কারণেই তিনি সেদিন মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি। বলিউড মহলে ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল।

তবে, দীর্ঘ ৯ বছর পর, অবশেষে হানি সিং নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া তাঁর জীবনকাহিনিভিত্তিক একটি তথ্যচিত্রে গায়ক এই বিতর্কিত ঘটনার আসল সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আসলে সেদিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সেই সময়কার গুজব বাস্তবতাকে মিথ্যে রূপে উপস্থাপন করেছিল।

হানি সিং বলেন, বলিউড কিং খান কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন বাদশাহ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটি একেবারেই মিথ্যা কথা।

এ গায়ক বলেন, আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল— মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফি মাগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।

হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তার বোনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।

Header Ad
Header Ad

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ

বগুড়ার শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় বিরল এক ঘটনা ঘটেছে। শ্রাবণী আক্তার খুশি (১৫) নামের এক ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে।

শ্রাবণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি খোকন মিয়ার বড় মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবণীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ছয় মাস ধরে চলা মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শ্রাবণী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

রূপান্তরের পর তার নতুন নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবণ। শ্রাবণ নিজেও এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই। এখন আমি বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারব।

শ্রাবণের বাবা খোকন মিয়া জানান, মেয়ের আচরণ ও শারীরিক গঠনে পরিবর্তন লক্ষ্য করার পর থেকে আমি নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায়, আমার মেয়ে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শে শ্রাবণীকে ছেলেদের পোশাক পরিয়ে মাথার চুল কেটে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে সে ওমর ফারুক শ্রাবণ নামে পরিচিত।

খোকন মিয়া বলেন, আমার তিন মেয়ে ছিল। ছেলে না থাকায় সমাজের নানা কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমার বড় মেয়ে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত খুশি।

Header Ad
Header Ad

বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ

দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আশ্রা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী বাবা মজিবুর রহমান (৫৮) এবং তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল মিয়া বলেন, বাবা ও ছেলে দুইজনে মিলে আশ্রা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে আশ্রা বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে