বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে কোচিং-প্রাইভেট নিষিদ্ধ  

ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়ানো কিংবা কোচিং নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ছুটির পর এবং বন্ধের দিন শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়- যা অনভিপ্রেত।

কোনোক্রমেই বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ অন্যবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্ব-স্ব দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে: আযম খান

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান। ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসদেরকে আপনারা-আমরা সারা বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করছি। সেখানে দেখলাম একটি রাজনৈতিক দল তারা সকালে বলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিলাম, আবার পরের দিন সকালে বলে গণহত্যাকারীদের বিচার করব।

তিনি বলেন- আরেক দিন বলে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাই। একেক দিন ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা একেক রকম কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্তি করছে। আর সেদিন দেখলাম ফ্যাসিবাদের দোসর যে ফ্যাসিবাদের সাথে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিল, তাকে নিয়ে তারা ইফতার মাহফিলে শরিক হয়েছে। ওই ধরণের দলকে আপনারা চিহৃিত করে আগামী ভোটে প্রত্যাখ্যান করবেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আযম খান বলেন- ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে গেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সংবিধানিং প্রতিষ্ঠান ও আদালত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সেই ধ্বংস স্তূপ থেকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলার জন্য বিএনপিসহ সকল গণতান্তিক দলগুলো মিলে আমরা ড. ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি।আমরা স্পষ্ট বলেছি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আপনি নির্বাচন দিন। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

এ সময় কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদুল আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

গুম, খুন, আয়নাঘরের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ : হাসনাত আব্দুল্লাহ  

ছবিঃ সংগৃহীত

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনের সময় শাহবাগ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ একদিনে গড়ে ওঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তোলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশি এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এ সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সকল অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমরা আশা রাখি, সকলের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত। পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সকল অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

Header Ad
Header Ad

ফিতরা হিসাব করবেন কিভাবে?    

ছবিঃ সংগৃহীত

রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ‘ফিতরা’ প্রদান, যা দরিদ্রদের সহায়তার জন্য নির্ধারিত একটি বাধ্যতামূলক দান। এটি রোজার সম্ভাব্য ত্রুটি পূরণ এবং সমাজের সকলকে ঈদের আনন্দে শামিল করার উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছে।

ফিতরা যেভাবে পরিমাপ করা হয়:
ফিতরা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে-পাঁচটি খাদ্য-পণ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়, তা হলো, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির। এসব পণ্যের যে-কোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যাবে। ফিতরার পরিমাপ হলো, গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং বাকি চারটি পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘সা’ হলো প্রাচীন আরব পরিমাপের একক। কেজি ও গ্রাম হিসেবে ‘এক সা’ সমপরিমাণ ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম এবং ‘অর্ধ সা’ সমপরিমাণ ১ কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম।

ফিতরা কার জন্য বাধ্যতামূলক:
প্রতিটি সচ্ছল মুসলিম ব্যক্তি, যার ওপর জাকাত ওয়াজিব, ফিতরা তার ওপর ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক। তবে এটি নিজের জন্য দেওয়ার পাশাপাশি তার ওপর কেউ যদি নির্ভরশীল থাকে তাদের জন্যও দিতে হবে। যেমন, মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান। এমনকি তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও ফিতরা দেবেন।

ফিতরা কখন দিতে হবে:
ফিতরা প্রদান করতে হয় ঈদুল ফিতর নামাজের আগে। পরে দিলেও তা ‘সদকা’ হিসেবে আদায় হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সওয়াব তুলনামূলক কম বলা হয়।

জাকাত ও ফিতরার পার্থক্য:
জাকাত ও ফিতরার মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। জাকাতের বিধানের সঙ্গে রমজান বা ঈদের বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ফিতরার সঙ্গে রমজান ও ঈদের বিশেষ সম্পর্ক আছে। সম্পদের পরিমাণ যত বেশি থাকে জাকাতের পরিমাণও তত বেশি হয়। কিন্তু ফিতরার ক্ষেত্রে বিষয়টি সে রকম নয়। ফিতরা নির্ধারিত একটি অঙ্ক, সম্পদের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে ফিতরার পরিমাণ ওঠা-নামা করে না।

ফিতরা কারা পাবে:
ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত তিনি ফিতরা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উপযুক্ত হবেন।

বাংলাদেশে চলতি বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১০ টাকা। এই ফিতরা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

ফিতরা শুধু দানের একটি মাধ্যম নয়, এটি রোজার পরিশুদ্ধি ও সামাজিক সমতার প্রতীক। এর মাধ্যমে রোজাদারের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিগুলো লাঘব হয় এবং দরিদ্ররা ঈদের আনন্দে শামিল হতে পারে। তাই সামর্থ্যবান প্রত্যেকের উচিত এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সমাজে সৌহার্দ্য বজায় রাখা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে: আযম খান
গুম, খুন, আয়নাঘরের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ : হাসনাত আব্দুল্লাহ  
ফিতরা হিসাব করবেন কিভাবে?    
স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখার ১০ উপায়  
জেমস লাইভ ইন ডালাস; যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন জেমস  
এসিস্টের পর ইফতার, এসেই গোল, রোজা রেখে দুর্দান্ত লামিন ইয়ামাল  
পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত  
গণজাগরণ মঞ্চের লাকিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা  
শামীম ওসমানসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা  
ট্রাম্পের কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন জেলেনস্কি
বেনাপোল পুটখালী সীমান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় বিজিবি সদস্য নিহত
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে কোচিং-প্রাইভেট নিষিদ্ধ  
হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষের হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২    
দেশের ভালোর জন্য যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে: তারেক রহমান  
একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা লিখছে না : মির্জা আব্বাস  
যে কারণে এমএজি ওসমানীকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া যাচ্ছে না  
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নিজেই মাদকাসক্ত!
ভৈরবে মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে কসাইকে জরিমানা ও কারাদণ্ড
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
জরিপ অধিদপ্তরে নতুন ডিজি, ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে নতুন চেয়ারম্যান