মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভ্যান প্লাজা

হতে পারে পোশাকের ব্র্যান্ড নেম ‘ভ্যান প্লাজা’। পোশাক নয় শুধু বহুবিধ পণ্যের এক ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্রের নামও হতে পারে। হতে পারে চা-কফি-রুটি-সবজির ব্র্যান্ড নেম। ঢাকা শহরের সবচেয়ে সহজ কেনাকাটার জায়গা ‘ভ্যান প্লাজা’। রিকশা ভ্যানে দোকান। বেশি চলে পোশাক আশাক। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের পোশাক ভ্যান প্লাজায় সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায়।

যদি বলা হয় ‘ঢাকা দ্য সিটি অব ভ্যান প্লাজা’ তাতে বিন্দুমাত্র ভুল হবে না। অনেক বহুত্বকে ছাপিয়ে ভ্যানের দোকান এখন সবচেয়ে এগিয়ে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে ভ্যানের দোকান। প্রতিদিন সকালে আমি যার কাছ থেকে সবজি কিনি, তার নাম সাজু। সাজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী। সকালে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ান। তার নিয়মিত গ্রাহক গোটা বিশেক পরিবার। নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে সবজি শেষ হয়ে যায়। সাজু এখন শুধু ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন না, গ্রাহকদের বাসায় বাসায় ছেলেকে পাঠিয়ে চাহিদা নিয়ে আসেন। বিকেলে সাজু হয়ে ওঠেন ব্যস্ত এক চটপটিঅলা। তার চটপটির দোকানটিও একটি ভ্যান। সুসজ্জিত। চারদিকে কাঁচে ঘেরা উপরে ছাউনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সাজু তার ভ্যান দিয়ে দোকানকে টেক্কা দিয়েছেন। যেখানে চটপটি বিক্রি করেন, তার সামনেই তার দুটি দোকান ভাড়া নেওয়া আছে। দোকানে চেয়ার টেবিল সাজানো আছে। কাস্টমার বসানোর জন্য। সাজুর হিসাব, ভ্যানই তার বাণিজ্যের কেন্দ্র। দোকানে এমন ব্যবসা সম্ভব নয়। দোকান দোকোনদারকে কখনো কখনো ঝিমিয়ে দেয়।

তেজগাঁও এলাকায় নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরির অপর পাশের বটতলার নীচে অনেকগুলো ভ্যানদোকান। যে দোকানগুলোতে চা-সিগারেট বিক্রি হয়, সেগুলো জড়ো জীবনের মতো হয়ে গেছে। ভ্যানগুলো সে অর্থে আর চলে না। অনেকটা স্থায়ী কাঠামোর মতো। এখানেই চালু এক ভ্যানে পোশাক বিক্রি করতেন রশিদ নামের এক তরুণ। টানা পাঁচ ছয় বছর দেখছি। তেমন বিক্রি হতে দেখতাম না। কিন্তু ওই ভ্যানের উপার্জনে রশিদ ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার যাপন করতেন অনায়াসে। করোনোকালে বিক্রি বাট্টা কমে গেলে রশিদ ফরিদপুরে চলে গেছেন। সেখানে ব্যবসা জমিয়ে নিয়েছেন।

ভ্যানের ব্যবসায়ীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। শারীরিক শ্রম থাকে। চাঞ্চল্য থাকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অভ্যস্থতা তৈরি হয়ে যায়। শ্রমের ভেতর দিয়ে নিষ্ঠা চলে আসে। নাখালপাড়া ব্যাংকার্স রো’র সামনে এক তরুণ বহুদিন ধরে ভ্যানে ডাব বিক্রি করছে। দোকান ভাড়া নেই, কিন্তু কিছু জায়গা সে দখল করছে। যদি কেউ বাঁধা দেয়, সে যখন তখন সরে যেতে পারবে। চালু ভ্যান হলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরের সুযোগ থেকে যায়।

জনবহুল ঢাকা শহরে ভ্যানের ব্যবসায়ীরা একেকটি জায়গায় কিছুটা থিতু হওয়ার অনুমতিও পায়। শোনা যায়, নেতা ও পুলিশে কিছু টাকা দিলে এই সুযোগ চলে আসে। ঢাকা সিটি করপোরেশনেরও ভ্যানের ব্যবসা বিষয়ক একটি কর্মসূচি আছে। যারা সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ভ্যানের ব্যবসায়ী, তারা এক ধরনের স্থায়ী ব্যবসায়ীর শক্তি সংরক্ষণ করেন।

ঢাকা শহরের অনেক বাজারের সামনে ভ্যান প্লাজার এক স্থায়ী অবস্থান দেখা যায়। একসময় চালু ভ্যান দিয়ে শুরু হলেও পরে ভ্যানের অস্তিত্ব থাকে না। একটি টেবিলের মতো বসানো হয়। সেটিই হয়ে ওঠে দোকান। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য দোকান। জুতা, শার্ট, প্যান্ট থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিসের পসরা বসে এসব দোকানে। ভালো বেচা-কেনা হয়। ভ্যানে তাৎক্ষণিক ডিম পিঠা বানানোর কয়েকটি দোকানও থাকে এখানে। দোকানগুলো বিক্রির অবস্থা বুঝে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়।

অসাধারণ এক ‘ভ্যান প্লাজা’র শহর এই ঢাকা। ভ্যানে আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। মোবাইলের নানা উপকরণ থেকে শুরু করে পোশাক সামগ্রী, জুতা, অফিস স্টেশনারি, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য সবই। এলইডি আলোর যুগে সন্ধ্যা নামলে এক স্বপ্নিল আলো জ্বেলে জামা কাপড়ের পসরা সাজান কেউ কেউ। জনসমাগম হলে কয়েকঘন্টায় মাল শেষ হয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় ভ্যানের পোশাক পরেন না কে। ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে যে কোনো পেশাজীবন অপেক্ষাকৃত সস্তায় শার্ট প্যান্ট পেয়ে যান ভ্যানে। এটি এক আশীর্বাদের মতো ব্যাপার। তৃণমূল জীবন-জীবিকার এক গভীর পর্যবেক্ষক কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মানুষ এখন পোশাক পরে তার রুচি ও পছন্দ বিবেচনা করে। শুধু প্রয়োজন বা চাহিদার ব্যাপার নয় এটি। সবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক আছে।’ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য এই সত্য মিলে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ভ্যান প্লাজার।

বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। এই কারণেই ভ্যানে ভ্যানে পাওয়া যায় পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক। কেউ বলেন, এগুলো বাতিল শিপমেন্টের মাল। কেউ বলেন, এক্সপোর্টের কপি। তবে বাস্তবতা হলো–পোশাকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। একটু দেখে-শুনে নিলে নিখুঁত মাল পাওয়া যায়। অনেক বড় বড় মানুষ ভ্যানের পোশাক পরেন। একই মানের পোশাক নিয়ে ঢাকা শহরে অনেকগুলো পোশাক ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভ্যানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি করে। একই পোশাক।

যারা গ্রাম ছেড়ে নানা যৌক্তিক কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি জমায়, তাদের সবাই নিশ্চিত কাজের সন্ধান পান না। যারা রিক্ত হাতে আসেন তারা রিক্সা চালান। শ্রমিকের কাজ খুঁজে নেন। যাদের সামান্য টাকা থাকে তারা ব্যবসা খুঁজে বেড়ান। এই জনবহুল শহরে যে কোনো পণ্য নিয়ে যে কোনো জায়গায় বসলেই বিক্রি হয়। ব্যবসা জমে উঠে। যে কোনো ফুটপাত থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সবখানেই ব্যবসায়ীর ভীড় থাকে। এর ভেতরে বহু সফল ব্যবসায়ী রয়েছে। বহু সাফল্যের গল্প রয়েছে। যারা বিন্দু বিন্দু শিশির জমিয়ে অর্থবিত্ত করেছেন। এসব জায়গায় হতাশ চোখে তাকাত অনেকেই; কিন্তু ভেতরের আশার জায়গাটি দেখতে পেলে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠবে।

এই ভাসমান ও ভ্যানের ব্যবসায়ী ও তাদের অর্থনীতি নিয়ে অনেক কিছু করা যেতে পারে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। প্রতিটি এলাকার সকল ভ্যান ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা যেতে পারে। সপ্তাহের একেকটি দিন বড় কোনো খোলা জায়গা দেখে জমানো যেতে পারে ‘ভ্যান প্লাজা’। সেখানে পণ্যের মান নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে ক্রেতার জন্য দেওয়া যেতে পারে বিশেষ অফার। পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য পুরস্কৃত করা যেতে পারে ব্যবসায়ীকে। তাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পৃথিবীর বড় বড় ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা তৈরির জন্য তাদের প্রশিক্ষণসহ নানারকম কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

জনসংখ্যা, আবাসন আর রাস্তা অবকাঠামোর চাপে দ্রুত জায়গা ফুরিয়ে আসছে এই শহরের। শহরবাসীর সবকিছুর জন্য জায়গা ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কথা ভাবা অসম্ভব নয় যে, একসময় মানুষের চাপ সামলাতে শপিং মল ছেড়ে দিতে হবে আবাসনে। বন্ধ করে দিতে হবে দোকান। তখন ভ্রাম্যমান দোকান ও মার্কেটই হতে পারে ভরসার জায়গা। অনলাইনের পাশাপাশি ভ্যানের বাজারই তখন সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। রিক্সা ভ্যানের জায়গাতে বড় বড় কার্গো ট্রাকগুলো হয়ে উঠবে একেকটি দোকান। পণ্যে ঠাসা দোকান। টিসিবির ট্রাকের মতো একেকটি পণ্য বোঝাই ট্রাক নির্দিষ্ট সময়ে একেকটি জায়গায় দাঁড়াবে। তারপর চলে যাবে। এমন দোকান চালু করা গেলে বহু ফাঁকা জায়গা বের হবে। জনাকীর্ণ মোড়গুলোতে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসা দোকান তুলে দেওয়া যাবে। শহরকে আরও সুন্দর করে সাজানো যাবে। ভ্যানের দোকানকে ঘিরে নগর পরিকল্পনাবিদরা দেখুক অনেক বড় স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখুক রাষ্ট্র ও সরকার।

লেখক: সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিরোধী দলগুলো এবং তার নিজ দল লিবারেল পার্টির ভেতর থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠে।

ট্রুডো এর আগে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তার এ সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে লিবারেল পার্টি এখন নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বাধ্য হবে।

ট্রুডোর এ সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কানাডার রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার এভাবে পদত্যাগের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) মাগুরা শহরের বরুণাতৈল গ্রামে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি জানান, তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রাব্বির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তারা এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার বকুল বলেন, "দেশের জন্য ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন রাব্বি। তার মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারেক রহমান এই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"

রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রীও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ার বকুল আরও বলেন, "রাব্বির পরিবার যাতে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।"

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকসেদুল মোমিন মিথুন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবুদ্দিন, এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাব্বি। তার মৃত্যুতে ছাত্রদলের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Header Ad
Header Ad

তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল

ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবালের ব্যাটিং জাদুতে দুর্দান্ত জয় পেল ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় অবদান রাখতে না পারলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজ রূপে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার অসাধারণ ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫ বল বাকি রেখেই দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল।

সোমবার বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে তামিমের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। তামিমের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ৩টি ছক্কায়। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও ছিল জয় নিশ্চিত করার পথে সহায়ক।

এদিন বরিশাল দল একাদশে পরিবর্তন এনে শান্তকে বাদ দিয়ে তামিমের সঙ্গে প্রিতম কুমারকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। যদিও প্রিতম ব্যর্থ হন এবং কাইল মেয়ার্স ২৪ রান যোগ করলেও তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের এবং মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করে।

রাজশাহীর ইনিংসে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৩৯ রান করলেও তার ধীর গতির ব্যাটিং দলের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়াসির আলী ২৩ বলে ৩৯ রান এবং জিসান আলম ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সেরা, ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

তামিমের নেতৃত্বে এই জয়ে ফরচুন বরিশাল ফের জয়ের ধারায় ফিরলো এবং দলটির আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেলো। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিম ও তার দলের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
কলকাতায় বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ বাংলাদেশি
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে মারধর, পুলিশে সোপর্দ
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রামের শিল্পপতি গ্রেপ্তার
এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি