শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভ্যান প্লাজা

হতে পারে পোশাকের ব্র্যান্ড নেম ‘ভ্যান প্লাজা’। পোশাক নয় শুধু বহুবিধ পণ্যের এক ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্রের নামও হতে পারে। হতে পারে চা-কফি-রুটি-সবজির ব্র্যান্ড নেম। ঢাকা শহরের সবচেয়ে সহজ কেনাকাটার জায়গা ‘ভ্যান প্লাজা’। রিকশা ভ্যানে দোকান। বেশি চলে পোশাক আশাক। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের পোশাক ভ্যান প্লাজায় সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায়।

যদি বলা হয় ‘ঢাকা দ্য সিটি অব ভ্যান প্লাজা’ তাতে বিন্দুমাত্র ভুল হবে না। অনেক বহুত্বকে ছাপিয়ে ভ্যানের দোকান এখন সবচেয়ে এগিয়ে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে ভ্যানের দোকান। প্রতিদিন সকালে আমি যার কাছ থেকে সবজি কিনি, তার নাম সাজু। সাজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী। সকালে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ান। তার নিয়মিত গ্রাহক গোটা বিশেক পরিবার। নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে সবজি শেষ হয়ে যায়। সাজু এখন শুধু ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন না, গ্রাহকদের বাসায় বাসায় ছেলেকে পাঠিয়ে চাহিদা নিয়ে আসেন। বিকেলে সাজু হয়ে ওঠেন ব্যস্ত এক চটপটিঅলা। তার চটপটির দোকানটিও একটি ভ্যান। সুসজ্জিত। চারদিকে কাঁচে ঘেরা উপরে ছাউনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সাজু তার ভ্যান দিয়ে দোকানকে টেক্কা দিয়েছেন। যেখানে চটপটি বিক্রি করেন, তার সামনেই তার দুটি দোকান ভাড়া নেওয়া আছে। দোকানে চেয়ার টেবিল সাজানো আছে। কাস্টমার বসানোর জন্য। সাজুর হিসাব, ভ্যানই তার বাণিজ্যের কেন্দ্র। দোকানে এমন ব্যবসা সম্ভব নয়। দোকান দোকোনদারকে কখনো কখনো ঝিমিয়ে দেয়।

তেজগাঁও এলাকায় নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরির অপর পাশের বটতলার নীচে অনেকগুলো ভ্যানদোকান। যে দোকানগুলোতে চা-সিগারেট বিক্রি হয়, সেগুলো জড়ো জীবনের মতো হয়ে গেছে। ভ্যানগুলো সে অর্থে আর চলে না। অনেকটা স্থায়ী কাঠামোর মতো। এখানেই চালু এক ভ্যানে পোশাক বিক্রি করতেন রশিদ নামের এক তরুণ। টানা পাঁচ ছয় বছর দেখছি। তেমন বিক্রি হতে দেখতাম না। কিন্তু ওই ভ্যানের উপার্জনে রশিদ ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার যাপন করতেন অনায়াসে। করোনোকালে বিক্রি বাট্টা কমে গেলে রশিদ ফরিদপুরে চলে গেছেন। সেখানে ব্যবসা জমিয়ে নিয়েছেন।

ভ্যানের ব্যবসায়ীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। শারীরিক শ্রম থাকে। চাঞ্চল্য থাকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অভ্যস্থতা তৈরি হয়ে যায়। শ্রমের ভেতর দিয়ে নিষ্ঠা চলে আসে। নাখালপাড়া ব্যাংকার্স রো’র সামনে এক তরুণ বহুদিন ধরে ভ্যানে ডাব বিক্রি করছে। দোকান ভাড়া নেই, কিন্তু কিছু জায়গা সে দখল করছে। যদি কেউ বাঁধা দেয়, সে যখন তখন সরে যেতে পারবে। চালু ভ্যান হলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরের সুযোগ থেকে যায়।

জনবহুল ঢাকা শহরে ভ্যানের ব্যবসায়ীরা একেকটি জায়গায় কিছুটা থিতু হওয়ার অনুমতিও পায়। শোনা যায়, নেতা ও পুলিশে কিছু টাকা দিলে এই সুযোগ চলে আসে। ঢাকা সিটি করপোরেশনেরও ভ্যানের ব্যবসা বিষয়ক একটি কর্মসূচি আছে। যারা সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ভ্যানের ব্যবসায়ী, তারা এক ধরনের স্থায়ী ব্যবসায়ীর শক্তি সংরক্ষণ করেন।

ঢাকা শহরের অনেক বাজারের সামনে ভ্যান প্লাজার এক স্থায়ী অবস্থান দেখা যায়। একসময় চালু ভ্যান দিয়ে শুরু হলেও পরে ভ্যানের অস্তিত্ব থাকে না। একটি টেবিলের মতো বসানো হয়। সেটিই হয়ে ওঠে দোকান। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য দোকান। জুতা, শার্ট, প্যান্ট থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিসের পসরা বসে এসব দোকানে। ভালো বেচা-কেনা হয়। ভ্যানে তাৎক্ষণিক ডিম পিঠা বানানোর কয়েকটি দোকানও থাকে এখানে। দোকানগুলো বিক্রির অবস্থা বুঝে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়।

অসাধারণ এক ‘ভ্যান প্লাজা’র শহর এই ঢাকা। ভ্যানে আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। মোবাইলের নানা উপকরণ থেকে শুরু করে পোশাক সামগ্রী, জুতা, অফিস স্টেশনারি, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য সবই। এলইডি আলোর যুগে সন্ধ্যা নামলে এক স্বপ্নিল আলো জ্বেলে জামা কাপড়ের পসরা সাজান কেউ কেউ। জনসমাগম হলে কয়েকঘন্টায় মাল শেষ হয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় ভ্যানের পোশাক পরেন না কে। ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে যে কোনো পেশাজীবন অপেক্ষাকৃত সস্তায় শার্ট প্যান্ট পেয়ে যান ভ্যানে। এটি এক আশীর্বাদের মতো ব্যাপার। তৃণমূল জীবন-জীবিকার এক গভীর পর্যবেক্ষক কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মানুষ এখন পোশাক পরে তার রুচি ও পছন্দ বিবেচনা করে। শুধু প্রয়োজন বা চাহিদার ব্যাপার নয় এটি। সবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক আছে।’ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য এই সত্য মিলে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ভ্যান প্লাজার।

বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। এই কারণেই ভ্যানে ভ্যানে পাওয়া যায় পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক। কেউ বলেন, এগুলো বাতিল শিপমেন্টের মাল। কেউ বলেন, এক্সপোর্টের কপি। তবে বাস্তবতা হলো–পোশাকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। একটু দেখে-শুনে নিলে নিখুঁত মাল পাওয়া যায়। অনেক বড় বড় মানুষ ভ্যানের পোশাক পরেন। একই মানের পোশাক নিয়ে ঢাকা শহরে অনেকগুলো পোশাক ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভ্যানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি করে। একই পোশাক।

যারা গ্রাম ছেড়ে নানা যৌক্তিক কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি জমায়, তাদের সবাই নিশ্চিত কাজের সন্ধান পান না। যারা রিক্ত হাতে আসেন তারা রিক্সা চালান। শ্রমিকের কাজ খুঁজে নেন। যাদের সামান্য টাকা থাকে তারা ব্যবসা খুঁজে বেড়ান। এই জনবহুল শহরে যে কোনো পণ্য নিয়ে যে কোনো জায়গায় বসলেই বিক্রি হয়। ব্যবসা জমে উঠে। যে কোনো ফুটপাত থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সবখানেই ব্যবসায়ীর ভীড় থাকে। এর ভেতরে বহু সফল ব্যবসায়ী রয়েছে। বহু সাফল্যের গল্প রয়েছে। যারা বিন্দু বিন্দু শিশির জমিয়ে অর্থবিত্ত করেছেন। এসব জায়গায় হতাশ চোখে তাকাত অনেকেই; কিন্তু ভেতরের আশার জায়গাটি দেখতে পেলে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠবে।

এই ভাসমান ও ভ্যানের ব্যবসায়ী ও তাদের অর্থনীতি নিয়ে অনেক কিছু করা যেতে পারে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। প্রতিটি এলাকার সকল ভ্যান ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা যেতে পারে। সপ্তাহের একেকটি দিন বড় কোনো খোলা জায়গা দেখে জমানো যেতে পারে ‘ভ্যান প্লাজা’। সেখানে পণ্যের মান নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে ক্রেতার জন্য দেওয়া যেতে পারে বিশেষ অফার। পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য পুরস্কৃত করা যেতে পারে ব্যবসায়ীকে। তাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পৃথিবীর বড় বড় ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা তৈরির জন্য তাদের প্রশিক্ষণসহ নানারকম কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

জনসংখ্যা, আবাসন আর রাস্তা অবকাঠামোর চাপে দ্রুত জায়গা ফুরিয়ে আসছে এই শহরের। শহরবাসীর সবকিছুর জন্য জায়গা ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কথা ভাবা অসম্ভব নয় যে, একসময় মানুষের চাপ সামলাতে শপিং মল ছেড়ে দিতে হবে আবাসনে। বন্ধ করে দিতে হবে দোকান। তখন ভ্রাম্যমান দোকান ও মার্কেটই হতে পারে ভরসার জায়গা। অনলাইনের পাশাপাশি ভ্যানের বাজারই তখন সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। রিক্সা ভ্যানের জায়গাতে বড় বড় কার্গো ট্রাকগুলো হয়ে উঠবে একেকটি দোকান। পণ্যে ঠাসা দোকান। টিসিবির ট্রাকের মতো একেকটি পণ্য বোঝাই ট্রাক নির্দিষ্ট সময়ে একেকটি জায়গায় দাঁড়াবে। তারপর চলে যাবে। এমন দোকান চালু করা গেলে বহু ফাঁকা জায়গা বের হবে। জনাকীর্ণ মোড়গুলোতে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসা দোকান তুলে দেওয়া যাবে। শহরকে আরও সুন্দর করে সাজানো যাবে। ভ্যানের দোকানকে ঘিরে নগর পরিকল্পনাবিদরা দেখুক অনেক বড় স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখুক রাষ্ট্র ও সরকার।

লেখক: সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু