শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বঙ্গবন্ধুর পল্লী উন্নয়ন দর্শন: আমাদের বাস্তবতা

জল-জমি-জনতার দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। অপার সম্ভাবনার এই দেশটিকে ঘিরে ছিল বঙ্গবন্ধুর হাজারো স্বপ্ন। দুঃখী, মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী মহাচিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব। তিনি বলতেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র বাসনা বাংলার মানুষ যেন পেট ভরে খেতে পায়,পরনে কাপড় পায়, উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। আমাদের সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতি মানুষকে কৃষক ও শ্রমিককে এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পল্লীবাসীকে গুরুত্ব দিয়ে পল্লী প্রকৃতিতে লিখেছিলেন, ‘গ্রামবাসীর প্রতি অবহেলা গেঁয়ো ব্যবস্থা। শহরবাসীর অহমিকা যাতে মিলতে দেয় না, ভেদকে জাগিয়ে রাখে।’ নোবেল বিজয়ী সুলজের ভাষায়–একবার যদি বিনিয়োগ সুবিধা ও কার্যকরী উদ্দীপনার সুযোগ সৃষ্টি হয় তাহলে কৃষকেরা বালিকে সোনায় রূপান্তর করবে। কথাটি নিরেট সত্য। পল্লীর কৃষককে উজ্জীবিত করার অপূর্ব কথামালা সুলজের কথায় লুকিয়ে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন–‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তাঁরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তাঁরা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসার কাঙাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না। সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।’

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের ১৩ (খ) অনুচ্ছেদে সম্পদের মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে সমবায়কে স্বীকৃতি দেয়া হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েই সমবায়কে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং শোষিত মানুষের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশে প্রথম পষ্ণবার্ষিকী পরিকল্পনায় সমতাভিক্তিক উন্নয়ন দর্শনের আওতায় সমবায়কে অন্যতম কৌশলিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা মিশে আছে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ ধরে। বঙ্গবন্ধু দেশের পল্লী উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমাজতন্ত্রে উত্তরন ও বহুমুখী সমবায় প্রতিষ্ঠার বিপ্লবকে একসঙ্গে গ্রথিত করেছেন। সরকারের বিশেষ প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত অসংখ্য অসহায়, নিঃস্ব পরিবার ঠিকানা পেয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণমুক্ত, গ্রামবান্ধব স্বনির্ভর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। তাঁর জীবন দর্শন ছিল এদেশের গণমানুষের সুখ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সকলেরই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়নে বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী টেকসই পল্লী উন্নয়নে আমার শহর আমার গ্রাম বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পনের লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করছে সরকার। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার প্রত্যন্ত পল্লী এলাকায় নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বাচ্ছল্য পৌঁছে দেয়ার জন্য আমার গ্রাম আমার শহর এর যে ধারনা ব্যক্ত করেছে তা রুপায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটা আশা করা যায়। জাতির পিতার এই সমবায়ভিক্তিক গ্রাম উন্নয়ন ভাবনায় সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে গ্রামীণ সম্পদের সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করে সকল শ্রেণি পেশার জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমবায়ভিক্তিক বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠার পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ দেশের কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শন লালন করে অংশগ্রহণমূলক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পল্লী উন্নয়নের পথ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামে একটি ছাতা প্রতিষ্ঠানের চিন্তা বার্ড শুরু করে। পল্লী উন্নয়নে বার্ডের গবেষণাও বহুল প্রশংসিত।

সমগ্র বিশ্ব আজ ভয়াবহ কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত মহামারির কবলে বিপর্যস্ত। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে এর প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। করোনা কমলেও এর ক্ষত এবং নেতিবাচক প্রভাব বয়ে চলবে বহুদিন। অর্থনেতিক ও সামাজিক প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অর্থনেতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতা স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিষহ করেছে। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির একবেলা পেটপুরে খাবার খাওয়া এখন যেন বিলাসিতায় রূপ নিয়েছে। করোনাকালে পল্লীর জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রতিকূলতায় থাকায় তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তেমনটা আশা করা যাচ্ছে না। দারিদ্র্য প্রবণ জেলাগুলোতে নিত্যপণ্যের চড়াদামের প্রভাবে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। তারপরও সরকার নানাভাবে আর্থিক প্রনোদনার মাধ্যমে সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে।

বঙ্গবন্ধু প্রনয়ণ করেছিলেন বাংলাদেশ উপযোগী শোষিতের গণতন্ত্র, কোনো আমদানিকৃত সমাজতন্ত্র নয় অথচ আত্মনির্ভরশীলতার অর্থনীতির সোপানযাত্রা। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ঠিকই এক মহান মানুষকে চিনেছিলেন তিনি দৃপ্তকন্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি। সাহস ও ব্যক্তিত্বে মানুষটি হিমাদ্রি সদৃশ।’ বঙ্গবন্ধুর পল্লী উন্নয়ন ভাবনার কেন্দ্রে ছিল কৃষি উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান। তাঁর উন্নয়ন দর্শনের আলোকে নীতি কৌশল প্রণয়ন করা গেলে জাতি, সমাজ, রাষ্ট্র উপকৃত হবে। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যা ছুঁয়েছে বর্তমান টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠে। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন–কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, অর্থনীতি হবে স্বনির্ভর। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পল্লী এলাকা উন্নত ও সমৃদ্ধ হলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন পূরণের তালিকায় যথাযোগ্য স্থান করে নিবে, এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ; লেখক ও গবেষক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু