রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঝরে পড়া শিক্ষার্থী থেকে ডিজিটাল বিভাজন: শিক্ষার ক্ষতি কতটুকু

মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার একটি খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় গণনায় নেওয়া হলে ঝরে পড়ার হার আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। করোনাকালে অভিভাবকের আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি দারিদ্রের প্রকোপ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণে হলেও এ ক্ষেত্রে শিক্ষাব্যয়ের অতিমাত্রায় উল্লম্ফনও কম দায়ী নয়। সমাজের দরিদ্র ব্যক্তিটিও চান তার সন্তান লেখাপড়া করুক; কিন্তু শিক্ষার অসামঞ্জস্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কম আয়সম্পন্ন পরিবারগুলো এ ধাক্কা সামলাতে পারছে না বলে ঝরে পড়ার ঘটনা ঘটছে।

আর্থিক অসঙ্গতির পাশাপাশি বাল্যবিয়ে ও কুসংস্কারসহ আরও অনেক সমস্যাও রয়েছে। করোনাকালে এই হার বেড়েছে এবং মূলত মেয়ে শিক্ষার্থীরা এর শিকার হয়েছে। সম্প্রতি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তার সত্যতা পেয়েছি। সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং যশোরের কেশবপুরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে একই চিত্র দেখতে পেয়েছি–করোনার পর বহু মেয়ে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আর আসছে না। এক বালিকা বিদ্যালয়ে ৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯ জন বিদ্যালয়ে আসছে, অর্থাৎ ২২ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। শিক্ষকরা মনে করছেন, তারা সবাই বিয়ে করে ফেলেছে। হতাশার বিষয় হলো–আইনগত বিধিনিষেধ থাকার পরও দেশে বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে, তা না হলে শিক্ষাবঞ্চিতরা দেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠতে পারে।

শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা ও ধরে রাখার জন্য সরকার প্রতিবছর উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। পাশাপাশি বিনামূল্যে বই ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। এরপরও মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এত অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী কেন ঝরে পড়ছে, এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। এ অবস্থায় মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া কষ্টকর। এর আগে শিক্ষাখাত নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের পর্যালোচনামূলক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তির সাড়ে ৮৮ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। মূলত মাধ্যমিক ও উচচমাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরাই এ শ্রমশক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এটি রোধ করা না গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন সুদূরপরাহত থেকে যাবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এ পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা ও কথাবার্তা কম হয়নি, যার অধিকাংশই অব্যস্থাপনা, অদূরদর্শিতা, দুর্নীতি ও রাজনীতিকরণের ঘূর্ণাবর্তে হারিয়ে গেছে।

মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এ বৃত্ত থেকে বের হতে হবে, একইসঙ্গে কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি। সারাদেশের লাখ লাখ নিম্নবিত্ত পরিবার আর্থিক দূরবস্থার কারণে সংকটে পড়েছেন। টান পড়েছে সংসারের খরচে। আয় না বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যয়। করোনাকালেই বিনোদন, পোশাক ও প্রসাধনীতে ব্যয় কমিয়েছে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। এবার হাত দিতে হচেছ খাবারে। সেটিতেও তাল মেলাতে না পারলে সন্তানের পড়াশুনা বন্ধ করে পাঠানো হচেছ কাজে। করোনার আর্থক প্রভাব এখানে কাটিয়ে উঠতে পারেনি নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল বেড়ে যাওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীই পড়াশুনা শেষ না করেই প্রবেশ করছে কর্মক্ষেত্রে।

বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে করোনায়। ইউনিসেফ ও বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ‘গ্লোবাল এডুকেশন এভিডেন্স অ্যাডভাইজারি প্যানেলে’র নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ এবং নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানে থাকা শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচচ আয়ের দেশগুলোর তুলনায় স্কুলগুলো গড়ে বেশিদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষাার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ বলতে গেলে পায়নি বা পেলেও খুব পেয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণির কাজ বন্ধ ছিল। এর কারণে শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের শিখন ঘাটতি নিরূপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের অষ্টম শ্রেণির অর্থাৎ ২০২২ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিখন ঘাটতি নিরূপনে মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেদু)। মূল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার আগে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলট কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। পাইলট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩০টি প্রতিষ্ঠান তালিকা করেছে বেদু। এসব প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। আর এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ পাইলট কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচচ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও জেলা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একইসাথে পাঠানো হয়েছে শিখন ঘাটতি নিরূপনের পাইলট কার্যক্রমের নির্দেশিকা। এই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষক প্রশ্নোত্তরিকা এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষার জন্য বিষয়ভিত্তিক (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। গবেষণার মূল কার্যক্রমে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট আইএলসি ল্যাব সুবিধা আছে এমন ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলট কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ পাইলট কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য গুগল ফর্ম ব্যবহার করা হবে। পাইলট কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক এবং আইএলসি ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য একটি নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।

শিখন ঘাটতি বলতে আমরা সাধারণত বুঝে থাকি একজন শিক্ষার্থীর একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিতে কি কি শিখতে পারার কথা এবং বাস্তবে যা শিখেছে তারমধ্যে যে, ব্যবধান সেটি। জ্ঞানের ঘাটতি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা জানেনা কিংবা সঠিক তথ্য জানেনা। দক্ষতার ঘাটতি বলতে বুঝায় সাধারন দক্ষতাগুলো বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকটিস করেনি। মুটিভেশন গ্যাপ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে উদ্যোগী নয়। শিক্ষার পরিবেশ উপযোগী অবস্থা তৈরি করার অভাব, সঠিক যোগাযোগ ঘাটতি প্রদর্শন–এসব ঘাটতি যদি পূরন করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে এই ঘাটতি বাড়তেই থাকে তাহলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বড় একটি চ্যালেঞ্জের রূপ নেয়। কাজেই বেদু কর্তৃক এসব ঘাটতি শনাক্তকরণের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। গত বছর কি মানদণ্ড ধরা হয়নি? অর্থাৎ কী বাকি ছিল বিশেষ করে দূরশিক্ষণ কিংবা অনলাইনে শিক্ষাদান চালু করার পর। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কতটা ব্যবহার করতে পারছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আর কী কী অতিরিক্ত পেশাগত দক্ষতা প্রয়োজন।

‘গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং মাইক্রোফিন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশের মূল পাঁচটি শিল্প এলাকায় (চট্টগ্রাম, ঢাক শহর, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ এবং সাভার) কর্মরত পোশাক শ্রমিকদের সম্পর্কে প্রতিমাসে তথ্য সংগ্রহ করছে। সানেম এবং এমএফও যৌথভাবে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে এক হাজার ২৮০ জন গার্মেন্টস কর্মীর উপর তাদের পরিবারের শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে এই জরিপটি পরিচালনা করে যেখানে ৭৬ শতাংশ নারী ও ২৪ শতাংশ পুরুষ। চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে সেগুলোর ওপর এই জরিপটি আলোকপাত করেছে। অনলাইন ক্লাসে শিশুদের অংশগ্রহনের হার, অংশগ্রহন করতে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া, অনলাইন ক্লাসের কার্যকারিতা এবং শেখার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে শিক্ষার ওপর করোনা মহামারির প্রভাব আরও ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেছে এই জরিপটি।

জরিপে অংশগ্রহণকারী গার্মেন্টস কর্মীদের পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৬ শতাংশ পরিবারে ১৯ বছরের কম বয়সী এক বা একাধিক শিশু রয়েছে। সেসব পরিবারের মধ্যে ৬১ শতাংশ পরিবারে অন্তত একজন স্কুলগামী শিশু রয়েছে। স্কুলগামী শিশু রয়েছে এমন পরিবারের মধ্যে ১১ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের সন্তানদের স্কুল নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে, ২৬ শতাংশের মতে স্কুল অনলাইনে ক্লাস নিলেও তা নিয়মিত নয় এবং ৫৩ শতাংশ জানিয়েছে তাদের সন্তানদের স্কুল কোনও অনলাইন ক্লাস নেয়নি। তার মানে সব স্কুলের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা নেই। অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহনকারী শিশু রয়েছে এমন ৩১ শতাংশ পরিবারের মতে ক্লাসগুলো কার্যকর নয়। মাত্র ১৮ শতাংশ পরিবার এগুলোকে কার্যকর বলে মনে করেছেন এবং ৫২শতাংশ পরিবার অনলাইন ক্লাসের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার সম্পর্কে ধারণা পেতে জরিপে গার্মেন্টস কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, করোনা মহামারির পরে স্কুলে সশরীরে ক্লাস পুনরায় চালু হলে তাদের পরিবারের শিশুরা আবার পড়াশোনা চালিযে যাবে কিনা। উদ্বেগজনকভাবে স্কুলগামী শিশু রয়েছ এমন ৯ শতাংশ পরিবার ধারণা করেছে যে, তাদের পরিবারের কিছু শিশু বা সব শিশু মহামারির পরে তাদের পড়াশুনা আর চালিয়ে যাবেনা। ঝরে পড়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তারা এখনা পড়াশনুরা খরচ বহন করতে অক্ষম। মহামারির সময়ে তাদের শিশুরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় তাদের পক্ষে আর পড়াশুনায় ফিরে আসা সম্ভব নয়।

করোনা মহামাররি সময় লকডাউন এবং স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ঝরে পড়া ছাড়াও শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবের মধ্যে রয়েছে শেখার ক্ষতি এমনকি শিশুশ্রম বা বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। ইউনেস্কোর মতে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা, সশরীরে ক্লাসের অভাব সম্পূর্ণ পূরণ করতে পারে না। তবে বিদ্যমান ডিজিটাল বিভাজন মহামারির মধ্যে শিক্ষায় বৈষম্য আরও প্রকট করেছে। এই বৈষম্য দূরীকরণের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি