শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিবন্ধী নাগরিকরা সমঅধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক

আমরা জানি, ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। তবে আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, ২৩শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপুর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে। এজন্য দিনটিকে আমরা পতাকা উত্তোলন দিবসও বলি, প্রতিরোধ দিবসও বলি। যদিও উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এদিনটি লাহোর প্রস্তাব দিবস ।

১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ সভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এই উপমহাদেশে দুটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এনেছিলেন। তার একটি হবে উত্তর পূর্ব ভারতকে নিয়ে এবং বাংলাদেশ, অন্যটি পাকিস্তান। তবে নির্মম রাজনৈতিক ইতিহাস ঘটনা প্রবাহকে পাল্টে দেয়। দুটির জায়গায় একটি রাষ্ট্র হয়। মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান, ১৯৪৭ সালে। চব্বিশ বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য নিপীড়ন, অত্যাচার, এমনকি আমাদের মাতৃভাষার উপরে যখন আঘাত এসবের বিরুদ্ধে আমাদের পর্যায়ক্রমে জবাব দিতে হয়েছে।

আমি একজন দৃস্টি প্রতিবন্ধী নাগরিক। এই দেশে কোনো প্রতিবন্ধী নাগরিকের, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য কোনো রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে আমার চক্ষু বিশেষজ্ঞ আমার মরহুম পিতা-মাতাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আমার দুটি চোখেরই দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই তখন আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অর্থাৎ তখন সবাই বলতেন, অন্ধ হয়ে গেছে। তখন এদেশে আমার লেখা পড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তখন পূর্ব পাকিস্তান সরকার পরিচালিত হচ্ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আতাউর রহমান খান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তখন এক তরুন তেজস্বী রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫৭ সালের ২ এপ্রিল ঢাকায় রোটারি ক্লাব আয়োজন করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে দৃস্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু এদেশে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে ছিল না, কোনো শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, তাই কলকাতা রোটারি ক্লাবের সহায়তায় একজন শিক্ষক প্রয়াত বিভূতি ভূষণকে নিয়ে আসা হয়। আর আমাকে সনাক্ত করা হয় প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র হিসেবে।

১৯৫৭ সালের ২ এপ্রিল ৭ বছর বয়সে আমি আমার দ্বিতীয় যাত্রা শুরু করি। অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে আবারও লেখাপড়া করার জন্য আমার প্রথম স্কুলে যাওয়া। একটি ভাড়াটে বাড়িতে ১৭/৮ ওয়ারি র‌্যাংকিং স্ট্রিট, পুরোনো ঢাকায় আমার প্রথম স্কুল জীবন শুরু। এখনও মনে পড়ে মাস্টার বাবুর হাতে যখন আমার মা আমাকে নিয়ে গেলেন, তার আগে স্কুল উদ্বোধন হয়েছিল ১৫ই মার্চ। সেদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, মিসেস চৌধুরী, আপনি মনসুরকে নিয়ে ভাববেন না। সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বটে, কিন্তু আজ থেকে সে পড়ালেখা শিখবে। আমাদের হেড মাস্টার সাহেব তিনি আমাকে বাংলা ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে বর্ণমালার সঙ্গে পরিচিত করলেন। ইংরেজি বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয় করলেন। বললেন, প্রথমে ইংরেজি বর্ণমালা শিখবে। ছয়টি বিন্দু বা ডট দিয়ে নানানভাবে সাজানো হয়। সেভাবেই শিখলাম। তিন চার দিন সময় লাগল। তারপর বাংলা শেখানো হল। বিভিন্ন বস্তুর আকার প্রকার বোঝানোর জন্য বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসা হল। পাতার যে ঘ্রাণশক্তি সেটি পরীক্ষা করার চেষ্টা চলল। তারপর দুপুরবেলা মাদুর পেতে সংগীত শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হল। আজও সেই গানটির কথা মনে আছে, জীবনের গভীর অর্থ তখন বুঝি নাই। গানের কথাগুলো ছিল এরকম,

এই করেছ ভাল নিঠুর হে, নিঠুর হে
এই করেছ ভাল
এমনি করে হৃদয়ে মোর
তীব্র দহন জ্বালো
এই করেছ ভাল নিঠুর হে, নিঠুর হে
এই করেছ ভাল।

জীবনের এই প্রান্তে এসে রবীন্দ্রনাথের লেখা এই গানটি আমার মনে হয় যেন প্রতিদিনের প্রার্থনা সংগীত।

খুব মনে হচ্ছে, জাতির পিতা সম্পর্কে একটি কথা বলা উচিত। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, শুধুমাত্র তার কন্ঠস্বর শুনি নাই, তাকে স্পর্শ করেছি। তার সঙ্গে করমর্দন করেছি। সেটি প্রথম ঘটেছিল ১৯৬৯ সালে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পাকিস্তান থেকে ছয়জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ব অন্ধ প্রতিবন্ধী সম্মেলনে কলম্বোতে যাবেন। পাকিস্তান থেকে আমরা তিনজন ছাত্র। সে উপলক্ষে ১৯৬৯ এর সেপ্টেম্বরের এক সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাই। বঙ্গবন্ধু তার কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমরা যাব তিনি জানতেন। খুব স্নেহ করলেন, আদর করলেন। বললেন, এই বয়সে তোমরা যাচ্ছ, নিজের দেশেকে তুলে ধরবে। তোমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেদিন অনেক উৎসাহ অনেক প্রেরণার কথা শুনিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার তার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেটি ২৫শে জানুয়ারি ১৯৭২, পুরানো গণভবনে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী’র সঙ্গে আমাদের আগের দিন দেখা হয়। তিনি যেহেতু রোটারি ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন, সে কারণে শৈশব থেকেই আমাকে চিনতেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তার সঙ্গে দৃষ্টি প্রতিবন্দ্বীদের সমস্যা নিয়ে আমরা আলাপ করতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তোমরা কাল দেখা করতে যাবে, আমি তোমাদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। উনি প্রথমে ভুল বুঝেছিলেন। উনি ভেবেছিলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েছি। আমরা তাকে জানিয়েছিলাম, আমরা শৈশব থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আমরা বলেছিলাম, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত। এটি কোনো কল্যাণজনক কিছু হতে পারে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের অধীনস্ত করা হোক। তিনি সহমত প্রকাশ করে বলেছিলেন, অত্যন্ত ভাল কথা। তিনি বললেন, ‘তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ সাহেবকে আমি এ ব্যাপারে বলে দেব। ‘আমাদের লিখিত স্মারকলিপি তিনি রাখলেন এবং অনেক উৎসাহ দিলেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল, কিছু অনাহূত জটিলতার কারণে পরিশেষে সেটি আর বদল করা যায়নি। আজও এ দেশের প্রতিবন্দ্বীদের শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত। অথচ আমরা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। অথচ আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

ফিরে আসি ১৯৭৪সালে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। যেমন প্রতিটি মহকুমার অধীন সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমন্বিত কার্যক্রমে ১০ জন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। উনি এরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রক্রিয়াটি তিনি চালু করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তার সেই অসম্পূর্ণ কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশ বছর পরে সেটি পুনরায় চালু করেছেন। বর্তমানে মেধাবি প্রতিবন্দী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতা দেওয়া হয়।

ইতিহাস অনেক লম্বা। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কিছু কাজ নিশ্চয় হয়েছে। তবে দুঃখজনক হল, যতটুকু হয়েছে অথবা যেটুকু হবার কথা ছিল, তা খুব বেশি কিছু নয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রকার প্রতিবন্ধীদের নানা সমস্যা, যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। শিক্ষাক্ষেত্র, শিক্ষা শেষে তার কর্মসংস্থান, মর্যাদার সঙ্গে চাকরি করে বেঁচে থাকার পরিবেশ এখনো হয়নি। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে পারে, কিন্তু তাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। এ কথা আবারও বলি যে, প্রতিবন্দ্বী মানুষের সমস্যা ব্যাপক। উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যা অনেক গভীর ও অনেক বেশি। আমরা সভ্যতার উষালগ্ন থেকে আজ অব্দি যেভাবে এগিয়ে চলেছি, একসময় প্রতিবন্ধীদের আইসোলেটেড করে রাখতাম, এখন ইনক্লুসিভ করা হয়েছে। এখন আমরা সমঅধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস এই স্বাধীন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় হয়তো একদিন আমি থাকব না, আমি না থাকি, তাতে কি আসে যায়। এদেশের প্রতিবন্ধী নাগরিকেরা সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। আপনারা মনে রাখবেন, আমরা যারা প্রতিবন্ধী মানুষ, আমরা প্রথমে মানুষ, তারপর প্রতিবন্ধী। 


লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মানবাধিকার কর্মী

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত