ডিএফসির অর্থায়নে আরও মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনের (ডিএফসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরে আরও বিনিয়োগ করতে মার্কিন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের কাছে এই অনুরোধ করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী ও আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক শক্তি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে স্বনির্ভর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত নীতির বিষয়ে জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার কীভাবে গ্যাস, তেল, কয়লা, পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য শক্তির মতো বিভিন্ন উৎস থেকে শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈচিত্র্য এনেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি ঘাটতি বাংলাদেশসহ অনেক দেশকে তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা পরিস্থিতির উন্নতিতে ভূমিকা রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ডিএফসি অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো দেশে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। এ ছাড়া বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এবং বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি মডুলার চুল্লির সম্ভাবনা দেখার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলিকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসনের প্রশংসা করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে স্বীকার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য, শক্তি বা সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি বলে জানান ফার্নান্দেজ।
আন্ডার সেক্রেটারি নতুন সুযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করার জন্য শ্রম অধিকার এবং কারখানার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন। তিনি পরিচ্ছন্ন জ্বালানিকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশ এ ধরনের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে পারে বলেও অভিমত দেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে সিওপি ২৬-এ চালু হওয়া গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকেও আহ্বান জানান আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ।
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক প্রশস্ত ও গভীর হচ্ছে এবং উভয় সরকারের তাদের অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন তৌফিক-ই-ইলাহী ও আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ।
এসএন
