সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনা মহামারির সময় ৬৪ জেলায় দায়িত্ব পালন করা সচিবদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে তাদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সচিবরা ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করলেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারসহ তদন্ত চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে সারা দেশে কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সে সময় জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবাইকে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ সময় মানুষকে সহায়তার জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, ৬৪ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এই সচিবরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাদের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাদের ইচ্ছায় সবকিছু পরিচালিত হয়েছে। অনেকেই সহায়তার অর্থ ঠিকমতো পায়নি।

গ্রামে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা এবং তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে সচিবরা শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কাজ আমলাদের দিয়ে করানোয় সংসদে বিতর্ক তোলা হলেও পদ-পদবি হারানোর ভয়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিবাদ বেশি দূর এগোয়নি। করোনার ওই সময় যে ৬৪ সচিব সরকারি ত্রাণ বিলি-বণ্টন এবং দুর্গতদের তালিকা করার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা ‘কট্টর আওয়ামী সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত। ওই সচিবদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

করোনার সময় বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে জনপ্রতিনিধিদের করা সেই তালিকাকে অনেকাংশে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজেদের করা তালিকা অনুযায়ী সরকারি সহায়তার অর্থসহ নানা ধরনের সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এতে লাখ লাখ প্রান্তিক অসহায় জনগোষ্ঠী সহায়তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা হলেও বিষয়টি আমলে আনা হয়নি। পরবর্তী সময়ে করোনাকালে সরকারি সহায়তার নামে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ কোটি মানুষকে তথা ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয় তখনকার সরকার। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়নি যথাযথ তথ্যভাণ্ডারের অভাবে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষককে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে নগদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রতি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছিল তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব বা সচিবরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় কাজে তার মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর সংস্থার উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। নিয়োগ করা কর্মকর্তারা জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোডিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন। পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ বা অন্য বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন। আরো বলা হয়, অবসর বা বদলির কারণে সিনিয়র সচিব বা সচিবের দপ্তর পরিবর্তন বা পদ শূন্য হলে সেখানে নিযুক্ত সিনিয়র সচিব বা সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে উল্লেখ করা দায়িত্ব পালন করা সচিবরা ছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম (মুন্সীগঞ্জ), আইসিটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম (কুমিল্লা), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম (সিরাজগঞ্জ), জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন (চট্টগ্রাম), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ (কক্সবাজার), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (শরীয়তপুর), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার (মানিকগঞ্জ), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল (যশোর), কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম (লালমনিরহাট), গণপূর্ত সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার (গোপালগঞ্জ), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রাঙামাটি), প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সাবেক সচিব পবন চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম (শেরপুর), ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (ফরিদপুর), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম (রাজশাহী), কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা (গাজীপুর), শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এম আলী আজম (বরিশাল), সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন (বান্দরবান), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন (সাতক্ষীরা), বিপিএটিসির রেক্টর মো. রকিব হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন (মাদারীপুর), রেল সচিব সেলিম রেজা (পাবনা), পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া (সিলেট), সমবায় সচিব রেজাউল আহসান (রংপুর), মুক্তিযুদ্ধ সচিব তপন কান্তি ঘোষ (বি.বাড়িয়া), খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম (চুয়াডাঙ্গা), শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন (জামালপুর), মৎস্য সচিব রওনক মাহমুদ (পটুয়াখালী), স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব মো. আলী নূর (ঢাকা), পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী (সুনামগঞ্জ), মো. নুরুল ইসলাম (দিনাজপুর) ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা (নরসিংদী)।

এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া (পিরোজপুর), পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান (কুড়িগ্রাম), স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান (কিশোরগঞ্জ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম (নীলফামারী), কারিগরি ও মাদরাসা সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান (মৌলভীবাজার), ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (বগুড়া), নৌসচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয়) সচিব মো. কামাল হোসেন (খুলনা), পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ (কুষ্টিয়া), শ্রম সচিব একেএম আবদুস সালাম (নওগাঁ), আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী (নোয়াখালী), পরিসংখ্যান সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী (নাটোর), পিএসসি সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন (রাজবাড়ী), দুর্যোগ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন (চাঁদপুর), সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন (খাগড়াছড়ি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন আল রশীদ (হবিগঞ্জ), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম (মাগুরা), পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা (গাইবান্ধা), বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান (বরগুনা), তথ্য সচিব খাজা মিয়া (নড়াইল), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (টাঙ্গাইল), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল (ঝিনাইদহ), বিমান সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন (মেহেরপুর), ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান (পঞ্চগড়), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা (নেত্রকোনা), সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আখতার (বাগেরহাট), ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার (ঝালকাঠি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান (ঠাকুরগাঁও), পার্বত্য সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম (ময়মনসিংহ), ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন (ভোলা) এবং মহিলা ও শিশুসচিব সায়েদুল ইসলাম (জয়পুরহাট)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোভিড-১৯-এর সময় ত্রাণ ও টাকা বিতরণের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন, সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

আয়োজক হয়েও ট্রফি বিতরণে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের, ক্ষুব্ধ শোয়েব

ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের জয় উদযাপনের সময় ট্রফি বিতরণী মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-এর কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতি না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।

টুর্নামেন্টের একক আয়োজক হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। দীর্ঘ ২৯ বছর পর নিজেদের মাটিতে কোনো আইসিসি ইভেন্ট ঘিরে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেছিল দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও পরবর্তীতে ভারতের বাধার মুখে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। যেখানে একমাত্র দল হিসেবে দুবাইয়ে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত।

এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক থেমে গিয়েছিল অনেক আগেই। এবার উঠেছে নতুন বিতর্ক। টুর্নামেন্টের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিসিসিআই প্রধান রজার বিনি ও ও সচিব জয় শাহ উপস্থিত থাকলেও সেখানে দেখা যায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাউকে। ধারণা করা হচ্ছিল পিসিবিপ্রধান মহসিন নাকভি অন্তত সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন; সেটা না হওয়ায় এখন অন্তরজ্বালা হচ্ছে শোয়েব আখতারের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শোয়েব। বলেন, ‘খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার দেখলাম। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজনও ওখানে ছিলেন না। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক।’

সাবেক এ পেসার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের একজন মানুষকেও ওখানে দেখলাম না। ব্যাপারটা বুঝতেই পারছি না। কেউ কেনো ট্রফি দিতে এলেন না? প্লিজ এটা নিয়ে ভাবুন। বিশ্বমঞ্চে তো আপনাদের থাকতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক যে আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজনকেও সেখানে দেখলাম না। আমরা এটার আয়োজক, অথচ আমাদের কেউই নেই।’

পরে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাকে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে ডাকা হয়নি। সেই সূত্র জানায়, আগে থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ভিন্ন প্রতিশ্রুতি থাকায় পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দুবাইয়ে যাননি। পিসিবির পক্ষ থেকে সিইওকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণে বা ভুল–বোঝাবুঝিতে তাকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে কাজ তদারকি করছে: রিজভী

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে তাদের কাজ তদারকি করছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। অথচ তাদের থাকার কথা ক্লাসে ও লাইব্রেরিতে।

বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই তাদের উচিত ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। সোমবার নয়াপল্টনে মহিলা দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মাগুরাসহ দেশজুড়ে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

 রিজভী বলেন,দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনার আমল থেকেই নারীরা নির্যাতিত হয়েছিলেন। এখন তো ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেই, তাহলে কারা এই হিংস্রতার সঙ্গে জড়িত। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তা জানতে চাই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌশলে প্রতিশোধও নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রশাসন ঠিক থাকলে দেশে এমন বিশৃঙ্খলা হতো না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে করলে এমনটি হতো না। আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ে আছিয়ার ধর্ষণকারীদের বিচার করতে হবে, যেন অন্য অপরাধীদের হৃৎকম্পন হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আছিয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন।

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে ধর্ষণকারীদের পুরস্কৃত করা হতো। আর বিএনপির সময়ে ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন বাড়ছে। তিনি মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের জনসম্মুখে বিচারের দাবি জানান।

ধর্ষিতা শিশুটির বোনের শাশুড়িরও ফাঁসি দাবি করে মহিলা দলের সভানেত্রী বলেন, ১৮০ দিনে নয়, এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আর্নি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা প্রমুখ।

মিছিলে ধর্ষক ও নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করা সেই রিংকু গ্রেফতার

গ্রেফতার রিংকু। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় একটি চায়ের দোকানে দুই তরুণীকে ধূমপান করার কারণে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত রিংকু গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) এই তথ্যটি ফেসবুকে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

ফারুকী তার পোস্টে জানান, “লালমাটিয়ার উত্ত্যক্তকারী রিংকু গ্রেফতার হয়েছে গতকাল রাতে।” তিনি তার পোস্টে গায়িকা ফারজানা ওয়াহিদ শায়ানের একটি গানের লাইনও উল্লেখ করেন।

ঘটনাটি ঘটে ২ মার্চ, যখন লালমাটিয়ার একটি চায়ের দোকানে দুই তরুণী প্রকাশ্যে ধূমপান করছিলেন। এ সময় এক বয়স্ক ব্যক্তি তাদের ধূমপান নিয়ে আপত্তি জানান, যা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং রিংকু নামের এক ব্যক্তি তরুণীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক লাঞ্ছনার চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করলেও ঘটনাটি ভিডিও হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় অনেকেই সামাজিকভাবে প্রতিবাদ জানান এবং অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন। বিশেষ করে নারীদের ধূমপান নিয়ে কিছু সমালোচনা শোনা যায়। ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং পরে রিংকু গ্রেফতার হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আয়োজক হয়েও ট্রফি বিতরণে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের, ক্ষুব্ধ শোয়েব
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে কাজ তদারকি করছে: রিজভী
ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করা সেই রিংকু গ্রেফতার
‘আ.লীগ কর্মীদের তওবা করে অন্য দলে যোগ দেয়া উচিত’
যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  
অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য ৯ নির্দেশনা হাইকোর্টের  
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ  
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব  
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার
ধর্ষণ-নিপীড়ন: আজ সারা দেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন  
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার
রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি
সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  
আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত