শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনা মহামারির সময় ৬৪ জেলায় দায়িত্ব পালন করা সচিবদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে তাদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সচিবরা ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করলেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারসহ তদন্ত চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে সারা দেশে কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সে সময় জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবাইকে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ সময় মানুষকে সহায়তার জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, ৬৪ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এই সচিবরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাদের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাদের ইচ্ছায় সবকিছু পরিচালিত হয়েছে। অনেকেই সহায়তার অর্থ ঠিকমতো পায়নি।

গ্রামে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা এবং তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে সচিবরা শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কাজ আমলাদের দিয়ে করানোয় সংসদে বিতর্ক তোলা হলেও পদ-পদবি হারানোর ভয়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিবাদ বেশি দূর এগোয়নি। করোনার ওই সময় যে ৬৪ সচিব সরকারি ত্রাণ বিলি-বণ্টন এবং দুর্গতদের তালিকা করার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা ‘কট্টর আওয়ামী সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত। ওই সচিবদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

করোনার সময় বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে জনপ্রতিনিধিদের করা সেই তালিকাকে অনেকাংশে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজেদের করা তালিকা অনুযায়ী সরকারি সহায়তার অর্থসহ নানা ধরনের সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এতে লাখ লাখ প্রান্তিক অসহায় জনগোষ্ঠী সহায়তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা হলেও বিষয়টি আমলে আনা হয়নি। পরবর্তী সময়ে করোনাকালে সরকারি সহায়তার নামে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ কোটি মানুষকে তথা ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয় তখনকার সরকার। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়নি যথাযথ তথ্যভাণ্ডারের অভাবে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষককে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে নগদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রতি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছিল তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব বা সচিবরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় কাজে তার মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর সংস্থার উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। নিয়োগ করা কর্মকর্তারা জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোডিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন। পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ বা অন্য বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন। আরো বলা হয়, অবসর বা বদলির কারণে সিনিয়র সচিব বা সচিবের দপ্তর পরিবর্তন বা পদ শূন্য হলে সেখানে নিযুক্ত সিনিয়র সচিব বা সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে উল্লেখ করা দায়িত্ব পালন করা সচিবরা ছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম (মুন্সীগঞ্জ), আইসিটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম (কুমিল্লা), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম (সিরাজগঞ্জ), জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন (চট্টগ্রাম), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ (কক্সবাজার), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (শরীয়তপুর), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার (মানিকগঞ্জ), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল (যশোর), কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম (লালমনিরহাট), গণপূর্ত সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার (গোপালগঞ্জ), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রাঙামাটি), প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সাবেক সচিব পবন চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম (শেরপুর), ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (ফরিদপুর), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম (রাজশাহী), কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা (গাজীপুর), শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এম আলী আজম (বরিশাল), সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন (বান্দরবান), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন (সাতক্ষীরা), বিপিএটিসির রেক্টর মো. রকিব হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন (মাদারীপুর), রেল সচিব সেলিম রেজা (পাবনা), পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া (সিলেট), সমবায় সচিব রেজাউল আহসান (রংপুর), মুক্তিযুদ্ধ সচিব তপন কান্তি ঘোষ (বি.বাড়িয়া), খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম (চুয়াডাঙ্গা), শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন (জামালপুর), মৎস্য সচিব রওনক মাহমুদ (পটুয়াখালী), স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব মো. আলী নূর (ঢাকা), পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী (সুনামগঞ্জ), মো. নুরুল ইসলাম (দিনাজপুর) ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা (নরসিংদী)।

এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া (পিরোজপুর), পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান (কুড়িগ্রাম), স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান (কিশোরগঞ্জ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম (নীলফামারী), কারিগরি ও মাদরাসা সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান (মৌলভীবাজার), ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (বগুড়া), নৌসচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয়) সচিব মো. কামাল হোসেন (খুলনা), পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ (কুষ্টিয়া), শ্রম সচিব একেএম আবদুস সালাম (নওগাঁ), আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী (নোয়াখালী), পরিসংখ্যান সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী (নাটোর), পিএসসি সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন (রাজবাড়ী), দুর্যোগ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন (চাঁদপুর), সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন (খাগড়াছড়ি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন আল রশীদ (হবিগঞ্জ), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম (মাগুরা), পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা (গাইবান্ধা), বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান (বরগুনা), তথ্য সচিব খাজা মিয়া (নড়াইল), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (টাঙ্গাইল), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল (ঝিনাইদহ), বিমান সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন (মেহেরপুর), ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান (পঞ্চগড়), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা (নেত্রকোনা), সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আখতার (বাগেরহাট), ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার (ঝালকাঠি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান (ঠাকুরগাঁও), পার্বত্য সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম (ময়মনসিংহ), ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন (ভোলা) এবং মহিলা ও শিশুসচিব সায়েদুল ইসলাম (জয়পুরহাট)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোভিড-১৯-এর সময় ত্রাণ ও টাকা বিতরণের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন, সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব

ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখে বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরণকে ঘিরে প্রতিবছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শোভাযাত্রা। তবে এবার এই শোভাযাত্রায় থাকছে নতুন মাত্রা—শুধু নাম পরিবর্তনই নয়, প্রতীকের দিক থেকেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

দীর্ঘদিন ধরে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” নামে পরিচিত এই আয়োজনের নাম নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, “মঙ্গল” শব্দটির মধ্যে সর্বজনীনতা নেই এবং এতে বাংলার আপামর মানুষের সংস্কৃতির পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটে না। সেই সঙ্গে শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত কিছু প্রতীককেও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিদর্শন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবশেষে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন থেকে এই আয়োজন হবে “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা” নামে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এবারের শোভাযাত্রায় অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত একটি মুখাবয়ব, যেটি সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তৈরি করা হয়েছে। মুখাবয়বটির দুপাশে থাকবে শিংয়ের মতো অংশ। এছাড়া “জুলাই বিপ্লব”-এর প্রতীক হিসেবে একটি ১৫ ফুট উচ্চতার পানির বোতলের আদলও থাকবে, যার মধ্যে থাকবে আরও অনেক ছোট পানির বোতল শহিদদের স্মরণে।

জুলাই বিপ্লবের পর এবারই প্রথম পহেলা বৈশাখ উদযাপন হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে শোভাযাত্রার প্রতীক ও বার্তায় এসেছে রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার ছাপ।

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা এখন শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে সময়ের প্রতিচ্ছবি এবং জনগণের অনুভূতির প্রতিফলন।

Header Ad
Header Ad

ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, মাস্ক অসৎ ও দুর্নীতিমূলক কৌশল অবলম্বন করে নিজের স্বার্থে ওপেনএআই-এর ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করছেন এবং এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ওপেনএআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইলন মাস্ক ও স্যাম অল্টম্যান। তবে ২০১৮ সালে মাস্ক প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যান। এর আগে গত বছর মাস্ক একটি মামলার মাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন, স্যাম অল্টম্যান ও তাঁর দল করপোরেট কাঠামো পরিবর্তনের মাধ্যমে ওপেনএআই-এর মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে আসছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে ওপেনএআই জানায়, “ইলন মাস্ক তাঁর ব্যক্তিগত সুবিধার্থে ওপেনএআইকে ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দুর্নীতিমূলক কৌশল চালাচ্ছেন। তাকে থামাতেই আমাদের এই পাল্টা মামলা।”

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে দায়ের হওয়া মামলাটির বিচার শুরু হবে ২০২৬ সালের মার্চে—এমন নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক ইয়ভন গঞ্জালেজ রজার্স। তিনি এর আগে মাস্কের করা একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন, যেখানে মাস্ক চেয়েছিলেন ওপেনএআই-এর অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর স্থগিত রাখতে।

এই মামলাকে সিলিকন ভ্যালির দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব—ইলন মাস্ক ও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর ও ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্র নির্ণয় করা হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের উৎস ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।

ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে যান এবং একে অপরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তবে সরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা ৩ জন
দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের চার অঞ্চলে
কারাগারে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলম