বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
সেখানে হাই কমিশনারকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাদুঘরের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার বান্ধবী আরজে মাহভাশ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, আনুষ্ঠানিকভাবে ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এক মাসও পেরোয়নি, তার আগেই চাহাল ধরা পড়েছেন নতুন এক সুন্দরী নারীকে নিয়ে।
রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় উপস্থিত ছিলেন চাহাল। তার সঙ্গী এই ‘নতুন নারী’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে চাহালের নতুন সঙ্গী হিসেবে যে নাম উঠে এসেছে, তা হলো আরজে মাহভাশ।
আরজে মাহভাশ ও যুজবেন্দ্র চাহাল। ছবি: সংগৃহীত
মাহভাশের জন্ম আলিগড়ে। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণজ্ঞাপন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রেডিও জকি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার পর, ইউটিউবে নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্বাধীনতার বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও তৈরির মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন।
মাহভাশের নাম নিয়ে বহু দিন ধরে গুজব চলছিল যে, তিনি চাহালের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। তবে, সরাসরি ক্যামেরায় দেখা যাওয়ার পর, মাহভাশ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলেছেন, "বলেছিলাম না, জিতে ফিরব। আমি ভারত দলের জন্য শুভ শক্তি।"
আরজে মাহভাশ। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে, চাহালও নিজের অনুরাগীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যে, এই ধরনের ভিত্তিহীন খবর না ছড়ানোই শ্রেয়, কারণ এটি তার পরিবারকে কষ্ট দিতে পারে।
ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে চাহালের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক উঠেছিল। ২০২০ সালে তারা বিয়ে করেন, কিন্তু পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের পর, তাদের মধ্যে কোনও ধরনের খারাপ মন্তব্য হয়নি এবং সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ধনশ্রীকে নিয়ে নানা ট্রোলিং শুরু হয়। তবে, ধনশ্রীর পরিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও অর্থ দাবি করা হয়নি এবং এমন কোনও প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরানোর জন্য খুব শিগগিরই একটি বিশেষ আইন করা হবে। তিনি বলেছেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন দেখতে পাবেন।”
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “পাচার করা টাকা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই তৎপর ছিল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বারবার বলে আসছেন যে, এটি বাংলাদেশের মানুষের টাকা এবং এটি ফেরানো সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই টাস্কফোর্স পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
প্রেস সচিব জানান, “টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে সহায়তা করা হবে। প্রায় ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করার পরিকল্পনা চলছে।”
প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন যে, “এটি বাংলাদেশের টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এটি ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।” এ বিষয়ে প্রতি মাসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের পরপরই আরেকটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, “বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠানো হচ্ছে। একটি কেসে দেখা গেছে, শুধুমাত্র টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের অন্যতম উদাহরণ।”
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
এই নতুন আইন দেশের অর্থনীতি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।
বাবা ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ফরহাদ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। রোববার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে রুনা খান তার বাবা ফরহাদ হোসেনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার আব্বু চলে গেলেন..! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
ফরহাদ হোসেন ব্যক্তি জীবনে একজন সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তার দাফন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
রুনা খানের বাবার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী এবং ভক্তরা। অভিনেত্রী তিন্নি তার শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘আঙ্কেলের আত্মা শান্তিতে থাকুক।’ অভিনেত্রী শ্রাবন্তীও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইলো।’
এছাড়া রুনা খানের ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং অভিনেত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।