রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

শুধু কি এমনই ছিল সব? সেই আদব, ওইসব খেলাধুলা, ওই রকম সাহস, পরিবার, কেরোসিনের বাতি, অন্ধকার সিঁড়ি, বাতাসের তালগাছ, সমুদ্রে জন্ম ও অভিসিঞ্চন এবং শেষে গ্রীষ্মের কঠোর পরিশ্রমই কি সব ছিল? ওইসব কিছু ছিল ঠিকই। তবে তার নিজের সত্তার গহন গোপন বলতেও একটা কিছু ছিল।

ভূতলের অপরিমেয় পানির মতো তার ভেতর থেকে একটা কিছু নাড়া দিয়ে যাচ্ছিল এতগুলো বছর ধরে। ভূতলের পানি শিলাময় গোলকধাঁধার নিচে থেকে আলোর মুখ দেখে না। তবু কে জানে আবছাভাবে পৃথিবীর বিকীরণশীল কেন্দ্র থেকে কৈশিক নালির মধ্য দিয়ে গুহার কৃষ্ণ বাতাসে আলোর বিচ্ছুরণ ফেলে। তার ফলে যেখানে অন্য কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয় সেখানেও অতিভোজী ঊদ্ভিদের খাদ্যলাভ সম্ভব হয়। তার ভেতরের ওই অন্ধ নাড়া কখনো থামেনি। এখনো সে টের পায় এর অস্তিত্ব। মাটির নিচের পচা উদ্ভিদের আগুনের মতো তার ভেতরের আগুন বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তবু ভেতরের জ্বলুনি থামেনি। বরং পচা উদ্ভিদের বাইরের ফাটল কুণ্ডলি পাকিয়ে বের হয়ে এসে ছড়িয়ে পড়েছে গাছপালার জগতে। তাতে জলাভূমির পচা উদ্ভিদের মতোই বাইরের কর্দমাক্ত ভূপৃষ্ঠও একই গতি ও ছন্দে এগিয়ে গেছে। আর সেই অদৃশ্য ঢেউগুলো দিনের পর দিন তার সবচেয়ে ভয়াবহ এবং প্রচণ্ড কামনা বাসনার জন্ম দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আরও জন্ম দিয়েছে সবচেয়ে ঊষর দুশ্চিন্তা, সবচেয়ে ফলপ্রসু স্মৃতিকাতরতা, তার আকস্মিক ক্ষমতাহীনতা ও সংযম এবং কেউ না হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

হ্যা, তার ভেতরের এই আলোড়ন এই বিশাল দেশটার সঙ্গে মানানসই হয়েই তার সঙ্গে সঙ্গে ছিল এতগুলো বছর। বালক বয়স থেকেই সে এই আলোড়নের চাপ, সামনের বিশাল সমুদ্রের এবং পেছনে সীমাহীন পাহাড়ের বিস্তৃতি, সমতলভূমি, অন্তর্জগৎ বলে পরিচিত মরুভূমি— এসবের চাপ অনুভব করেছে। সামনে পেছনের মাঝে ছিল অহর্নিশ বিপদ। সে বিপদের কথা কেউ মুখ ফুটে বলেনি। কারণ সেটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে সবার কাছে। কিন্তু জ্যাক এর অস্তিত্ব টের পেয়েছে বিরমানড্রাইসের উঁচু খিলানের মতো ছাদ এবং সাদা রং করা দেয়ালঅলা ছোট খামারবাড়িতে থাকাকালে। সেখানে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তার খালা ভালো করে পরোখ করেছেন পুরু কাঠের তৈরি ঝাঁপ ঠিকমতো বন্ধ করা হয়েছে কি না। সেখানে তার মনে হতো, তাকে জোর করে ফেলে দেওয়া হয়েছে যেন সে সেখানকার প্রথম বাসিন্দা কিংবা প্রথম বিজেতা। সেখানে যেন তখনও জঙ্গল জীবনের আইন বলবত। করুণা ছাড়াই ন্যায়বিচার যেন শুধু শাস্তি দিতে প্রস্তুত এবং সেই ব্যবস্থাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ প্রচলিত প্রথাও। তার সামনের মানুষগুলোকে মনে হতো প্রলুব্ধকর তবে বিরক্তিকর, খুব কাছের কিন্তু বিচ্ছিন্ন। তাদের চারপশেই সারাদিন থাকতে হতো। কখনোবা বন্ধুত্ব কিংবা সৌহার্দ্য তৈরি হতো। সন্ধ্যার দিকে তারা সবাই যার যার বন্ধ ঘরে ফিরে যেত। সেসব ঘরে জ্যাক কখনো ঢুকে দেখেনি। ঘরে ঢোকার পথে আরেক বাধা ছিল তাদের নারীরা। তাদেরকে হয়ত কখনো দেখা হয়নি। কিংবা রাস্তা-ঘাটে দেখা হলেও পরে চেনার কোনো উপায় ছিল না, মুখের বেশিরভাগ ঢাকা থাকত বোরকায়। তাদের সাদা পোশাকের ফাঁকে দেখা যেত সুন্দর, আকর্ষণীয়, কোমল চোখ। এমনকি চাল চলনে ক্লান্ত এবং নমনীয় হলেও এলাকাজুড়ে তাদের সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে, তাদের উপস্থিতি প্রায়ই উপদ্রবের মতো মনে হতো, বিশেষ করে যখন সন্ধ্যার সময় রাস্তায় কোনো ফরাসি লোকের সঙ্গে কোনো আরব লোকের মারামারি শুরু হয়ে যেত। মারামারি অবশ্য দুজন আরবের মধ্যে কিংবা দুজন ফরাসি লোকের মধ্যেও হতে পারত। তবে সেসব ক্ষেত্রে লড়াইটাতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। রংচটা নীল রঙের ঢিলা পোশাক কিংবা বিশ্রী রঙের আলখাল্লা পরিহিত পাড়ার আরব লোকেরা চারদিক থেকে চলমান ধারার মতো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসত। কোনো রকম উচ্চবাচ্য না করলেও গায়ে গা লাগানোর মতো ভিড়ের নিঃশব্দ ধাবমান চেহারা দেখেই মারামারি দেখতে আসা গুটিকয় ফরাসি লোক এলাকাছাড়া হয়ে যেত। আর যে ফরাসি লোকটা মারামারিতে জড়িত থাকত সে খানিক পরে দেখতে পেত, তার সামনে তার প্রতিপক্ষ তো আছেই, তার চারপাশে অগণিত দুর্বোধ্য মুখের উপস্থিতিও প্রচণ্ড জোরালো। সে যদি এই দেশে জন্মগ্রহণ না করে থাকত এবং এখানে টিকে থাকতে হলে সাহস থাকা চাই— এই সত্য যদি তার জানা না থাকত তাহলে ওই মুখগুলো তার সমস্ত সাহস বিলীন করে দিত। সে যা-ই হোক, ওই মুহূর্তে তার সামনের ভিড়ের আরব জনতা তার কাছে উচ্চবাচ্য করে কোনো রকম ভয়ভীতি দেখাত না ঠিকই। কিন্তু তাদের উপস্থিতি এবং সামনের দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে আসাটাই ছিল তার জন্য যথেষ্ট ভয়ের। আর সাধারণত ওই আরব লোকদের ভিড়ের অধীনেই চলে যেত রণক্ষেত্রের দখল। শেষে পড়িমরি করে ফরাসি লোকটা পালিয়ে বাঁচত পুলিশ আসার আগেই। মারামারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য কে বা কারা পুলিশকে চটজলদি জানিয়ে দিত। পুলিশ এসে পারতপক্ষে মারামারিতে জড়িতদের ধরে নিয়ে যেত। জোর জবরদস্তি করে পুলিশের লোকেরা আসামিদের নিয়ে জ্যাকের জানালার পাশ দিয়ে থানার দিকে চলে যেত। তাদের চলে যাওয়া দেখে জ্যাকের মা বলে উঠতেন, বেচারা সব!

আসামিদের দুজনকে শক্ত করে বেঁধে ঘাড় ধরে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যেত পুলিশ। তারা চলে যাওয়ার পর জ্যাক বুঝতে পারত রাস্তায় সংঘর্ষ, ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে বালক জ্যাকের কণ্ঠ পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। সেরকম কোনো রাত তার মনের ভেতর জট পাকানো শিকড়-বাকড় নিয়ে এই বিশাল এবং ভয়াবহ দেশের সঙ্গে তাকে বেঁধে ফেলতেন দেশের তাপে ফুটন্ত দিন, হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসা গোধূলির সঙ্গেও তাকে একাত্ব করে দিত। সেটাই ছিল দ্বিতীয় জীবনের মতো। দ্বিতীয় জীবনটাই তার বাইরের জীবনের প্রাত্যহিকতার চেয়ে যেন বেশি সত্যি বলে মনে হতো। ওই জীবনের ইতিহাস বয়ান করা যেতে পারত আবছা আকুলতা এবং শক্তিশালী অবর্ণনীয় চাঞ্চল্যে স্কুলের নিজস্ব গন্ধে, পাড়ার আস্তাবলগুলোর গন্ধে, মায়ের হাতে লন্ড্রি করতে দেওয়া কাপড়গুলোর গন্ধে, শহরের দিকের ওপরের এলাকার জুঁই, মধুমতি ফুলের সুগন্ধে, অভিধান এবং গোগ্রাসে পড়া বইগুলোর গন্ধে, বাড়ির এবং চাকরি করার সময়ের সেই দোকানের টয়লেটের কটু গন্ধে, ক্লাসের আগে কিংবা পরে একা একা দেখতে যাওয়া সুপরিসর ঠাণ্ডা শ্রেণিকক্ষের গন্ধে, তার প্রিয় সহপাঠিদের শরীরের উষ্ণতায় এবং দিদিয়েরের আনা পশমি কাপড়ের গন্ধে। বিশাল বপুঅলা মার্কোনির মা তার গায়ে বেশি করে কোলনের গন্ধ মেখে দিতেন। জ্যাক ওর খুব কাছে ঘেঁষে বসার চেষ্টা করত। পিয়েরে তার খালাদের কাছ থেকে লিপস্টিকের গন্ধ নিয়ে আসত। সবাই মিলে সে গন্ধ শুঁকে দেখত। উত্তেজনায় তাদের অবস্থা হতো কোনো বাড়িতে কামদশায় থাকা কোনো মাদী কুকুরের কাছে চলে আসা পুরুষ কুকুরের মতো। কল্পনায় তারা বুঝতে পারত, এটাই নারীর অস্তিত্বের লক্ষণ। কসমেটিক ক্রিমের মিষ্টি গন্ধে তাদের হৈচৈ, চিৎকার, ঘাম আর ধূলির জগৎ থেকে তাদের এক মার্জিত, কোমল এবং অবর্ণনীয় রকমের প্রলুব্ধকর জগতে নিয়ে যেত। লিপস্টিক সম্পর্কে তাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসা অশ্রাব্য ভাষার খিস্তিও ওই মোহনীয় জগৎ থেকে তাদের ফিরিয়ে রাখতে পারত না। খুব ছোটবেলা থেকে শরীরের প্রতি ভালো লাগা, শরীরের সৌন্দর্য তার ভেতরে হাসির উদ্রেক করত। সমদ্রতটে দেখা নারী শরীরের প্রতি টান তার কখনো কমেনি। মনের মধ্যে অবশ্য বিশেষ কোনো জান্তব অস্বাভাবিকতা থাকত না। শরীরকে পাওয়ার মতো কোনো বাসনা তখন থাকত না। অবশ্য পাওয়ার পথও তার জানা ছিল না তখন, শুধু শরীরের ঔজ্জ্বল্যের ভেতর থাকতে ইচ্ছে করত। বন্ধুদের কারো কাঁধের সঙ্গে হেলে থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অনুভূতির ছোঁয়া পেত। কখনো ট্রলিবাসের মধ্যে কোনো নারীর হাত তার হাতের ওপর খানিকক্ষণ রেখে দিলে ওই টানটা টের পেত সে। এই পার্থিব জীবন সবচেয়ে যে উষ্ণতাটা দিতে পারে তেমনি একটা উষ্ণতা সে পেত ওই সময়। মনে হতো, ওই প্রশান্তির মধ্যে ডুবে গিয়ে অনেকক্ষণ থেকে যায়। মায়ের কাছ থেকেও তেমনি প্রশান্তির উষ্ণতা প্রত্যাশা করত জ্যাক। কেন প্রত্যাশা করত সেই ব্যাখ্যা তার জানা ছিল না। সেই প্রশান্তি পেত না সে। পাওয়ার দুঃসাহসও ছিল না। তাদের বাড়ির কুকুর ব্রিলিয়ান্টের পাশে শুয়ে পশমের কড়া গন্ধের মধ্যে সেই প্রশান্তির উষ্ণতা পেত সে। আরও একটা অপ্রতিরোধ্য জান্তব গন্ধ পেত ব্রিলিয়ান্টের গা থেকে। সেই গন্ধের মধ্যে জীবনের একটা চমৎকার উষ্ণতা তার জন্য পুষে রাখা হয়েছে। সেই উষ্ণতা ছাড়া তার চলে না।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক