শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সেই প্রথম রাতে তার ভাই চাপা রাগের সঙ্গে বলল, আমি এসব দেখতে পারি না। অসহ্য!
অনিশ্চয়তার সুরে জ্যাক বলল— না, অসহ্য হলো কী করে! লুই তার দিকে হিংস্র এবং উৎসাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

জ্যাক নিজেকে ঠিক করে নিল এবং তার ভয়টা তখন কিছুটা কমে এল। মুরগি আনার সময়ের এবং জবাই করার দৃশ্যের আতঙ্ক বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তার মধ্যে যেন গর্ব ফিরে এল। শেষে সাহসের সঙ্গেই সে ভাইয়ের উদ্দেশে বলতে পারল, তুমি আসলে ভয় পাও, এটাই বড় কথা।
নানি খাবার রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, ঠিক তাই। এখন থেকে জ্যাকই এই কাজটা করবে।
হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে আর্নেস্ট মামা বলল, ভালো ভালো; জ্যাকের সাহস আছে।

জ্যাক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই অনড় থেকে তার মায়ের দিকে তাকাল। মা অন্য সবার থেকে একটু দূরে বসে এক জোড়া মোজা রিফু করছিলেন। মা তার দিকে তাকিয়ে বললেন, হ্যাঁ, ঠিকই তুই সাহসী। এরপর তিনি রাস্তার দিকে ফিরে তাকালেন। জ্যাক অন্য দিকে কোনো রকম খেয়াল না করে শুধু মাকেই দেখতে লাগল। তার বুকের ভেতর একটা ভারী কিছু দলা পাকাতে লাগল।
নানি বললেন, ঘুমুতে যা। শোয়ার ঘরের আলো না জ্বালিয়েই জ্যাক কাপড় বদলাতে লাগল। খাবার রুমের আলো এসে কিছুটা আলোকিত করেছে শোয়ার ঘরটা। দুজনের শোয়ার মতো জায়গা যে বিছানাটাতে আছে সেখানে একপাশে সরে গিয়ে শুয়ে পড়ল সে যাতে ভাইয়ের গায়ের সঙ্গে ছোঁয়া না লাগে কিংবা তার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। শোয়ার সঙ্গেই ঘুম চলে এল। সারাদিন বেশ পরিশ্রম গেছে। আবেগের ধকলও গেছে। মাঝে ভাইয়ের শোয়ার সময় তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্যাককে পার হয়ে দেয়ালের দিকে তাকে শুতে হবে। কারণ ঘুম থেকে সে জ্যাকের পরে উঠে। মাঝে মাঝে মায়ের শোয়ার সময়ও জ্যাকের ঘুম ভেঙে যায়। কাপড় বদল করার জন্য মা অন্ধকারেই আলমারি খোলেন; খোলার শব্দে জ্যাকের ঘুম ভাঙে। মা বিছানায় উঠার সময় কোনো রকম শব্দ হয় না। তার শোয়া এবং ঘুমিয়ে পড়া খুব নিঃশব্দ। মনে হয়, তিনি জেগে আছেন। জ্যাকেরও মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে মাকে ডাকবে। তবে বুঝতে পেরেছে, মা শুনতে পাবেন না। তারপর মায়ের চুপচাপ পড়ে থাকার সঙ্গে নিজেও চুপ করে শুয়ে থেকেছে জ্যাক। এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সেও ঘুমিয়ে পড়েছে। ততক্ষণে হয়তো মা ও ঘুমিয়ে পড়েছেন। সারাদিন লন্ড্রি আর অন্য লোকের বাড়িতে কাজ করে মা খুব ক্লান্ত।

শুধু বৃহস্পতিবার এবং রবিবারে পিয়েরে এবং জ্যাক নিজেদের জগতে ফিরে আসতে পারত। অবশ্য কোনো কোনো বৃহস্পতিবারে ডিটেনশন ক্লাসে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত অতিরিক্ত দুঘণ্টা লিসেতে কাটাতে হতো। কোনো কোনো সময় মারাত্মক অপরাধ করে ফেললে চার ঘণ্টাও কাটাতে হতো। একটা রুমে আরও সব অপরাধীর সঙ্গে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে তাদের পড়াশোনা করতে হতো। অতিরিক্ত ওই সময়টাতে দায়িত্ব পালন করার কারণে তত্ত্বাবধায়কের মেজাজ থাকত গরম। প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দফতর থেকে এরকম একটা ফরমে ডিটেনশন ক্লাসের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল জ্যাকের মায়ের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সেখানে ওই অতিরিক্ত পড়াশোনার বিষয়টিকে শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। লিসেতে পড়ার আট বছর সময়ে পিয়েরেকে একবারও ডিটেনশনে থাকতে হয়নি। জ্যাক অতিরিক্ত মাত্রায় হৈহুল্লোড়ে স্বভাবের এবং কিছুটা অহংকারী ছিল। নিজের বাহাদুরি দেখানোর জন্য প্রায়ই মজায় মত্ত থাকত এবং ডিটেনশনের পুরস্কার গলায় পড়ত। যেহেতু জ্যাক নানিকে বোঝানোর চেষ্টা করত এসব শাস্তি আচরণের জন্য দেওয়া হয় তিনি বোকামি আর খারাপ আচরণের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারতেন না। তিনি বুঝতেন, একজন ভালো ছাত্রের স্বভাব চরিত্র ভালো হয়, আচার ব্যবহারও সুন্দর হয়ে থাকে। আর সুস্বভাব মানুষকে জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং তিনি অন্ততপক্ষে প্রথম বছরে বৃহস্পতিবারগুলোর শাস্তিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতেন বুধবারে জ্যাককে আচ্ছামতো পিটুনি দিয়ে।

বৃহস্পতিবারে কোনো শাস্তি না থাকলে সেদিন এবং রবিবারগুলোতে বাড়ির আশেপাশে যে সকল ছোটখাটো কাজকর্ম থাকত সেগুলো করতে হতো জ্যাককে। বিকাল বেলা পিয়েরে এবং জ্যাক বের হয়ে পড়ত এক সঙ্গে। গরমের দিনে তারা সাবলতেস সমুদ্রতট এবং একটা প্যারেড গ্রাউন্ডে যেত। প্যারেড গ্রাউন্ডটা মোটামুটি একটা ফাঁকা জায়গা। সেখানে একটা ফুটবল মাঠও ছিল। তারা ফুটবল খেলত ন্যাকড়া দিয়ে বল বানিয়ে এবং আরব আর ফরাসি ছেলেদের সমন্বয়ে তৈরি হতো দল। তবে বছরের অন্যান্য সময়ে তারা দুজন চলে যেত কুবাতে। সেখানে তাদের বেড়ানোর জায়গাটা ছিল যুদ্ধপ্রবীণদের আশ্রমে। পিয়েরের মা পোস্ট অফিসের কাজ ছেড়ে কুবাতে প্রধান লন্ড্রির কর্মীর কাজ নিয়েছিলেন। আলজিয়ার্সের পূর্বে একটা পাহাড়ি অঞ্চলের নাম কুবা। একটা ট্রলিবাসের শেষ স্টপেজ ছিল সেখানে। আসলে আলজিয়ার্সের শহরাঞ্চল ওখানে শেষ হয়েছে এবং সেহেলের শান্ত গ্রামাঞ্চলের শুরু ওখানেই। চারপশে একই রকম পাহাড় শ্রেণি, এখানে ওখানে পানির উৎসের ছড়াছড়ি, দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস, ক্ষুধা চাগিয়ে দেওয়ার মতো গন্ধওয়ালা লাল মাটির মাঠঘাট, মাঠের মধ্যে থেকে থেকে সাইপ্রেস কিংবা লম্বা নলখাগড়ার ঝোপঝাড়ের সারি। আঙুরলতা, ফলের গাছ, শস্য সবকিছুই অবলীলায় বেড়ে উঠত খুব একটা চেষ্টা ছাড়াই। শহরের স্যাঁতসেঁতে গরমের এলাকা থেকে যারা এখানে আসত তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানকার জলহাওয়া বলদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আলজিয়ার্সের যাদের হাতে অধুনা কাঁচা পয়সা কিংবা সম্পদ এসেছে তারা আলজিয়ার্স ছেড়ে অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক ‘ফরাসি হাওয়া’ গায়ে মাখানোর জন্য এখানে ছুটে আসত। সামান্য খানিক ঠাণ্ডা হওয়া গলাধকরণ করতে পারলেই তারা সেই হাওয়াকে ফরাসি বাতাস বলে চালিয়ে নিত। এভাবেই তারা কুবাতে এসে ফরাসি বাতাস উপভোগ করত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছিল বৃদ্ধ সৈনিকদের আশ্রম। ট্রলিবাস লাইন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত ছিল সেটা। আশ্রম তৈরি হওয়ার আগে এটা ছিল জটিল স্থাপত্যের একটা মঠ, বেশ কয়েকটা দিক খোলা, সাদা রং করা খুব পুরু সব দেয়াল, বড় বড় হলরুম এবং খিলানঢাকা, ভেতরের ছাদও খিলানের মতো বাঁকানো। তার নিচে ছিল খাবার রুম এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের জায়গা।

পিয়েরের মা ম্যাম মারলোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লন্ড্রিটা ছিল সেই হলরুমগুলোর একটাতে। সেখানে লোহার লন্ড্রি এবং আর্দ্র লিনেনের গন্ধের মধ্যে তিনি পিয়েরে এবং জ্যাককে স্বাগত জানাতেন। তার অধীনে ছিল দুজন কর্মচারী— একজন আরব, আরেকজন ফরাসি। তাদের দুজনকেই এক টুকরো রুটি আর একটা চকলেট খেতে দিতেন পিয়েরের মা। তারপর তার সুন্দর সবল বাহুর হাতা গুটাতে গুটাতে বলতেন, পকেটে রেখে দাও। চারটের সময় খেও। এখন বাগানে বেড়াতে যাও। আমার হাতে অনেক কাজ।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৬ অথবা ২৭ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দল ঘোষণার আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দল ঘোষণা নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেয়ায় জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলের সদস্যসচিব পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে আলোচনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ চারটি পদ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পদগুলোতে কারা থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আরও দুটি পদের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালায় সংগঠনটি। এরপর ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জনমত জরিপও চালালো হয়। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, লোগোসহ বিভিন্ন মতামত জানতে চাওয়া হয়। এদিকে নয়া রাজনৈতিক দলের নাম ইংরেজীতে হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন