শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব-৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সেই বিস্মৃতিতেই তিনিও ডুবে গেছেন। কোনো রকম শিকড় ছাড়াই শুরু হয়েছিল তাদের জীবন এবং সেই জীবনের পরিণতি ওই বিশাল বিস্মৃতিতে। সময়ের গ্রন্থাগারে হয়তো আছে তাদের মতো কুড়িয়ে পাওয়াদের বসতিস্থাপনের কথা, তাদের দ্বারা গড়ে ওঠা ক্ষণস্থায়ী শহরের কথা। তারা ওইসব ক্ষণস্থায়ী শহর গড়ে তুলেছিল যেন সেখানে নিজেদের মাঝে এবং অন্যদের মাঝে মৃত্যুবরণ করার জন্যই।

মানুষের ইতিহাস যেন পুরনো ভূ-খণ্ডের উপর দিয়ে নিরবধি হেঁটে যায়। খুব বেশি স্পষ্ট পদচিহ্ন রেখে যায় না। যেটুকু চিহ্ন থাকে সেটুকুও চিরন্তন সূর্যের প্রখর তাপে বাষ্পে পরিণত হয়ে যায়। যারা ওই ভূখণ্ড তৈরি করেছিল তাদের স্মৃতিও খুন আর ঘৃণার আগুনে পরিণত হয়েছে। তার আকস্মিক প্রকোপের ফলে ঝড়েছে রক্তের ধারা। দ্রুত তৈরি হয়েছে ক্ষত। আবার দ্রুত শুকিয়ে গেছে ঠিক এই দেশের মৌসুমি নদীগুলোর মতোই। এখন রাত নেমে আসছে, যেন সরাসরি মাটির ভেতর থেকে, দেশের বুকের ভেতর থেকে। যেন সব সময়ের আকাশতলে জীবিত মৃত সবকিছু গিলে খাওয়ার জন্য নেমে আসছে এই রাত। না, জ্যাক বাবাকে কখনো জানতে চিনতে পারবে না।

বাবা ঘুমিয়ে আছেন ওখানে, ওই মাটিতে। তার মুখটা ছাইয়ের মধ্যে মিশে গেছে, হারিয়ে গেছে। বাবাকে ঘিরে ছিল একটা রহস্য। সেই রহস্যের ভেতর সে প্রবেশ করতে চেয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, যে রহস্য পাওয়া গেছে সেটা ছিল দারিদ্রের রহস্য। দারিদ্র মানুষকে তৈরি করেছে নামহীন অবস্থায়। সে মানুষের যেন কোনো অতীত নেই। দারিদ্র তাদের সবাইকে ঠেলে দিয়েছে মৃতদের বিশাল ভীড়ের মধ্যে। ওই মৃতরা পৃথিবী তৈরি করেছে; বিনিময়ে নিজেরাই চিরতরে ধ্বংস হয়ে গেছে। লাব্রাডরে করে যারা দেশান্তরে বের হয়েছিল তাদের নিয়তির সঙ্গে জ্যাকের বাবার নিয়তির এখানেই মিল। সেহেলের মাহুন গোত্রের লোকেরা, উঁচু মালভূমির অ্যালসেসীয়রা ছড়িয়ে পড়েছিল সমুদ্র আর মরুভূমির মাঝের বিশাল দ্বীপাঞ্চলে। পরিচয়হীনতার নীরবতা সেই বিশাল অঞ্চলটা গ্রাস করতে শুরু করে। রক্ত, সাহস, কর্ম আর প্রবৃত্তিও গ্রাস করে ফেলে।

সেই নীরবতা একই সঙ্গে নিষ্ঠুর এবং করুণাময়। আর যে দেশ থেকে, মানুষদের ভীড় থেকে, নামহীন পরিবার থেকে নামহীন অবস্থায় পালাতে চেয়েছিল এবং যার ভেতরে অন্ধকার আর নামহীনতা গজিয়ে উঠেছিল সেও ওই গোত্রেরই একজন হয়ে যায়। সেও ডাক্তারের ডানপাশে থেকে হাঁপাতে হাঁপাতে রাস্তার মোড়ের উচ্চনাদী সংগীতের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে, বাদন মঞ্চের চারপাশের আরবদের দুর্বোধ্য মুখগুলো আরেকবার দেখতে দেখতে, ভেইলার্ডের হাসি আর কঠিন চাহনির মুখের দিকে তাকিয়ে রাতের মধ্যে এগিয়ে যেতে থাকে। তার মনে ভেসে ওঠে বোমা পতনের সময় মায়ের মুখের ওপরের মৃত্যু-সদৃশ চেহারা। সেই মুখচ্ছবি তার হৃদয় মিষ্টি আর দুঃখী একটা অনুভূতিতে মোচড়াতে থাকে।

বছরের পর বছর সময়ের ব্যাপ্তি জুড়ে থাকা রাতের ভেতর ঘুরতে ঘুরতে সে চলে যায় বিস্মৃতির দেশে। সেখানে সবাই প্রথম মানব। সেখানে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়েছে পিতৃহীন অবস্থায়; বাবা নিজের মুখে ছেলেকে ডাক দিলে কী অনুভূতি জাগে, সে মুহূর্ত কেমন তার জানা হয়নি কখনো। অন্যদের কথা বুঝতে পারার বয়স পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করে পরিবারের গোপনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য, কিংবা সুদূর অতীতের কোনো দুঃখ অথবা জীবনের কোনো অভিজ্ঞতা তার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছে সে। এরকমই কোনো মুহূর্তে হাস্যকর পোলোনিয়াম তার কাছে হঠাৎ করে মহান হয়ে ওঠে যেহেতু সে লিয়ারটেসের সঙ্গে কথা বলে। তারপর তার বয়স হয়ে গেল ষোল, এরপর বিশ।

কিন্তু কেউ তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেনি। জীবন জগত সম্পর্কে তাকে নিজে জানতে হয়েছে; ধৈর্য ধারণ করে একা একা বড় হতে হয়েছে। নিজের শক্তি বলে নিজের নৈতিক শক্তি আর সত্যকে খুঁজে নিতে হয়েছে। শেষে মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া এবং অন্যদের সংশ্লিষ্টতায় শিশু হিসেবে কঠিন অবস্থায় জন্ম নেওয়া, এখানকার পুরুষরা যেমন শিকড় ছাড়া এবং বিশ্বাস ছাড়াই বেঁচে থাকতে শেখে তেমনি নারীরাও। চিরন্তন পরিচয়হীনতা এবং পৃথিবীতে নিজের একমাত্র চিহ্ন মুছে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আজ তারা সবাই। রাত তাদের অস্পষ্ট কবর ফলক ঢেকে দিয়েছে। অন্যদের সংশ্লিষ্টতায় তাদের বেঁচে থাকতে শিখতে হয়েছে। অন্যদের, মানে বিজেতাদের যারা এখন ক্ষমতাবর্জিত হয়ে পড়েছে তাদের সংশ্লিষ্টতায়। এই বিভূঁইয়ে তারাই প্রথম এসেছিল এবং তাদের মধ্যেই বর্তমানের মানুষগুলোকে ভ্রাতৃত্ব, জাতি এবং গন্তব্য খুঁজে নিতে হচ্ছে।

বিমান এখন আলজিয়ার্সের দিকে নেমে যাচ্ছে। সেইন্ট ব্রিউকের ছোট কবরখানার কথা মনে পড়ছে জ্যাকের। ওখানে সৈনিকদের কবরগুলো মনডোভির কবরগুলোর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর আমার মনের ভেতরের ভুবন দুভাগে ভাগ করে ফেলছে: এক দিকে স্মৃতি আর নামগুলো পরিমাপমতো জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। অন্য অংশে খোলা প্রান্তরে মানুষের সব চিহ্ন মুছে দিয়ে গেছে বাতাস আর বালির ঝড়। দরিদ্র, অজ্ঞ আর পশুর মতো জীবন থেকে এবং পরিচয়হীনতা থেকে সে পালাতে চেষ্টা করেছে বর্তমানের বাইরে, কোনো চিন্তা নেই যে জীবনে সেই বোবার মতো অন্ধ সহিষ্ণুতার জীবন যাপন করতে সে পারেনি। অনেক দূরে দূরে সে ভ্রমণ করে বেরিয়েছে।

অনেক কিছু তৈরি করার চেষ্টা করেছে, সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। মানুষজনকে ভালোবেসেছে। আবার ছেড়েও এসেছে তাদের। তার জীবন মাঝে মাঝেই ভরপুর হয়ে উপচে পড়েছে। তবু এখন সে অন্তরের অন্তস্থল দিয়ে বুঝতে পেরেছে, সেইন্ট ব্রিউক এবং এর সকল তাৎপর্য তার কাছে যেন কিছুই নয়। একটু আগে ছেড়ে আসা ক্ষয়ে যাওয়া নীল আবরণ ধারণ করা কবরস্থানের কথা তার মনে আসছে। মনে আসছে, মৃত্যু তাকে তার সত্যিকারের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ভাবনাটা মনে আসতে কিছুটা যেন আনন্দের ছোঁয়া অনুভব করে সে। যে মানুষটি সমুদ্র পাড়ের ভাগ্যবাহী দেশে এসে কারো সাহায্য ছাড়াই দারিদ্রের মাঝে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন দেশত্যাগী ওই সাধারণ মানুষটিকে মৃত্যু তার বিশাল বিস্মৃতি দিয়ে তার সব চিহ্ন মুছে দেবে। পৃথিবীর প্রথম সকালের আলোয় একাকী স্মৃতিহীন বিশ্বাসহীন অবস্থায় তার সমসাময়িক মানুষদের জগতে, তাদের ভয়াবহ এবং মর্যাদাসম্পন্ন ইতিহাসে তিনি প্রবেশ করেছিলেন।

চলবে...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত