শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান

গোথিক রীতিতে তৈরি সেন্ট চার্লসের গির্জার প্রার্থনাকালীন পোশাক রাখার ঘরে ঢুকে নানি একটা চেয়ারে বসে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাকের হাত ধরে রইলেন। সামনে বসা স্থূল শরীরের পাদ্রীর বয়স ষাট বছরের মতো:  গোলাকার তুলতুলে মুখ, লম্বা নাক, রূপালি রঙের চুলের নিচে মোটা ঠোঁটে তার স্মিত হাসি। হাঁটু পর্যন্ত ছড়িয়ে রাখা আলখাল্লার ওপরে দুহাত একসঙ্গে জড়ো করে ধরা। নানি বললেন, এই ছেলেটার গির্জার ভোজসভায় যোগদানের শিক্ষা দরকার।

পাদ্রী বললেন, খুব ভালো কথা, ম্যাডাম। আমরা ওকে খুব ভালো খ্রিস্টান বানিয়ে দেব। ওর বয়স কত?

নয় বছর।
বেশ অল্প বয়সে ওকে ধর্মীয় শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনি খুব ভালো করেছেন। তিন বছর পরই সে বড় অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক ঠিক তৈরি হয়ে যাবে।
নানি বললেন, না, ওকে বাইরে শিখতে হবে।
কিন্তু এখন থেকে এক মাস পরই তো অনুষ্ঠান। আর ওকে বেদীর কাছাকাছি যেতে হলে কমপক্ষে দুবছর ধর্মীয় শিক্ষালাভ করতে হবে।

নানি তাদের অবস্থার কথা খুলে বললেন। কিন্তু পাদ্রীকে বোঝানোই গেল না যে, একই সময়ে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য পড়া আর ধর্মীয় শিক্ষা লাভ জ্যাকের পক্ষে অসম্ভব। খুব ধৈর্য আর কোমলতা দিয়ে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বললেন এবং উদাহরণ দিলেন। তবে নানি উঠে পড়ে বললেন, সেরকম হলে ওর দরকার নেই এই শিক্ষার। আয়রে জ্যাক।

জ্যাকের হাত ধরে তিনি বের হওয়ার পথ ধরলেন।
তবে পাদ্রী উঠে গিয়ে তাড়াতাড়ি তাদের কাছে পৌঁছে বললেন, একটু অপেক্ষা করুন, ম্যাডাম। একটু অপেক্ষা করুন।
তার কোমল আচরণের সঙ্গে নানি এবং জ্যাককে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। নানিকে আবার তার চেয়ারে বসালেন। এবার যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন।
কিন্তু নানি বুড়ো খচ্চরের মতো মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন, বাইরে গিয়ে যদি ও শিখতে পারে তো হবে, না হলে বাদ।

অবশেষে পাদ্রী মহাশয় পরাজয় মানলেন: সিদ্ধান্ত হলো, জ্যাক এক মাস পরে গির্জার ভোজসভায় যোগ দিতে পারবে; তবে তার আগে তাকে দ্রুত গতিতে ধর্মীয় শিক্ষার একটা কোর্স শেষ করতে হবে। পাদ্রী রাজী হওয়ার ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে তাদের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এলেন। জ্যাকের কপোলে আদর করে দিয়ে তিনি বললেন, তোমাকে যা যা বলা হয় মন দিয়ে শুনবে, ঠিক আছে?

কথা বলার সময় তিনি জ্যাকের দিকে তাকালেন বিষন্ন দৃষ্টিতে।

এম বার্নার্ডের সঙ্গে তার অতিরিক্ত ক্লাসের সঙ্গে যোগ হলো বৃহষ্পতিবার এবং শনিবার বিকেলের ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাসগুলো। গির্জার ভোজসভায় যোগদানের পরীক্ষা আর বৃত্তির পরীক্ষা ক্রমেই ঘনিয়ে আসতে লাগল। তার দিন কাটতে লাগল কাজের বোঝা ঠেলে ঠেলে। খেলাধুলার প্রসঙ্গ শিকেয় উঠল। এমনকি রবিবারের দিনও যখন সে খাতা রেখে একটু অবসরের কথা ভাবতে পারে তখন নানি বাড়ির কাজ আর ফাইফরমাস গছাতে লাগলেন তার ঘাড়ে। তিনি উল্লেখ করতে ছাড়লেন না তার পড়াশোনার জন্য পরিবার ভবিষ্যতেও ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী হয়েছে। কেননা পরে আরো অনেক বছর সে হয়তো বাড়ির জন্য কিছুই করবে না।

জ্যাক যুক্তি দেখাল, আমি তো ফেইল করতে পারি। পরীক্ষাটা খুব কঠিন। আসলে সে মনে মনে এরকমটিই চাইতে লাগল মাঝে মাঝে। কারণ পরিবারের লোকজন তার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছে সেকথাটা তাকে বার বার শোনানোর কারণে তার কচি মনে অহংবোধের জায়গাটাতে বার বার আঘাত লাগছিল।

নানি তার দিকে বিস্মিত হয়ে তাকালেন। তিনি কখনও সেরকম সম্ভাবনার কথা ভাবেননি। তারপর তিনি বৈপরীত্বের কথা না ভেবেই কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললেন, ঠিক আছে; এগোতে থাক; পারলে ফেইল করেই আসিস। ধর্মীয় দীক্ষাদানের কাজ করতেন দ্বিতীয় পাদ্রী। দীর্ঘদেহী লোকটাকে কালো আলখাল্লায় আরো লম্বা মনে হতো। ভাঙা চোয়াল গর্তের মতো, নাক ঈগলের ঠোঁটের মতো লম্বা, আর বুড়ো পাদ্রী যেমন নরম কোমল স্বভাবের, ইনি ঠিক তার উল্টো: কাঠখোট্টা। তার পাঠদান ছিল মূলত আবৃত্তির মতো সুর করে শুধু উচ্চারণ করে যাওয়া। প্রাচীন ওই পদ্ধতিই নাকি দুষ্ট আর জেদী বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি। এটাই নাকি তাদের আত্মিক প্রশিক্ষণের মোক্ষম পদ্ধতি। বাচ্চারা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমেও দীক্ষালাভ করত, যেমন ঈশ্বর কে.... ইত্যাদি ইত্যাদি। কোমলমতি দীক্ষিতদের কাছে ওইসব কথার কোনো মূল্য ছিল না। জ্যাকের স্মৃতি শক্তি প্রখর হওয়াতে ওইসব কথার অর্থ না বুঝলেও নির্বিকারভাবে সে আবৃত্তি করে যেত। যখন অন্য কোনো ছেলে আবৃত্তি করত জ্যাক নিজের চিন্তাকে অন্য কোথাও চালিয়ে দিত, দিবা স্বপ্ন দেখত কিংবা অন্য কারো দিকে ভেংচি কাটত। একদিন লম্বা পাদ্রী মশাই জ্যাকের ওইরকম ভেংচি কাটা দেখে ফেললেন এবং তার উদ্দেশে জ্যাক ভেংচি কেটেছে ভেবে তার পবিত্র পেশার প্রতি জোর করে হলেও সমীহ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। উপস্থিত ছেলেদের সামনে জ্যাককে তার কাছে ডাকলেন এবং তার হাড্ডিসার হাতে শরীরের সর্বশক্তি নিয়োগ করে জ্যাকের চোয়ালে একটা চড় কষালেন। তার চড়ের আঘাতে জ্যাক প্রায় পড়েই যাচ্ছিল। তখন পাদ্রী মশাই বললেন, এবার তোমার জায়গায় যাও। তার দিকে অশ্রুহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে জ্যাক নিজের জায়গায় ফিরে এল। উল্লেখ্য যে, সারা জীবনই শাস্তি কিংবা ব্যথা বেদনা থেকে কান্না আসেনি তার চোখে, বরং তার সংকল্প এবং মনের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে; কান্না এসেছে ভালোবাসা আর করুণা পেলে। গালের বাম পাশটা প্রচণ্ড ব্যথা করতে লাগল। মুখের ভেতর রক্তের স্বাদ অনুভব করতে পারল সে। জিহ্বার ডগা দিয়ে ছুঁয়ে দেখে বুঝতে পারল, চড়ের আঘাতে তার মুখের ভেতরে কেটে গেছে। সেখান থেকে রক্ত ঝড়ছে। নীরবে রক্ত গিলে ফেলল সে।

দীক্ষালাভের গোটা সময়ই জ্যাকের মন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছে। পাদ্রী তার দিকে তাকিয়ে কথা বলার সময়, যিশুর স্বর্গীয় স্বভাব এবং ত্যাগের কথা বলার সময় জ্যাক শুধু তার দিকে ভাবলেশহীনভাবে তাকিয়ে থাকত। তার দৃষ্টিতে না থাকত বন্ধুতা, না শত্রুতা। পাদ্রীর কথা বলার সময় জ্যাকের মন চলে যেত প্রায় তিন শ মাইল দূরে: তার মনে আগে যে দুটো পরীক্ষার কথা ছিল সে দুটো পরীক্ষা এখন যেন একটা হয়ে গেল। নিজের কাজের মধ্যে ডুবে থেকে তার অটল স্বপ্নের ভেতর কোনো এক অজানা কারণে জ্যাককে শুধু সান্ধ্য সভা খুব মোহিত করে রাখত: গির্জার ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডা পরিবেশে বাদ্যযন্ত্রের বাজনা শুনে মনে হতো সে এরকম সুর আগে আর কখনও শোনেনি। মনে হতো, আগে যে সব সুর সে শুনেছে সবই বোকার সুর। পাদ্রীদের বিভিন্ন বিষয় এবং আধো অন্ধকারে চকচক করে ওঠা পুরোহিতের পোশাক সম্বলিত স্বপ্ন আরো গভীর, আরো সর্বব্যাপী হয়ে দেখা দিত তার সামনে যেন শেষ পর্যন্ত কোনো রহস্যের সঙ্গে মিশে যাবে। তবে সেই নামহীন রহস্যের ভেতর জোর করে বেখাপ্পাভাবে অনুপ্রবিষ্ট স্বর্গীয় ব্যক্তিবর্গ কিংবা তাদের নাম কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারত না তার জন্য। সেগুলো আসলে তার অভিজ্ঞতালব্ধ জগতেরই যেন বর্ধিতাংশ শুধু। তাকে অভিষিক্ত করে দেওয়া সেই ঊষ্ণ, অন্তর্মুখি এবং দ্ব্যর্থক রহস্য যেন তার মায়ের নীরবতার দৈনন্দিন রহস্য কিংবা নীরব হাসিটাই যেন গভীর করে তুলত। অনেকবার সে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরে দেখেছে, একা নির্জন বাড়ির খাবার ঘরে মা বসে আছেন। আলো জ্বালেননি যেন অন্ধকারকে একটু একটু করে ঘরটা গ্রাস করতে দিচ্ছেন। মা ঘণ অন্ধকারের প্রতিমূর্তি হয়ে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে নীরব হয়ে বাইরের রাস্তার চঞ্চলতা দেখছেন। মায়ের প্রতি হতাশা আর ভালোবাসা ভরা হৃদয়ে বালক জ্যাক চৌকাঠে এসে দাঁড়িয়ে পড়ত। মা তখন এবং পরবর্তীতেও সব তুচ্ছতার অধীনতা থেকে মুক্ত। প্রথম সভার আগের দিনের তওবা করা ছাড়া জ্যাকের আর কিছু মনে নেই। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তোমার মনের ভেতর কি কোনো পাপের চিন্তা ছিল কখনও? জ্যাক বলল, হ্যাঁ, ফাদার, ছিল। অবশ্য সে নিজেই তখনও জানে না কোনো চিন্তা কী করে পাপের হতে পারে। পরের দিন পর্যন্ত তার ভয় পিছু ছাড়েনি, হয়তো সে অজ্ঞাতে কোনো পাপের চিন্তাকে স্থান দিয়ে ফেলতে পারে। স্কুল পড়–য়া জ্যাকের অভিজ্ঞতায় যে সকল আপত্তিকর শব্দ ছিল সেগুলোর মধ্যে কোনো একটাকে উৎসবের দিন সকাল পর্যন্ত আটকে রেখেছিল বলে তার পরিষ্কার মনে আছে। সেদিন জ্যাক নাবিকের পোশাকে, বাহুতে একটা মাদুলির মতো বন্ধন নিয়ে, একটা প্রার্থনা-বই এবং মার্গারেট খালাসহ তার সবচেয়ে গরিব আত্মীয়দের দেওয়া একটা তসবীসহ আন্যান্য ছেলেদের দাঁড়ানো সারির মাঝখানের জায়গা দিয়ে একটা মোমবাতি হাতে নিয়ে এগিয়ে গেল; অন্যদের হাতেও মোমবাতি। গির্জার পেছন পাশে দাঁড়ানো তাদের আত্মীয়স্বজনদের চোখ পরমানন্দে উজ্জ্বল।

চলবে...

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত