শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান

আলজেরিয়ার গ্রীষ্মকাল খুব কঠিন ছিল। আমলা শ্রেণির লোকেরা এবং স্বচ্ছল লোকেরা স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ‘ফরাসি হাওয়া’ খেতে যেত। ফিরে এসে কেউ কেউ অবিশ্বাস্য সব গল্প ফাঁদত। নয়নাভিরাম মাঠের বর্ণনা দিত। সেখানে নাকি আগস্ট মাসের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে পানি প্রবাহিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। দারিদ্রপীড়িত এলাকায় কোনো পরিবর্তন ঘটত না। নিচের অঞ্চলগুলোতে কখনও কখনও অর্ধেক খালি হওয়ার কথা শোনা গেলেও তাদের এলাকায় জনসংখ্যা দেদারসে বাড়তেই থাকত, রাস্তায় বাচ্চাদের ঢল দেখে তার প্রমাণ পাওয়া যেত।

জ্যাক এবং পিয়েরের কাছে ছুটির দিন মানে গরমের সময় কাপড়ের তৈরি দড়ির তলাঅলা জুতো, সস্তা ট্রাউজার এবং গোল গলাঅলা গেঞ্জি পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। সর্বশেষ বৃষ্টি নামত এপ্রিল মাসে, কিংবা বড়জোর মে মাসে। সপ্তাহ জুড়ে, মাস জুড়ে রোদ চড়া হতে থাকত। সূর্য আরও গরম হয়ে পড়ত। কড়া সূর্যালোক আশপাশের দেয়ালগুলো শুকিয়ে ভাজা ভাজা করে ফেলত। রাস্তার মাটি, টালি আর পাথরগুলোকে মিহি ধূলো বানিয়ে ফেলত। পাগলা বাতাসের কারণে দোকানপাট, রাস্তাঘাট এবং গাছের প্রতিটা পাতার ওপরে ধুলোর পুরু স্তর পড়ে যেত। জুলাই মাসে জ্যাকদের বাড়ির আশপাশের গোটা এলাকা ধূসর-হলুদ রঙের গোলকধাঁধায় পরিণত হয়ে যেত। দিনের বেলা জনমানবহীন; ভয়ঙ্কর সূর্যালোকের শাসনে বাড়িগুলোর সব ঘরের ঝাঁপ সতর্কতার সঙ্গে বন্ধ রাখা হতো। বাড়ি ঘরের দরজার সামনে কুকুর বিড়ালগুলো ভূপাতিত হয়ে পড়ে থাকত। জীবন্ত সবকিছুই দেয়ালের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার চেষ্টা করত। আগস্ট মাসে তাপে দগ্ধ হয়ে যাওয়া আকাশের ফেঁসোর মতো মেঘের আড়ালে চলে যেত সূর্য। ভারী, আর্দ্র আকাশ থেকে সাদা আলো ছড়িয়ে পড়ত। চোখের পক্ষে সহ্য করা কঠিন। সে আলো রাস্তার রঙের শেষ বিন্দুটা পর্যন্ত মুছে দিয়ে যেত। সমবায় সমিতির শ্রমিকদের হাতুড়ির বাড়ি ধীর লয়ে নেমে আসত। শ্রমিকরা মাঝে মাঝেই কাজ থামিয়ে তাদের ঘর্মাক্ত মাথা বুক পেতে দিত পাইপ থেকে বের হয়ে আসা ঠাণ্ডা পানির সামনে। অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে পানির বোতল এবং কখনও কখনও মদের বোতল ভেজা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হতো। জ্যাকের নানি ছায়াময় রুমের মধ্যে খালি পায়ে চলাচল করতেন। পরনে শুধু একটা কামিজ থাকত। কয়দা করে খড়ের পাখা ঘোরাতেন; কাজ করতেন বেশির ভাগ সকাল বেলায়। জ্যাককে টেনে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতেন দুপুরের ঘুমের জন্য। সন্ধ্যার প্রথম প্রহরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করতেন। এভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্ম এবং গ্রীষ্মের শিকার যারা তারা সবাই ভারী, ঘাম ঝড়ানো, শরীর ভাজা ভাজা করা আকাশের নিচে যেন হামাগুড়ি দিয়ে চলত। শেষে সবার মন থেকে যেন শীতের ঠাণ্ডা আর বৃষ্টির স্মৃতি মুছেই যেত যেন প্রবল বাতাসের কথা, তুষারের কথা কিংবা হালকা বৃষ্টির কথা পৃথিবী কখনও শোনেনি। বিশ্ব সৃষ্টির লগ্ন থেকে এই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিশয় তাপে দগ্ধ করিডরে পরিণত হওয়া এই খনিজ কাঠামো ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্বই ছিল না। এখানে ঘর্মাক্ত এবং ধূলিধূসরিত জীবকূল কোটরাগত চোখে গতিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে এদিক ওদিক খুব আস্তে ধীরে চলাচল করত। আকাশটা সঙ্কুচিত হতে হতে এক সময় মাটির রাস্তাঘাটের ওপর যেন ভেঙে পড়ত। রাস্তার তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছে যেত। পরিমাণে অঢেল, স্বভাবে প্রবল সেপ্টেম্বরের প্রথম বৃষ্টি, গোটা শহরকে প্লাবিত করে দিত। আশপাশের সব রাস্তাঘাট, ডুমুরের গাছের পাতা, মাথার ওপরের ট্রলিরেইল সবকিছু চকচক করত। শহরের দিকে তাকিয়ে থাকা ওপরের পাহাড় বেয়ে চলে আসত দূরের মাঠের ভেজা মাটির গন্ধ, আসার সময় গ্রীষ্মের কাছে বন্দিদের জন্য বয়ে নিয়ে আসত খোলা জায়গা আর স্বাধীনতার বার্তা। বাড়িঘর থেকে বাচ্চারা ছুটে বের হয়ে আসত রাস্তায়, পরনে সামান্য কাপড় চোপড়। বৃষ্টির পানি গিলতে থাকত রাস্তার ফেনিল জলের মধ্যে হৈহুল্লোর করে। একে অন্যের কাঁধ ছুয়ে রাস্তার খানাখন্দের মধ্যেই গোলাকার হয়ে চিৎকার চেচামেচি করত। তাদের ঐকতানে অতিশয় ঘোলা জলে তৈরি হতো যেন মৌসুমের প্রথম মদ। সেটা বাস্তবের আসল মদের চেয়েও ভয়ানক রকমের কড়া।

গরমের মৌসুম আসলেই ভয়াবহ ছিল। সবাইকে মাথা খারাপ করে দিত। দিন দিন সবার স্নায়বিক শক্তি একেবারে শেষ প্রান্তে চলে আসত। চিৎকার করে কিংবা খিস্তি ঝেড়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো শক্তি পর্যন্ত কারো থাকত না। দারিদ্রক্লিষ্ট এলাকার এখানে ওখানে ফেটে পড়ার আগ পর্যন্ত কড়া তাপের মতো অসহিষ্ণুতা বাড়তেই থাকত। অত্যাধিক কড়া তাপের এরকম প্রভাবের একটা নজির জ্যাক দেখেছিল এক দিন, রিউ ডি লোইনে মারাবুট নামের আরব বসতিপূর্ণ এলাকার একেবারে প্রান্তে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা কবর স্থানের কাছে নীল পোশাক পরা মাথা ন্যাড়া একজন আরব ধুলোময় মুরীয় ক্ষৌরাগার থেকে বের হয়ে এল। জ্যাকের সামনেই ফুটপাতে কয়েক কদম হেঁটে এসে শরীর সামনের দিকে এগিয়ে দিয়ে মাথা পেছনে হেলিয়ে দাঁড়াল সে। আসলে বাস্তবে এরকম করে দাঁড়ানো কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তার মাথা পরিষ্কার করার সময় নাপিত উন্মাদ হয়ে গেছে। উপস্থিত আরবরা লক্ষ করে দেখেছে, নাপিত লম্বা ক্ষুর দিয়ে তার গলায় পোচ মেরে দিয়েছে। সেখান থেকে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। গলায় পোচ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ক্ষৌরাগার থেকে দৌড়ে বের হয়ে এসেছে। তার অবস্থা আধাখেচরাভাবে গলা কাটা হাঁসের মতো হয়েছে। উপস্থিত যারা ছিল তারা নাপিতকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেছে। এই অন্তহীন তাপের মৌসুমের মতোই উন্মাদ নাপিত তখন হাউমাউ করে চিৎকার শুরু করে দিয়েছে।

তারপর আকাশ থেকে নেমে আসা পানির প্রপাত গাছের পাতা, ঘরের ছাদ, দেয়াল, রাস্তাঘাট সবখান থেকে গ্রীষ্মের ধুলা একেবারে ঘষেমেজে পরিষ্কার করে দিত। খুব দ্রুত কাদা পানিতে ভরে যেত পয়োনালী; গলগল শব্দে জলের ধারা নামত নালার মধ্যে। বেশিরভাগ বছর নিষ্কাসনের সব ব্যবস্থা চুরমার করে দিয়ে রাস্তায় বন্যা বইয়ে দিত বৃষ্টির জল। গাড়ি এবং ট্রলিবাসগুলো চলার সময় দুপাশে জল ছিটে পড়ত খুব উচু হয়ে। আর পেছনে ক্রমহ্রাসমান ধারা দেখে মনে হতো, গাড়িটা কিংবা ট্রলিবাসটা একটা হলুদ রঙের মাছের ডানা। তটের কাছে এবং বন্দরের কাছে সমুদ্রের পানিও ঘোলাটে রং ধারণ করত। বৃষ্টির পরে প্রথম সূর্যালোকে বাড়িঘর থেকে, রাস্তা থেকে, গোটা শহর থেকে বাষ্প উঠে যেত ওপরের দিকে। তাপ আবার হয়ত ফিরে আসত। কিন্তু আগের মতো শাসন করার ক্ষমতা থাকত না। আকাশ অনেক উন্মুক্ত মনে হতো। শ্বাস নিতে কষ্ট হতো না। সূর্যের গভীর থেকে বাতাসে কম্পন ছড়িয়ে পড়ত। প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শরতের আগাম বার্তা এবং স্কুলের পড়াশোনার মৌসুম শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে আসত। নানি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতেন, গ্রীষ্ম কত লম্বা রে বাবা! শরতের আগমনকে এবং জ্যাকের বিদায়কে তিনি সমানভাবে স্বাগত জানাতেন। কারণ গরমের সময়ে জ্যাকের ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থা তার কাছে অসহিষ্ণু মনে হতো।

তাছাড়া বছরের একটা বিশেষ সময়ে আলাদাভাবে কোনো মানুষ কর্মহীন থাকবে সেটা তার বোধগম্য ছিল না। তিনি বলতেন, আমার কথাই বলি; আমার তো কোনো ছুটি নেই। আসলেই তার কথা ঠিক। স্কুল কী জিনিস, ছুটি কী জিনিস এসব তিনি জানতেন না। একদম ছোটবেলা থেকে তিনি কাজ করে আসছেন, কোনো রকমের আরাম বিশ্রাম নেই। সামনে বড় কোনো প্রাপ্তিযোগ হবে বলে তার নাতি যে আরও কয়েক বছর বাড়ির জন্য কোনো উপার্জন করতে পারবে না সেটা তিনি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একেবারে প্রথম দিন থেকেই অযথা খরচ হওয়া তিন মাসের কথা বিশেষভাবে চিন্তায় এনেছেন। লিসেতে জ্যাকের চতুর্থ বছর যেবার শুরু হলো তিনি ঠিক করলেন এইবার জ্যাকের ছুটির দিনগুলো কাজে লাগাতে হবে। স্কুলের বছর শেষের দিন তিনি জ্যাককে বললেন, এবারের গ্রীষ্মে কিন্তু তোকে কাজ করতে হবে। বাড়ির জন্য কিছু উপার্জন করতে হবে। ঘরের ভেতর কাজহীন বসে থাকলে চলবে না। আসলে জ্যাক ভেবেছিল ছুটিতে তার অনেক কাজ করতে হবে সাঁতার কাটতে যেতে হবে, কুবা অভিযানে যেতে হবে; খেলাধুলা, বেলকোর্টের রাস্তায় ঘোরাঘুরি, সচিত্র কাহিনিগুলো পড়া, জনপ্রিয় উপন্যাসগুলো পড়া, ভারমটের পঞ্জিকা, সেইন্ট এতিয়েনের অফুরন্ত ক্যাটালগ সবকিছু মিলে ছুটিটা কাটাতে পারবে। বাড়ির জন্য ফাইফরমাস খাটা, নানির চাপানো কাজ এসব তার কাজের মধ্যে গণনা করেনি সে। কিন্তু জ্যাকের পরিকল্পিত কাজগুলো নানির দৃষ্টিতে মোটেও কোনো কাজ নয়। স্কুলের সময়েও জ্যাক যেরকম কাজ করত এখন সে সেরকম কাজ করছে না এবং বাড়ির জন্য কিছু উপার্জনও করছে না। কাজেই তার এই ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টা নরকের আগুনের মতো জাজ্বল্যমানভাবে অসহনীয়। সবচেয়ে সোজা সহজ কাজ বলতে নানি বুঝতেন তার একটা চাকরি জোটানো।

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ