রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বেলা দুটোর সময় উপরের খিলানের কোথা থেকে যেন সামরিক বাজনায় ফরাসি জাতীয় সংগীত বাজানো হতো। উপস্থিত সব ছাত্র এবং অভিভাবক সবাই উঠে দাঁড়াত। তখন প্রধান শিক্ষক এবং একজন উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষক প্রবেশ করতেন। আয়তাকার টুপি আর লম্বা গাউন পরা সবাই। তাদের গাউনের রং দেখে বোঝা যেত কে কোন বিভাগের শিক্ষক।

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাধারণত ঔপনিবেশিক সরকারের কোনো আমলা হয়ে থাকতেন, তাকে ওই অনুষ্ঠানের জন্য পাঠানো হত। আরেকবার সামরিক বাজনা বাজত শিক্ষকদের আসন গ্রহণের জন্য। অনতিবিলম্বে উচ্চপদস্থ কর্তা বক্তব্য শুরু করতেন। তার বক্তব্যের বিষয় থাকত সাধারণভাবে ফ্রান্স এবং বিশেষভাবে শিক্ষা। ক্যাথরিন করমারি কানে কিছু না শুনলেও মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করতেন। তার ধৈর্যচ্যুতি কিংবা ক্লান্তির কোনো ছাপ দেখা যেত না। জ্যাকের নানি শুনতে পারতেন। কিন্তু খুব পরিষ্কার কিছু বুঝতেন না। তার মেয়ের উদ্দেশে তিনি বলতেন, উনি খুব চমৎকার কথা বলেছেন। তার মেয়ে তার কথায় সায় দিয়ে মাথা ঝাঁকাতেন। তখন নানি তার বাম পাশে বসা অন্য অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাসি ছড়িয়ে দিয়ে মাথা ঝাঁকাতেন। প্রথম বছরেই জ্যাক খেয়াল করেছে, শুধু তার নানিই মাথা এবং কাঁধ ঢেকে রাখার জন্য পুরনো দিনের স্পেনীয় ওড়না পরেছেন। বিষয়টা জ্যাকের জন্য বিব্রতকর মনে হয়েছে। সত্যি কথা হলো, এই অহেতুক লজ্জার বিষয়টা সারা জীবন জ্যাকের পিছু ছাড়েনি। কারণ পরে জ্যাক নানিকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে ওড়নার বদলে একটা ক্যাপ পরলে ভালো। নানি বলেছেন, ক্যাপ কিনে বাজে ব্যয় করার মতো পয়সা তার নেই। বরং ওড়নায় তার কানের পাশটা উষ্ণ থাকে। কিন্তু অনুষ্ঠানে বসে নানি যখন পাশের কোনো মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন জ্যাকের লজ্জার সীমা থাকেনি। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হলে কনিষ্ঠতম শিক্ষক বক্তব্য শুরু করতেন। তিনি সাধারণত ফ্রান্স থেকে আগত নতুন শিক্ষক হয়ে থাকতেন এবং আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের দায়িত্ব থাকত তার উপরেই। তার বক্তব্য ত্রিশ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকত। ওই নবীন শিক্ষাবিদ তার বক্তব্যের মধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উল্লেখ করতেন এবং সূক্ষ্ম মানবিক বিষয়াদির অনুপ্রবেশ ঘটাতে ভুল করতেন না। এতে করে তার বক্তব্য আলজেরীয় শ্রোতাদের কাছে পুরোপুরিই দুর্বোধ্য হয়ে উঠত। অত্যাধিক তাপের কারণে শ্রোতাদের মনোযোগ নেতিয়ে পড়ত এবং তাদের হাতের পাখা ঘন ঘন ঘুরতে থাকত। এমনকি মনোযোগী শ্রোতা নানিও এদিক ওদিক তাকিয়ে অবসন্নতা প্রকাশ করতেন। শুধু ক্যাথরিন করমারি তার উপরে বর্ষিত পান্ডিত্ব আর প্রজ্ঞার বর্ষণ একাগ্র দৃষ্টিতে গ্রহণ করে যেতেন সামান্যতম চোখ পিটপিট করার মতো অবহেলা না দেখিয়েও। আর জ্যাক এবং পিয়েরে অন্য বন্ধুদের অনুসন্ধানে এদিক ওদিক তাকিয়ে শরীর মোচড়াতে থাকত। তাদের প্রতি ইঙ্গিত ছুড়ে দিত এবং লম্বা আলাপ শুরু করেও দিত। আলাপের মধ্যে ভেংচি কাটাও থাকত। সবশেষে বিকট করতালি ছড়িয়ে পড়ত। কারণ বক্তা যথেষ্ট দয়াপরবশ হয়ে তার বক্তব্য শেষ করেছেন। তখনই শুরু হতো পুরস্কার ঘোষণা। প্রথমে শুরু হতো উপরের ক্লাসের এবং প্রথম দিকে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণ। তার ক্লাসের পুরস্কার বিতরণ শুরু হওয়া পর্যন্ত জ্যাকের নানি এবং মা অধীর অপেক্ষা করতেন। যারা পড়াশোনায় পরম উৎকর্ষ দেখাতে পারত তাদের পুরস্কার প্রদানের সময় অদৃশ্য থেকে সংগীতের বিশেষ দামামা বেজে উঠত। পুরস্কারের পালা বড় থেকে ছোটদের দিকে আসত। পুরস্কার প্রাপ্তরা উঠোনের একপাশ দিয়ে হেঁটে মঞ্চে উঠত, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রশংসাসূচক বাক্যে অভিসিক্ত হতো, তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করত। তারপর প্রধান শিক্ষক তাদের হাতে তুলে দিতেন বইয়ের বান্ডিল। মঞ্চের নিচে বই বোঝাই একটা ঠেলা গাড়ি দাঁড় করানো থাকত, সেখান থেকে একজন পরিচারক প্রধান শিক্ষকের হাতে বইয়ের বান্ডিল ধরিয়ে দিত এবং শেষে তিনি ছাত্রদের হাতে তুলে দিতেন বই। বিপুল করতালি আর সংগীতের মুর্ছনার মাঝে পুরস্কার বিজেতা চারপাশে তাকাতে তাকাতে আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে হেঁটে নেমে আসত। তার অনুসন্ধানী চোখ তার গর্বিত অভিভাবকদের দিকে। তখন তারা আনন্দের অশ্রু মুছতে ব্যস্ত। আকাশের নীল রং ততক্ষণে একটুখানি ফিকে হয়ে এসেছে। তাপমাত্রা কমেছে আরেকটু। সমুদ্রের উপরে কোথাও অল্প একটু ফাটল পেয়ে আকাশ হয়ত সেখানে তাপ ঢেলে দিয়েছে খানিক। পুরস্কার বিজেতারা একে একে মঞ্চের দিকে যাচ্ছে আসছে। সঙ্গে সংগীতের দামামা চলছে এভাবে দর্শকদের মধ্যে ভীড় কমে আসছে। আকাশ আরেকটু মিশ্র নীলাভ হয়ে গেলে আসত জ্যাকের পুরস্কার গ্রহণের পালা। তার ক্লাসের পুরস্কারের ঘোষণা শুনলেই জ্যাক হাসি তামাশা থামিয়ে গম্ভীর হয়ে যেত। নিজের নাম ঘোষিত হলে জ্যাক উঠে দাঁড়াত। মাথার ভেতরে তখন কেমন যেন ভনভন শব্দ করে উঠছে। তার এগিয়ে যাওয়া দেখে মা জিজ্ঞেস করতেন, করমারি কথাটা বলেছে নাকি? তখন পেছনে মায়ের দিকে তাকানোর আর অবসর নেই জ্যাকের।

নানি বলতেন, হ্যা, বলেছে। নানির মুখটা তখন আনন্দে উত্তেজনায় রাঙা হয়ে উঠেছে।

প্রথম দিন সিমেন্টের পথ পাড় হয়ে মঞ্চে পৌঁছনো, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কোট এবং ঘড়ির চেইন, প্রধান শিক্ষকের মিষ্টি হাসি, মঞ্চের ভিড়ের মধ্যে কোনো শিক্ষকের আন্তরিক চাহনি এসব শেষ করে তারপর দর্শকদের বসার মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা মা এবং নানির কাছে ফিরল জ্যাক। মা তার দিকে তাকিয়ে আছেন বিস্মিত আনন্দের দৃষ্টিতে। জ্যাক মায়ের হাতে তুলে দিল বিজয়ীদের নামের মোটা তালিকা। নানি তার আশপাশের দর্শকদের দিকে গর্বের দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাদের আহ্বান করলেন জ্যাকের কৃতিত্ব দেখার জন্য। বিকেলের ওই সময়ের মধ্যেই এতসব কিছু ঘটে গেল দ্রুত। জ্যাক তখন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব, বাড়ি গিয়ে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া বইগুলো দেখতে হবে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম।

বাড়ি ফেরার সময় তারা পিয়েরে এবং তার মায়ের সঙ্গে ফিরল। জ্যাকের নানি আড় চোখে দেখে নিলেন কার বইয়ের বান্ডিলটা বেশি উঁচু হয়েছে। বাড়িতে পৌঁছে জ্যাক মায়ের কাছ থেকে পুরস্কারের তালিকাটা নিলে নানি তাকে যে সব পৃষ্ঠায় তার নাম এসেছে সেসব পৃষ্ঠার কোণা ভাঁজ করে রাখতে বললেন যাতে পরিবারের আর সবাইকে এবং প্রতিবেশীদের তিনি ভালো করে দেখাতে পারেন। তারপর নিজের কী কী অর্জন হলো তার একটা তালিকা তৈরি করতে বসল জ্যাক। কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেখতে পেল মা আসছেন। ততক্ষণে মায়ের পোশাক বদলানো হয়ে গেছে, স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে ব্লাউজের বোতাম লাগাতে লাগাতে আসছেন। জানালার কাছে চেয়ার টেনে নিতে নিতে জ্যাকের দিকে তাকিয়ে মা হাসলেন। বললেন, খুব ভালো করেছিস। এরপর তাকিয়ে থাকতে থাকতে মৃদু মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন। এভাবে কখনও মাকে তাকিয়ে থাকতে দেখেনি সে। জ্যাক মায়ের তাকানোর উত্তরে ফিরে তাকিয়ে দেখল, মা রাস্তার দিকে তাকিয়েছেন। জ্যাক বুঝতে পারল, মা এখন লিসে থেকে অনেক দূরে। আরও এক বছর মাকে এভাবে আর দেখতে পাবে না। আস্তে আস্তে ঘরের ভেতরটা অন্ধকার ছেয়ে ফেলল। বাইরে রাস্তার প্রথম আলো জ্বলে উঠল। সেখানে কারা হেঁটে যাচ্ছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। শুধু পথচারীদের হেঁটে যাওয়া দেখা যাচ্ছে।
জ্যাক কল্পনায় দেখতে পেল, তার মা লিসে এক নজর দেখার মতো দেখে চলে এসেছেন। নিজেকে সে শেষবারের মতো আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল পরিবার এবং প্রতিবেশের মাঝে।

ছুটির দিনগুলো জ্যাককে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসত, বিশেষ করে প্রথম বছরগুলোর ছুটির দিনগুলো। তার পরিবারের কারো কোনো রকম ছুটির দিন ছিল না। তারা সারা বছর কাজ করত কোনো রকম বিশ্রাম ছাড়াই। কোনো বীমাকৃত কারখানায় কাজ করতে গেলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার পড়লে শুধু সেটাই ছুটি বলে মনে হতো। একবার আর্নেস্ট মামা এরকম একটা জায়গায় কাজ করার সময় ক্লান্তিতে হাতের তালুর খানিক মাংস কেটে ফেলেছিল। সেই ঘটনাকে মামা বলত নিজেকে ‘বীমায় ফেলে দেওয়া’। পাড়ার অন্যান্য বউঝিদের এবং জ্যাকের মায়ের যেসব কাজ করতে হতো সেখানে কোনো বিরতি থাকত না। তাদের সামনে খুব পরিষ্কার যুক্তি ছিল, কাজের মাঝে বিশ্রাম মানেই পরিবারের সবার জন্য খাবারের ঘাটতি পড়া। তাদের বেকারত্বের বিপরীতে কোনো বীমা ছিল না। কাজেই তারা কর্মহীনতাকে বিপর্যয়ের মতো ভয় করত। সে কারণেই পিয়েরের পরিবারের এবং জ্যাকের পরিবারের পুরুষেরা যারা পরিশ্রমের দিক থেকে সবচেয়ে কষ্টসহিষ্ণু ছিল তারাও পরিশ্রমের ব্যাপারে বিদেশিদেরকেও ভয় পেত। তারা মনে করত ইতালিয়, স্পেন, ইহুদি, আরব এবং সর্বোপরি সারা পৃথিবীর মানুষই তাদের কাজ চুরি করে নিতে পারে। যেসব বুদ্ধিজীবি সর্বহারা সম্প্রদায়ের পক্ষে তত্ত্ব প্রচার করে থাকেন তাদের জন্য এই মানুষগুলোর এরকম মনোভাব বিব্রতকর মনে হলেও আসলে কিন্তু মানবিক এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। পৃথিবীর প্রভূত্ব অর্জন কিংবা সম্পদের সুবিধা অর্জনের জন্য এই জাতীয়তাবাদী মানুষগুলো অন্যান্যাদের জাতীয়তাবাদের প্রতি বিদ্বেষী ছিল না। তারা শুধু দাসত্ব করার অধিকার চাইত। তাদের কাছে কাজ মানে কোনো বিশেষ গুণ নয়, কাজ মানে প্রয়োজনীযতা। টিকে থাকার জন্যই কাজের দরকার। আর এই কাজই তাদের ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেত।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক