রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান

প্রথমত তারা খিলানগুলোর নিচে এবং ভেতরের উঠোনে ঘুরে বেড়াত এবং কিছুক্ষণ পরেই রুটি এবং চকলেটটা খেয়ে ফেলত। কারণ রুটিটাকে মনে হতো ঝামেলাপূর্ণ একটা জিনিস আর চকলেটটা গলে তাদের আঙুলে জড়িয়ে যেত।

এরপর তারা যুদ্ধপ্রবীণদের মুখোমুখি হতো। কারও একটা পা নেই। কারও একটা হাত নেই। কেউ সাইকেলের চাকা লাগানো ছোট গাড়িতে বসা। কারও চেহারা বিকৃত ছিল না। কেউ অন্ধও ছিলেন না। শুধু পঙ্গু ছিলেন তারা। তাদের পোশাক আশাকও ছিল পরিচ্ছন্ন। কারও গলায় ঝুলত পদক। শার্টের, জ্যাকেটের কিংবা পাজামার হাতা গুটিয়ে সেপটিপিন দিয়ে অবশিষ্ট অদৃশ্য কোনো অঙ্গের সঙ্গে বাঁধা থাকত, দেখতে তেমন একটা ভয়াবহ ছিল না। সংখ্যায় তারা অনেক। প্রথম দিন তাদের দেখার পর যেটুকু বিস্ময়বোধ জেগেছিল পিয়েরে এবং জ্যাকের মনে সেটা কাটিয়ে ওঠার পর নতুন কিছু আবিষ্কার করলে জগৎ সম্পর্কিত তাদের নিজস্ব দৃষ্টিতেই যেমন করে দেখে থাকত তেমন করেই দেখেছে ওই মানুষগুলোকেও। পিয়েরের মা তাদের বুঝিয়েছেন, ওই মানুষগুলো যুদ্ধে তাদের হাত কিংবা পা হারিয়েছেন এবং যেহেতু তাদের জগতেরই একটা অংশ ছিল যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে তারা যেহেতু সব সময় শুনে এসেছেন সেহেতু তাদের চারপাশের সবকিছুতেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে।

তাদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হতো না, অন্য যেকোনো মানুষই যেকোনো সময় তাদের হাত কিংবা পা হারাতে পারে। অঙ্গ হারানোর সময়টাও অন্যান্য মুহূর্তের মতোই জীবনের একটা অংশ মাত্র। সে সব কারণেই পিয়েরে এবং জ্যাকের কাছে ওই পঙ্গু মানুষগুলোর জগৎ কখনও দুঃখের বলে মনে হয়নি। তাদের কেউ কেউ খুব চাপা এবং গম্ভীর স্বভাবের ছিলেন। তবে অনেকেই ছিলেন কম বয়সী, হাসিখুশি এমনকি নিজের পঙ্গুত্ব নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতেও দ্বিধা করতেন না। শ্বেতকায় সোনালি চুলওয়ালা গোলগাল মুখের এবং উজ্জ্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী একজন ছিলেন। তাকে মাঝে মধ্যে লন্ড্রির আশেপাশে প্রায়ই ঘুর ঘুর করতে দেখেছে পিয়েরে এবং জ্যাক। তিনি তাদের বলতেন, আমার একটা পা আছে মাত্র। কিন্তু আমি তোমাদের পাছায় কষে লাথি মারতে পারি। ডান হাত চেয়ারের বেতের উপর রেখে বাম হাত দিয়ে খিলানের পাঁচিল ধরে বেয়ে উঠে তাদের দিকে সত্যিই পা ঝেড়ে লাথি দেওয়ার চেষ্টা করতেন তিনি। তার ভঙ্গি দেখে পিয়েরে এবং জ্যাক হাসতে হাসতে যত দ্রুত সম্ভব তার নাগালের বাইরে দৌড়ে পালাত। মনে হতো, শুধু তারাই দৌড়ে পালাতে পারে। তারাই শুধু হাত পাগুলো ঠিক ঠিক ব্যবহার করতে পারে। একবার ফুটবল খেলতে গিয়ে জ্যাকের পা মচকে গেল। কয়েকদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে হলো। তখন তার মনে হলো, বৃহস্পতিবারে দেখা মানুষগুলো সারা জীবনই দৌড়াতে, ট্রলিবাস ধরতে কিংবা ফুটবলে লাথি মারতে অক্ষম থেকে যাবেন। সে নিজেও ওই কয়েকদিন তাদের মতো অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অলৌকিক কার্যকলাপের কথা তার মনের মধ্যে সদা জাগ্রত হয়ে রইল। অমূলক একটা ভয়ও মনের মধ্যে কাজ করতে লাগল। তার নিজেরও তো কখনও অঙ্গহানি ঘটতে পারে। পরে অবশ্য সে এসব ভুলে গেছে।

তারা প্রায়ই ঝাঁপবন্ধ খাবার ঘরের আশপাশে ঘুরে বেড়াত। বড় বড় টেবিল, গোটাটাই চকচকে দস্তায় মোড়ানো; রান্নাঘরে বড় বড় কড়াই এবং অন্যান্য বাসনপত্র। সেখান থেকে সব সময় রান্না করা মাংসের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ত। শেষ প্রান্তে তারা দেখত শোবার ঘর। সেখানে দুতিনটা বিছানা ধূসর রঙের চাদরে ঢাকা। পাশে কাঠের তৈরি আলমারি। সেখানে বেড়ানো হয়ে গেলে তারা বাগানের দিকে যাওয়ার কয়েকটা বহির্মুখী সিঁড়ি বেয়ে বের হয়ে পড়ত।

যুদ্ধাহত সৈনিকদের আশ্রমের চারপাশ ঘিরে রেখেছিল প্রায় পুরোপুরি অবহেলিত একটা পার্ক। বাসিন্দাদের কয়েকজন সেখানকার বাগানের ফুলতলা আর কয়েকটা গোলাপ ঝাড়ের দেখভাল করার স্বেচ্ছা দায়িত্ব পালন করতেন। বাগানে শুকনো নলখাগড়া আর আগাছার ঝোপঝাড় ঘেরা কিছু অংশে কয়েক পদের শাকসবজির গাছও ছিল। তবে এক সময় খুব চমৎকার চেহারা থাকলেও এখন আর এর বাইরে পার্কের অন্য কোনো জৌলুস নেই; পুরোপুরি প্রকৃতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। বড় বড় ইউক্যালিপটাস গাছ, তালগাছ, নারকেলগাছ, মাটির গভীরে শিকড় গাড়া মোটা কাণ্ড আর নিচু হয়ে পড়া ডালপালাসহ রাবার গাছ মিলে গোলকধাঁধার মতো পরিবেশ তৈরি করেছে। ঘন ছায়া আর গভীর গোপনীয়তা এখানে সেখানে। ঘনপাতাওয়ালা মোটা মোটা সাইপ্রেস গাছ, বড় বড় কমলাগাছ, খুব লম্বা গোলাপি আর সাদা লরেলগাছ মিলে এখানকার জনমানবহীন পায়েচলা পথটা ঢেকে দিয়েছে। এখানে সুরকির পথকে গিলে ফেলেছে কাদামাটির আস্তরণ। পথের প্রান্ত ছুঁয়ে আছে সুবাসি সিমরিঙ্গার, জুঁই, বেগুনি বনলতাফুল, প্যাশনফুল, মধুমতি ফুলের ঝোপঝাড়। তবে সেগুলোকে মাটির কাছে ছেয়ে ফেলেছে তিনপাতাওয়ালা ঘাস, ওক্সালিস এবং সব বুনো ঘাসের পুরু আস্তরণ। সুবাসভরা বনজঙ্গলের ভেতর হাঁটা, হামাগুড়ি দিয়ে চলা, ঘাসের সঙ্গে মুখ ছোঁয়ানো, ছুরি হাতে ঘাসের মধ্যে দিয়ে পথ করে চলা, গায়ে মুখে কাদামাটি আর পানি নিয়ে ফিরে আসা এসবই পরমানন্দের বিষয়।

তবে ভয়ঙ্কর বিষের উৎপাদনও তাদের বিকালের অভিযানের একটা বড় অংশ ছিল। পার্কের একটা দেয়ালের গা ঘেঁষা বেঞ্চের নিচে অ্যাসপিরিনের কৌটা, ওষুধের বয়ম, পুরনো কালির দোয়াত, গামলার ভাঙা টুকরো, ভাঙা কাপের টুকরো ইত্যাদি জড়ো করে তাদের গবেষণাগার তৈরি করেছিল পিয়েরে এবং জ্যাক। সবার চোখের আড়ালে, পার্কের সবচেয়ে ঘন ছায়াময় ওই জায়গাটাতে তারা রহস্যজনক উপচার তৈরি করত। তাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল করবীগাছ। তারা লোকমুখে শুনেছিল করবী গাছের ছায়া খুব ভয়ঙ্কর; করবী গাছের ছায়ায় কোনো অর্বাচীন লোক ভুলবশত শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার ঘুম কখনও ভাঙবে না। সুতরাং তারা করবী গাছের পাতা এবং ফুলের মৌসুমে করবী ফুল তুলে জড়ো করত অশুভ মণ্ড তৈরি করার জন্য। মণ্ডের চেহারা দেখলেই যে কোনো মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ওই মণ্ড তারা খোলা জায়গায় রেখে দিত যাতে রংধনুর মতো বিচিত্র রং ধারণ করে। ওই সময় তাদের একজন দৌড়ে বোতল ভরে পানি আনতে যেত। তখন সাইপ্রেস গাছের কাণ্ডের ত্রিভূজাকৃতির মুখগুলো বের হতো। তারা জানত সাইপ্রেস গাছ হলো কবরস্থানের গাছ; এর সঙ্গেও ভয়ের ব্যাপার স্যাপার জড়িয়ে আছে। তারা মাটিতে পড়ে থাকা ফল নিত না। গাছ থেকে ফল তুলে জড়ো করত। নিচে পড়ে থাকা ফলগুলো ভয়ঙ্কর রকমের সুস্বাদু চেহারা লাভ করত বলে সেগুলো তারা জড়ো করত না। তারপর দুটো মণ্ডের জলের সঙ্গে মিশিয়ে আরও পাতলা করা হতো। একটা ময়লা রুমালে ছাঁকা হতো সেটা। তরল পদার্থটার চেহারা হতো গাঢ় সবুজ। কোনো বিষাক্ত পদার্থ নিয়ে কাজ করার সময় মানুষ যেমন সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে তেমনি তারাও তরল পদার্থটা নাড়াচাড়া করার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করত। তাদের কাছে জড়ো করা ওষুধের পাত্রগুলোর ভেতর তরল পদার্থটা ঢেলে মুখ আটকে দিত। তখনও খুব সাবধানে কাজ করত যাতে হাতে ছোঁয়া না লাগে। বাকি আর কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও অন্য কোনো ভয়াবহ বিষ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করত। সবগুলো এভাবে তৈরি হয়ে গেলে সতর্কতার সঙ্গে পাথরের তৈরি বেঞ্চের নিচে রেখে দিত সপ্তাহ খানেক যাতে বিষাক্ত পদার্থটা যথেষ্ট মাত্রায় গাঁজিয়ে উঠতে পারে এবং ভয়ঙ্কর চেহারা ধারণ করতে পারে। এরকম ভয়ঙ্কর কাজ শেষ হলে জ্যাক এবং পিয়েরে বেঞ্চের নিচে জড়ো করে রাখা পাত্রগুলোর সবুজাভ চেহারার দিকে নিবিষ্ট চিত্তে তাকিয়ে থাকত। কখনও কখনও পাত্রগুলো থেকে কটু গন্ধ নিত আনন্দের সঙ্গে। তারা অবশ্য সত্যি সত্যি কারও উপর প্রয়োগ করার জন্য ওই তরল পদার্থ তৈরি করত না। বরং শুধু কল্পনা করে দেখত তাদের ক্ষমতা কত দূর। তারা হিসাব নিকাশ করে দেখেছে, গোটা শহর জনশূন্য করে দেওয়ার মতো বিষ তারা উৎপাদন করে ফেলেছে। তবে তাদের কল্পনায় কখনও আসেনি, কোনো অপছন্দের সহপাঠী কিংবা শিক্ষককে ওই বিষ প্রয়োগে হত্যা করা যেতে পারে। আসলে তাদের অতি অপছন্দের কেউ ছিলই না। বড় হয়ে যে পৃথিবীতে বাস করতে হবে সেখানে তাদের কোনো কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে তেমন কেউ ছিল না।

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ