শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সেই প্রথম রাতে তার ভাই চাপা রাগের সঙ্গে বলল, আমি এসব দেখতে পারি না। অসহ্য!
অনিশ্চয়তার সুরে জ্যাক বলল— না, অসহ্য হলো কী করে! লুই তার দিকে হিংস্র এবং উৎসাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

জ্যাক নিজেকে ঠিক করে নিল এবং তার ভয়টা তখন কিছুটা কমে এল। মুরগি আনার সময়ের এবং জবাই করার দৃশ্যের আতঙ্ক বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তার মধ্যে যেন গর্ব ফিরে এল। শেষে সাহসের সঙ্গেই সে ভাইয়ের উদ্দেশে বলতে পারল, তুমি আসলে ভয় পাও, এটাই বড় কথা।
নানি খাবার রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, ঠিক তাই। এখন থেকে জ্যাকই এই কাজটা করবে।
হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে আর্নেস্ট মামা বলল, ভালো ভালো; জ্যাকের সাহস আছে।

জ্যাক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই অনড় থেকে তার মায়ের দিকে তাকাল। মা অন্য সবার থেকে একটু দূরে বসে এক জোড়া মোজা রিফু করছিলেন। মা তার দিকে তাকিয়ে বললেন, হ্যাঁ, ঠিকই তুই সাহসী। এরপর তিনি রাস্তার দিকে ফিরে তাকালেন। জ্যাক অন্য দিকে কোনো রকম খেয়াল না করে শুধু মাকেই দেখতে লাগল। তার বুকের ভেতর একটা ভারী কিছু দলা পাকাতে লাগল।
নানি বললেন, ঘুমুতে যা। শোয়ার ঘরের আলো না জ্বালিয়েই জ্যাক কাপড় বদলাতে লাগল। খাবার রুমের আলো এসে কিছুটা আলোকিত করেছে শোয়ার ঘরটা। দুজনের শোয়ার মতো জায়গা যে বিছানাটাতে আছে সেখানে একপাশে সরে গিয়ে শুয়ে পড়ল সে যাতে ভাইয়ের গায়ের সঙ্গে ছোঁয়া না লাগে কিংবা তার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। শোয়ার সঙ্গেই ঘুম চলে এল। সারাদিন বেশ পরিশ্রম গেছে। আবেগের ধকলও গেছে। মাঝে ভাইয়ের শোয়ার সময় তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্যাককে পার হয়ে দেয়ালের দিকে তাকে শুতে হবে। কারণ ঘুম থেকে সে জ্যাকের পরে উঠে। মাঝে মাঝে মায়ের শোয়ার সময়ও জ্যাকের ঘুম ভেঙে যায়। কাপড় বদল করার জন্য মা অন্ধকারেই আলমারি খোলেন; খোলার শব্দে জ্যাকের ঘুম ভাঙে। মা বিছানায় উঠার সময় কোনো রকম শব্দ হয় না। তার শোয়া এবং ঘুমিয়ে পড়া খুব নিঃশব্দ। মনে হয়, তিনি জেগে আছেন। জ্যাকেরও মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে মাকে ডাকবে। তবে বুঝতে পেরেছে, মা শুনতে পাবেন না। তারপর মায়ের চুপচাপ পড়ে থাকার সঙ্গে নিজেও চুপ করে শুয়ে থেকেছে জ্যাক। এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সেও ঘুমিয়ে পড়েছে। ততক্ষণে হয়তো মা ও ঘুমিয়ে পড়েছেন। সারাদিন লন্ড্রি আর অন্য লোকের বাড়িতে কাজ করে মা খুব ক্লান্ত।

শুধু বৃহস্পতিবার এবং রবিবারে পিয়েরে এবং জ্যাক নিজেদের জগতে ফিরে আসতে পারত। অবশ্য কোনো কোনো বৃহস্পতিবারে ডিটেনশন ক্লাসে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত অতিরিক্ত দুঘণ্টা লিসেতে কাটাতে হতো। কোনো কোনো সময় মারাত্মক অপরাধ করে ফেললে চার ঘণ্টাও কাটাতে হতো। একটা রুমে আরও সব অপরাধীর সঙ্গে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে তাদের পড়াশোনা করতে হতো। অতিরিক্ত ওই সময়টাতে দায়িত্ব পালন করার কারণে তত্ত্বাবধায়কের মেজাজ থাকত গরম। প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দফতর থেকে এরকম একটা ফরমে ডিটেনশন ক্লাসের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল জ্যাকের মায়ের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সেখানে ওই অতিরিক্ত পড়াশোনার বিষয়টিকে শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। লিসেতে পড়ার আট বছর সময়ে পিয়েরেকে একবারও ডিটেনশনে থাকতে হয়নি। জ্যাক অতিরিক্ত মাত্রায় হৈহুল্লোড়ে স্বভাবের এবং কিছুটা অহংকারী ছিল। নিজের বাহাদুরি দেখানোর জন্য প্রায়ই মজায় মত্ত থাকত এবং ডিটেনশনের পুরস্কার গলায় পড়ত। যেহেতু জ্যাক নানিকে বোঝানোর চেষ্টা করত এসব শাস্তি আচরণের জন্য দেওয়া হয় তিনি বোকামি আর খারাপ আচরণের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারতেন না। তিনি বুঝতেন, একজন ভালো ছাত্রের স্বভাব চরিত্র ভালো হয়, আচার ব্যবহারও সুন্দর হয়ে থাকে। আর সুস্বভাব মানুষকে জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং তিনি অন্ততপক্ষে প্রথম বছরে বৃহস্পতিবারগুলোর শাস্তিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতেন বুধবারে জ্যাককে আচ্ছামতো পিটুনি দিয়ে।

বৃহস্পতিবারে কোনো শাস্তি না থাকলে সেদিন এবং রবিবারগুলোতে বাড়ির আশেপাশে যে সকল ছোটখাটো কাজকর্ম থাকত সেগুলো করতে হতো জ্যাককে। বিকাল বেলা পিয়েরে এবং জ্যাক বের হয়ে পড়ত এক সঙ্গে। গরমের দিনে তারা সাবলতেস সমুদ্রতট এবং একটা প্যারেড গ্রাউন্ডে যেত। প্যারেড গ্রাউন্ডটা মোটামুটি একটা ফাঁকা জায়গা। সেখানে একটা ফুটবল মাঠও ছিল। তারা ফুটবল খেলত ন্যাকড়া দিয়ে বল বানিয়ে এবং আরব আর ফরাসি ছেলেদের সমন্বয়ে তৈরি হতো দল। তবে বছরের অন্যান্য সময়ে তারা দুজন চলে যেত কুবাতে। সেখানে তাদের বেড়ানোর জায়গাটা ছিল যুদ্ধপ্রবীণদের আশ্রমে। পিয়েরের মা পোস্ট অফিসের কাজ ছেড়ে কুবাতে প্রধান লন্ড্রির কর্মীর কাজ নিয়েছিলেন। আলজিয়ার্সের পূর্বে একটা পাহাড়ি অঞ্চলের নাম কুবা। একটা ট্রলিবাসের শেষ স্টপেজ ছিল সেখানে। আসলে আলজিয়ার্সের শহরাঞ্চল ওখানে শেষ হয়েছে এবং সেহেলের শান্ত গ্রামাঞ্চলের শুরু ওখানেই। চারপশে একই রকম পাহাড় শ্রেণি, এখানে ওখানে পানির উৎসের ছড়াছড়ি, দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস, ক্ষুধা চাগিয়ে দেওয়ার মতো গন্ধওয়ালা লাল মাটির মাঠঘাট, মাঠের মধ্যে থেকে থেকে সাইপ্রেস কিংবা লম্বা নলখাগড়ার ঝোপঝাড়ের সারি। আঙুরলতা, ফলের গাছ, শস্য সবকিছুই অবলীলায় বেড়ে উঠত খুব একটা চেষ্টা ছাড়াই। শহরের স্যাঁতসেঁতে গরমের এলাকা থেকে যারা এখানে আসত তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানকার জলহাওয়া বলদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আলজিয়ার্সের যাদের হাতে অধুনা কাঁচা পয়সা কিংবা সম্পদ এসেছে তারা আলজিয়ার্স ছেড়ে অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক ‘ফরাসি হাওয়া’ গায়ে মাখানোর জন্য এখানে ছুটে আসত। সামান্য খানিক ঠাণ্ডা হওয়া গলাধকরণ করতে পারলেই তারা সেই হাওয়াকে ফরাসি বাতাস বলে চালিয়ে নিত। এভাবেই তারা কুবাতে এসে ফরাসি বাতাস উপভোগ করত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছিল বৃদ্ধ সৈনিকদের আশ্রম। ট্রলিবাস লাইন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত ছিল সেটা। আশ্রম তৈরি হওয়ার আগে এটা ছিল জটিল স্থাপত্যের একটা মঠ, বেশ কয়েকটা দিক খোলা, সাদা রং করা খুব পুরু সব দেয়াল, বড় বড় হলরুম এবং খিলানঢাকা, ভেতরের ছাদও খিলানের মতো বাঁকানো। তার নিচে ছিল খাবার রুম এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের জায়গা।

পিয়েরের মা ম্যাম মারলোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লন্ড্রিটা ছিল সেই হলরুমগুলোর একটাতে। সেখানে লোহার লন্ড্রি এবং আর্দ্র লিনেনের গন্ধের মধ্যে তিনি পিয়েরে এবং জ্যাককে স্বাগত জানাতেন। তার অধীনে ছিল দুজন কর্মচারী— একজন আরব, আরেকজন ফরাসি। তাদের দুজনকেই এক টুকরো রুটি আর একটা চকলেট খেতে দিতেন পিয়েরের মা। তারপর তার সুন্দর সবল বাহুর হাতা গুটাতে গুটাতে বলতেন, পকেটে রেখে দাও। চারটের সময় খেও। এখন বাগানে বেড়াতে যাও। আমার হাতে অনেক কাজ।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ