শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সেই প্রথম রাতে তার ভাই চাপা রাগের সঙ্গে বলল, আমি এসব দেখতে পারি না। অসহ্য!
অনিশ্চয়তার সুরে জ্যাক বলল— না, অসহ্য হলো কী করে! লুই তার দিকে হিংস্র এবং উৎসাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

জ্যাক নিজেকে ঠিক করে নিল এবং তার ভয়টা তখন কিছুটা কমে এল। মুরগি আনার সময়ের এবং জবাই করার দৃশ্যের আতঙ্ক বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তার মধ্যে যেন গর্ব ফিরে এল। শেষে সাহসের সঙ্গেই সে ভাইয়ের উদ্দেশে বলতে পারল, তুমি আসলে ভয় পাও, এটাই বড় কথা।
নানি খাবার রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, ঠিক তাই। এখন থেকে জ্যাকই এই কাজটা করবে।
হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে আর্নেস্ট মামা বলল, ভালো ভালো; জ্যাকের সাহস আছে।

জ্যাক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই অনড় থেকে তার মায়ের দিকে তাকাল। মা অন্য সবার থেকে একটু দূরে বসে এক জোড়া মোজা রিফু করছিলেন। মা তার দিকে তাকিয়ে বললেন, হ্যাঁ, ঠিকই তুই সাহসী। এরপর তিনি রাস্তার দিকে ফিরে তাকালেন। জ্যাক অন্য দিকে কোনো রকম খেয়াল না করে শুধু মাকেই দেখতে লাগল। তার বুকের ভেতর একটা ভারী কিছু দলা পাকাতে লাগল।
নানি বললেন, ঘুমুতে যা। শোয়ার ঘরের আলো না জ্বালিয়েই জ্যাক কাপড় বদলাতে লাগল। খাবার রুমের আলো এসে কিছুটা আলোকিত করেছে শোয়ার ঘরটা। দুজনের শোয়ার মতো জায়গা যে বিছানাটাতে আছে সেখানে একপাশে সরে গিয়ে শুয়ে পড়ল সে যাতে ভাইয়ের গায়ের সঙ্গে ছোঁয়া না লাগে কিংবা তার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। শোয়ার সঙ্গেই ঘুম চলে এল। সারাদিন বেশ পরিশ্রম গেছে। আবেগের ধকলও গেছে। মাঝে ভাইয়ের শোয়ার সময় তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্যাককে পার হয়ে দেয়ালের দিকে তাকে শুতে হবে। কারণ ঘুম থেকে সে জ্যাকের পরে উঠে। মাঝে মাঝে মায়ের শোয়ার সময়ও জ্যাকের ঘুম ভেঙে যায়। কাপড় বদল করার জন্য মা অন্ধকারেই আলমারি খোলেন; খোলার শব্দে জ্যাকের ঘুম ভাঙে। মা বিছানায় উঠার সময় কোনো রকম শব্দ হয় না। তার শোয়া এবং ঘুমিয়ে পড়া খুব নিঃশব্দ। মনে হয়, তিনি জেগে আছেন। জ্যাকেরও মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে মাকে ডাকবে। তবে বুঝতে পেরেছে, মা শুনতে পাবেন না। তারপর মায়ের চুপচাপ পড়ে থাকার সঙ্গে নিজেও চুপ করে শুয়ে থেকেছে জ্যাক। এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সেও ঘুমিয়ে পড়েছে। ততক্ষণে হয়তো মা ও ঘুমিয়ে পড়েছেন। সারাদিন লন্ড্রি আর অন্য লোকের বাড়িতে কাজ করে মা খুব ক্লান্ত।

শুধু বৃহস্পতিবার এবং রবিবারে পিয়েরে এবং জ্যাক নিজেদের জগতে ফিরে আসতে পারত। অবশ্য কোনো কোনো বৃহস্পতিবারে ডিটেনশন ক্লাসে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত অতিরিক্ত দুঘণ্টা লিসেতে কাটাতে হতো। কোনো কোনো সময় মারাত্মক অপরাধ করে ফেললে চার ঘণ্টাও কাটাতে হতো। একটা রুমে আরও সব অপরাধীর সঙ্গে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে তাদের পড়াশোনা করতে হতো। অতিরিক্ত ওই সময়টাতে দায়িত্ব পালন করার কারণে তত্ত্বাবধায়কের মেজাজ থাকত গরম। প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দফতর থেকে এরকম একটা ফরমে ডিটেনশন ক্লাসের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল জ্যাকের মায়ের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সেখানে ওই অতিরিক্ত পড়াশোনার বিষয়টিকে শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। লিসেতে পড়ার আট বছর সময়ে পিয়েরেকে একবারও ডিটেনশনে থাকতে হয়নি। জ্যাক অতিরিক্ত মাত্রায় হৈহুল্লোড়ে স্বভাবের এবং কিছুটা অহংকারী ছিল। নিজের বাহাদুরি দেখানোর জন্য প্রায়ই মজায় মত্ত থাকত এবং ডিটেনশনের পুরস্কার গলায় পড়ত। যেহেতু জ্যাক নানিকে বোঝানোর চেষ্টা করত এসব শাস্তি আচরণের জন্য দেওয়া হয় তিনি বোকামি আর খারাপ আচরণের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারতেন না। তিনি বুঝতেন, একজন ভালো ছাত্রের স্বভাব চরিত্র ভালো হয়, আচার ব্যবহারও সুন্দর হয়ে থাকে। আর সুস্বভাব মানুষকে জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং তিনি অন্ততপক্ষে প্রথম বছরে বৃহস্পতিবারগুলোর শাস্তিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতেন বুধবারে জ্যাককে আচ্ছামতো পিটুনি দিয়ে।

বৃহস্পতিবারে কোনো শাস্তি না থাকলে সেদিন এবং রবিবারগুলোতে বাড়ির আশেপাশে যে সকল ছোটখাটো কাজকর্ম থাকত সেগুলো করতে হতো জ্যাককে। বিকাল বেলা পিয়েরে এবং জ্যাক বের হয়ে পড়ত এক সঙ্গে। গরমের দিনে তারা সাবলতেস সমুদ্রতট এবং একটা প্যারেড গ্রাউন্ডে যেত। প্যারেড গ্রাউন্ডটা মোটামুটি একটা ফাঁকা জায়গা। সেখানে একটা ফুটবল মাঠও ছিল। তারা ফুটবল খেলত ন্যাকড়া দিয়ে বল বানিয়ে এবং আরব আর ফরাসি ছেলেদের সমন্বয়ে তৈরি হতো দল। তবে বছরের অন্যান্য সময়ে তারা দুজন চলে যেত কুবাতে। সেখানে তাদের বেড়ানোর জায়গাটা ছিল যুদ্ধপ্রবীণদের আশ্রমে। পিয়েরের মা পোস্ট অফিসের কাজ ছেড়ে কুবাতে প্রধান লন্ড্রির কর্মীর কাজ নিয়েছিলেন। আলজিয়ার্সের পূর্বে একটা পাহাড়ি অঞ্চলের নাম কুবা। একটা ট্রলিবাসের শেষ স্টপেজ ছিল সেখানে। আসলে আলজিয়ার্সের শহরাঞ্চল ওখানে শেষ হয়েছে এবং সেহেলের শান্ত গ্রামাঞ্চলের শুরু ওখানেই। চারপশে একই রকম পাহাড় শ্রেণি, এখানে ওখানে পানির উৎসের ছড়াছড়ি, দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস, ক্ষুধা চাগিয়ে দেওয়ার মতো গন্ধওয়ালা লাল মাটির মাঠঘাট, মাঠের মধ্যে থেকে থেকে সাইপ্রেস কিংবা লম্বা নলখাগড়ার ঝোপঝাড়ের সারি। আঙুরলতা, ফলের গাছ, শস্য সবকিছুই অবলীলায় বেড়ে উঠত খুব একটা চেষ্টা ছাড়াই। শহরের স্যাঁতসেঁতে গরমের এলাকা থেকে যারা এখানে আসত তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানকার জলহাওয়া বলদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আলজিয়ার্সের যাদের হাতে অধুনা কাঁচা পয়সা কিংবা সম্পদ এসেছে তারা আলজিয়ার্স ছেড়ে অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক ‘ফরাসি হাওয়া’ গায়ে মাখানোর জন্য এখানে ছুটে আসত। সামান্য খানিক ঠাণ্ডা হওয়া গলাধকরণ করতে পারলেই তারা সেই হাওয়াকে ফরাসি বাতাস বলে চালিয়ে নিত। এভাবেই তারা কুবাতে এসে ফরাসি বাতাস উপভোগ করত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছিল বৃদ্ধ সৈনিকদের আশ্রম। ট্রলিবাস লাইন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত ছিল সেটা। আশ্রম তৈরি হওয়ার আগে এটা ছিল জটিল স্থাপত্যের একটা মঠ, বেশ কয়েকটা দিক খোলা, সাদা রং করা খুব পুরু সব দেয়াল, বড় বড় হলরুম এবং খিলানঢাকা, ভেতরের ছাদও খিলানের মতো বাঁকানো। তার নিচে ছিল খাবার রুম এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের জায়গা।

পিয়েরের মা ম্যাম মারলোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লন্ড্রিটা ছিল সেই হলরুমগুলোর একটাতে। সেখানে লোহার লন্ড্রি এবং আর্দ্র লিনেনের গন্ধের মধ্যে তিনি পিয়েরে এবং জ্যাককে স্বাগত জানাতেন। তার অধীনে ছিল দুজন কর্মচারী— একজন আরব, আরেকজন ফরাসি। তাদের দুজনকেই এক টুকরো রুটি আর একটা চকলেট খেতে দিতেন পিয়েরের মা। তারপর তার সুন্দর সবল বাহুর হাতা গুটাতে গুটাতে বলতেন, পকেটে রেখে দাও। চারটের সময় খেও। এখন বাগানে বেড়াতে যাও। আমার হাতে অনেক কাজ।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত