বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে
বিশ্ববাজারে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে নিম্নমুখী তেলের দাম। যা শুক্রবার (৫ আগস্ট) কিছুটা বাড়লেও ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট প্রতি ব্যারেল তেল ৮৯ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৯৩ দশমিক ৮১ ডলার। যা কিনা গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে সর্বনিম্ন।
ব্লুমবার্গের বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর তেলের দাম পর এবারই সর্বনিম্ন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের ফলে তেলের চাহিদা কমছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে গত ৬ মাসে তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
মার্কিন গ্যাসোলিনের ব্যবহার কমেছে। লিবিয়া থেকেও তেলের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে অস্থিরতা কিছুটা কমে যাবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া চীনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশের আমদানিও হ্রাস পেয়েছে।
দুই মাস আগেও ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম বেড়ে ১২০ ডলার হয়ে যায়। তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়।
লন্ডনভিত্তিক ফোরেক্স কোম্পানি ওয়ান্দার জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেন, ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টি বাজার কতটা চাপের মধ্যে থাকবে সেটার উপর নির্ভর করবে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এসজি/