নওগাঁর মেলায় বিভিন্ন আমের সমাহার

নানা রকম আমের সান্নিধ্য পাবেন সরাসরি নওগাঁ আম মেলায়। উত্তম কৃষি অনুশীলনের মাধ্যমে উৎপাদিত নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবান্ধব আম চাষে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুলের আয়োজনে শহরের নওজোয়ান মাঠে দুই দিন ব্যাপী আম মেলার আয়োজন করা হয়।
এ মেলায় ২০টি স্টলে আম্রপালি, ল্যাংড়া, বারি-৪, কাটিমন, ফজলী, হাড়িভাঙা, শ্রাবণী, বারি-১৩, গৌড়মতি, আশ্বিনা, তরফদার ভোগ, মল্লিকা, সুরমা ফজলী, নাক ফজলী, হিমসাগর, কুমরাজালি, এসইপি-২, ইন্ডিয়ান চোষা এবং বিদেশি জাতের আমের মধ্যে মিয়াজাকি, আমেরিকান পালমার, ব্যানানা সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির আম প্রদর্শনী দেখা গেছে। সঙ্গে ছিল আলোচনা সভা। সভায় নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এ কে এম মনজুরে মাওলা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রাণীর নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক, আম রপ্তানিকারক শামিম হোসেন, কৃষি উদ্যোক্তা ইমরান হেসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঘাসফুলের সাস্টেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) প্রকল্পের অধীনে জেলার নিয়ামতপুর ও সাপাহারে উপকারভোগী ১৮ জন কৃষি উদ্যোক্তা তাঁদের বাগানে উৎপাদিত বাহারি ও সুস্বাদু আম মেলায় প্রদর্শন করেন। মেলায় ঘুরতে আসা রকিবুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'এখানে এসে দেশ-বিদেশের নতুন নতুন জাতের আম দেখলাম। বারি-৭, বারি-৮, বিদেশি আম চিয়াংমাই, আমেরিকান পালমার, মিয়াজাকি নওগাঁর মাটিতে সম্ভাবনাময় আম হতে পারে।'
ঘাসফুলের এসইপি প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা মুসাব্বির আহমেদ বলেন, ঘাসফুল সংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহযোগিতায় নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সাপাহারে আট শতাধিক কৃষককে নিরাপদ আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এছাড়া এসব কৃষকের উৎপাদিত আম দেশে ও বিদেশে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করে আসছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমের সঙ্গে নওগাঁবাসীর নাড়ির সম্পর্ক। বর্তমানে নওগাঁর অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে আমের ভূমিকা ব্যাপক। নওগাঁয় উৎপাদিত আমের ৯৫ শতাংশ আমই রপ্তানি উপযোগী। আম রপ্তানির বাধা কাটাতে পারলে শুধু নওগাঁ নয় আম হতে পারে দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারি কৃষিপন্য।
এএজেড
