রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব না মানার অভিযোগ

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ এর ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে একটি বৈষম্যহীন নতুন রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় নানা সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে এখনো দেশের কিছু জায়গায় বৈষম্য বিদ্যমান। এই বৈষম্য আরও একবার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অফিস আদেশের মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সর্বশেষ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি অফিস আদেশ জারি করে; যার মাধ্যমে গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো- জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ব্যতীত, সভাপতি মনোনয়নযোগ্য ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ৪০ বছর হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই শর্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষকদের মধ্যে এটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের দাবি, অনূর্ধ্ব চল্লিশ বছর বয়সের অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বর্তমানে সমাজে বিদ্যমান আছেন, যারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে একজন সংসদ সদস্য হতে গেলে ২৫ বছর বয়স লাগে। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনজন উপদেষ্টা, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, যখন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে তরুণরা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন বয়সের সীমা বেঁধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তাহমিদ বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদের ধারণ করে না। নতুন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্য মানা হবে না। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোতে কোনো বয়সসীমার বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনো বয়সের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি সভাপতি বা বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া ৪০ বছরের বয়সসীমা কার্যকর না হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমাজ মনে করছেন, বয়সসীমার এই শর্তটি অবিলম্বে বাতিল করা উচিত এবং কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা মনে করেন, এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক এবং সমতাভিত্তিক একটি পদক্ষেপ হবে, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিষয়টি নিয়ে সমাজের সচেতন অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলেও মনে করছেন সচেতন মহলের অনেকেই।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা)-এর বিশেষ একান্ত সচিব মো. সাজেদুল ইসলাম শাহীনের অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী

সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আলোচনা কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে, যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১, ৯০’র আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সতর্ক থাকতে হবে যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে আমাদের দ্বারা সেসব প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। মনে রাখতে হবে ৭১’ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এ দেশের জনগণের সঙ্গে ছিল। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা ৯০’ এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র-জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপন

জাঁকজমকপূর্ণ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন চ্যান্সেরিতে রোববার সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ দেশটির জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সঙ্গে তিনি ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চের ঐতিহাসিক ক্ষণটিকে স্মরণ করেন। যেদিন কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনের দূরদর্শী নেতারা পাকিস্তান প্রস্তাব পাস করেন, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমির ভিত্তি স্থাপন করেন।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের বার্তা পাঠ করা হয়। এতে দিবসের তাৎপর্যের ওপর জোর দেওয়া এবং অগ্রগতি ও ঐক্যের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আগত অতিথিদের সম্ভোধন করে হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও ভুটানে বসবাসরত পাকিস্তানি প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য প্রদত্ত ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং এ ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ সময় পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলার নেতাদের ভূমিকাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্য, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং হাইকমিশনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সৌদিতে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৬ জন

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে মর্মান্তিক এক বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ছয় ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৪ জন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মদিনা ও মক্কা শহরের মধ্যবর্তী ওয়াদি আল আকিকের মহাসড়কে গত বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, হতাহতরা সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। দুর্ঘটনার সময় বাসটি ওমরাহযাত্রী ও তাদের সহকারী কর্মীদের বহন করছিল।

জেদ্দা শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে সংঘটিত এই দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে জেদ্দায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেলকে জানানো হয়।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জুধা নুগ্রাহা এক বিবৃতিতে জানান, মদিনা-মক্কার মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার বাসের ২০ যাত্রী হতাহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অপর একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসটি উল্টে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

দুর্ঘটনার পরপরই ইন্দোনেশিয়ার কনসুলেট জেনারেল তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিকদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে একটি নিরাপত্তা দল মোতায়েন করে।

সূত্র: গালফ নিউজ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী
ঢাকায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপন
সৌদিতে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৬ জন
তালেবান নেতার মাথার বিনিময়ে কোটি ডলারের পুরস্কার বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
রাজধানীতে ঈদের দিন আনন্দ মিছিল ও দিনব্যাপী মেলার আয়োজন
দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে