শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে রাজনীতি, প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু পাড়া মহল্লা পর্যন্ত। পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা রূপ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী ঘরনার সুবিধা ভোগী কর্মকর্তাগণ রাতারাতি দল পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। দখলে রেখেছেন রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের বাজেট পায় রেলওয়ে। যার ৯০ শতাংশ নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এমপিদের লুটপাটের সহযোগী হিসেবে ছিলেন রেলের আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাগণ। এদের প্রভাবে রেলের অন্য ঘরানার বাকি কর্মকর্তারা ছিলেন একপ্রকার অসহায়, বঞ্চিত ও নির্যাতিত।

রেলের আওয়ামী ঘরানার কিছু কর্মকর্তাগণের প্রভাব ও দখল কেমন ছিল তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

রেলওয়েতে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা হলেন তাবাসসুম বিনতে ইসলাম- যুগ্ম মহাপরিচালক (মেকানিক), রেলভবন। তাবাসসুম প্রায় ১৬ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। তার এই পদে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়াও শামসুজ্জামান যেসময় রেলের মহাপরিচালক ছিলেন তখন তাবাসসুম ছিলেন রেলের অলিখিত রানী তথা রেল রাণী। তৎকালীন সময় রেলমন্ত্রী সুজন ও ডিজি শামসুজ্জামান তাবাসসুমকে রেলের বদলি,পদোন্নতি থেকে শুরু করে টেন্ডার বাণিজ্য পর্যন্ত সকল কাজের ব্লাংক চেক দেওয়ার মত ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

তাবাসসুম বিনতে ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তাবাসসুমের এই ক্ষমতার উৎস ছিল তার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন হায়দার- যুগ্ম সচিব হিসেবে বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আছেন। জসিম একসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন এবং ২০০৯ পরবর্তী প্রতিটি অবৈধ নির্বাচনে আওয়ামী লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। জসিমের ভয়ে রেলের সিনিয়র কর্মকর্তারাও তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন। এছাড়াও তাবাসসুম গত ১৫ বছরে প্রায় ৪০ টির অধিক দেশে সরকারি ভ্রমণ করেন। তার দেশে বিদেশে আছে শতকোটির অধিক সম্পদ । জসিম উদ্দিনের প্রভাবে সম্প্রতি তাবাসসুম তার সিনিয়র সকল কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে ৩ নং স্কেলে পদোন্নতি নেন। সম্প্রতি তাবাসসুম ২ নং স্কেলের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তার চেয়ে ৯ ব্যাচ সিনিয়র অত্যন্ত মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক(রোলিং স্টক) পার্থ সরকারকে স্থায়ী বরখাস্ত করার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যকে তার স্বামী জসিম ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিশাত রসুলকে দ্বারা ম্যানেজ করেন।

আওয়ামী ঘরনার ও তাবাসসুম সিন্ডিকেটের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং সরঞ্জাম বিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় লুটেরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজনের ভাগ্নি জামাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নুরুল ইসলাম সুজন রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দিনে আনোয়ার চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ৫ মণ মিষ্টি বিতরণ করেন। শ্বশুর মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আনোয়ার সবসময় একই সাথে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করতেন।

আনোয়ারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এখনো চট্টগ্রামে তিনি পরিচালক ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোলের পাশাপাশি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক/পূর্ব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। আনোয়ার প্রায় ১৫ বছর যাবত চট্টগ্রাম সরঞ্জাম বিভাগে বিভিন্ন লাভজনক পদে কর্মরত আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে একই সময়ে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করায় তিনি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সম্প্রতি সরঞ্জাম বিভাগের সবচেয়ে বড় পদ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী পদে পদোন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানা যাচ্ছে।

তাবাসসুম সিন্ডিকেটের সরকার দলীয় আরও একজন কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। বিগত সরকার রেলওয়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এই বিশাল অঙ্কের টাকায় রেলওয়েতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিকল্পনা দপ্তরে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।রেলওয়েতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের জন্য অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকুরীরত কর্মকর্তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার কাজই হল এই সিন্ডিকেটের ইন্টারেস্ট পূরণে সর্বদা নিজেকে পূর্ণভাবে নিয়োজিত করা। তার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনায় প্রকল্পের টাকা লুটের নানা কৌশলে তিনি সদা ব্যস্ত। এই সিন্ডিকেটের মূল লক্ষ্যই থাকে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো। কারণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো মানেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো, আর ব্যয় বাড়ানো মানেই হাজার কোটি টাকায় সিন্ডিকেটের পকেট ভারী।

সলিমুল্লাহ বাহার। ছবি: সংগৃহীত

তাছাড়াও প্রকল্পের টাকা লুটের আর একটা ফাঁদ হলো ভেরিয়েশন ওর্ডার এবং ইনিয়ে বিনিয়ে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন। ফলে প্রকল্পের খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। রেলের কর্মকর্তারাই নাকি প্রকল্পের কাজ শেষ হোক এ বিষয়ে আন্তরিক না। যার কারণে রেলওয়ের কোন প্রকল্পই ১৫ বছরের আগে শেষ হয় না অর্থাৎ রেলের কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ মদদে প্রকল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। সিন্ডিকেটের চাহিদার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দেশের কাজে লাগুক বা না লাগুক, যেকোনো কৌশলে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করার নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা । এই টাকার ভাগ সরকারের সব মহলে জেত। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন রেলের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। এছাড়াও রেলভবনে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালক নিয়োগে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেন বাহার। তাছাড়া প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার নিজের সেবার পরিকল্পনায় অনেক ব্যস্ত। তিনি নিজে ২/৩টা পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি ব্যবহার করে দেশের টাকা লুট করছেন।

অত্যন্ত কঠোর আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন আবু জাফর মিয়া। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় বাড়ি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে শুরু করেন। প্রধান প্রকৌশলী(পূর্ব) চট্টগ্রাম হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেন। তিনি তার এই লুটপাট জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার সহায়তা নেন। তিনি কোন পূর্ত কাজের টেন্ডার আহ্বান করার পরে সকল টেন্ডারের ইষ্টীমেট বা প্রাক্কলন তার পার্টনার ঐ শীর্ষ নেতার কে বলে দিতেন। এর ফলে ঐ নেতার তার মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ এই টেন্ডারে অংশ নিত না বা নেওয়ার সাহস পেত না।

আবু জাফর মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত আখাউড়া -আগরতলা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা যায় যে,শেখ হাসিনার সাথে জাফর যতবার দেখা করতেন ততবারই তার পদধূলি মাথায় নিতেন। তার পদে কোন কর্মকর্তা আসার চিন্তা করলেই তাকে তিনি বিএনপি জামাত হিসেবে চিহ্নিত করে তার পদায়ন ঠেকিয়ে দিতেন। এই কর্মকর্তা গেট কিপার নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। নিজের এলাকায় শত শত বিঘা জমি ক্রয়ের পাশাপাশি তিনি অবৈধ বড় একটা অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে।

আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন তাপস কুমার দাস যিনি বর্তমানে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী/পূর্ব, চট্টগ্রাম হিসেবে কর্মরত আছেন। এই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এক নেতা বাবরের ছত্রছায়ায় ব্যাপাক লুটপাট করেছেন।

তাপস কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

তাপসের বাড়ি বাগেরহাট হওয়ায় তিনি হাসিনার নিকটাত্মীয় শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে রেলের বিভিন্ন প্রাইজ পোস্টিং পেতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এবং এসব পোস্টে পদায়িত হয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার এই লুটপাটের টাকা তিনি প্রতিবেশী ইন্ডিয়াতে পাচার করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় যে তাপস দাস অত্যন্ত গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে তার পড়াশোনা চালানোর মত কোন টাকা তার ছিল না। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এই তাপস।

এই পাঁচ কর্মকর্তা ছাড়াও রেলওয়েতে আছে আরও অনেক আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তা। যা আমরা পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করবো।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা