রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দখলে এখনো রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে রাজনীতি, প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু পাড়া মহল্লা পর্যন্ত। পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা রূপ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী ঘরনার সুবিধা ভোগী কর্মকর্তাগণ রাতারাতি দল পরিবর্তনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। দখলে রেখেছেন রেলওয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের বাজেট পায় রেলওয়ে। যার ৯০ শতাংশ নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই অর্থ তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এমপিদের লুটপাটের সহযোগী হিসেবে ছিলেন রেলের আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাগণ। এদের প্রভাবে রেলের অন্য ঘরানার বাকি কর্মকর্তারা ছিলেন একপ্রকার অসহায়, বঞ্চিত ও নির্যাতিত।

রেলের আওয়ামী ঘরানার কিছু কর্মকর্তাগণের প্রভাব ও দখল কেমন ছিল তার কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

রেলওয়েতে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা হলেন তাবাসসুম বিনতে ইসলাম- যুগ্ম মহাপরিচালক (মেকানিক), রেলভবন। তাবাসসুম প্রায় ১৬ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। তার এই পদে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়াও শামসুজ্জামান যেসময় রেলের মহাপরিচালক ছিলেন তখন তাবাসসুম ছিলেন রেলের অলিখিত রানী তথা রেল রাণী। তৎকালীন সময় রেলমন্ত্রী সুজন ও ডিজি শামসুজ্জামান তাবাসসুমকে রেলের বদলি,পদোন্নতি থেকে শুরু করে টেন্ডার বাণিজ্য পর্যন্ত সকল কাজের ব্লাংক চেক দেওয়ার মত ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

তাবাসসুম বিনতে ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তাবাসসুমের এই ক্ষমতার উৎস ছিল তার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন হায়দার- যুগ্ম সচিব হিসেবে বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আছেন। জসিম একসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন এবং ২০০৯ পরবর্তী প্রতিটি অবৈধ নির্বাচনে আওয়ামী লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেন। জসিমের ভয়ে রেলের সিনিয়র কর্মকর্তারাও তাকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করেন। এছাড়াও তাবাসসুম গত ১৫ বছরে প্রায় ৪০ টির অধিক দেশে সরকারি ভ্রমণ করেন। তার দেশে বিদেশে আছে শতকোটির অধিক সম্পদ । জসিম উদ্দিনের প্রভাবে সম্প্রতি তাবাসসুম তার সিনিয়র সকল কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে ৩ নং স্কেলে পদোন্নতি নেন। সম্প্রতি তাবাসসুম ২ নং স্কেলের পদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তার চেয়ে ৯ ব্যাচ সিনিয়র অত্যন্ত মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক(রোলিং স্টক) পার্থ সরকারকে স্থায়ী বরখাস্ত করার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্যকে তার স্বামী জসিম ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিশাত রসুলকে দ্বারা ম্যানেজ করেন।

আওয়ামী ঘরনার ও তাবাসসুম সিন্ডিকেটের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং সরঞ্জাম বিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় লুটেরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজনের ভাগ্নি জামাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নুরুল ইসলাম সুজন রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দিনে আনোয়ার চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ৫ মণ মিষ্টি বিতরণ করেন। শ্বশুর মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আনোয়ার সবসময় একই সাথে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করতেন।

আনোয়ারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এখনো চট্টগ্রামে তিনি পরিচালক ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোলের পাশাপাশি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক/পূর্ব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। আনোয়ার প্রায় ১৫ বছর যাবত চট্টগ্রাম সরঞ্জাম বিভাগে বিভিন্ন লাভজনক পদে কর্মরত আছেন। এই দীর্ঘ সময়ে একই সময়ে ২/৩ টা পদের দায়িত্ব পালন করায় তিনি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। সম্প্রতি সরঞ্জাম বিভাগের সবচেয়ে বড় পদ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী পদে পদোন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানা যাচ্ছে।

তাবাসসুম সিন্ডিকেটের সরকার দলীয় আরও একজন কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। বিগত সরকার রেলওয়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এই বিশাল অঙ্কের টাকায় রেলওয়েতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিকল্পনা দপ্তরে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।রেলওয়েতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের জন্য অবসরপ্রাপ্ত এবং চাকুরীরত কর্মকর্তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে। প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার কাজই হল এই সিন্ডিকেটের ইন্টারেস্ট পূরণে সর্বদা নিজেকে পূর্ণভাবে নিয়োজিত করা। তার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনায় প্রকল্পের টাকা লুটের নানা কৌশলে তিনি সদা ব্যস্ত। এই সিন্ডিকেটের মূল লক্ষ্যই থাকে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো। কারণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো মানেই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো, আর ব্যয় বাড়ানো মানেই হাজার কোটি টাকায় সিন্ডিকেটের পকেট ভারী।

সলিমুল্লাহ বাহার। ছবি: সংগৃহীত

তাছাড়াও প্রকল্পের টাকা লুটের আর একটা ফাঁদ হলো ভেরিয়েশন ওর্ডার এবং ইনিয়ে বিনিয়ে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত ডিপিপি প্রণয়ন। ফলে প্রকল্পের খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। রেলের কর্মকর্তারাই নাকি প্রকল্পের কাজ শেষ হোক এ বিষয়ে আন্তরিক না। যার কারণে রেলওয়ের কোন প্রকল্পই ১৫ বছরের আগে শেষ হয় না অর্থাৎ রেলের কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ মদদে প্রকল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। সিন্ডিকেটের চাহিদার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দেশের কাজে লাগুক বা না লাগুক, যেকোনো কৌশলে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করার নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা । এই টাকার ভাগ সরকারের সব মহলে জেত। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন রেলের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বাহার। এছাড়াও রেলভবনে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালক নিয়োগে তিনি বড় ধরনের দুর্নীতি করেন বাহার। তাছাড়া প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার নিজের সেবার পরিকল্পনায় অনেক ব্যস্ত। তিনি নিজে ২/৩টা পাজেরো স্পোর্টস গাড়ি ব্যবহার করে দেশের টাকা লুট করছেন।

অত্যন্ত কঠোর আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন আবু জাফর মিয়া। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় বাড়ি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে শুরু করেন। প্রধান প্রকৌশলী(পূর্ব) চট্টগ্রাম হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেন। তিনি তার এই লুটপাট জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার সহায়তা নেন। তিনি কোন পূর্ত কাজের টেন্ডার আহ্বান করার পরে সকল টেন্ডারের ইষ্টীমেট বা প্রাক্কলন তার পার্টনার ঐ শীর্ষ নেতার কে বলে দিতেন। এর ফলে ঐ নেতার তার মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ এই টেন্ডারে অংশ নিত না বা নেওয়ার সাহস পেত না।

আবু জাফর মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত আখাউড়া -আগরতলা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা যায় যে,শেখ হাসিনার সাথে জাফর যতবার দেখা করতেন ততবারই তার পদধূলি মাথায় নিতেন। তার পদে কোন কর্মকর্তা আসার চিন্তা করলেই তাকে তিনি বিএনপি জামাত হিসেবে চিহ্নিত করে তার পদায়ন ঠেকিয়ে দিতেন। এই কর্মকর্তা গেট কিপার নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। নিজের এলাকায় শত শত বিঘা জমি ক্রয়ের পাশাপাশি তিনি অবৈধ বড় একটা অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে।

আওয়ামী ঘরানার আরও একজন কর্মকর্তা হলেন তাপস কুমার দাস যিনি বর্তমানে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী/পূর্ব, চট্টগ্রাম হিসেবে কর্মরত আছেন। এই কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এক নেতা বাবরের ছত্রছায়ায় ব্যাপাক লুটপাট করেছেন।

তাপস কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

তাপসের বাড়ি বাগেরহাট হওয়ায় তিনি হাসিনার নিকটাত্মীয় শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে রেলের বিভিন্ন প্রাইজ পোস্টিং পেতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এবং এসব পোস্টে পদায়িত হয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার এই লুটপাটের টাকা তিনি প্রতিবেশী ইন্ডিয়াতে পাচার করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় যে তাপস দাস অত্যন্ত গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে তার পড়াশোনা চালানোর মত কোন টাকা তার ছিল না। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক এই তাপস।

এই পাঁচ কর্মকর্তা ছাড়াও রেলওয়েতে আছে আরও অনেক আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তা। যা আমরা পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করবো।

Header Ad

বৃষ্টি থামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল দেশ। তবে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আজ সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যশোর ও খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছে গতকাল শনিবার থেকেই। এটি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই বৃষ্টির পরিমাণও কমে আসছে।

রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি হয়েছে পটুয়াখালীতে ২২৩ মিলিমিটার। সমুদ্র বন্দরগুলোকে এখনও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত আর নদী বন্দর গুলোকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

নওগাঁয় ডিবির অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

নওগাঁয় ডিবির অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার কুমুরিয়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার ছোটখাটামারী এলাকার হানিফ আলীর ছেলে মাহাবুব রহমান (৩৩) ও নওগাঁ জেলার সদর থানার কৃত্তিপুর এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন (২৮)।

পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় ডিবির ওসির নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করেন এসআই মামনুর রশিদ ও এসআই আলী আকবর হাসানসহ সঙ্গীয়ফোর্স।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাশমত আলী।

ওসি হাশমত বলেন, সদর উপজেলার কুমুরিয়া এলাকায় মাদকের একটি চালান এসে হাত বদল হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান ও সম্রাট হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উক্ত পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের দিল্লি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারাগার থেকে ছয় মাস পর জামিনে বেরিয়ে এই ঘোষণা দিলেন তিনি।

রোববার (১৫ সেপ্টেস্বর) দুপুরে দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় দিল্লিতে আগাম নির্বাচনেরও দাবি জানান আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরিওয়াল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

কেজরিওয়াল বলেন, ‘দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছি। মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এখন জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেতে চাই।’

‘মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না। প্রত্যেক বাড়িতে যাব, দরজায় দরজায় পৌঁছব। মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।’

কেজরিওয়াল আরো বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার পর আম আদমি পার্টির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’

পদত্যাগের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আদালত জামিন দিয়েছে। এই মামলা চলবে। আইনজীবীদের বললাম, আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। যে আইনে জামিন হয় না, সেই আইনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। কিন্তু আজ আমি জনতার আদালতে এসেছি। আপনারা বলুন, আপনারা আমাকে দোষী মনে করেন না নির্দোষ? কেজরিওয়াল সৎ না অসৎ? দু'দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ছাড়ছি আমি। মানুষকে রায় না শোনানো পর্যন্ত ওই চেয়ারে বসব না আমি’।

দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। জামিন আদেশের কয়েক ঘণ্টা পর তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসেন আম আদমি পার্টি।

মাঝখানে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পরে আবার তিহার জেলে পুনরায় আত্মসমর্পণ করেন। অবশেষে ছয় মাস পর শুক্রবার জেল থেকে মুক্তি পান কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়ালকে জামিনের শর্তে বলা হয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে যেতে পারবেন না; সরকারী নথিতে স্বাক্ষরও করতে পারবেন না।

এছাড়া শুক্রবার শীর্ষ আদালত আদেশ দেয়, কেজরিওয়ালকে মামাল অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিচারের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে। দ্রুত বিচারের বিচারের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে আদালতকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টি থামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ডিবির অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৪ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
ভারত বধের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: ত্রাণ উপদেষ্টা
এমপি ফজলে করিমের ২৪ বছরের গুম-খুনের রাজত্ব
যুদ্ধবিরতির চুক্তি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ
স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২৫ শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: মির্জা ফখরুল
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সহযোগীতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক
যেভাবে রাডার ফাঁকি দিয়েছিল শেখ হাসিনার ফ্লাইট
অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ত্রাণের টাকা কোথায়, জানালেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
ইনজুরি থেকে ফিরেই মেসির জোড়া গোল, জিতল মায়ামি
দুপুরের রান্না করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে ৬৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা